তুমি যে আমার আলো গল্প পর্ব:৮
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন?আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে 'তুমি যে আমার আলো'গল্পের নতুন আরো একটি পর্ব উপস্থাপন করছি। আশা করি,আপনাদের সবার গল্পটি ভালো লাগবে তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
সৌরভ লাবনীর ভিতর কোনরকম যোগাযোগ হয়নি। পরীক্ষা পর্যন্ত সৌরভ নিজেকে কন্ট্রোল রাখার চেষ্টা করেছিল যে সে লাবনীর সঙ্গে যোগাযোগ করবে না। কিন্তু পরীক্ষা শেষ হওয়ার কিছুদিন পর সৌরভ লাবনীর সাথে যোগাযোগ করার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়ে। কিন্তু লাবনীর সাথে কোন রকম ভাবে সৌরভ যোগাযোগ করতে পারছিল না। একদিন সৌরভের সাথে থাকা তার ছোট ভাই অপূর্ব তাকে বলল।
অপূর্ব: দাদা আমি জানি তুমি লাবনী দিদিকে খুব ভালোবাসো। কিন্তু দাদা আমরা গরীব আর লাবনী দিদি অনেক বড়লোক। গরিব আর বড়লোকের ভেতর কোনদিন সম্পর্ক হতে পারে না। লাবনী দিদি তোমাকে সাহায্য করেছে কারণ তুমি গরিব। সে তোমাকে কোনদিন ভালোবাসেনি। কিন্তু তুমি তাকে ভালোবেসে ফেলেছ। আমি তোমার ছোট ভাই হিসেবে তোমাকে বলছি তুমি লাবনী দিদিকে ভুলে যাও।
সৌরভ: অপূর্ব আমি কোনদিন লাবনীকে ভুলতে পারবো না। হয়তো তোর এটা মনে হচ্ছে যে সে আমাকে ভালোবাসে না। কিন্তু আমার বিশ্বাস সে আমাকে আমার থেকে বেশি ভালোবাসে। সে অনেকবার নিজের মুখে বলার চেষ্টা করেছে কিন্তু আমি তাকে বাধা দিয়েছি। কিন্তু আমি একটা জিনিস যদি বুঝতে পারছি না সে আমার সাথে কথা না বলে থাকতে পারছে কি করে। যে মানুষটি আমার সাথে একটা দিন কথা না বলে থাকতে পারতো না আর সে দিনের পর দিন কথা না বলে থাকতে পারছে এটা কিভাবে সম্ভব।
অপূর্ব: সে তোমাকে বোঝানোর চেষ্টা করছে। সে তোমাকে ভালোবাসে না। এই বিষয়টা তুমি কেনো বুঝতে পারছ না।
সৌরভ: আমি বুঝতে পারছি তুই কেনো এমন কথাগুলো বলছিস। কিন্তু আমি ওকে খুব কাছ থেকে দেখেছি ওর সাথে সময় কাটিয়েছি। আমি ওর ভেতর এমন কোন কিছুই দেখিনি।
এমনভাবে সৌরভের দিনগুলি কেটে যাচ্ছিল। প্রতিদিনের মতন সে কাজ করছে হঠাৎ একটি গাড়ি তার গ্যারেজের সামনে এসে দাঁড়ায়। সৌরভ দেখতে পায় গাড়িটির ভিতর লাবনী বসে আছে। সঙ্গে সঙ্গে হাতের কাজটি রেখে চলে যায় লাবনী কাছে। লাবনী ও গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়ায়। সৌরভ লাবনীর কাছে এসে লাবনীকে বলে।
সৌরভ: কেমন আছো তুমি?
লাবনী: ভালো আছি। তুমি কেমন আছো?
