রেসিপিঃ- টমেটো,বেগুনের স্বাদে সামুদ্রিক পোয়া মাছের ঝাল ঝোল রেসিপি।

in আমার বাংলা ব্লগ19 days ago

শুভ রাত্রি সবাইকে,


r9.jpg

বন্ধুরা আশা করি সকলে ভালো আছেন? আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল সম্মানিত ব্লগার ভাই ও বোনেরা আসসালামু আলাইকুম। আপনাদের দিনকাল কেমন যাচ্ছে বন্ধুরা? সকলের দিনকাল বেশ ভালোই যাচ্ছে আশা করি। আজকে আমি আবার উপস্থিত হয়েছি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আজকের নতুন ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো একটি রেসিপি। প্রতি সপ্তাহে একটি করে রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার চেষ্টা করি। তাই আমি আজকে আবার উপস্থিত হয়েছি একটি রেসিপি নিয়ে। আপনারা তো জানেন আমরা মাছে ভাতে বাঙালি। আমরা যে খাবার খাই না কেন আমাদেরকে দিন শেষেই মাছ ভাত খেতে হয়। মাছ ভাত না খেলে আমাদের ভালো লাগেনা। নদীমাতৃক আমাদের এই দেশে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়।

আজকে আমি সামুদ্রিক পোয়া মাছের একটি রেসিপি শেয়ার করবো। পোয়া মাছের মধ্যে তেমন একটা সবজি দেওয়া যায় না। তবে টমেটো এবং হালকা বেগুন দিয়ে রান্না করেছিলাম। খেতে ভীষণ ভালো লাগছিল রেসিপিটি একদম ঝাল ঝাল করে তৈরি করেছিলাম। যদিও রেসিপিটি বেশ কয়েকদিন আগে তৈরি করেছিলাম। কিন্তু পোস্ট করতে ভুলে গেছিলাম। আজকে দেখলাম যে অনেক নিচেই ফোনের গ্যালারিতে রেসিপিটি খুঁজে পেয়েছি। সেই রেসিপিটি নিয়ে আমি আজকে উপস্থিত হয়েছি। প্রায় সময় আমি সামুদ্রিক মাছের রেসিপি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করি। বিশেষ করে আমার সবচেয়ে বেশি খাওয়া হয় সামুদ্রিক মাছ। তবে এখানে মিঠা পানির মাছ পাওয়া যায় বেশ ভালো। কিন্তু আমি সামুদ্রিক মাছ খেতে বেশি পছন্দ করি এবং বেশি ভালো লাগে। সেই সুবাদে সামুদ্রিক মাছের রেসিপি গুলো বেশি শেয়ার করা হয়।

r8.jpg

সামুদ্রিক মাছ সম্পর্কে সবারই কম বেশি বেশ ভালো ধারণা আছে। তবে পোয়া মাছ বিভিন্ন প্রজাতির রয়েছে। আমি আজকে যে পোয়া মাছের রেসিপি শেয়ার করববো তা হচ্ছে বড় সাইজের একটি লাল পোয়া মাছের রেসিপি। লাল পোয়া মাছ গুলো খেতে খুবই মজার হয়। প্রায় সময় আনা হয় বাচ্চারা খেতে অনেক পছন্দ করে। তবে আমিও খেতে বেশ পছন্দ করি। তাহলে বন্ধুরা আর কথা না বাড়িয়ে রেসিপির মূল পর্যায়ে চলে যাচ্ছি। আমি রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করেছি সেই ধাপ সমূহ আপনাদেরকে পর্যায়ক্রমে শেয়ার করে নেব—-

r6.jpg


রেসিপির প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহঃ


r.jpg

উপকরণপরিমাণ


  • পোয়া মাছ- ৩০০ গ্রাম।

  • টমেটো- ১ টি।

  • বেগুন- একটি।

  • পেঁয়াজ - ২ টি।

  • রসুন - ৩ কোয়া।

  • কাঁচা মরিচ পেস্ট- ৩ চামচ।

  • ধনে পাতা কুচি- অল্প।

  • ধনে গুঁড়া, জিরে গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া - ১ চামচ করে।

  • লাল মরিচ গুঁড়া- ১ চামচ।

  • লবণ- স্বাদমত।

  • সরিষার তেল- পছন্দমত।


টমেটো, বেগুনের স্বাদে পোয়া মাছের ঝাল রেসিপি তৈরির ধাপ সমূহঃ


রান্নার ধাপ-১

যেহেতু আমি আপনাদেরকে প্রথমে উপকরণ সমূহ সপরিমাণ মতো নিয়ে দেখিয়েছি বর্ণনা সহকারে। এখন আমি সরাসরি রান্নার ধাপে চলে যাব। রান্নার জন্য একটি পাত্র চুলায় বাসায় দিয়েছি। সেই সাথে পরিমাণ মতো সরিষার তেল দিয়েছি। তেল গরম হয়ে আসলে তাতে কুচি করে রাখা পেঁয়াজ এবং রসুন দিয়ে দিলাম।

