ক্রিয়েটিভ রাইটিংঃ-কারও কাছ থেকে অতিরিক্ত আশা করা উচিত নয়।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে? নিশ্চয়ই শীতের দিনে ঘরের ভিতরে আবদ্ধ আছেন সবাই। আজ কয়দিন বেশ শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। এত শীতের দিনে কোথায় বের হতে ইচ্ছে করে না গরম গরম খাবার খেয়ে একদম শুয়ে থাকতে মন চায়। কিন্তু যাদের ছোট বাচ্চার আছে তাদের তো এরকম শুয়ে থাকার উপায় নেই। আর যারা অবিবাহিত বাচ্চা নেই তারা তো বেশ বিন্দাসে থাকবেন? যাক আমিও শত ব্যস্ততার মাঝে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে সুস্থ আছি। বন্ধুরা আপনাদের দিনকাল কেমন যাচ্ছে জানালে অনেক বেশি ভালো লাগবে। যাক সেদিকে আর যাচ্ছি না বন্ধুরা। আবার হাজির হয়ে গেছে নতুন একটি টপিকস নিয়ে। আশা করি সবার কাছে ভালো লাগবে।
নিশ্চয়ই বন্ধুরা বুঝতে পারছেন আমি আজকে কি টফিস আপনাদের সাথে শেয়ার করব। প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি একটি করে জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করবো। অর্থাৎ ক্রিয়েটিভ রাইটিং লিখে আপনাদের সবার সাথে নিজের আইডিয়াগুলো প্রকাশ করার চেষ্টা করি। আজকেও তেমনটা হয়েছে আজকে আমি হাজির হয়েছি নতুন একটি বিষয় নিয়ে লিখে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। মানুষের জীবনে বাস্তবতা অনেক কঠিন। আমরা বসে বসে অনেক কিছু চিন্তা করে থাকি ভালো মন্দ বিষয়গুলো। এটাও চিন্তা করে থাকি আমরা আপন মানুষ থেকে অনেক বেশি আশা করে থাকি। আসলে আমাদের জীবনে মা বাবা ভাই বোন তাছাড়া ও আমাদের নিকট আত্মীয় অনেক বেশি থাকে।
আমরা অনেক সময় আমাদের নিকট আত্মীয়দের কাছ থেকে অনেক কিছু আশা করে থাকি। আমরা এত বেশি আশা করি যে হয়তো তাদের থেকে আমরা সেই আশা অনুযায়ী কিছু পাই না। যখন আমরা যতটুকু আশা করি তখন সেই পরিমাণ যখন আমরা তাদের কাছ থেকে তেমন কিছু পায় না তখন আমাদের মনটা অনেক বেশি খারাপ হয়ে যায়। যেমন আমরা বড় হয়ে আমাদের আপন ভাইবোনদের কাছ থেকে আমরা অনেক কিছু আশা করতে পারি মা-বাবার অবর্তমানে। যখন দেখবেন বাস্তবতার ক্ষেত্রে তার কোন ধারের কাছেও আপনি/আমি কিছু পাইনা তখন মনে অনেক বেশি কষ্ট জমে যায়। অনেক সময় আমরা আমাদের টাকা পয়সা মূল্যবান সময় সবকিছু আমরা ছোট ভাই বোনদের জন্য ব্যয় করে থাকি। এজন্য আমরা তাদেরকে সময়গুলো দিয়ে থাকি।
