ক্রিয়েটিভ রাইটিং পোস্ট ||| স্কুল ও কোচিং নিয়ে বিজনেস |||original writing by @saymaakter.
আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই বোনেরা প্রত্যাশা করছি পরিবারকে নিয়ে সুস্থ সুন্দরভাবে দিন যাপন করছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
source
বরাবরের মতো আবারো হাজির হলাম আপনাদের মাঝে নতুন আরেকটি ব্লগ নিয়ে। আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি ক্রিয়েটিভ রাইটিং
"স্কুল ও কোচিং নিয়ে বিজনেস"।
শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। জাতি শিক্ষিত হলে দেশ উন্নত হবে। আর দেশ উন্নত হলে আমরা অনেক এগিয়ে যাব। কথায় আছে তোমরা আমাকে একটি শিক্ষিত মা দিবে আমরা তোমাকে একটি শিক্ষিত জাতি দিব। কিন্তু আজকাল কথার সঙ্গে অনেক কিছুই অমিল দেখা যাচ্ছে।কিছুদিন হল আমি স্কুলে বাচ্চার সঙ্গে যাচ্ছিলাম না।
আজ হঠাৎ বাচ্চার সঙ্গে স্কুলে যেতে তাদের পরীক্ষার শুরু না হতেই বিভিন্ন কোচিং এবং স্কুলের টিচাররা গার্জেন দের কে নিয়ে বলাবলি শুরু করছিল আপু আপনার বাচ্চাকে কোথায় ভর্তি করাবেন আমাদের এই কোচিং সেন্টার এবং আমাদের এই স্কুল খুব ভালো। এখানে পড়ালে অনেক ফ্যাসিলিটি পাবেন। বাচ্চা অনেক মেধাবী হবে এবং আমরা অনেক কিছু ব্যাপারে আপনাকে হেল্প করতে পারব। এক প্রকার অভিভাবকদের আকৃষ্ট করতে যা বলার দরকার তারা সবাইকে বলছে। আর বড় বড় স্কুল প্রতিষ্ঠানগুলোর কথা কি আর বলবো।
রীতিমত তারা বেতন বিভিন্ন ফি লম্বা একটি করে কাগজ ধরিয়ে দেয় যা আমাদের মত মধ্যবিত্ত পরিবারদের পেটের কষ্ট সহ্য করেও বাচ্চাকে ভালো স্কুলে পড়িয়ে ভালো ফলাফলের আশা করি অনেক অভিভাবক রাই। বর্তমান যুগে অভিভাবকরা কোন দিক থেকে পিছিয়ে নেই তারা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বাচ্চাদেরকে চেষ্টা করে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য। প্রত্যেকটি মা বাবাই চায় আমার সন্তান একটি ভালো স্কুলে পড়ালেখা করুক মানুষের মত মানুষ হোক। কিন্তু এই স্কুল ও কোচিং সেন্টার গুলো রীতিমতো বিজনেস শুরু করে দিয়েছে।অভিভাবকদের আকৃষ্ট করে তারপর বিভিন্ন অজুহাতে বেতন নানান রকমের চার্জ তারাও ধরিয়ে দেয়।
আসলে বর্তমান সময়ে এসে মধ্যবিত্ত মানুষরা না পারে সহ্য করতে না পারে কিছু বলতে। নভেম্বর মাস আসতে না আসতেই শুরু হয়ে গেছে তাদের স্কুলে ভর্তি হওয়ার স্লোগান। আসলে কিছু কিছু কোচিং সেন্টার এবং স্কুলের জন্য ভালো কিছু কোচিং সেন্টার ও স্কুলগুলো সেই পর্যায়ে পড়ে যাচ্ছে।তাদের সেই ধ্যান-ধারণা আরও দু এক জায়গায় দেখে অন্যটার সম্পর্কেও সেই ধারণা করছে।প্রতিটি অভিভাবকের একটাই দাবি আমার ছেলে যেখানে থাকে সেখানে সবচেয়ে ভালো স্কুলে পড়াতে হবে। আর এটাই একমাত্র সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুর্বলতার সুযোগ পায়। একটা সময় গ্রামের মানুষ তারা গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ে কি ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হয়নি।
তারা কি মেধাবী ছিল না। কিন্তু বর্তমান সময়ে এসে অভিভাবকদের ধ্যান ধারণা চেঞ্জ হয়ে গেছে। তারা মনে করে প্রাথমিক গ্রামের স্কুল গুলো মনে হয় সেভাবে পড়াশোনা হয় না। তাই তাদের যত অর্থ খরচ করতে লাগে তারা শহরে চলে এসে সেই বড় উঁচু লেভেলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সন্তানকে পড়াতে চায়। আসলে সবারই একটি আশা আকাঙ্ক্ষা থাকে তার সন্তানকে নিয়ে। সব অভিভাবকি চায় আমার সন্তান মানুষের মতো মানুষ হবে অনেক বড় হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আমার মতে এমন হওয়া উচিত ছোট-বড় মধ্যবিত্ত সবাই যেন তাল মিলিয়ে চলতে পারে। এখানে ধনী গরীব কারোর মধ্যে যেন ভেদাভেদ না থাকে। প্রতিটি মানুষেরই উচ্চ আশা থাকে। তাইতো এক বুক আশা নিয়ে সবাই তার সন্তানকে ভালো জায়গায় ভর্তি করাতে চায়।কেউ বোঝে ভর্তি করায় কেউ না বুঝে ভর্তি করায় আর এটার মাশুল দিতেও হয় অনেককে।
আজ যাচ্ছি অন্য কোনদিন আবারো হাজির হব নতুন কোন ব্লগ নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।
🇧🇩আল্লাহ হাফেজ🇧🇩
Thank you for sharing on steem! I'm witness fuli, and I've given you a free upvote. If you'd like to support me, please consider voting at https://steemitwallet.com/~witnesses 🌟
বর্তমানে প্রত্যেকটা সেক্টরে ব্যবসায়ী চিন্তাভাবনা চলে এসেছে। আসলে এখন আর স্কুল কোচিং গুলো বাচ্চাদের কথা ভাবে না। তারা শুধু নিজেদের স্বার্থের কথাই ভাবে।