সৌরভ: ভালো আছি। তুমি এতদিন কোথায় ছিলে? তুমি জানো তোমার সাথে একটু কথা বলার জন্য আমি কত চেষ্টা করেছি কিন্তু আমি পারিনি।
লাবনী: আমি জানি তুমি আমার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছ। কিন্তু আমি চাইনি যে তুমি আমার সাথে যোগাযোগ করো তার জন্য নিজেকে আমি আড়াল রেখে ছিলাম।
সৌরভ: তোমার সাথে আমার অনেক কথা আছে। তুমি কি আমাকে একটু সময় দিবে?
লাবনী: আমারও তোমার সঙ্গে অনেক কথা রয়েছে। চলো আমরা দুজনে সেই নদীর পারে যেখানে আমরা দুজন দুজনের কথাগুলো বলবো।
সৌরভ: ঠিক আছে তুমি একটু দাঁড়াও আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।
কিছুক্ষণ পর সৌরভ ফ্রেশ হয়ে এল। তারপর লাবনী ও সৌরভ সেই প্রথম যেদিন সৌরভ লাবনীকে নিয়ে গিয়েছিল যে নদীটির পাড়ে। আজও সেই নদীটির পাড়ে তারা দুজনে গেল। সেদিনের মতন রিক্সায় চড়ে তারা যায়নি তারা গিয়েছিল লাবনীর গাড়িতে। নদীটির কাছে এসে গাড়ি থেকে নেমে কিছু বাদাম কিনে একটি বেঞ্চের উপর বসলো। লাবনী ও সৌরভ দুজনেই চুপচাপ ছিল তারা দুজনেই কোন কথা বলছিল না। অনেকক্ষণ চুপ থাকার কারণে সৌরভ একটি সময় লাবনীকে বলে তুমি কি জানো বলতে চেয়েছিলে আমাকে? লাবনী বলে তুমিও তো আমাকে কি যেন বলতে চেয়েছিলে। তাহলে তুমি আগে শুরু করো।
বাহ আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ দারুন একটি গল্প লিখে শেয়ার করেছেন। আপনার লেখা পোস্টটি পড়ে সত্যিই আমি বেশ মুগ্ধ হয়েছি। নিজের মুখে যদি কখনো ভালোবাসার মানুষকে ভালোবাসা প্রকাশ করা যায় তাহলে সেই ভালোবাসা কখনো ফেরানো সম্ভব হয়নি। দিনের পর দিন কথা না বলেও দূর থেকেও ভালোবাসার মানুষকে ভালোবাসা যায়। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
এই গল্পের বেশ কয়েকটি পর্ব আমার পড়া হয়েছে। যাইহোক এই পর্বটি পড়েও দারুণ লেগেছে। আমার মনে হয় সৌরভ এবং লাবণী একে অপরকে খুব ভালোবাসে। কিন্তু লাবণী তার বাবার জন্য সৌরভের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু কাউকে সত্যি সত্যি ভালোবাসলে,নিজেকে বেশিদিন আটকে রাখা যায় না। মনে হচ্ছে এবার তারা দুজন একে অপরকে সবকিছু খুলে বলবে। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
এই গল্পের সবগুলো পর্ব আমি পড়ে আসছি৷ আজকে এর পরবর্তী পর্ব পড়ে খুবই ভালো লাগছে৷ আসলে লাবনী ও সৌরভ এর এই গল্পটি পড়তে আমার অনেক ভালো লাগছে৷ আপনি খুব সুন্দর ভাবে এই গল্পের একের পর এক পর্ব শেয়ার করে আসছেন৷ আসলে তারা দুজন দুজনকে অনেক বেশি পরিমাণে ভালোবাসে৷ তবে লাবনী তার বাবার ভয়ে সৌরভের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে৷ তবে লাভনী তাকে সত্যি কারের ভালোবাসে যা কখনো বৃথা যায় না৷ অবশ্যই একদিন না একদিন তারা দুজনে একে অপরকে তাদের সব কথাই খুলে বলবে৷ পরবর্তী পর্বের আশায় রইলাম৷