হয়তো তারা বড় হয়ে আমাদের একটু সুখ দুঃখের সাথি হবে। যখন তারা বড় হয়ে দেখা যায় যার যার জীবন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে তখন আমরা যারা আশা করে থাকি তাদের মনে অনেক বেশি দাগ লেগে যায়। এমন কিছু আমরা পেয়ে থাকি যেগুলো আসলে আসার বাইরেও চলে যায়। এমন কিছু আমাদের দৈনন্দিন জীবনে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক রয়েছে। তাছাড়াও রয়েছে বন্ধু-বান্ধবদের সাথে আমাদের গভীর সম্পর্ক। নিকট আত্মীয়দের কাছে আমাদের গভীর সম্পর্ক থাকে। তাছাড়া ও প্রতিবেশীদের সাথে আমাদের খুব সুন্দর সম্পর্ক থাকে। তখন আমরা যে দৃষ্টিতে তাদেরকে দেখি, যে দৃষ্টিতে তাদেরকে ভালোবাসি তার অনুরুপ যদি আমরা তাদের কাছ থেকে না পাই তাহলে মনে ভীষণ খারাপ লাগে।
অনেক সময় দেখা যায় হাজব্যান্ড ওয়াইফের মধ্যে এরকম ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকে। হয়তো স্ত্রী তার হাজব্যান্ড থেকে অনেক কিছু আশা করে থাকেন। অথবা হাজব্যান্ড তার স্ত্রীর থেকে অনেক কিছু আশা করে থাকেন তাদের সংসারের প্রতি দায়িত্ব নিয়ে। যখন তার আশানুরূপ কিছু পাই না তখন তাদের মধ্যে একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়ে যায় মন খারাপ হয়ে যাই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে। আসলে এমন ধরনের ঘটনা আমাদের কমবেশি প্রতিটি সংসারেই দেখা যায়। এছাড়াও দেখা যায় যে হয়তো আমি আমার বন্ধুকে অনেক বেশি পছন্দ করি। অথবা আমি আমার বন্ধুকে অনেক বেশি সহযোগিতা করেছি। এই জন্য সহযোগিতা করেছি আসলে আমরা মানুষ জাতি। আমাদের সুখ দুঃখ সবার থাকতে পারে।
হয়তো আমি আমার বন্ধুকে আমার বন্ধুর বিপদের সময় আমি সহযোগিতা করেছি। নিশ্চয়ই সেই বন্ধু আমাকে একদিন বিপদের সময় আমার পাশে দাঁড়াবে এমনটা প্রত্যাশা করে সবাই। যখন দেখবেন যে আপনি আপনার বন্ধুকে এত সহযোগিতা করলেন সারা জীবন পাশে দাঁড়ালেন। কিন্তু আপনার বিপদের সময় সেই বন্ধুর কোন দেখা নাই। তখন ব্যাপারটা খুবই খারাপ লাগার বিষয়। সেটা শুধু আপনার ক্ষেত্র নয় আমার ক্ষেত্রেও এমনটা হয়ে থাকবে। তখন এমনটা মন চাইবে আর কখনো সেই বন্ধুর সাথে কোন যোগাযোগ রাখা হবে না কিংবা কোন সম্পর্ক থাকবে না। এমন কিছু অকৃতজ্ঞ মানুষ আমাদের চারপাশে থাকে। এমন কিছু বিবেকেহীন মানুষ আমাদের চারপাশে থাকে। যারা শুধু সুবিধা নিতে চায় সুবিধা দিতে চায় না। এটা আসলে এক প্রকার অকৃতজ্ঞতার লক্ষণ। কারণ অকৃতজ্ঞ হলে মানুষ এসব কর্মকাণ্ড করে থাকে।
তবে এই ধরনের মানুষের হাভভাব দেখলে বোঝা যায় না যে তারা এত অকৃতজ্ঞ। যখন বাস্তব ক্ষেত্রে আসবেন আপনি সমস্যার সম্মুখীন হবেন তখন তাদের কে বুঝতে পারবেন। সেটা আপনার জীবনের ক্ষেত্রে হোক অথবা আমার জীবনের ক্ষেত্রে হোক। অথবা অন্যদের জীবনের ক্ষেত্রে হোক। এমন ধরনের মানুষ আমাদের চারপাশে নিশ্চয়ই রয়েছে। এটা শুধু আমাদের ব্যক্তিগত কিংবা পারিবারিক পর্যায়ে নয় অফিসের ক্ষেত্রেও হয়ে থাকে। হয়তো আমি আমার বসকে অনেক বেশি শ্রদ্ধা করি সম্মান করি। আমার বসের সমস্ত বিপদের কাজে ছুটে যায়। হয়তো সেই বস আমার পদোন্নতির ক্ষেত্রে কিংবা কোন বিপদ-আপদে পাশে দাঁড়াবে।
