সুন্দর মূহুর্তের কিছু ফটোগ্রাফি।😘প্রিয়@shy-fox 10% beneficiary।😘

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago
❤️আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের ❤️আমার ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন সবাই?আশা করছি আল্লাহ রহমতে ভালো আছেন সবাই। দুআ করি আল্লাহ তায়ালা আপনাদের সব সময় ভালো রাখুক। আমিও আপনাদের দুয়াতে আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি।

Picsart_22-04-22_20-35-20-866.jpg

আমি @santa14 আজকে আবার চলে এলাম আপনাদের মাঝে।আজকে কোনো রেসিপি বা গান পোস্ট করবো না। আজকে আমি কিছু সুন্দর মুহূর্তের ফটোগ্রাফি পোস্ট করবো।

আজকে অনেক দিন পর মন আর শরীল টা খুব ভালো লাগছে সত্যি।কারণ হল আজকে প্রায় অনেক দিন পর বাড়ির বাহিরে গিয়ে ছিলাম।আসলে রোজা রেখে বাসায় কাজ করে আর কোথাও যেতে ইচ্ছে করে না। আর বাহিরে যেই রৌদ্র।আচ্ছা যাই হোক
আর মাএ ১০ দিন পর আমাদের পবিএ খুশির ঈদ।তাই ভাবলাম কিছু শপিং তো করতে হয় তাই না?ছোট ভাই আর আম্মুর জন্য কিছু শপিং করবো। আপনারা হয়তো বলতে পারেন আপু কি শপিং করবেন না?তবে আসলেই আমি শপিং করবো না।এখন মনে হয় মা আর ছোট ভাইয়ের খুশিতে নিজের খুশি। আসলেই এখন অনেক বড় হয়ে গেছি।এখন আর আগের মতো শপিং করার জন্য রাগ অভিমান করতে হয় না।আচ্ছা আপনারা কি রাগ অভিমান করেন?

শপিং করতে যাবো,আমার একা যেতে একদম ভাল লাগছিল না। তাই আমার চাচাতো বোন কে বললাম যাবে কি না।সেও রাজি হয়ে যায়।আমার চাচাতো বোন বলেছি গ্রামের ভিতর দিয়ে হেঁটে হেঁটে যাবে।আমিও বললাম ঠিক আছে। এরপর দুইজনে রেডি হয়ে আস্তে আস্তে হেঁটে যেতেই হঠাৎ চোখে পড়ে গ্রামের মধ্যে অনেক সুন্দর একটি বাড়ি। বাড়ির চার পাশে অনেক সুন্দর সুন্দর সব ফুল আর বাবুইপাখির মিষ্টি সুর। আর সাথে সাথে দুইজনে গিয়ে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম। আর ভাবলাম আপনাদের শেয়ার করলে কেমন হয়।তাই যেই কথা সেই কাজ, চলুন তাহলে শুরু করি আজকের সুন্দর মূহুর্তে ফটোগ্রাফি।

ফটোগ্রাফি নং -১

IMG_20220422_185330.jpg

গ্রামের ভিতর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় হাঠাৎ চোখে পড়ে। অনেক সুন্দর সুন্দর সব ফুল ফুটে আছে। তবে প্রচুর পরিমানে রৌদ্র ছিল।

ফটোগ্রাফি নং-২

IMG_20220422_185705.jpg

এইটা হল গ্রামের ভিতরের সুন্দর বাড়িটি।আপনারা বলতে পারেন এটা আবার সুন্দর হল নাকি। সত্যি বলতে আমার কাছে এমন বাড়ি গুলো খুব খুব পছন্দের। বাড়ির সামনে এমন সব ফুলের বাগান।

ফটোগ্রাফি নং-৩

IMG_20220422_185539.jpg

IMG_20220422_185515.jpg

এই গুলো অনেক বেশি সুন্দর লাগছিল আমার কাছে।যদিও ফুল গুলোর তেমন কোনো সুগন্ধ নেই।

ফটোগ্রাফি নং-৪

IMG_20220422_185833.jpg

IMG_20220422_185820.jpg

IMG_20220422_185554.jpg

দূর থেকে আর কাছ থেকে এই সুন্দর ফুল ও গাছের ফটোগ্রাফি। ছোট বেলায় আব্বুর অফিসে এই ফুল অনেক দেখেছি। তবে এই ফুলের নামটা আমার জানা নেই। আপনাদের জানা থাকে যদি আমাকে জানাবেন?

