জেনারেল রাইটিংঃ রাগ।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
কেমন আছেন সবাই ? আশাকরি ভালো আছেন।প্রত্যাশা করি সবসময় যেনো ভালো থাকেন। আজ ১৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ। আজ একটি জেনারেল রাইটিং আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
সারাদেশেই কমবেশি শীত নেমেছে। দেশের উত্তরের জেলা গুলোতে বরাবরের মত শীত বেশী।তবে ঢাকায় শীতের কাপড় পরার মত শীত এখনও নামেনি। শীতের সবজিতে এখন বাজার ভরপুর। শীতের সব ধরণের সবজিইপাওয়া যাচ্ছে। এসময়টাতে সবজির দাম মোটামুটি কম থাকে কিন্ত এবার এখনও সবজির দাম কমেনি! বাজারে গেলে মাথা গরম হয়ে যায়। প্রচন্ড রাগ হয়। বন্ধুরা, আমার আজকের জেনারেল রাইটিং "রাগ "নিয়ে। রাগ আমাদের কম্ববেশি সবারই আছে। কেউ অল্পতেই রেগে যায় আবার কেউ মনে মনে রাগে কিন্তু প্রকাশ করে না।যারা বেশী রাগি তাদের রাগি মানুষ এবং যারা কম রাগি তাদের ঠান্ডা মানুষ বলা হয়। কিন্তু রাগের অভিব্যক্তি চেহারায় ফুটে উঠে। প্রচলিত একটি কথা আছে রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন। এজন্য রাগকে প্রশমিত করা দরকার।
আবেগ ছাড়া মানুষ চলেনা। মানুষের অনেক ধরণের আবেগ আছে। ভালোবাসা, হাঁসি,কান্না,আনন্দ-বেদনা,সুখ-দুঃখ বেমন আবেগ, তেমনি রাগ বা ক্রোধও একপ্রকার আবেগ। বিভিন্ন কারনে আমরা আবেগের প্রকাশ ঘটিয়ে থাকি। তবে রাগের প্রকাশ বেশী ঘটে গেলেই মুশকিল বাঁধে।বেশী রাগে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে মানুষ যা ইচ্ছে তাই করে বসে। যার ফলে হাতাহাতি, মারামারি, ভাংচুর, উচ্চস্বরে চিৎকার ও খুনাখুনির মত ঘটনা ঘটে থাকে। পরে স্বাভাবিক হলে নিজের ভূল বুঝতে পারে। অনুশোচনায় ভোগে। রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি তাই অঘটন ঘটে গেছে বলে নিজের পক্ষে সাফাই গায়। রাগ শুধু নিজেকে বিব্রত করে না, পরিবার, সমাজিক ও পেশাগত জীবনে সবাইকে বিব্রত করে। এছাড়া রাগের ফলে নিজের শরীরের উচ্চ রক্তচাপ,হৃদ্রোগ, মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ বা স্ট্রোক ও হার্ট এটার্কের মত ঝুঁকিতে পরার সম্ভবনা থাকে। এছাড়া মন মেজাজ হয়ে যায় খিটমেটে। রাগি মানুষদের অনেকে এড়িয়ে চলে , ফলে রাগি মানুষ একা হয়ে যায়। তাই রাগ নিয়ন্ত্রণ হবে এখনেই রাগ নামক আবেগের।
রাগের কারণ অনেকটা বংশগত। এছাড়া বিভিন্ন কারণে একজন মানুষের রাগ হতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে একেক জন মানুষের একেক কারণ থাকে। কারো ক্ষুদার কারণে, কারো আবার বঞ্চনা-বৈষম্যের কারণে রাগ হয়। এছাড়া বিভিন্ন জটিল রোগে দীর্ঘদিন ভুগলে,অতিরিক্ত মানুষিক চাপ,চিন্তা,অনিদ্রা, নিকট আত্মীয়ের সাথে দ্বন্দ্ব, আর্থিক সমস্যা,নেশা,পর্ণোগ্রাফি ও জুয়ায় আসক্তি। এছাড়া স্নেহ, মমতা ও ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হয়েও রাগি হয়ে উঠে মানুষ। এছাড়াও অনেক কারণ আছে। সে নির্ভর করে ওই মানুষের সামাজিক ও পারিবারিক অবস্থানের উপর নির্ভর করে।
