SBD recovery case #1 : beneficiary rme [round 16]
This post is made for recovering lost SBD : 1470
Recovered so far : 310.58 SBD
গল্প (রক্ত তৃষা) - পর্ব ১৫
Copyright Free Image Source : PixaBay
বেশ কিছুক্ষণ একটানা কথা বলে মেয়েটি থামলো । তারপরে হঠাৎ, রমেশবাবুর বাঁ হাতটা ধরলো । একটু শিউরে উঠলেন রমেশবাবু । নাহ ! হাতটা তো বরফ শীতল নয় ! উষ্ণ রক্ত মাংসের হাত একটা । তবে তো মহুয়া কোনো পিশাচিনী নয় । সে মৃত নয় । জীবিত, রক্ত মাংসের একজন মানবী । তবে একটু আগে যে তিনি দেখলেন একটা জলজ্যান্ত শেয়ালের গলায় দাঁত বসিয়ে সেটার রক্ত পান করছে মেয়েটা ।
তবে কি তিনি ভুল দেখলেন ? কিন্তু, এখনো তো সেই ভয়াবহ দৃশ্য তাঁর চোখের সামনে ভাসছে । না না, কোনো মতেই মিথ্যে হতে পারে না তাঁর দেখা । সম্পূর্ণ সুস্থ মস্তিষ্কে এবং সম্পূর্ণ জাগ্রত অবস্থায় দেখা সে ভয়ঙ্কর দৃশ্য কখনোই তাঁর চোখের ভুল বা স্বপ্ন হতে পারে না । তবে মহুয়া কি ? মানবী নাকি পিশাচিনী ? ধন্দে পড়ে গেলেন রমেশবাবু ।
-"বাবু, চলুন আমার ঘরে ।"
হঠাৎ, মহুয়ার সুমিষ্ট স্বরে চিন্তার জাল ছিন্ন হলো রমেশবাবুর । মন্ত্রমুগ্ধের মতো খাওয়ার টেবিল ছেড়ে তিনি উঠে মেয়েটিকে অনুসরণ করলেন । আবার তাঁরা খাওয়ার ঘর থেকে বৈঠকখানা ঘরে চলে এলেন । তারপরে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠলে লাগলেন সোজা । সিঁড়ির মাঝামাঝি উঠে একবার ঘাড় ঘুরিয়ে বৈঠকখানায় রাখা বেতের চেয়ারের দিকে তাকালেন রমেশবাবু ।
হঠাৎ, বুকের মধ্যে ধক করে উঠলো তাঁর । বুড়োটা বেতের চেয়ারে বসে সোজা এক দৃষ্টিতে তাঁর দিকে তাকিয়ে । সে চাউনিতে রক্ত জল হয়ে যায় । এমনিতেই রমেশবাবু এখন অসম্ভব মানসিক চাপের মধ্যে আছেন, সর্বক্ষণেই প্রাণভয়ে ভীত, আর সেই অবস্থাতে এমন রক্ত জল করা হিংস্র চাউনিতে রমেশবাবু ভয়ে আধমরা হয়ে গেলেন ।
ধপাস করে সিঁড়ির উপরেই বসে পড়লেন প্রায় । পরক্ষণেই একটা নরম কোমল হাতের সুদৃঢ় আকর্ষণে উঠে দাঁড়ালেন । মহুয়া এবার আর রমেশবাবুর হাত ছেড়ে দিলো না, ওই রকম হাত ধরা অবস্থাতেই এক প্রকার টানতে টানতে তাঁকে সেই ঘরে এনে ফেললো যেখানে আগে রমেশবাবু ছিলেন । এটাই মহুয়ার ঘর ।
বিছানার ওপর এক রকম জোর করে রমেশবাবুকে বসিয়ে দিয়ে তবেই হাত ছেড়ে দিলো মহুয়া । তার পর রমেশবাবুর পাশ ঘেঁষেই বসে পড়লো ধপ করে ।
রমেশবাবু তখনো ট্রমা কাটিয়ে উঠতে পারেননি । জোরে জোরে নিঃশ্বাস পড়ছে তাঁর । বুকটা ওঠা নামা করছে দ্রুত । মহুয়া এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রমেশবাবুর মুখের দিকে ।
[চলবে]
না, বুকের ভিতর দপদপানি যেন বেড়েই চলছে, আর সব কেমন জানি রমেশবাবুর মতো গুলিয়ে যাচ্ছে, তবে মজা পাচ্ছি আর বেচারা রমেশবাবুর জন্য চিন্তা করছি।
রমেশবাবুর অবস্থা দেখছি একেবারে নাজেহাল। বেচারা রমেশবাবু ভীষণ ভয় পেয়েছে। ধীরে ধীরে গল্পটা একেবারে জমে উঠছে দাদা। আমার তো বেশ ভালো লেগেছে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
মহুয়া যা করলো রমেশ বাবুর সাথে, এতে করে শুধু রমেশ বাবু কেনো,যে কারোরই হার্টবিট বেড়ে যাবে। মহুয়া তো দেখছি রমেশ বাবুর প্রেমে পড়ে গিয়েছে। তবে বুড়োটার কাহিনী দেখে বেশ মজা পাচ্ছি। বুড়োটা শুধু আফসোস ই করে যাবে,কিন্তু রমেশ বাবুকে খেতে পারবে না। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
মহুয়া কি আদর যত্ন করে রমেশবাবুকে খাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে? নাকি সে রমেশবাবুর বাবুর প্রেমে পরে গেছে?রহস্য যেনো কাটতেই চাচ্ছে না।কি যে হয় বুঝতে পারছি না। কিন্তু বুড়ো যে সুযোগ পেলেই রমেশ বাবুকে খাবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই । এত রহস্যে ঘেরা গল্প পড়তে ভালোই লাগে।
এ পর্ব পড়ে এখন মনে হচ্ছে বুড়োটা পিশাচ হলেও মহুয়া হয়তো মানবী।মেলাতে পারছিনা হিসেব।সামনের পর্বে যে কি টুইস্ট আছে তাই ভাবছি!
যেখানে বাঘের ভয়, সেখানেই রাত হয়। ওরে রমেশ, তোর যে কি হবে, সেটা ভাবতেই আমার অবস্থা কাহিল। উত্তেজনা একদম টানটান, ভাই। অপেক্ষায় থাকলাম পরের পর্বের জন্য।