শীতলতার খোঁজে

in আমার বাংলা ব্লগ21 days ago

গত কয়েকদিন থেকে যে পরিমাণ গরম পড়েছে তা বলার বাহিরে, যদিও অতিরিক্ত গরমের কারণে গ্রামে এসেছি , তবে এখানে এসেও যে খুব শান্তিতে আছি তা বলা যাবে না, তবে শহরের তুলনায় কিছুটা আরামে আছি, এটা কিন্তু একদম সত্য কথা।

1000025653.jpg

1000025654.jpg

1000025624.jpg

1000025622.jpg

1000025621.jpg

1000025655.jpg

1000025656.jpg

1000025657.jpg

1000025658.jpg

1000025605.jpg

ভিডিও লিংক

গত কয়েকদিন থেকেই ভাবছিলাম গ্রামের ফসলের জমির মাঝে যে ডিপ মেশিন আছে সেচ কাজের জন্য, সেখানে গোসল করতে যাওয়ার কথা। অবশেষে গতকাল দুপুর বেলা সেই মাহেন্দ্রক্ষণ চলে এসেছিল আমার কাছে।

বাড়ি থেকে একদম পুরো পরিবার নিয়ে গিয়েছিলাম সেখানে। যদিও জমির ভিতর দিয়ে প্রায় আধা কিলোমিটার পথ জমির আইলের উপর দিয়ে হেঁটে যেতে হয়েছিল, তবে খুব একটা খারাপ লাগেনি বরং ভালই লেগেছিল। কেননা চতুর্দিকে শুধু ফসলের জমি, শুধু সবুজ আর সবুজ।

তবে তাপমাত্রা ছিল অতিরিক্ত, যার কারণে কিছুটা কষ্ট হয়েছিল সেখানে যেতে। মূলত আমি যেখানে আছি, সেখান থেকে পার্শ্ববর্তী গ্রাম বেশ ভালো ভাবেই দেখা যায়। এই দুই গ্রামের মাঝে যে ফসলের জমিগুলো আছে, তার ভিতরেই এই ডিপ মেশিনের স্থান। মূলত দুই গ্রামের মানুষের ফসলের জমিগুলোতে পানি দেওয়ার জন্যই এই উদ্যোগ হাতে নিয়েছে এখানকার স্থানীয় লোকজন।

এই সময় এতটাই গরম থাকে যে, ফসলের জমি পানি শূন্য হয়ে যায়। তাই অনেক গভীর থেকে এই পানি উত্তোলন করা হয়। এই পানি প্রচুর ঠান্ডা। অবশেষে আমরা যখন সেখানে গিয়ে পৌঁছালাম, তখন অনেকটা বাড়তি উত্তেজনা কাজ করছিল নিজেদের ভিতরে।

যদিও, আমরা সেখানে গিয়ে কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে গিয়েছিলাম, কেননা সেখানে অনেক ছোট ছেলেরা এসেছিল এবং তারাও তাদের মত করে গোসল করছিল, তাদের গোসল করা আমি বেশ ভালোভাবে উপভোগ করার চেষ্টা করছিলাম, একটা সময়ের পরে গিয়ে তাদের কাছে অনুরোধ করেছিলাম যে, আমাদের কে যদি একটু গোসল করতে দেওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়, তাহলে ভালো হতো।

ছোট ছেলেগুলো অবশ্য খুব সহজেই আমার কথা শুনে ছিল এবং সেখানে দায়িত্বরত যে ভদ্রলোক ছিল, সে আমাদেরকে বেশ ভালই সহযোগিতা করেছিল গোসল করতে। অতঃপর পানিতে নেমে গিয়েছিলাম পুরো পরিবার নিয়ে। পাক্কা দু-ঘন্টা সময় কোন দিক দিয়ে যে চলে গেল, তা যেন বুঝে উঠতেই পারলাম না।

আমরা সবাই বেশ খুশি হয়েছিলাম, বিশেষ করে বাবু, বাবুর মা ও বাবুর আন্টি। মনে হচ্ছিল যেন দীর্ঘদিন পরে নিজের শৈশবটাকে একদম খুব কাছ থেকে স্বচক্ষে আবারও নেড়েচেড়ে দেখলাম। এমন অসহ্য গরমে, এই শীতলতা বড্ড দরকার ছিল। বড্ড প্রশান্তি পেয়েছি, এভাবে উন্মুক্ত পরিবেশে গোসল করে। সব মিলিয়ে দারুণ উপভোগ করেছি সময়টা।

1000020537.png

ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 21 days ago 

ডিপের মেশিনের মধ্যে গোসল করার মজা শুধু সেই বুঝবে, যে অন্তত একবার হলেও ডিপের মেশিনের মধ্যে গোসল করছে। আসলে আমি বেশ কয়েকবার ডিপের মেশিনের মধ্যে গোসল করেছি, এই বছর ও বেশ কয়েকবার গোসল করেছি। আপনি দেখছি আপনার বাচ্চা কে সাথে নিয়ে ডিপের মেশিনের মধ্যে বেশ সুন্দর ভাবে গোসল করেছেন। সবুজ প্রকৃতির মাঝে এতো সুন্দর ভাবে গোসল করা আসলেই ভাগ্যের ব্যাপার।

 21 days ago 

শৈশবে আমি অনেক ডিপ মেশিনে গোসল করেছি। ডিপ মেশিনে গোসল করতে অনেক ভালো লাগে। আপনি শীতলতার খোঁজে পরিবার নিয়ে দুই ঘন্টা সময় গোসল করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। ছোট ছেলেরা আপনার কথায় চলে গেলো দেখে আপনারা গোসল করতে সুযোগ পেলেন। আপনার অনুভূতি পড়ে খুবই ভালো লাগলো।

