রিক্সা ভ্রমণ
আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from 🇧🇩.
২৪শে জুন , সোমবার।
আ মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি, আজকে নিজের কিছু মনের কথায় লিখে দেয়ার চেষ্টা করব, নিজের অনুভূতি প্রকাশ করার চেষ্টা করব।
নিজের পড়াশোনা কমপ্লিট করার জন্য নিজের পরিবার নিজের এলাকা ছেড়ে দূরে অনেক দিন ছিলাম, এটাই স্বাভাবিক এটাই জীবন। তবে এই ঈদের মধ্যে সব কিছু শেষ করে আমি আমার পরিবারের সাথে আবার যুক্ত হলাম, তবে খুব শীঘ্রই চেষ্টা করব ব্যস্ত হয়ে যাওয়ার জন্য, এই সময়টুকুর মধ্যে আরো অনেক কাজ ছিল।
নানু, অনেক দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন, আল্লাহর রহমতে খারাপ অবস্থা নয় তবে তিনি প্রায় সময় বলতেন তার পেটে ব্যথা করছে। তবে কেউ বিষয়টাকে খুব সিরিয়াস ভাবে নিচ্ছিল না এতদিন পর যখন বাসায় আসলাম এটা শোনার পর কিছুটা জোর করেই বললাম ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত।
যেটা খুবই নরমাল ভেবেই ডাক্তারের কাছে যাওয়া, কিন্তু ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পর প্রায় ৮ রকমের টেস্ট দেয়া হলো। ডক্টরেট টেস্ট দেয়া দেখে খানিকটা সিরিয়াস হয়ে গেলাম, ওইদিনই প্রায় ছয় হাজার টাকার টেস্ট করানো হলো ওইখানেতে, তবে একটা টেস্টের জন্য আমাদেরকে শেখ রাসেল হসপিটালে যেতে বলে।
যাইহোক আমরা উক্ত হসপিটালে উপস্থিত হলাম, প্রিপারেশন ছিল কোন কিছু খাওয়া যাবে না এটা দিয়েই যাবতীয় নিয়ম মেনেই আমরা গিয়েছিলাম। তবে ওই হসপিটালের ডক্টররা বললেন যেহেতু বয়স বেশি, তারা আরও দুটি ব্লাড টেস্ট এবং ইসিজি দিলেন। অর্থাৎ আমরা সেদিন আর সিরিয়াল পেলাম না। ওই হসপিটালে ব্লাড টেস্ট দিলাম এবং এলাকাতে ইসিজি করলাম।
তারপরেই ঈদ চলে এসেছিল তাই আর রিপোর্ট আনতে যাওয়া হয়নি, আমরা প্রায় একমাস পর ইন্ডোস কপি করার সিরিয়াল পেলাম। রিপোর্ট আনতে যাওয়ার সময় বেশিরভাগ রাস্তা আমি রিকশাতেই গেলাম। যদিও বাস দিয়ে যাওয়া যেত। তবু কেন জানো একা একা রিক্সা ভ্রমণ করতে ইচ্ছে করছিল।
ঈদের পরপর আস্তে আস্তে লোকজন আসা শুরু করছে আবার ব্যস্ততম রাস্তা দেখা যাচ্ছে, তবে মহাখালীর এই এলাকাটা অনেকটাই ফাঁকা, কারণ পুরোটা এলাকা জুড়ে হসপিটাল। মহাখালীর ভিতর দিয়ে যখন রিকশা চলছিল মোটামুটি ভালই লাগছিল, হসপিটালের ওই এরিয়াতে ঢোকার পরপরই শীতল একটা পরিবেশ অনুভব করলাম। এই ব্যস্ততম এরিয়ার মধ্যেও এখানে এত পরিমান গাছ রয়েছে যেটা খুবই ভালো লাগলো।
আমি সাজ্জাদ সোহান
আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন শিক্ষার্থী। আমি ঢাকাতে বসবাস করি। আমি ট্রাভেল করতে অনেক ভালোবাসি, এছাড়া অবসর সময়ে মুভি দেখি, ফটোগ্রাফি করি, গান করি। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই কম কথা বলি কিন্তু আমি একজন ভালো শ্রোতা। ভালোবাসি নতুন জিনিস শিখতে, মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ভাইয়া ডাক্তারের কাছে গেলে এমনিতে অনেক কিছু টেস্ট দেই। সাধারণত কোন সমস্যার কারণে ডাক্তারের কাছে গেলে তারা এমনভাবে টেস্ট দিয়ে থাকে মানুষ অনেক ভয় পেয়ে যায়। তবে আপনি রিপোর্টগুলো আনার জন্য রিক্সায় করে গেলেন। তবে এখন তো রিক্সা একদম দেখাই যায় না গ্রামাঞ্চলে। মনে হয় শহরের দিকে রিকশা আছে। রিক্সা করে কোথাও যেতে এমনিতে বেশ ভালো লাগে। অনেক সুন্দর করে পোস্টে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
প্রথমেই আপনার নানুর দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। আসলে অসুখ বিসুখ হলে যত তাড়াতাড়ি হসপিটালে যাওয়া যায় ততই মঙ্গল। কিন্তু আমরা অনেক সময় দেরি করে ফেলি। যাইহোক এন্ডোস্কোপির রিপোর্ট আনতে মোটামুটি ফাঁকা রাস্তায় রিকশা দিয়েই গিয়েছেন তাহলে। শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হসপিটালে বছর দুয়েক আগে গিয়েছিলাম আমার এক আত্নীয়কে দেখতে। সেখানকার পরিবেশ খুবই সুন্দর, তাছাড়া চারপাশে প্রচুর গাছগাছালি রয়েছে। পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।