আ _{^{মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি, আজকে নিজের কিছু মনের কথায় লিখে দেয়ার চেষ্টা করব, নিজের অনুভূতি প্রকাশ করার চেষ্টা করব।}}

খুব বেশি একটা ভালো নেই, ছাত্র জীবন শেষ করে নতুন জীবনে পদার্পণ হওয়ার জন্য যে সময়টা পেয়েছি এই সময়টাতেও ঘরে বসে থাকতে হচ্ছে, বেশ অনেকদিন নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট থাকার কারণে তেমন কোন কাজ করেই শান্তি পাওয়া যাচ্ছে না তবে আমার বিষয়টা তা নয়, বোরিং সময়টার মধ্যে বাইক নিয়ে বন্ধুদের সাথে ঘুরাঘুরি করে কিছুটা রিফ্রেশমেন্ট এর ব্যবস্থা করা গেল। যখন অফিস স্কুল-কলেজ সবকিছুই বন্ধ বিকেলে সময়টা বন্ধুদের সাথেই কেটেছে।

সময়টা আরো বেশ সপ্তাহখানেক আগে, তবে পোস্ট করার সুযোগ হয়নি। যে জায়গাটা আমরা প্রায় সময়ই যাই সে জায়গাটা আমরা নতুন এক রূপে আবিষ্কার করলাম। মূলত যখন আমাদের হাতে সময় বেশি থাকে তখন আমরা ৩০০ ফিট নীলা মার্কেট থেকে আরো কয়েক কিলো ভিতরে চলে যায়, অদ্ভুদ এক নাম হর্দি বাজার। এত সুন্দর রাস্তা কিন্তু নতুন অবস্থাতে কেউ যদি দিনের বেলাতেও এই রোড গুলো দিয়ে গাড়ি চালায় তার মনের মধ্যে একটা ভয় কাজ করবে, কারণ জন মানব শূন্য এ রাস্তাগুলোর মধ্যে দিয়ে যেতে হয় অনেকটা পথ।

মূলত আমরা এত দূরে আসি মুড়ি মাখা খেতে, শুধু যে খাওয়া-দাওয়ার জন্য সেটা না একটু ভালো লাগে মন ভালো হয় এর জন্য যাওয়া হয়। সেদিন যাওয়ার পথেই অদ্ভুত এক পরিবেশের সৃষ্টি হল, চার দিকের আকাশ কেমন যেন লাল হয়ে যাচ্ছে। আগেও আকাশে এরকম পরিবর্তন দেখেছি তবে চমৎকার জায়গায় দাঁড়িয়ে কখনো এরকম পরিস্থিতি দেখার সুযোগ খুব কম হয়েছে।

বাইক রানিং অবস্থায় ছবি তোলার চেষ্টা করছিলাম তবে ছবিগুলো বেশি ভালো হয়নি তাই আপলোড করলাম না, দোকানে বসে মুড়ি মাখা খেতে খেতে যখন দেখলাম সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে তখন নদীর পাড় অসম্ভব রকম সুন্দর। খাওয়া-দাওয়া অর্ধেক রেখেই বাহিরে বের হয়ে আসলাম ছবি তোলার জন্য এতটাই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলাম পরিবেশটা দেখে। কোন প্রকারের ছাড়াই মনে হচ্ছে কেমন যেন একটা ইফেক্ট কাজ করছে এখানে। শুধু আমি না আমার বন্ধুরাও ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করছে, সত্যি বলতে এরকম একটা সময় এরকম একটা পরিবেশে নদীর পাড়ে আসতে পেরেছি খুবই ভালো লাগছে।

ঢাকা শহরেও এরকম পরিবেশ উপভোগ করার জন্য মানুষ দূর দূরান্ত থেকে এই জায়গাগুলোতে আসার চেষ্টা করে, এই জায়গাটা বেশি পপুলার হয়ে ওঠেনি এখনও তাই এখনো এখানে আসতে ভালো লাগে, বোরিং সময়ের মধ্যে নিজেকে একটু সময় দেয়ার জন্য বেশ ভালো একটা জায়গা ছিল এটি, বন্ধুদের সাথে চমৎকার একটা বিকেল এইখানে কাটিয়েছিলাম।

_{আমি সাজ্জাদ সোহান
আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন শিক্ষার্থী। আমি ঢাকাতে বসবাস করি। আমি ট্রাভেল করতে অনেক ভালোবাসি, এছাড়া অবসর সময়ে মুভি দেখি, ফটোগ্রাফি করি, গান করি। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই কম কথা বলি কিন্তু আমি একজন ভালো শ্রোতা। ভালোবাসি নতুন জিনিস শিখতে, মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।}

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

---

𝕋𝕙𝕒𝕟𝕜 𝕪𝕠𝕦 𝕖𝕧𝕖𝕣𝕪𝕠𝕟𝕖