হ্যালো বন্ধুরা,

মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয়"আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্‌ আল্লাহ্‌র অশেষ রহমতে এখন অনেকটা ভালো আছি।

আমি @shimulakter"আমার বাংলা ব্লগ"এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আপনাদের মাঝে আজ এলাম নতুন একটি বিষয়ে পোস্ট শেয়ার করতে।আশাকরি আপনারা সবাই সঙ্গেই থাকবেন।

ছেলেবেলার ঈদ আনন্দঃ

সোর্স

বন্ধুরা,আজ আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।আজকের ব্লগটি স্মৃতি রোমন্থন ব্লগ।আশাকরি আজকের ব্লগটি আপনাদের স্মৃতিতে ও নাড়া দেবে।দেখতে দেখতে রমজান মাস শেষ হয়ে এলো।চারিদিকে ঈদের আমেজ পরে গেছে।রমজান মাস এলে আনন্দ নিয়ে ঈদ আসে।আর সেই ঈদ সব সময় ছেলেবেলার অনুভূতি গুলোকে নাড়া দিয়ে যায়।প্রতিবারের ঈদের মতো এবার ঈদ আয়োজন প্রতিটি মুসলমান ঘরে ঘরে বিরাজ করছে।সবাই যে যার সামর্থ অনুসারে ঈদের খুশিকে সবার সাথে ভাগ করে নেয়ার চেষ্টা করে।ছেলেবেলা সব সময় দেখতাম ২৫ রমজানের পর থেকে বাসায় অনেক মেহমানদের আসা ধুম পরে যেতো।এরা হলেন আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী।যাদের সাথে আমরা ঈদের আনন্দকে ভাগ করে নিয়ে তাদেরকে যাকাত,ফেতরা দিয়ে থাকি।এখন শ্বশুরবাড়িতে আছি।শ্বাশুড়ি আজ বেঁচে নেই।তাই সেই কাজটি এখন আমি ই করছি।সবাইকে সবার প্রাপ্য বুঝিয়ে দিতে পেরে ভালো লাগছে।আগে ছেলেবেলায় আম্মুকে দেখতাম এই কাজটি খুব সুন্দরভাবে করতো।আজ নিজে করছি তাই ছেলেবেলার সেই স্মৃতি মনে পরে গেলো।

এরপর রমজান শেষে ঈদের আনন্দে কেনাকাটা করতে যাওয়া।এটা ও এখন খুব মিস করি।ছেলেবেলা একটি ড্রেস কিঁংবা দুটো ড্রেস নেয়া হতো।কিন্তু তার আনন্দ ছিল অনেকবেশী।এখন ড্রেস নেয়া হয় অনেক কিন্তু সেই আনন্দ আর পাই না।ছেলেবেলার নতুন কাপড়, জুতা,কসমেটিকস কেনার যে অনুভূতি তা এখন আর সেভাবে পাই না।এখন জিনিস আছে অনেক কিন্তু আনন্দ আর সেভাবে পাইনা।ছেলেবেলার ঈদ আনন্দ সে এক অন্য রকম অনুভূতি।ঈদের আনন্দ এখন সে রকম আর পাই না।ছেলেবেলায় আম্মু নতুন কাপড়, জুতা এনে দিত।আমি মার্কেটে খুব একটা যেতাম না।নতুন কাপড় আর জুতা নিয়ে খুব যত্নে লুকিয়ে রেখে দিতাম।আর ঈদের দিন খুব সকালে উঠে গোসল সেরে নতুন জামা,জুতা পরে প্রথমে আম্মু-আব্বুকে সালাম করতাম।এরপর চাচা-চাচীদের সালাম করতাম।এরপর ঈদ সালমী দিয়ে হাতের ব্যাগটি ভরে ফেলতাম।সেই দিনগুলো আজ ও মিস করি।আমরা যে আনন্দ করেছি আমাদের ছেলেমেয়েরা সেই আনন্দ কোথায় পাবে।

দিন গুলো সোনার খাঁচায় আছে।ইচ্ছে করলেও সেই দিন আর ফিরে পাওয়া যাবে না।আম্মু ঈদের দিন পায়েস,জর্দ্দা রান্না করতো।সেই জর্দ্দা আমার খুব পছন্দ ছিল।আমি পায়েস ছাড়া শুধু শুধু জর্দ্দা খেতাম।ঈদের দিন সকাল বেলা ভুনা খিচুড়ি আর ঝাল ঝাল মাংস সুগন্ধি লেবু দিয়ে খেতে কি যে মজা লাগতো সেই স্বাদ এখন আর কোন কিছুতেই পাওয়া যায়না।

ঈদের দিনের ঈদ সালামী ছিল বড় আকর্ষন ঈদের।কে কতো বেশী সালামী তুলতে পারি সেদিকে সবার আগ্রহ ছিল।আর এটা নিয়ে সবাই খুব ব্যস্ত থাকতাম ঈদের দিনে।সেই আনন্দ এখনকার বাচ্চারা পায় ই না বলতে গেলে।ঈদের দিন সালামী তোলা শেষ হলে সবাই যার যার সালামী গুনে দেখতাম কার কতো সালামী হয়েছে।সেই আনন্দ এখনো খুব মিস করি।আর কয়টা দিন পর ঈদ।ঈদের আনন্দ সবার মাঝে সমান ভাবে আসুক।আমরা সবাইকে নিয়ে একসাথে ঈদ উৎসব উদযাপন করবো।অসহায় ও গরীবদেরকে তাদের হক আদায় করবো।মিলে মিশে ঈদ আয়োজনে সবাই সবার পাশে থেকে একসাথে আনন্দ করবো এটাই সবার চাওয়া হোক।

আজ ঈদের আগ মূহুর্তে ছেলেবেলার ঈদকে খুব বেশী মিস করছি।তাই আপনাদের মাঝে ছেলেবেলার ঈদ অনুভূতি কিছুটা শেয়ার করে নিলাম।আশাকরি আমার শেয়ার করা অনুভূতি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।আপনাদের ভালো লাগার মাঝেই রয়েছে আমার সার্থকতা।

আজ আর বিশেষ কিছু লিখছি না।সবাই সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন।আবার কোন নতুন ব্লগ নিয়ে আসব আশাকরি।অনেক অভিনন্দন রইলো সবার জন্য।

ধন্যবাদ সবাইকে

@shimulakter

পোস্ট বিবরন

শ্রেণী	স্মৃতিচারণ
ক্যামেরা	SamsungA20
পোস্ট তৈরি	@shimulakter
লোকেশন	বাংলাদেশ

আমার পরিচয়

আমি শিমুল আক্তার,আমি বাংলাদেশী।বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি এম এস সি (জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ।ভালোবাসি বই পড়তে,নানা রকমের রান্না করতে,আর সবাইকে নতুন নতুন রান্না করে খাওয়াতে ভীষণ ভালোবাসি।ফটোগ্রাফি করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহন করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।