ফটোগ্রাফি নং-৫

IMG_20220422_185759.jpg

এই ফটোগ্রাফি তে যেই তাল গাছ টা দেখতে পাচ্ছেন।এই তাল গাছে রয়েছে শত বাবুইপাখির বাসা আর বাবুইপাখির মিষ্টি সুরের গান।মনটা কেমন যেনও ভরে যায়।

ফটোগ্রাফি নং-৬

IMG_20220422_190233.jpg

এখানে চাচাতো বোন আবার সুন্দর করে দাড়িয়ে বলছিল। বোনকে একটা ছবি তুলে দিতে। আমিও সুন্দর তার একটি ফটোগ্রাফি করেছি।

ফটোগ্রাফি নং-৭

IMG_20220422_190811.jpg

IMG_20220422_190759.jpg

এটা হলো বাড়ির ভিতরের অংশের ফটোগ্রাফি।যেই পরিমাণে রৌদ্র ছিল কি ফটোগ্রাফি করছি।কিছুই দেখছিলাম না। তবে এমন জায়গা মন ভালো করে দেওয়ার মতো।সত্যি তো আপনারা বলুন?

ফটোগ্রাফি নং-৮

IMG_20220422_190348.jpg

IMG_20220422_190159.jpg

IMG_20220422_190115.jpg

IMG_20220422_190058.jpg

চাচাতো বোনকে দেখে দেখে আমিও একটু ডং করে দাড়িয়ে বসে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম।কেমন লাগছে আমাকে হি হি হি🤭।

ফটোগ্রাফি নং-৯

IMG_20220422_120259.jpg

IMG_20220422_190919.jpg

সব শেষে চাচাতো বোন বলছিল আপু আসও চলে যাওয়ার আগে একটা সেলফি তোলি।পরে বোনের সাথে একটা সেলফি তুলে নিলাম। এরপর এই সুন্দর রাস্তা ধরে আবার হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলাম। শপিং শেষ করে এরপর অটু দিয়ে বাসায় চলে আসি।

ফটোগ্রাফার@santa14
স্মার্ট ফোনViVo y11
স্থানসোর্স

আশা করি আমার আজকে সুন্দর মূহুর্তের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে দয়া করে জানাবেন।

আজকে এই পর্যন্ত। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবা। আল্লাহ হাফেজ। সবাইকে কোন ভুল ত্রুটি হলে দয়া করে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।❤️ ধন্যবাদ সবাইকে❤️
Sort:  
 3 years ago 

আচ্ছা আপনারা কি রাগ অভিমান করেন?

একদম না আপু। বড় সাথে সাথে এসব আস্তে আস্তে কমে যায়। জানি না কেন। তবে দেখছি সবার সাথেই এরকম হয়।
যাইহোক, ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু খুব সুন্দর হয়েছে আপু। শপিং করতে গিয়ে ফুল বাগান থেকেও ঘুরে আসলেন দেখছি হিহিহি 🤭
ধন্যবাদ আপু সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।

 3 years ago 

একদম ঠিক বলছেন আপু এখন তো অনেক বড় হয়ে গেছি।তাই আর আগের মতো রাগ অভিমান আসেন না।শপিং করার সুযোগে একটু ঘুরাঘুরি করেছি ।অনেক ধন্যবাদ আপু মনি আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।

 3 years ago 

আপনারা হেঁটে হেঁটে শপিং এ যাওয়ার সুবাদে ভালো কিছু ফটোগ্রাফি দেখা হলো। জায়গাটা সত্যি অনেক সুন্দর। প্রাকৃতিক পরিবেশে ছবি তুল্লে ছবিও সুন্দর হয়। অনেক ধন্যবাদ আপু। আশা করি শপিং করা নিয়ে আরো একটি ব্লগ দেখতে পারবো।

 3 years ago 

জি ভাইয়া হেঁটে হেঁটে যাওয়াতে একটু ঘুরাঘুরি করতে পেরেছি। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Please check my new project, STEEM.NFT. Thank you!
default.jpg

 3 years ago 

শপিং করার জন্য আমার আর তেমন একটা আপনার মত রাগ অভিমান হয় না। ছোটবেলায় ঈদের জন্য কেনা জামা কাপড় একটু খারাপ বলে রাগ করে বসে থাকতাম। নিজের জন্য কিছু না কিনে বরং আপনার আম্মু এবং ছোট ভাইয়ের জন্য শপিং গিয়েছিলেন শুনে খুব ভালো লাগলো। তবে শপিং করার মুহূর্তের কোন ছবি শেয়ার করলে বেশি ভালো লাগতো আপু। ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 years ago 

ছোট বেলায় অনেক বেশি রাগ করতাম এখন আর রাগ করি না।তবে মেয়েদের চাইতে ছেলেরা একটু কম রাগ করে। আপনার গঠন মূলক মন্তব্য পড়ে খুশি হলাম ভাইয়া। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া।

