রেনডম ফটোগ্রাফি পোস্ট।

in আমার বাংলা ব্লগ23 days ago

শুভেচ্ছা সবাইকে।

কেমন আছেন সবাই ? আশাকরি ভালো আছেন।প্রত্যাশা করি সব সময় যেনো ভালো থাকেন। আজ ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,৩রা ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ। প্রতি সপ্তাহের ন্যায় আজ একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আশাকরি বরাবরের মত সাথেই থাকবেন।বন্ধুরা নিয়মিত ব্লগিং এ আজ হাজির হয়েছি নতুন আর একটি ব্লগ নিয়ে। প্রতি সপ্তাহে একটি করে ফটোগ্রাফি ব্লগ শেয়ার করার চেস্টা করি। তারই ধারাবাহিকতায় আজও একটি ফটোগ্রাফি ব্লগ নিয়ে এসেছি। এই ফটোগ্রাফিগুলো করেছিলাম মোহাম্মদপুরের রিং রোডের এর একটি নার্সারি থেকে। তাহলে বন্ধুরা, আসুন দেখে নেয়া যাক আমার আজকের ফটোগ্রাফি গুলো।

প্রথম ফটোগ্রাফি

p1.jpg

গোলাপের রংটিও বেশ সুন্দর। গোলাপকে বলা হয় ফুলের রানি। বিশ্বে প্রায় ৩০০ প্রজাতির ফুল দেখতে পাওয়া যায়। লাল,সাদা হলুদ সহ বিভিন্ন রং এর গোলাপ ফুল দেখা যায়। এখনতো আবার একই ফুলে বিভিন্ন রংও দেখা যায়। তবে আমার কাছে সাদা গোলাপ ফুল বেশি ভালো লাগে। গোলাপের পাপড়ি থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী তৈরি করা হয়। সেই সাথে খাবারের স্বাদ বৃদ্ধিতেও গোলাপের পাপড়ি ব্যবহার করা হয়।

দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি

p3.jpg

সুন্দর রং এর এই জবা ফুলটির ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম মোহাম্মদপুর থেকে।। যদিও লাল রং এর জবা ফুল বেশি দেখা যায়। কিন্তু আজকাল সাদা, হলুদ, গোলাপি, কমলা এবং মিশ্র রঙেরও দেখা যায়। জবা ফুল একটি জনপ্রিয় ফুল যা মালভেসি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। জবা ফুল বাংলাদেশে গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শীতকালে ফোটে । জবা গাছের জন্য রোদ খুব প্রয়োজন। জবা ফুলের নানা ঔষধি গুণ রয়েছে, যেমন- ওজন কমাতে, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এটি বেশ উপকারী। চুলের যত্নেও বেশ উপকারী এই জবা ফুল।

তৃতীয় ফটোগ্রাফি

p4.jpg

রঙ্গনের আদি নিবাস ক্রান্তীয় দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া। কমলা, কমলা লাল, গোলাপী, হলদে গোলাপী, লাল, হলুদ, সাদা ইত্যাদি রঙের রঙ্গন দেখা যায়।রঙ্গনের একক ফুল নলাকৃতি, চারটি পাপড়ির বিন্যাস তারার মতো। রঙ্গনের এক-একটি থোকায় প্রায় ১৫ থেকে ৫০ টির মত ফুল থাকে। কিছু কিছু থোকায় ফুলের সংখ্যা আরো বেশি হতে দেখা যায়। আগে কেবল লাল রং এর রঙ্গন ফুল দেখা যেতো। এখন বিভিন্ন রং এর দেখা যায় এই ফুল। থোকায় থোকায় ফোটে বলে দেখতে আরও সুন্দর লাগে। বীজ ও কলম পদ্ধতি এই গাছের চারা তৈরি করা হয়।

চতুর্থ ফটোগ্রাফি

p2.jpg

সারা বছরেই দেখতে পাওয়া যায় ফুলটি।ফুলটি গন্ধ বিহীন হলেও দেখতে কিন্তু অনেক সুন্দর। ফুলটি বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। ফুলটি এক রঙা হলেও মধ্য বিন্দুটি অন্য রঙের হয়। তাই দেখতে সুন্দর লাগে। চোখ জুড়িয়ে যায়।মুলত শীতকালে ফুলটির বংশবৃদ্ধি কমে যায়। দেশের সবর্ত্রই পাওয়া যায় ফুলটি। এই ফুলটি হচ্ছে নয়ন তারা।

পঞ্চম ফটোগ্রাফি

p5.jpg

এন্থুরিয়াম একটি জনপ্রিয় গৃহস্থালি বা ইন্ডোর প্ল্যান্ট যা তার চকচকে পাতা এবং রঙিন স্প্যাথ (spathe) বা ব্র্যাক্টের (bract) জন্য পরিচিত। এটি সাধারণত "ফ্লেমিঙ্গো লিলি" বা "পেইন্টারের প্যালেট" নামেও পরিচিত। এন্থুরিয়াম গাছ উজ্জ্বল, পরোক্ষ আলো পছন্দ করে ,সরাসরি সূর্য্যের তাপ এই গাছের পাতা পুড়িয়ে দিতে পারে। সঠিক যত্ন নিলে এটি বছরের পর বছর ধরে ফুল দিতে পারে। এন্থুরিয়াম গাছের সমস্ত অংশই বিষাক্ত। এর রস ত্বক বা চোখের জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে এবং খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে। তাই এটি পোষা প্রাণী এবং শিশুদের থেকে দূরে রাখা উচিত।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেনীফটোগ্রাফি
পোস্ট তৈরি@selina 75
তারিখ৩রা ডিসেম্বর ,২০২৫ ইং
লোকেশনঢাকা,বাংলাদেশ

আমার পরিচয়

আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।

সাথে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ

image.png

image.png

image.png

Sort:  
 22 days ago 

ওয়াও আপনি তো দারুন দারুন কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু।আপনার তোলা প্রতিটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে।ফটোগ্রাফি গুলো।যেমন সুন্দর হয়েছে ঠিক তেমনি সুন্দর বর্ণনা উপস্থাপন করছেন।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।