ট্রাভেলিংঃ-রাঙ্গামাটির বৌদ্ধ মন্দির ভ্রমণ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখা।

in আমার বাংলা ব্লগ16 days ago

শুভ দুপুর সবাইকে,

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় কমিউনিটির সকল সম্মানিত ব্লগার ভাই ও বোনেরা। আশা করি বন্ধুরা আপনারা ভালো সময় কাটাচ্ছেন যেহেতু অনেক জায়গায় এখন বৃষ্টি দিয়ে একটু শীতল করে দিছে। আলহামদুলিল্লাহ আমরাও বেশ ভালো আছি গত দুই যাবত বৃষ্টি হওয়ার কারণে আবাহাওয়াটা বেশ চমৎকার যাচ্ছে ঠান্ডা ঠান্ডা। যাক ওয়েদার এমন থাকলে বেশ ভালোই হবে। সবকিছুই হচ্ছে সৃষ্টিকর্তা নিয়ামত। কিছুদিন বৃষ্টি কিছুদিন বর্ষাকাল কিছুদিন গরম আমাদের বাংলাদেশের আবহাওয়া বেশ চমৎকার বলতে হয়। অবশেষে আবার উপস্থিত হয়ে গেছি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো একটি ভ্রমণ পোস্ট।

f5.jpg

বন্ধুরা আপনারা সবাই জানেন আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। যদিও কম বেশি সকলেই ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন। তবে কেউ সময় স্বল্পতার কারণে একটু কম বের হয় ভ্রমণ করতে। আবার অনেকেই সময় পেলে বেশি বের হয়ে যায়। কিন্তু সবাই চেষ্টা করে নিজের পছন্দের জায়গা গুলোতে ঘুরাঘুরি করতে। তবে দূরে কোথাও যেতে ডিসেম্বর মাসের জন্য অপেক্ষা করতে হয় আমাকে। যেহেতু ওয়েদারটা খুবই সুন্দর শীতকাল সিজন। এছাড়াও আরেকটি বিষয় হচ্ছে তখন বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ থাকে অনেক লম্বা ছুটি থাকে হাতে। গত ডিসেম্বর মাসে আমরা পরিবারের সবাইকে নিয়ে রাঙ্গামাটি ভ্রমণে গেছিলাম।

f2.jpg

আমি বেশ কয়েকটি ব্লগ আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছি ইতোমধ্যে। আশা করি আমি আরো কয়েকটি ব্লগ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারবো। ভ্রমন পোস্ট গুলো শেয়ার করতে ভীষণ ভালো লাগে। কারণ এর মাধ্যমে ভ্রমণের জায়গা গুলোর বিস্তারিত বর্ণনা শেয়ার করা যায় এবং সেই স্মৃতিগুলো আপনাদের কাছে স্মৃতিচারণ করতে পারলে আরো অনেক বেশি ভালো লাগে। যখন আমরা রাঙ্গামাটি ভ্রমণে গেছিলাম তখন বোটে করে বিভিন্ন লেক ভ্রমণ করেছিলাম। যেহেতু রাঙ্গামাটিতে প্রচুর পরিমাণ লেক। আমরা একটি বোট রিজার্ভ করেছিলাম আমরা দুই পরিবার গিয়েছিলাম। একটি লেক থেকে আরেকটি লেক এ যেয়ে সেখানকার পরিবেশ গুলো দেখে আবারও আমরা যাত্রা শুরু করি অন্য জায়গায়।

f3.jpg

f4.jpg

এভাবে আমরা সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি পর্যন্ত পুরো জায়গা ভ্রমণ করেছিলাম। সে ভ্রমণ কালীন আমরা দেখতে পাই রাঙ্গামাটির বৌদ্ধ মন্দির। যখন আমরা বৌদ্ধ মন্দিরে ভ্রমণ করতে গেলাম তখন দেখে তো আমার বেশ ভালো লাগছিল। কারণ বৌদ্ধ মন্দির টা এমন একটি জায়গায় স্থাপন করা হয়েছে অনেক উঁচু পাহাড়ের উপর। বেশ দূর থেকে এই বৌদ্ধ মন্দির এর স্থাপনাটি দেখা যাচ্ছিল। যেহেতু সর্বোচ্চ পাহাড়ের উপর স্থাপনা করা হয়েছিল দূর থেকেই মাইল ফলক হয়ে দেখা যাচ্ছিল এটা যে বৌদ্ধ মন্দির রাঙ্গামাটির। তবে আর কোন মন্দির আছে কিনা জানিনা আমি রাঙ্গামাটিতে এটা ছাড়া। হয়তো থাকতে পারে। অনেক গুলো লেক পার হয়ে এই মন্দিরে যেতে হয়। প্রথমে আমরা রাঙ্গামাটির আদিবাসী গ্রামে প্রবেশ করেছিলাম।