কিন্তু দেখবেন আপনি যখন বিপদে পড়বেন কিংবা একটু সহযোগিতা চাইবেন তখন তারা একদম মুখ ফিরিয়ে থাকে। এ ধরনের মানুষ খুবই নাফরমান হয়। এ ধরনের মানুষ খুবই অকৃতজ্ঞ হয়। তারা খুবই লোভী হয় অন্যের সহযোগিতা গুলো পাওয়ার জন্য। কিন্তু বাস্তব পর্যায়ে দেখবেন তাদের কোন উপস্থিত লক্ষ্য করা যায় না। আসলেই আমরা আফসোস করতে পারি জীবন চলার পথে এমন মানুষের সাথে সাক্ষাৎ হলে দেখা হলে। কিন্তু করার কিছু নেই কারণ মানুষ চিনতে খুবই ভুল করি আমরা। কারণ আমরা খুব সহজে মানুষ চিনতে পারি না। বেশ ধাক্কাধাক্কি খেতে হয় তারপরে আমরা মানুষ চিনতে অভ্যস্ত হয়।
তাই জীবন যতদিন থাকবে এমন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন আমরা বারবার হব। যদিও বলি আমরা সাবধান হই সচেতন হই কিন্তু আমরা কেউ বুঝতে পারি না যে এ ধরনের মানুষ আমাদের পাশে এসে ঘুর ঘুর করে। আশা করি বন্ধুরা আমার আজকের লেখা আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। সময় দিয়ে পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
লেখার উৎস | নিজের অনুভূতি থেকে |
---|---|
ইমেজ সোর্স | ভিক্টিজি ডট কম |
অবস্থান | কক্সবাজার, বাংলাদেশ |
ক্যাটাগরি | ক্রিয়েটিভ রাইটিং |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
https://x.com/nahar_hera/status/1875614005622177828?t=Sn_RhMUmaYCKXrzdr0T74Q&s=19
যত বেশি আশা তত বেশি হতাশা! এটা চিরন্তন সত্য কথা আপু। মানুষের কাছ থেকে এক্সপেকটেশন যত কম রাখা যায় তত ভালো থাকা যায়। সেটা হোক পারিবারিক, বন্ধুমহল কিংবা অফিসের ক্ষেত্রে। মানুষ এখন নিজেকে নিয়েই ভাবে বেশি। তার বিপূ কেটে গেলে আপনার বিপদে যে হাত বাড়িয়ে দিবে এ গ্যারান্টি দেয়া যায় না।
জীবনটা এমনই যখন কারো কাছ থেকে কিছু আশা করবেন তখন তার থেকে শুধু আঘাত আর আঘাত ছাড়া কিছু পাওয়া যায় না।
আমার আজকের টাস্কঃ-
আসলে আমাদের কারোরই উচিত না কোনো কিছু কারো কাছ থেকে বেশি আশা করা। কারন আমরা যাদের কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু আশা করি তারা আমাদের সেই আশা ভরসা এক নিমিষেই শেষ করে দেয়। আপনি আজকে একেবারে বাস্তবিক একটা বিষয় নিয়ে পোস্টটা লিখেছেন। আমার কাছে এটা দেখে অনেক ভালো লাগলো।
একদম ঠিক বলছেন আসলে কারো কাছ থেকে কোন কিছু প্রত্যাশা করা মোটেও উচিত নয়।
অতিরিক্ত আশা নয় বরং কোন কিছু কারো কাছ থেকে আশা করাই ঠিক নয়।