r1.jpg


রান্নার ধাপ-২

পেঁয়াজ এবং রসুন ভালোভাবে কষিয়ে নেওয়ার পরে দিয়ে দেবো শুকনো উপকরণ গুলো। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এখানে কাঁচা মরিচ, শুকনা মরিচ এবং অন্যান্য মসলা গুলো রয়েছে। দেওয়ার পরে সামান্য পানি দিয়ে সিদ্ধ করে নিতে হবে। সেই সাথে আমি দিয়ে দিছি পরিমাণ মতো লবণ আপনারা দেখতে পাচ্ছেন।

r2.jpg


রান্নার ধাপ-৩

লবণ দেওয়ার পরে সব উপকরণ সমূহ ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিয়েছি কিছুক্ষণ। যখন মসলাগুলো সিদ্ধ হয়ে আসে তখন উপরে মাছগুলো দিয়ে দিলাম। মাছ দেওয়ার পরে কিছুক্ষণ সিদ্ধ করে নিয়ে আবার কেটে রাখা সবজি গুলো দিয়েছি।

r3.jpg


রান্নার ধাপ-৪

সবজি দেওয়ার পরে হালকা পানি দিয়ে আবারও কষিয়ে নিতে হবে। হালকা কষিয়ে নেওয়ার পরে পরিমাণ মতো ঝোল দিব। আপনাদের পছন্দ হলে ঝোল দিবেন না হয় দিবেন না। কিন্তু আমি সামান্য পরিমাণ ঝোল দিবো তাই সামান্য পানি দিয়েছি। পানি দেওয়ার পরে সিদ্ধ করে নিতে হবে।

r4.jpg


রান্নার ধাপ-৫

যখন মাছ এবং সবজি পারফেক্ট সিদ্ধ হয়ে আসে তখন আমি কুচি করে রাখা ধনে পাতা গুলো উপরে ছিটিয়ে দিয়েছি। ধনে পাতা ছিটিয়ে দেওয়ার পরে আর সিদ্ধ করবো না। এরপরে চুলা বন্ধ করে দিয়ে হালকা ঠান্ডা করতে দিবো তরকারি।

r5.jpg


রেসিপির পরিবেশনা

আপনারা তো দেখতে পাচ্ছেন আমি পুরো প্রসেস গুলো আপনাদেরকে দেখিয়ে দিয়েছে কিভাবে রান্না করেছি। যখন তরকারি রান্না করে নিলাম তখন খাওয়ার পালা। গরম গরম পরিবেশন করতে হবে। কারণ তরকারির স্বাদ গরম গরম না খেলে পাওয়া যায় না। ঠান্ডা হলে তরকারির স্বাদ পাওয়া যায় না তাই একটি বাড়িতে নিয়ে নিলাম খাওয়ার জন্য। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন ঝোলের কালার গুলো কত সুন্দর এসেছে। তাছাড়া কাঁচা মরিচ দেওয়ার কারণে বেশ ভালো লাগছিল খেতে। যেহেতু আমি ঝাল ঝাল করে তৈরি করেছিলাম সেই সাথে বেগুন টমেটো দেওয়ার কারণে অনেক ভালো লাগছিল। আশা করি আমার আজকের শেয়ার করা রেসিপিটি আপনাদের কাছে বেশ ভালো লাগবে বন্ধুরা। সময় দিয়ে দেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। রেসিপিটি কেমন লেগেছে মতামত দিয়ে জানালে বেশ ভালো লাগবে।

r6.jpg

r7.jpg

r8.jpg

r9.jpg

268712224_305654151337735_1271309276897107472_n.png


ক্যামেরার বর্ণানাঃ
ডিভাইসের নামWiko,T3
মডেলW-V770
ফটোগ্রাফার@samhunnahar
ক্যাটাগরিসামুদ্রিক পোয়া মাছের রেসিপি

268712224_305654151337735_1271309276897107472_n.png

আজ এখানে আমার লেখা সমাপ্তি করছি। আবার উপস্থিত হব নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সবাই সুস্থ থাকবেন আর ভাল থাকবেন।


💘ধন্যবাদ সবাইকে💘

@samhunnahar

আমার পরিচয়


hira.jpeg

আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। আমি সব ধরনের ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি গান গাইতে এবং কবিতা আবৃত্তি করতে ভীষণ ভালবাসি। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।

D5zH9SyxCKd9GJ4T6rkBdeqZw1coQAaQyCUzUF4FozBvW7DiLvzq9baKkST8T1mkhiizFXSFVv2PXDydTeMWpnYK2gToiY733FT9uwSdBSXWz7RnGmzsa8Pr9pGoyYaQFsuS3p.png