f6.jpg

সেখান থেকে আমরা বের হয়ে আবারও বোটে করে কিছুক্ষণ যাওয়ার পরেই কিছু দোকানপাট দেখতে পেলাম। সেই দোকানের পাশ দিয়ে হেঁটে হেঁটে আমরা বৌদ্ধ মন্দির দেখতে গিয়েছিলাম। যখন বৌদ্ধ মন্দিরের সামনা সামনি পৌঁছে যায় তখন দেখতে পেলাম মন্দির বেশ উঁচু পাহাড়ে। মনে হচ্ছিল যে এক চোখের রাস্তা অনেক দূরে। কিন্তু বাচ্চারা অনেক বেশি এক্সাইটেড ছিল সেই পাহাড়ে ওঠার জন্য বৌদ্ধ মন্দিরের সেই স্থাপনাটি দেখার জন্য। কিন্তু এত দূরে উঠতে আমার বেশ ভয় কাজ করছিল যেতে। যদিও আমরা শীতকালে ভ্রমণ করতে গেছিলাম কিন্তু পাহাড়ে যখন আমরা ভ্রমণ করছিলাম বেশ গরম লাগছিল আমাদের। যদিও ডিসেম্বর মাস জানুয়ারি মাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হয় আমাদের দেশে। সেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রার মধ্যেও এই পাহাড় ভ্রমণের সময় অনেক বেশি গরম লাগছিল।

f9.jpg

গরমের কারণেই আমি প্রথমে মন্দিরের পাহাড়ে যেতে না চাইলেও পরে উঠা শুরু করি। চিন্তা করলাম এত কষ্ট করে যখন এসেছি উপর একটু যেয়ে দেখে আসলে ভালো হয়। সেই চিন্তা করে আমি আস্তে আস্তে উঠা শুরু করছিলাম। আপনারা অবশ্যই ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বুঝতে পারছেন সিঁড়ি গুলো অনেক খাঁড়া ভাবে গেছিল। আমাকে দু’তিনবার একটু জিরিয়ে নিতে হয়েছিল। যেহেতু অনেক উঁচুতে ছিল আমি হাঁপিয়ে গেছিলাম। যখন উপরে গেলাম আরো বেশি গরম অনুভব করছিলাম। কোন বাতাস ছিল না বেশ গরম ছিল। উপরে গিয়ে বেশিক্ষণ স্থির থাকতে পারিনি বেশি গরম লাগছিল। মনে হচ্ছিল যে আমার দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছিলো। কোন রকম কষ্ট করে যখন উঠলাম চারদিকে একটু দেখে নিলাম পরিবেশটা কেমন।

f7.jpg

বৌদ্ধ মন্দিরের উপরে উঠে সব চেয়ে বেশি ভালো লেগছিল চারপাশের দৃশ্যগুলো দেখে। এত উঁচু পাহাড় থেকে নিচের পাহাড়ের দৃশ্য গুলো দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগছিল। সেই আঁকাবাঁকা লেক আর সুন্দর সুন্দর সবুজ পাহাড় এই যেন সৃষ্টিকর্তার অপরূপ সৃষ্টি। যেদিকে দেখছিলাম সেদিকেই মনোরম এমন দৃশ্যগুলো আমাকে অনেক বেশি মুগ্ধ করেছিল। সেই সাথে এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো করতে পেরে অনেক শান্তি পেয়েছিলাম। আর এমন দৃশ্য দেখলেই সত্যি কার ভালো না লেগে থাকতে পারে বলেন? আমার তো বেশ ভালো লাগছিল এমন আঁকাবাঁকা লেক এর দৃশ্য এবং পাহাড়ের দৃশ্য গুলো দেখে। কয়েকটি ফটোগ্রাফি নিয়ে আবার উপর থেকে নিচে নামা শুরু করছিলাম। নামতে বেশ কিছু সময় নিয়ে নামতে হলো। অবশেষে আমরা নিচে নামতে পারছিলাম ভালোভাবে।

