অনুভূতিমূলক পোস্ট ||| আরাফের জন্মদিনের অনুভূতি |||original writing by @saymaakter.
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই বোনেরা আশা করছি পরিবারকে নিয়ে সুস্থ সুন্দরভাবে দিন যাপন করছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
বরাবরের মতো আবারো হাজির হলাম আপনাদের মাঝে নতুন আরেকটি ব্লগ নিয়ে আজ আমি আপনাদের মাঝে অনুভূতিমূলক পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।সময় ও স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না। সত্যি এই কথাটা আসলে ঠিক। দিন কিভাবে চলে যাচ্ছে বুঝতেই পারছি না। রাত গিয়ে ভোর হচ্ছে ভোর গিয়ে রাত হচ্ছে সময়গুলো যেন কিভাবে চলে যাচ্ছে। আজ আমি আপনাদের মাঝে "আরাফের জন্মদিনের অনুভূতি" শেয়ার করব।
ছোট্ট আরাফ এই তো সেদিন আমার বাংলা ব্লগে যখন আমার যাত্রা শুরু তখন পাশে বসিয়ে রেখে হ্যাংআউটে সব সময় কবিতা আবৃত্তি করতাম সবার কন্ঠগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনতো। বর্তমান এই সময়ে এসে আমার বাংলা ব্লগের প্রত্যেকটি মেম্বার এডমিন মডারেটর rme দাদা সকলের কন্ঠ আমার ছোট্ট আরাফ শুনে বলে দিতে পারে কে কোনটা। আরাফ কে নিয়ে আপনাদের মাঝে কিছু পোস্ট করা হয়েছিল। আরাফের সব সময় ইচ্ছা ছিল আমাদের দাদার সঙ্গে একদিন কথা বলবে কিন্তু আজও সাহস করে কথাটি বলা হয়নি।
দেখতে দেখতে ছোট্ট আরাফ এর দিন মাস সময় চলে যাচ্ছে এবং তাকে স্কুলেও ভর্তি করে দেওয়া হয়েছে রীতিমতো। স্কুলে যাচ্ছে তার লেখাপড়া আপনাদের দোয়ায় বেশ ভালই হচ্ছে। কারণ অনেক ছোটতে চার বছরে ওকে স্কুলে দিয়েছি। তারপরও বেশ ভালোই পড়ালেখার প্রতি অন্যরকম চাহিদা। কিন্তু দুষ্টমিতে সেরা। চোখের পলকে কোথায় চলে যায়। কিছুদিন আগেও দৌড়াদৌড়ি করে এক্সিডেন্ট করেছিল। এটা ওটা সারাক্ষণ ছোটাছুটি দৌড়াদৌড়ি করতেই থাকে। আর জন্মদিন আসার আগের দিন থেকে শুরু হয়ে তার যুদ্ধ কখন কেক কাটবে।
কখন সবাই আমাকে গিফট দিবে। তবে এবারের জন্মদিন টা একটু ব্যতিক্রম ছিল। আচমকা সারপ্রাইজ পেয়েছি। হঠাৎ পুরনো বান্ধবী বাসায় চলে এসেছে। আরাফের কেক প্লাস গিফট আমার বান্ধবী নিজেই কিনে এনেছে এবং তার বাবার থেকেও একটি কেক কিনে নিয়েছে।মোটকথা দুটো কেক পেয়ে আরাফ মহা খুশি। এরপর গিফট পেয়েছে সব মিলিয়ে আরাফের দিনটি অনেক আনন্দে কেটেছে। আর আরাফের জন্মদিনের দিন বাসায় প্রচুর গেস্ট ছিল। কিন্তু তারা কেউ জানেই না যে আজ আরাফের জন্মদিন। পরে হঠাৎ করে আরাফ প্রকাশ করেছে। তারপর সবাই চলে গেল আরাফের কেক আনতে আরাফের বাবা ও একটি কেক নিয়ে এলো।
মোটকথা সেই দিনটা অনেক আনন্দ করেছে আসলে ওর আনন্দ গুলো এমন যেটা ওর মুখের দিকে তাকালেই বোঝা যায় চোখে মুখে মনে হয় আনন্দগুলো ভেসে বেড়াচ্ছে। বাচ্চারা সব সময় যতই কেক খাক না কেন কিন্তু জন্মদিনটা তাদের জন্য অন্যরকম স্পেশাল। আর এই স্পেশাল দিনে যদি তারা গেস্ট অথবা তার নিজের আত্মীয়-স্বজনকে পায় তখন তারা সেই দিনটিকে আরো স্পেশাল মনে করে। বাচ্চাদের খুশি করতে সেরকম কিছু লাগে না আসলে তাদের মনটা তো নরম ও কোমল সামান্য তেই তাদের মন ভরে যায়।
আজ যাচ্ছি অন্য কোনদিন আবারো হাজির হব নতুন কোন ব্লগ নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।
🇧🇩আল্লাহ হাফেজ🇧🇩