ফটোগ্রাফি পোস্টঃ বিভিন্ন খাবারের ফটোগ্রাফি।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
কেমন আছেন সবাই ? আশাকরি ভালো আছেন। প্রত্যাশা করি সব সময় যেনো ভালো থাকেন। আজ ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, হেমন্ত-কাল। ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ। বন্ধুরা, আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে আজ হাজির হয়েছি নতুন আর একটি ব্লগ নিয়ে। প্রতি সপ্তাহে একটি করে ফটোগ্রাফি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেস্টা করি। তারই ধারাবাহিকতায় আজ একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।আজ বিভিন্ন সময়ে আমার বানানো কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। ফটোগ্রাফি পোস্টে ভিন্নতা আনার জন্য এই চেস্টা। আশাকরি ফটোগ্রাফিগুলো আপনাদের ভালো লাগবে।বেশ কয়েক মাস যাবত রোগী নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। তাই আয়োজন করে বাহিরে গিয়ে ফটোগ্রাফি করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই আজ আমার তৈরি করা কিছু মজাদার খাবারের ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশাকরি বরাবরের মতো সাথেই থাকবেন।
প্রথম ফটোগ্রাফি
অরবড়ই এর মোব্বার ফটোগ্রাফি । দেখতে যেমন লোভনীয় খেতেও তেমনই মজাদার। কয়েকদিন আগে বাড়িতে গিয়ে দেখি গাছ ভর্তি অরবড়ই। গাছ থেকে পেরেই টাটকা টাটকা বানিয়ে নিলাম অরবড়ই এর এই মোরব্বা রেসিপিটি। সামান্য কয়েকটি উপকরণ ব্যবহার করেই বানিয়ে নেয়া যায় এই মোরব্বা। আমার বেশ মজা লেগেছে মোরব্বাটি।
দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি
পানিফল বা শিংড়া নামেই পরিচিত ফলটি । আর এই হালুয়াটি তৈরি করেছি আমি এই পানি ফল থেকে। যদিও কখনই বানাইনি। এই প্রথম বানিয়েছি। কিন্তু খেতে দারুন।কেউ বুঝতেই পারবে না এই হালুয়া কি দিয়ে বানানো যদি বলা না হয়।ঘি, বাদাম ও দুধ সহ আরও কিছু উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে এই হালুয়া বানাতে। পানি ফলের এই সিজনে বানিয়ে নিতে পারেন। খেতে কিন্তু বেশ মজা এই হালুয়াটি।
তৃতীয় ফটোগ্রাফি
চলছে জলপাই এর সিজন। আর জলপাই এর সিজনে আচার না বানালে হয়!তাইতো বানিয়ে নিলাম জলপাই এর এই ম্যাশ আচারটি। আচারটি বানানো বেশ সহজ। আর ঘরে থাকা উপকরণ ব্যবহার করে সহজেই বানিয়ে নেয়া যায়।সিরকার ব্যবহার করার কারনে খুব সহজেই বছরের পর বছর সংরক্ষন করা যায় এই আচার।
চতুর্থ ফটোগ্রাফি
জলপাই এর কাষ্মিরী আচারটি বানিয়েছি বেশ কিছুদিন আগে। যদিও আম দিয়ে বেশ কয়েকবার বানিয়েছি এই আচারটি,তবে জলপাই দিয়ে প্রথম বানালাম।খুবই সামান্য উপকরণ ব্যবহার করে এই আচারটি বানানো যায়। আর খেতেও বেশ মজা। আমি আবশ্য এই আচারটি খালি খালি খেতে বেশি পছন্দ করি।
পঞ্চম ফটোগ্রাফি
জলপাই এর এই জেলী ব্রেড বা রুটি দিয়ে খেতে দারুন লাগে। এই জেলী বানাতে আমি জলপাই সিদ্ধ পানি ব্যবহার করেছি। আর সাথে ব্যবহার করেছি পর্যাপ্ত পরিমাণে চিনি। টক ,মিষ্টি স্বাদে এই জেলী খেতে দারুন সুস্বাধু।
পোস্ট বিবরণ
| শ্রেনী | ফটোগ্রাফি |
|---|---|
| পোস্ট তৈরি | @selina 75 |
| তারিখ | ৭ই ডিসেম্বর ,২০২৫ ইং |
| লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।








খাবারের ফটোগ্রাফি দেখলে কিন্তু অন্যরকম ভালো লাগে। আপনি বিভিন্ন ধরনের খাবারের ফটোগ্রাফি করেছেন। আর প্রতিটা ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর করে বর্ণনা দিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। সত্যি বলতে আপনি এমনিতে চমৎকার ফটোগ্রাফি করে থাকেন।
ওয়াও আপনি অনেক লোভনীয় কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন আপু। সবগুলো খাবারের ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। বিশেষ করে মোরব্বার ফটোগ্রাফিটি আমার অনেক ভালো লেগেছে। ফটোগ্রাফির পাশাপাশি বেশ সুন্দর বর্ণনা উপস্থাপন করছেন।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।