কথিত আছে পরিবারে, সমাজে ও পেশাগত জীবনে একজন মানুষের সর্বনাসের মূলে রাগ। অতিরিক্ত রাগ কিন্ত একপ্রকার মানসিক রোগ।তাই রাগ নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের প্রত্যেকের জন্য জরুরী। আপনি রেগে গেছেন দ্রুত সে স্থান ত্যাগ করুণ, মাটির দিকে তাকিয়ে উলটো দিক থেক ১০০ গুনতে থাকুন,জোরে জোরে নিঃস্বাস নিন, প্রিয় কোন মানুষের সাথে কথা বলুন। দেখবেন রাগ কমে যাবে। কোন ভাবেই রাগ কমাতে না পারলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। নিজে সুস্থ্য থাকুন,অপরকে সুস্থ্য রাখুন। আর হ্যাঁ অন্যায়-অবিচার,বৈষম্যের বিলোপ ও নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে সম্মিলিত রাগ বা ক্রোধ কিন্তু ভালো কিছুর জন্ম দেয়। আজ এই পর্যন্তই বন্ধুরা, আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগ নিয়ে।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেনী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @selina 75 |
তারিখ | ২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্টগ্রাম শহরে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
রাগ মানুষের ষড়রিপুর এক রিপু। এই বিশেষ ধরনের মানসিক অবস্থান বিভিন্ন কারণে জন্ম হতে পারে। আপনি সেই কারণগুলো দারুণ সুন্দর করে ব্যাখ্যা করলেন। আসলে রেগে গেলে মানুষের মাথার ঠিক থাকে না। আর সেখান থেকে বিভিন্ন ধরনের ভুল কাজকর্ম হয়ে যায়। সেদিক থেকে এই রিপুটি মানুষের জন্য ক্ষতিকরই।
রাগ নিয়ন্ত্রণ করা শরীরের জন্য উপকার। তাই এর নিয়ন্ত্রণ জ্রুরী।
রাগ নিয়ে খুব চমৎকার ভাবে লিখে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু।এটা সত্যি কথা রাগ যখন হয় তখন সেখান থেকে সরে যাওয়া উচিত।নয়ত উল্টো দিক থেকে সংখ্যা গননা করলে রাগ অনেকটা ই কমে যায়। আর বেশী রাগে শরীরের অনেক ক্ষতি হয়।তাই রাগ নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের সবার উচিত।
ঠিক তাই রাগ আমাদের সবারই নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। তা না হলে অনেক বিপদ ঘটে যেতে পারে। ধন্যবাদ আপু।
রাগ হচ্ছে মানুষের খুব খারাপ বদ অভ্যাস। বলা হয় থাকে যে রাগ করে সে হেরে যায়। অতিরিক্ত রাগ করা হচ্ছে মানুষের মানসিক সমস্যা। রাগ মানুষকে পতনের দিকে নিয়ে যায়। সফলতার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর বিষয় শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
বেশ দারুন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। রাগ মানুষকে ধ্বংস করে।রাগ উঠলে নিজেকে কন্ট্রোল করা উচিত।অতিরিক্ত রাগের কারণে অনেক সময় ব্রেনের ও সমস্যা হয়।রাগ একটি মানুষের শুধু সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। কিন্তু ভালোবাসা মায়া-মমতা দিয়ে পৃথিবীর সব কিছুই জয় করা সম্ভব যেটা রাগের মাধ্যমে সম্ভব নয়। ধন্যবাদ আপু পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
রাগ যে শরীরের জন্য খারাপ আমরা সবাই জানি কিন্তু মানি না। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
আজকে আপনি রাগ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। আমাদেরকে রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে,রেগে গেলে মেধার সংকট ঘটে। আপনি ঠিক বলছেন রাগ এক ধরনের মানসিক রোগ। তাই সুস্থ জীবন যাপন করতে হলে রাগ নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।
ঠিক তাই। তাই রাগ নিয়ন্ত্রণ করলে আমরা সুস্থ থাকবো।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্রতিটা মানুষের ক্ষেত্রে কম বেশি রাগ বিষয়টি থেকে থাকে। যেটা মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়। এটা বংশগত হতে পারে আবার কিছু কর্মকাণ্ডের কারণেও হতে পারে। আজকে সেই বিষয়ে দারুন আলোচনা করেছেন। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো আপু।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
https://x.com/selina_akh/status/1863856904918929493