 3 years ago 

আপু ছোটবেলায় বাবা মার হাত ধরে যখন শপিংয়ে যেতাম তখন পছন্দের প্রিয় জামা কাপড় যদি কিনে না দিত তাহলে আমি বাজার থেকে বাড়িতে ফিরে চাইতাম না। জেদ ধরে বাজারে দাঁড়িয়ে থাকতাম। আর শেষ পর্যন্ত আমার বাবা সেই জামাকাপড় কিনে আমাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনতো। কিন্তু আপু সময়ের সাথে সাথে বয়সটা অনেক বেড়ে গেছে এখন কেন জানি আর রাগ অভিমান হয় না। এখন শুধু ছেলেমেয়েদের রাগ, মান অভিমান ভাঙ্গানোর পালা। এখন ওরাই আমার কাছে বায়না ধরে শপিংয়ের পছন্দসই জিনিস গুলো কিনে নেয়। এই বুঝি সময়ের নির্মম পরিহাস। সেই সময়ে যা ভালো লাগত এখন এসে আর সেই ভালোলাগাটুকু কাজ করে না। যাইহোক আপু, খুবই মনমুগ্ধকর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 3 years ago 

জি ভাইয়া মাঝে মাঝে তো এমন হতো। যে কাপড় পছন্দ না হলে তিন চার বার করে ফেরত দিয়ে আবার আনতে বলতাম 😥।এখন সব বুঝি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার জন্য অনেক দুআ ও শুভকামনা রইল।

 3 years ago 

আপু সত্যি বলতে এখন আর আগের মতো এ ব্যাপারগুলোতে রাগ অভিমান হয় না। এখন মনে হয় বাবা মা ভাই বোনের খুশিতেই আমাদের খুশি।

আর গ্রামের বাড়িটি দেখতে সত্যিই অসাধারণ লাগছে আপু, বাড়ির চারপাশে দেখছি ফুল গাছপালায় ভরা। অসাধারণ একটা পরিবেশ সেখানে সৃষ্টি হয়েছে। আর চাচাতো বোন আর আপনি মিলে দেখছি সেখানে অনেক ফটোগ্রাফি করেছেন। সত্যি অসাধারণ একটা মুহূর্ত সেখানে অতিবাহিত করেছেন আপনারা।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাদের সুন্দর মুহূর্ত এবং ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।

 3 years ago 

জি ভাইয়া এখন তো বড় হয়ে গেছি।দিন যত যাবে জীবন থেকে ভালো লাগা হয়তো চলে যাবে।ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার জন্য অনেক দুআ ও শুভকামনা রইল।

 3 years ago 

চাচাতো বোনকে দেখে দেখে আমিও একটু ডং করে দাড়িয়ে বসে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম।কেমন লাগছে আমাকে হি হি হি🤭

আপু আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি খুবই সুন্দর হয়েছে। আমার অনেক ভালো লেগেছে। তবে আপনি ডং করে ফটোগ্রাফি করা ভালোই শিখেছেন চাচাতো বোনের কাছ থেকে হাহাহা । ছবি কিন্তুু খুবি ভালো হয়েছে।

 3 years ago 

হি হি হি জি ভাইয়া একটু ডং করেছি।মেয়েরা আবার ডং না করলে সুন্দর দেখায় না।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া।

 3 years ago 

আসলে আপনার ঈদ উপলক্ষে সবাই কমবেশি শপিং করি। খুব ভালো লাগলো যে আপনি আপনার ছোট ভাইয়ের জন্য শপিং করতে আমি বেরিয়েছেন। আর সবচেয়ে বেশি ভালো লাগলো যে ফুল গাছ দিয়েভরা বাড়িটি।যা দেখে মনটা জুড়িয়ে গেল।আসলে এরকম পরিবেশে থাকতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে করতাম।আর আপনার গ্রামীন পরিবেশের ফটোগ্রাফির কথা নাইবা বললাম। খুব সুন্দর করে সবকিছু বর্ণনা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার উপস্থাপনা অনেক ভাল ছিল। এরকম সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 3 years ago 

ভাইয়া আপনার সুন্দর মূল্যবান কমেন্ট আমি পড়ে খুশি হলাম। তার সাথে সাথে আমি অনেক উৎসাহিত হলাম। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া।

 3 years ago 

বাহ আপনার ঘুরাঘুরির সময় টুকু পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটানোর পাশাপাশি ফটোগ্রাফির অনেক সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল

 3 years ago 

ভাইয়া আমার পোস্ট আপনি খুব সুন্দর করে পড়েছেন।শুনে খুশি হলাম। এভাবেই ভাইয়া সব সময় পাশে থাকবেন । ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া।