দেবার মালিক একমাত্র সৃষ্টিকর্তার, তাই শুধুমাত্র তার কাছে মন খুলে চাইবেন। আর কিচ্ছু না, তিনি ঠিক সময়মতো সব দেবেন। মনে রাখবেন পৃথিবীতে কেউ কারো নয়।
ভালোই বলছেন আপনি দেওয়ার মালিক একমাত্র আল্লাহ। চাইলে দুই হাত তুলে সৃষ্টিকর্তার কাছেই চাওয়া উচিত।
মানুষের কাছ থেকে কম এক্সপেক্টেশন রাখা যাবে ততোই ভালো। যখন কারোর উপর এক্সপেক্টেশন রাখা যায় পরে তা পূর্ণ না হলে অনেক বেশি খারাপ লাগে। এক্সপেক্টেশন যত কম ততই ভালো। যতক্ষণ টাকা থাকে ততক্ষণ বন্ধু বেশি থাকে টাকা কমার সাথে সাথে বন্ধু কমে যায়। খুব সুন্দর একটি টপিক নিয়ে আলোচনা করেছেন আপু। ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে।
যার কাছ থেকে এক্সেপটেশনটা বেশি করা হয় তার কাছ থেকে কিছুই পাওয়া যায় না হতাশা ছাড়া।
আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে আপু বর্তমান কাউকে বিশ্বাস করা ঠিক নেই। আর কেউ আশা দিলে আমার মনে হয় সে আশায় বসে না থাকাই ভালো। আসলে আপু টাকা আছে যতক্ষণ সবাই থাকে ততোক্ষণ।বেশ ভালো লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এটা আমি বাস্তব প্রমাণিত আপু আমাদের সমাজে যারা টাকা ওয়ালা তাদেরকে সম্মান বেশি করে।
আশা বা, চাহিদা যতো কম থাকে ততো বেশি সুখী হওয়া যায়। কারও কাছ থেকে অতিরিক্ত আশা করা উচিত নয় আপনি ঠিক বলেছেন আপু। কারণ অতিরিক্ত আশা করলে পরবর্তীতে যদি না পাওয়া যায় তাহলে মনে কষ্ট আসে এবং সম্পর্কের অবনতি হয়। সম্পর্ক ভালো রাখা এবং নিজের মনের সুখের জন্য কারও কাছ থেকে অতিরিক্ত আশা করা উচিত নয়। অন্যের কাছ থেকে অতিরিক্ত কোন কিছু আশা করা বোকামি। ধন্যবাদ আপনাকে আপু পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আমাদের এমনভাবে জীবন যাপন করতে হবে শুধুমাত্র নিজের ইচ্ছে গুলো সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে চাওয়া এবং কারো কাছ থেকে কিছু কোন কিছু আশা না করা।
অতিরিক্ত আশা গুলো এক সময় দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আসলে জীবনে যত কম আশা/প্রত্যাশা জীবন তত বেশি সুন্দর। আসলে এই আশা গুলো জীবনে অনেক ধরনের দুঃখ দুর্দশা ডেকে আনে।তাই আমি মনে করি অতিরিক্ত আশাবাদী মানুষ জীবনে বারবার ঠকে যায়।
এটা আপনি ঠিক বলছেন কোন কিছু যখন আশা করে ফেলি যখন ব্যর্থ হয়ে যাই মনে অনেক কষ্ট জমা হয়ে থাকে।
আমাদের জীবনের সবচাইতে বড় ভুল সম্ভবত মানুষের উপর প্রত্যাশা করা। আশা প্রত্যাশা যা করার সেটা করতে হবে সৃষ্টিকর্তার উপর। মানুষ আমাদের প্রত্যাশা পূরণ যে করতে পারবে না এটা তো একেবারে স্বাভাবিক বিষয়। বেশ দারুণ লিখেছেন আপনি আপু।