শীতকালের ফটোগ্রাফি||abbcontest-66
বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। এমনটা বিশ্বে প্রায় বিরল। প্রত্যেকটি ঋতুর স্থায়িত্ব যদিই দুইমাস করে,কিন্তু এই দুইমাসেই প্রকৃতি নিজের রূপকে পালটে ফেলে নিপুন শিল্পীর মত। প্রত্যেক ঋতুরই রয়েছে আলাদা আলাদা রূপ,রস গন্ধ।সেই সাথে আছে কিছু নিজস্ব বৈশিষ্ট্য। গ্রীষ্মের যেমন চারদিক পুড়িয়ে দেওয়া গরম,বর্ষার তেমনি গ্রীষ্মের সুর্যকে মেঘে ঢেকে সবুজে ভরিয়ে তোলা, শরৎ কালে সাদা মেঘের সাথে পাল্লা দেওয়া কাশফুল,হেমন্তে ফসলের হাসি।
তেমনি শীতকালের বৈশিষ্ট্য হারকাপানো শীত,কুয়াশার মায়াজাল,ধোয়া ওঠা গরম ভাপা পিঠা। সেই সাথে আসে বিরহ,শুণ্যতা,রিক্ততার অনুভূতি।তবে যারা সৌন্দর্য পুজারী তারা এর মাঝেই সৌন্দর্য খুজে পায়। তেমনি আমার চোখে ধরা পড়া শীতকালের সৌন্দর্যের কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করব আপনাদের সাথে।
শীতের সকাল শুরু হয় কুয়াশার চাদর দিয়ে। তারপর প্রবল প্রতাপশালী সূর্য মামা চেষ্টা করতে থাকে। কখনো সূর্য মামা সফল হয়, কখনো সফল হয় কুয়াশা। সেদিন লজ্জায় আর সূর্য মামা সারাদিন মুখ দেখায় না। তবে যে ছবিটি দেখছেন সেখানে সূর্যমামাই জয়ী হয়েছেন,তাই কুয়াশারা মুখ লুকিয়ে পালাচ্ছে।
এই ছবিটি সূর্য আর কুয়াশার যুদ্ধ শুরু হবার বেশ খানিকক্ষণ আগে তোলা। কুয়াশা যেন পার্থিব সব কিছুকে গিলে খাবার প্রতিজ্ঞা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে,আর তার পেটের মাঝে চলে যাচ্ছে সব কিছু। তার থেকে রক্ষা পায়নি কংক্রিটের এই ব্রিজটিও।
কুয়াশ যখন গাঢ় হয়ে ওঠে তখন দুইহাত দুরের জিনিস ও দেখা যায়না।ছবিটি একটি নদীর পাড়ে তোলা।অথচ দেখুন পেছনের নদীটা যেন অদৃশ্যই হয়ে গেছে কুয়াশার সমুদ্রে।তবে এমন মায়াজাল বিস্তার করা পরিবেশ মন ভরিয়ে দেয়।
শীতের সকালে কুয়াশা ঢাকা রাস্তায় হাটার মজাই আলাদা। যেন অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়া,অনেকটা আমাদের ভবিষ্যতের মত।জানি সামনে কিছু একটা আছে,কিন্তু সেটা প্রবল গতিতে এগিয়ে আসা গাড়ি,নাকি স্টার জলসার নাটকের নতুন মোড়ের মত রাস্তার মোড় কেউ জানেনা।সেদিন সকালে হাটতে গিয়ে ছবিটা তোলা।
শীতের সৌন্দর্যের আরেকটি দিক হল এই সরিষা ফুল।বিপদে পড়লে আমরা কথায় কথায় বলি চোখে সর্ষে ফুল দেখা।কেন বলা হয় তা দিগন্ত বিস্তৃত সরিষামাঠে না দাড়ালে বোঝা যায়না।চারদিকে হলুদের ছড়াছড়ি,যেদিকে চোখ যায় শুধু হলুদ আর হলুদ। এই সৌন্দর্যের জুড়ি মেলা ভার।
শীত কাল পিঠে ছাড়া, নুন ছাড়া তরকারির মত।শীতকাল মানেই পিঠার উৎসব।শীতকাল আসলেই রাস্তার আশে পাশে দেখা যায় এমন ভ্রাম্যমান পিঠার দোকানের পশরা।যা হাসি ফুটিয়ে তোলে আমার মত শত শত পিঠা প্রেমিকদের মুখে।
শুরু করেছিলাম শীতের সকালের সূর্য আর কুয়াশার যুদ্ধ দিয়ে যেখানে সূর্যমামা ছিল জয়ী।শেষ করছি সূর্য মামার যুদ্ধ ক্লান্ত বিদায়ের মধ্যে দিয়ে।সারাদিনের যুদ্ধের শেষে সূর্যিমামা কুয়াশার কাছে যুদ্ধবিরতিরর চুক্তি করে হারিয়ে যাচ্ছেন কুয়াশার আধারে।
ফটোগ্রাফার | বৃত্ত |
---|---|
ডিভাইস | পোকো এক্স২ |
লোকেশন | গোবিন্দগঞ্জ |
শীতের মৌসুমের চমৎকার সব ফটোগ্রাফি নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন।আপনার শেয়ার করা প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি ছিল দেখার মতন।বিশেষ করে কুয়াশাচ্ছন্ন প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি আমার মন কেটেছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Twitter link
শীতের প্রকৃতির দৃশ্য আপনি ফুটিয়ে তুলেছেন আপনার এই ফটোগ্রাফির মাধ্যমে। দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি ভালো লেগেছে আমার।
কুয়াশা ভেজা সকালের দৃশ্যগুলো অসাধারণ হয়েছে ভাইয়া। আর আপনি এত সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন দেখে ভালো লাগলো। এরকম সুন্দর মুহূর্ত গুলো দেখতে ভালো লাগে। আর সময় কাটাতেও ভালো লাগে।
আপনার দেওয়া সমস্ত শীতের ফটোগ্রাফি গুলি দেখলাম। সব মিলিয়ে প্রত্যেকটি ফটো বেশ ভালো লাগলো। শীতের অনুষঙ্গের তোলা ফটোগুলিতে শীত বোঝা গেলে তবে এই ফটোগ্রাফির মজা। আসলে শীতকাল অনেক অপেক্ষা করে পেতে হয়। তাই সেই সময়টা আমরা ছবির মাধ্যমে ধরে রাখতে ভালোবাসি।
খুবই সুন্দর সুন্দর কয়েকটি শীতের ফটোগ্রাফি নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলে দেখছি। আসলে, শীতের সৌন্দর্য এর মাঝে এমন ঘন কুয়াশা, মাঝে মাঝে রোদের খেলা, দিগন্ত জুড়ে সরিষা ফুলের মাঠ... পিঠা সবই ওতোপ্রোতো ভাবেই জড়িয়ে! সবগুলো ছবিই আমার কাছে দারুণ লেগেছে।
আপনি দেখতে শীতের চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো সত্যি অসাধারণ হয়েছে। শীতকালে এমনিতেই সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। সত্যি বলতে আপনার শীতকালে এক একটা ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ভালো লাগার মত ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।