 21 days ago (edited)

শীতলতার খোঁজে সত্যি চমৎকার মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। ভিডিওটি দেখে শৈশবে ফিরে গিয়েছিলাম। পরিবার নিয়ে বেশ সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন। যে গরম পরেছে এমন সময় কাটাতে পারলে একটু ভালোই লাগে। এক দিক দিয়ে আবার বিনোদন ও হয়ে যায়। আপনাদের আনন্দঘন মুহূর্ত গুলো দেখে ভালো লাগলো। আমিও ছোট বেলায় এধরনের জায়গায় গোসল করেছিলাম। এধরনের পানি গুলো অনেক ঠান্ডা হয়। এজন্য অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনাদের জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকবেন।

 21 days ago 

এই ধরনের ডিপ পাম্প গুলোতে গোসল করার একটা আনন্দ আছে। বিশেষ করে গরমের সময় অনেকটা সময় এখানে বসে থাকলে একটা প্রশান্তি অনুভব করা যায়। আর গ্রামের ছেলেরা এখনও এসব জায়গাই গেলে লাফালাফি ঝাপাঝাপি করে। আপনার পোস্ট টা দেখে বেশ ভালো লাগল। পুরো পরিবার মিলে বেশ শীতলতার স্পর্শে ছিলেন কিছুক্ষণ।।

 21 days ago 

একদম পাক্কা দু'ঘণ্টা সময় কাটিয়েছিলাম সেখানে, শরীরটাকে একদম ঠান্ডা ও তরতাজা করে নিয়ে উঠেছিলাম পানি থেকে।

 21 days ago 

ডিপ মেশিন বা ডিপ ঘর গুলো দেখলেই ছোটবেলার অনেক কথা মনে পড়ে যায়। ছোটবেলায় যখন গ্রামের বাড়িতে যেতাম তখন এই পানিগুলো দিয়ে গোসল করতাম। অনেক ঠান্ডা পানি বের হতো। আর সবাই মিলে অনেক আনন্দ করতাম। সত্যি ভাইয়া এই গরমে এরকম গোসল করতে পারলে বেশ ভালোই লাগতো। ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে। সেই সাথে ভিডিওগ্রাফিটি দেখেও অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।

 21 days ago 

ধন্যবাদ আপু, বরাবরের মতই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য এবং আমি অনেকটাই অনুপ্রাণিত হয়েছি।

 21 days ago 

গরমের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আপনি তো দেখছেন দারুন পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন ভাইয়া। আসলে ডিপের পানি অনেক ঠান্ডা হয় তাই এখানে গোসল করার মধ্যে মজাটাই অন্যরকমের। গরমের দিনে আমরা ও মাঝে মাঝে ডিপ এর কাছে যাই গোসল করার জন্য।

 21 days ago 

এছাড়া আর কোন উপায় ছিল না ভাই, যে পরিমাণে গরম পড়েছে, তাই হয়তো সুযোগ বুঝে ডিপ মেশিনের জলে গোসলটা সেরেই ফেললাম।

 21 days ago 

বর্তমান আবহাওয়ার যে অবস্থা তাতে করে সবখানেই অসহ্য ও অস্থির হওয়ার মতো গরম।তবে শহরের ইটপাথরের বন্দিখানার চেয়ে গ্রামের মুক্ত হাওয়ায় কিছুটা হলেও স্বস্তি পাওয়া যায়।ছোটবেলায় আমরাও এরকম সেচ মেশিনের জলে অনেক স্নান করেছি।আপনার পোস্ট দেখে সেই শৈশবের দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেলো।অসম্ভব ভালো লাগার মতো কিছু মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

 21 days ago 

যাক আপনার শৈশবকে যেহেতু মনে করিয়ে দিতে পেরেছি, তাহলে এদিক থেকে আমি কিছুটা স্বার্থক।

 21 days ago 

আপনাদের ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে আপনারা কতোটা মজা করে সেখানে গোসল করেছেন। এই তীব্র গরমে এটা আসলেই খুব দরকার ছিলো। আপনার পোস্টটি দেখে ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে গিয়েছে। প্রতিটি ফটোগ্রাফি দারুণভাবে ক্যাপচার করা হয়েছে। ফটোগ্রাফি গুলো বেশ উপভোগ করলাম। যাইহোক এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

 21 days ago 

এটা সত্য যে, দিনের বেলা যেহেতু প্রচুর পরিমাণে সূর্যের আলো ছিল, তাই ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর এসেছিল এবং সময়টাও আমাদের বেশ ভালো কেটেছিল।

 21 days ago 

গ্রামের ডিপ মেশিনের পানিতে গোসল করার মজাই আলাদা। বর্তমানে যে গরম পড়েছে যদি গ্রামে থাকতাম তাহলে প্রতিদিনই এই ডিপ মেশিনে গোসল করতাম। এই ডিপ মেশিনের পানি অনেক গভীর থেকে আসে, যার ফলে পানি অনেক ঠান্ডা থাকে। আপনাদের গোসলের ফটোগ্রাফি ও ভিডিও দেখে সুন্দরভাবেই বুঝতে পারছি সেখানে গোসল করে কতটা আনন্দ পেয়েছেন। আমার মনে হয় সব থেকে বেশি আনন্দ পেয়েছে আমাদের সায়ন বাবু। ধন্যবাদ ভাইয়া।

 21 days ago 

একদম ঠিক বলেছেন ভাই, শায়ান বেশ ভালোই আনন্দ পেয়েছে, গোসল করার সময়ে।

Coin Marketplace

STEEM 0.27
TRX 0.12
JST 0.031
BTC 67928.13
ETH 3777.58
USDT 1.00
SBD 3.75