Steem_Pro.png

Sort:  
 18 days ago 

টমেটো ও বেগুন দিয়ে সামুদ্রিক পোয়া মাছের ঝাল ঝোল রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার তৈরি এই রেসিপিটি দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে আপু। এই ধরনের মাছের ভেতর সবজি দিলে তেমন একটা ভালো লাগে না খেতে। কিন্তু টমেটো দিলে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। ধন্যবাদ এত চমৎকার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 17 days ago 

অনেক ধন্যবাদ আপু খুব সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করলেন।

 19 days ago 

আপু আপনি যেহেতু সমুদ্রের কাছাকাছি থাকেন তাই তো সামুদ্রিক মাছ খুব সহজেই খেতে পারেন। আমাদের এদিকে তো সামুদ্রিক মাছ একদমই পাওয়া যায় না। সামুদ্রিক পোয়া মাছের দারুন একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। দেখেই মনে হচ্ছে খেতে দারুণ হয়েছিল।

 17 days ago 

এখানে সব সময় পাওয়া যায় আপু খেতে বেশ ভালো লাগে আমার।

 19 days ago 

সামুদ্রিক পোয়া মাছ ভীষণ সুস্বাদু ও চমৎকার একটি মাছ।আপনি বেগুন ও টমেটো দিয়ে চমৎকার সুন্দর ও সুস্বাদু করে একটি রেসিপি করেছেন। রেসিপি তৈরি পদ্ধতি চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ও সুস্বাদু রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।

 17 days ago 

অনেক ধন্যবাদ আপনার গুরুত্বপূর্ণ সময় দিয়ে রেসিপিটি দেখলে আপু।

 19 days ago 

রেসিপি পোস্টগুলো পড়তে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আপনি বরাবরের মতোই টমেটো বেগুনের স্বাদে সামুদ্রিক পোয়া মাছের ঝাল ঝোল রেসিপি করেছেন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার রান্নার ধরনটি দেখে শিখতে পারলাম। রান্নার কালারটি বেশ সুন্দর এসেছে। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।

 17 days ago 

যেহেতু আপনার রেসিপি পোস্ট পড়তে ভালো লাগে অনেক ধন্যবাদ আনন্দিত হলাম।

 19 days ago 

টমেটো,বেগুনের স্বাদে সামুদ্রিক পোয়া মাছের ঝাল ঝোল রেসিপিটি বেশ লোভনীয় হয়েছে। আপনি বেশ চমৎকারভাবে কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে রেসিপিটি রান্না করেছেন ও আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

 17 days ago 

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে রেসিপিটি দেখলেন।

 19 days ago 

আপু সামুদ্রিক পোয়া মাছ অনেক আগে একদিন খেয়েছিলাম। তবে এখানে সামুদ্রিক মাছ তেমন পাওয়া যায় না বলেই চলে। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আসলে টমেটো দিলে স্বাদ আরো দ্বিগুণ বেড়ে যায়। কালারটা দারুণ এসেছে। ধন্যবাদ সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 17 days ago 

অনেক সুস্বাদু ছিল আপু আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

 18 days ago 

টমেটো বেগুনের সাথে সামুদ্রিক পোয়া মাছের ঝাল ঝোল রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আপু রেসিপিটার ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে। লোভনীয় এই রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করতে হয় সেটা পর্যায়ক্রমে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 17 days ago 

খেতে বেশ ভালোই লাগছিল চলে আসেন বোনের বাসায় রান্না করে আপনাকেও খাওয়াবো।

 18 days ago 

টমেটো,বেগুনের স্বাদে সামুদ্রিক পোয়া মাছের ঝাল ঝোল রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। এত মজা রেসিপি আপনি তৈরি করেছেন। আসলে সমুদ্রের মাছের অনেক পুষ্টিগুণে ভরপুর থাকেম যার কারণে এই মাছগুলো আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। আপনার রেসিপি কালারটা অসাধারণ হয়েছে।

 17 days ago 

খেতে ইচ্ছে করলে চলে আসেন আপনার জন্য আবারও রান্না করবো।

 19 days ago 

বেগুন আর টমেটো দিয়ে এভাবে যে কোন মাছ রান্না করলেই খেতে ভালো লাগে । ভালোই তো আপনার রেসিপিটি পিছনে পড়ে গিয়েছিল ফোন ঘাটতে গিয়ে রেসিপিটি পেয়ে গেলেন আর দিয়ে দিলেন । এরকম হলে ভালোই হয় হঠাৎ করে কোন একটা রেসিপি চোখের সামনে আসলে তখন আনন্দই লাগে । আপনি মাছটি অনেক মজা করে রান্না করেছেন রেসিপির কালার দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে মজাদার হয়েছিল ।

 17 days ago 

অনেক ধন্যবাদ আপু অনেক ভালো লাগলো আপনার লেখাগুলো পড়ে।

Coin Marketplace

STEEM 0.28
TRX 0.12
JST 0.032
BTC 69633.73
ETH 3805.56
USDT 1.00
SBD 3.74