f10.jpg

নিচে নেমে এত গরম লাগছিল অনেক বেশি পানির তৃষ্ণা লেগে গেছিল। হাতের কাছে পানি ছিল না যা ছিল তা বাচ্চারা খেয়ে শেষ করছিলো। দ্রুত গতিতে ছুটে চলছিলাম পানির জন্য। কোন রকম যেয়ে সে আগের দোকানগুলোর কাছে পৌঁছে গেলাম। যেহেতু উঁচু পাহাড়ে উঠছিলাম বেশ গরম লাগছিল এবং গলা একদম শুকিয়ে গেছিলো।দোকানগুলোর কাছে যেয়ে দেখতে পেলাম মানুষের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছিলো। যদিও প্রথমে যখন আমরা মন্দিরে উঠার জন্য গেছিলাম তখন দোকানের দিকে মানুষ খুবই কম ছিল। যখন আমরা মন্দির ভ্রমণ করে দোকান গুলোর দিকে আবার ফিরে আসি তখন দেখছি মানুষের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছিল। তখন মানুষ আসা শুরু করেছিলো সবে মাত্র।

f1.jpg

আমরা দোকানে বসে ডাবের পানি খেলাম। পাহাড়ি কচি ডাবের পানি খেতে খুবই ভালো লাগছিল। সেখানে কিছুক্ষণ বসে আমরা আবারো বোটে করে অন্য জায়গার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিলাম বন্ধুরা। তবে বৌদ্ধ মন্দিরের দৃশ্য গুলো বেশ সুন্দরভাবে উপভোগ করতে পেরেছিলাম। আশা করি বন্ধুরা আমার আজকের শেয়ার করা রাঙ্গামাটি ভ্রমণের ব্লগ টি পড়ে বেশ ভালোই লেগেছে।

f.jpg

সময় দিয়ে আমার আজকের পোস্ট ভিজিট করার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সব সময় আমাকে সহযোগিতা করেন আমার পোস্ট পড়ে সবার জন্য কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা রইলো।

24QmLBi2hi5sxeF4rfhXesN4Z3rEWTikWPFADtR6zyMx1Eh2qs4cCyucf3FD7ahStNw2cTHPk2QiaQacbQjJNEWnuhyjY1PXfUUMr27ifyD15nkQhFHksgx6bm9BxYLdCkQDMy8JhQrktZHYy6njdzRU4bQ9b1d2xjCdoVzCDDY85pLPq2s7FhKBwPjpuHdozHaReDxEaFH2aYse13zaqogf9utVshuSban6ex1saRA.png


ডিভাইসের নামWiko,T3
মডেলW-V770
Locationরাঙ্গামাটি বৌদ্ধ মন্দির
ফটোগ্রাফার@samhunnahar
ক্যাটাগরিট্রাভেলিং


সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার লেখা পড়ার জন্য।

💘ধন্যবাদ সবাইকে💘

@samhunnahar

8DAuGnTQCLptHK3w4xbU3SMDsfFVWre2qvkWUixoMRzeeZoCuh45w2th51sZxD9m4AHXDbDbD7JGWe3gRWQNaZipS3P1MH2KAaqanaf5DUhvHCc3V1FJvDr4cvMYfB2M2Sdh6yqjU5MspgYd7CawGzHKz3TJSmUa5b5zmmxhgdL.png

আমার পরিচয়


hira.jpeg

আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। আমি সব ধরনের ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি গান গাইতে এবং কবিতা আবৃত্তি করতে ভীষণ ভালবাসি। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।

D5zH9SyxCKd9GJ4T6rkBdeqZw1coQAaQyCUzUF4FozBvW7DiLvzq9baKkST8T1mkhiizFXSFVv2PXDydTeMWpnYK2gToiY733FT9uwSdBSXWz7RnGmzsa8Pr9pGoyYaQFsuS3p.png

