কাটোয়া ডাটা চচ্চড়ি রেসিপি❤️
হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টি কর্তার কৃপায় ভালো আছি।আমি শাপলা দত্ত, বাংলাদেশ থেকে আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো কাটোয়া ডাটা চচ্চড়ি রেসিপি।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।তো চলুন দেখা যাক রেসিপিটি কেমন।
গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। গরমের কারণে রান্না ঘরে ঢুকতে ইচ্ছে করে না আমার।তাই রেসিপিও করা হয়ে ওঠে না।গরমে যতো কম মসলা যুক্ত খাবার খাওয়া যাবে ততই শরীরের জন্য ভালো।আজ আমি রান্না করেছিলাম কাটোয়া ডাটা চচ্চড়ি।
কাটোয়া ডাটা ভীষণ সুস্বাদু। ডাঁটাশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ফলিক অ্যাসিড, যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এই শাকে থাকা ভিটামিনগুলো প্রতিদিনের পুষ্টি জোগায়, ত্বক ও চুলের ক্ষয় রোধ করে, মুখের ভেতরের নরম অংশগুলোকে রক্ষা করে। এ ছাড়া এই শাকে থাকা ভিটামিন এ চোখের পুষ্টি জোগায়, রাতকানা রোগ দূর করতে ভূমিকা রাখে।খেতে খুব সুস্বাদু এই কাটোয়া ডাটা।এই ডাটার চচ্চড়ি খেতে ভীষণ ভালো লাগে।এই ডাটা চিবাতে অনেক ভালো লাগে।
আজকে আমি এই মজাদার সুস্বাদু রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
১.কাটোয়া ডাটা |
---|
২.সরিষাবাটা |
৩.কাঁচামরিচ |
৪.লবন |
৫.হলুদ |
৬.ভেজ্যতেল |
৭.পাঁচফোড়ন |
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমি কিছু কাটোয়া ডাটা কেটে ধুয়ে পরিস্কার করে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন চুলায় কড়াই বসিয়েছি ও তাতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে গরম করে নিয়ে তাতে পাঁচফোড়ন ফোঁড়ন দিয়েছিও কাঁচামরিচ দিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
এখন কাটোয়া ডাটা গুলো কড়াইয়ে দিয়েছি ও তাতে লবন,হলুদ দিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
এখন লবন হলুদ দেয়া ডাটা গুলো নারাচারা করে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
এখন লবন, হলুদ নারাচারা করে নেয়া ডাটা গুলোতে সরিষাবাটা দিয়েছি ও নারাচারা করে নিয়েছি ও পরিমাণ মতো জল দিয়ে হাই হিটে জ্বাল করে নিয়েছি।সিদ্ধ হয়ে গেছে তাই নামিয়ে নিয়েছি।
পরিবেশন
এই ছিলো আমার আজকের মজাদার রেসিপি কাটোয়া ডাটা দিয়ে মজাদার সুন্দর চচ্চড়ি রেসিপি।আশা করেছি আপনাদের ভালো লেগেছে। কে কে এই কাটোয়া ডাটা খেতে ভালোবাসেন তা অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোষ্টের মাধ্যমে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | গাইবান্ধা, বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
আপু ঠিকই বলেছেন এই গরমে রান্নাঘরে ঢুকতে গেলেই মনে হয় কান্না আসে ।কোন রকমে ঝটপট রান্না করে চলে আসি। রেসিপি করার কথা তো চিন্তাই করি না ।যাইহোক আপনি আজকে কাটোয়া ডাটা চচ্চড়ি রেসিপি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। প্রথমে অবশ্য কাটোয়া ডাটা চিনতে পারিনি ।পরে যখন ডাটা শাক লিখেছেন পড়ে বুঝতে পারলাম। তবে এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। দেখে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু গরমে অবস্থা খারাপ।এই কাটোয়া ডাটা খেতে ভীষণ ভালো।শক্ত হয়ে থাকে তাই চিবিয়ে খেতে মজা লাগে।
ডাটা চচ্চড়ি রেসিপি আমার কাছে বেশ মজা লাগে, গরম ভাতের সাথে খেতে বেশি মজা লাগে। তবে এই রেসিপিটির সাথে সরিষাবাটা দেওয়ার কারণে টেস্ট আরো বেশি লোভনীয় হয়। মজার রেসিপি কিভাবে তৈরি করতে হয় সেটা পর্যায়ক্রমে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
ঠিক বলেছেন সরিষা বাটা দেয়ার কারনেই স্বাদ বেড়ে যায় ও লোভনীয় হয়।
গতবছর এই সময় আমার পুকুরপাড়ে অনেক কাটোয়া ডাটা চাষ করেছিলাম। তবে এই বছর যেন অতিরিক্ত গরম হওয়ার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। খুবই ভালো লাগলো আপনার এই কাটোয়া ডাটার রেসিপি তৈরি করতে দেখে।
গতবছর পুকুর পাড়ে কাটোয়া ডাটা চাষ করেছিলেন জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনি ঠিক বলেছেন গরমে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। আর এই কারণেই মায়েরা এখন রান্না ঘরে যেতে বেশ ভয় পাচ্ছে। আর এই সময় খাবারে মশলাপাতি কম দিয়ে খাওয়াটাই উত্তম। আপনি আজকে খুবই চমৎকার কাটোয়া ডাটা চচ্চড়ি রেসিপি তৈরি করেছেন। রেসিপি তৈরি প্রতিটা ধাপ সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
বর্তমান সময়ে এতটাই বেশি গরম পড়ছে যে এই গরমের মধ্যে কেউই চায় না রান্নাঘরে প্রবেশ করতে। এরপরেও আপনি মজাদার একটা রেসিপি রান্না করেছেন এবং সেই রান্নার রেসিপিটি আমাদের সকলের মাঝে চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন। কাটোয়া ডাটা চচ্চড়ি এই রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি লোভনীয় ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া গরমে রান্না ঘরে ঢুকতে চায় না কেউ তবুও ঢুকতে হয়।ধন্যবাদ আমার রেসিপিটি ভালো লাগার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু এতটা পরিমাণ গরম পড়েছে যার জন্য রান্না ঘরে ঢুকাই কষ্টকর। টিকে থাকা খুবই মুশকিল।আপনার রেসিপি টি দেখতে ভীষণ লোভনীয় হয়েছে আপু।দুর্দান্ত একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু।কাটোয়া ডাটা চচ্চড়ির রেসিপি টি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু গরমের কারণে এমনিতে সবার জীবন অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। আজকে আপনি অনেক সুন্দর করে কাটোয়া ডাটা চচ্চড়ি রেসিপি করেছেন। তবে এই রেসিপি খেতে বেশ মজাই লাগে। এবং এই রেসিপি দিয়ে গরম ভাত গরম রুটি খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। খুব সুন্দর করে কাটোয়া ডাটা চচ্চড়ি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আমার মা এই ডাটাটা অনেক মজা করে রান্না করেন। আমার খেতে খুবই ভালো লাগে। তবে এবছর এখনো খাওয়া হয়নি। মাকে বলতে হবে রান্না করতে। ধন্যবাদ আপু ডাটার মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।