Steem_Pro.png

Sort:  
 16 days ago 

রাঙ্গামাটি থেকে আপনি বৌদ্ধ মন্দির ভ্রমণ করে এসেছেন এবং সেই জায়গার সুন্দর সুন্দর দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করেছিলেন। আজকে আপনি আমাদের মাঝে সেই জায়গা সম্পর্কে অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন এই পোস্ট। আপনার পোস্ট পড়ার মধ্য দিয়ে বেশ ভালো লাগলো। অনেক কিছু জানতে পারলাম এই বৌদ্ধ মন্দির সম্পর্কে, আর আশেপাশের বিষয়।

 15 days ago 

বেশ ভালো এনজয় করেছিলাম ভাইয়া মুহূর্তগুলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সময় দিয়ে পড়লেন।

 16 days ago 

বাইরে কোথাও ভ্রমণ করতে গেলে অবশ্যই নিজের সাথে কিছু খাবার ও জল রাখা লাগে। এই জায়গাটা সম্পর্কে আমি আগে অনেক ভিডিও দেখেছি কিন্তু ব্লগে কখনো কাউকে শেয়ার করতে দেখি নাই। আজকে আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর উপস্থাপন করেছেন বুদ্ধমন্দির সম্পর্কে। অনেক কিছু জানতে পারলাম আপু আপনার পোস্ট পড়ে।

 15 days ago 

তাহলে তো বেশ ভালোই হলো আপু আপনি আমার ব্লগিং এর মাধ্যমে সরাসরি জানতে পারলেন ধন্যবাদ।

 16 days ago 

এতো উপরে কিভাবে উঠলেন আপু! সিড়িগুলোও বেশ খাড়া! নিচের দিকে তাকালে তো মাথা ঘুরে যাওয়ার কথা। পাহাড়ে উপরে উঠার এক্সপেরিয়েন্স একবার হয়েছিল আপু। উঠতে দম বের হয়ে যায় তবে নামতে সময় কম লাগে। আর পাহাড়ে উঠলে পানি সাথে করে নিয়ে যেতে হয়। যাইহোক, আপনার মাধ্যমে দেখতে পারলাম বৌদ্ধ মন্দির।

 15 days ago 

কিছুক্ষণ পর পর জিরিয় জিয়িয়ে উঠছিলাম ভাইয়া তারপরও যাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম।

 16 days ago 

আপনি সত্যিই একজন দক্ষ ফটোগ্রাফার। আশা করি ভবিষ্যতে আরো অনেক সুন্দর সুন্দর ভ্রমণ কাহিনী আপনার কাছ থেকে পড়তে পারবো। ভ্রমণের সময় পানি এবং খাবার সাথে রাখার কথাটি খুবই উপকারী টিপস। আপনার পরবর্তী ভ্রমণের জন্য শুভ কামনা রইলো।

 15 days ago 

হ্যাঁ ভাইয়া পানি রাখছিলাম বাচ্চারা খেয়ে নিলো। যেহেতু কিছুক্ষণ পরপর যাওয়ার পরে দোকান ছিল এত বেশি টেনশন ছিল না।

 16 days ago 

আপনি রাঙ্গামাটি থেকে বৌদ্ধ মন্দির ভ্রমণ করছেন এবং সেখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো খুবই সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি করছেন।আপনার ভ্রমন পোস্ট টি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। তবে রাঙ্গামাটি কোন দিন যাওয়া হয়নি।সেখান কার প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।

 15 days ago 

একদিন যাবেন সবাই মিলে রাঙ্গামাটি ভ্রমণে। বেশ ভালো লাগে জায়গাটি ভ্রমণ করতে।

 12 days ago 

রাঙ্গামাটিতে অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা রয়েছে এবং সেই জায়গাগুলো দেখার মধ্যে একটি আলাদা ভালো লাগা কাজ করে৷ আপনি আজকে সেরকম কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন যা ভালোলাগার মতো এবং একের পর এক ফটোগ্রাফি গুলো যখন দেখছিলাম তখন একেবারেই মুগ্ধ হয়ে গেলাম৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এই সুন্দর পোস্ট আমাদের মধ্যে শেয়ার করার জন্য৷

Coin Marketplace

STEEM 0.28
TRX 0.12
JST 0.032
BTC 69633.73
ETH 3805.56
USDT 1.00
SBD 3.74