আসসালামু আলাইকুম
হাই! বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি যশোর থেকে সাতক্ষীরা মাইক্রো ভ্রমণের ভিডিও নিয়ে। আশা করি এই থেকে যশোর সড়ক পথের বেশ কিছু দৃশ্য দেখতে পারবেন।
পরীক্ষার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে মেহেরপুরে উপস্থিত হয়েছিলাম বন্ধুর ম্যাচে। সেখান থেকে বাসে চুয়াডাঙ্গা স্টেশন পর্যন্ত। চুয়াডাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত ট্রেনে গেছিলাম। এরপর যশোরে দুইটা মাইক্রো ভাড়া করেছিলাম। আর সেখান থেকে সোজা সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। আর এই মুহূর্তে আমি বেশ অনেকগুলো ফটো আর ভিডিও ধারণ করেছিলাম সময় সুযোগে। আর তাই মাইক্রো গাড়ির পিছনে আমার সিট পড়ায় একটু খারাপ লাগছিল তারপরে ভিডিও ধারণটা করার চেষ্টা করেছিলাম পিছন থেকে। সামনের সিটে জায়গা নেওয়ার ইচ্ছে ছিল তারপরে বড় ভাই যখন মানা করেছিল তাই আর সামনে বসা হয়নি। এরপর আমি আমার সুযোগ বুঝে পিছনের লম্বা সিটে একাই বসে ছিলাম আর এভাবে ভিডিও ধারণ করেছিলাম। আমি যেখানে যাই না কেন এখন ভিডিও ধারণ করতে ভালো লাগে। কারণ সেটা স্মৃতি হয়ে থাকে তো। তাই চেষ্টা করে নিজেদের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করতে। তবে যাই হোক শহরের সুন্দর স্থানগুলো আমার ভালো লাগে। যেখানে যাই চেষ্টা করি কম বেশি ভিডিও ধারণ করতে। যখন গাড়ি রান করছিল অচেনা জায়গাগুলো একটু ভালো লাগার মত যা দেখছিলাম তাই ভিডিও ধারণ করে নিয়েছিলাম। যশোর শহরটা আমার বেশ ভালো লাগে। তবে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভালোলাগা শহর রাজশাহী শহর। এখানে জয়েন করার পর রাজশাহীতে আর যাওয়া হয়নি। তার আগে বেশ অনেক গেছি। আর যশোরে প্রায় মাছের পোনা আনার উদ্দেশ্যে যাওয়া হয়। তবে যাই হোক যশোরের বেশ কিছু স্থান আমার পরিচিত। যতবার গেছি না কেন কোন বার এভাবে ভিডিও ধারণ করা হয়নি। মূলত এখানে শেয়ার করব বলে এই ভিডিও গতবার ধারণ করেছিলাম।
Video device: Infinix hot 11s
location
ভিডিওটা ভালোভাবে দেখলে আপনারা যশোরের বেশ কিছু জায়গার সুন্দর হাই রোডের পাশাপাশি জায়গাগুলো দেখতে পারবেন এবং কিছুটা হলেও পরিচিত লাভ করবেন। অবশেষে যশোর রেল স্টেশন এর যেখান থেকে গাড়িতে উঠেছিলাম আবার কিন্তু সাতক্ষীরা থেকে ব্যাক আশায় ওই জায়গাতে অবস্থান করেছিলাম। আর আমরা তিন বন্ধু কখনো কোথাও পরীক্ষা দিতে গেলে বা ঘুরতে গেলে ঠিক এভাবেই একসাথে থাকার চেষ্টা করি। কিছুদিন আগেও ঠিক এভাবেই দেখা হয়েছিল আমাদের পরীক্ষা দিতে গিয়ে। তবে ওই দিনের ভ্রমণটা আমার একটু খারাপ লেগেছিল এক গাড়ির মধ্যে তিন বন্ধু জায়গা হয়েছিল না বড় ভাইদের নির্দেশে আমাকে একাই আলাদা গাড়িতে বসতে হয়েছিল। তবে ভিডিও ধারণের ক্ষেত্রে একটু সুবিধা হয়েছিল, বন্ধুরা পাশে থাকলে গল্প করতে হয়। আর বন্ধুরা ছিল না তাই মনোযোগ সহকারে ভিডিও ধারণ করতে পেরেছিলাম। তবে ভিডিও ধারণের এক প্রান্তে এসে আমাদের গাড়িটা একটা গন্ডগোলের মাঝখানে পড়েছিল। এক বাইক ড্রাইভার গ্যাঞ্জাম পাকিয়ে ড্রাইভারের গায়ে হাত উঠেছিল। এটার জন্য আরো খারাপ লেগেছিল আমার। এক বছর আগে ধারণ করা ভিডিও, এক বছর পরে শেয়ার করলাম। এরই মধ্যে দেখতে দেখতে একটি বছর পার হয়ে গেল, বড়ই আশ্চর্য মনে হচ্ছে আমার।
Photography device: Infinix hot 11s
যশোর
ভিডিও বিষয়ক | তথ্য |
ভিডিও ডিভাইস | মোবাইল ফোন |
ভিডিও ম্যান | @sumon09 |
Editing app | PicsArt & inshot |
YouTube channel | সোর্স |
বিষয় | ভ্রমণ |
আমার বাংলা ব্লগের সদস্য,সুমন। থানাঃ গাংনী, গাংনী-মেহেরপুর বাংলাদেশ। দৈনন্দিন জীবনে আমার পথ চলার প্রতিপাদ্য বিষয়: সততা সচেতনতা সাহসিকতা যার মধ্যে ন্যায় নীতি নিহিত।
ভিডিও দেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া মাইক্রোবাসের পিছনের ছিটে বসেও কিন্তু আপনি দারুন ভিডিওগ্রাফি করেছেন। আসলে কোন যোগ্যতা থাকলে সামনে আর পিছনের সিট বলে কিছু নেই। যেমন আপনি পেছনে সিটে বসেও কিন্তু আপনার কাজ চালিয়ে গেছেন। আজ আপনার যশোর থেকে সাতক্ষীরা যাওয়ার ভিডিওটি দেখে অসাধারণ লেগেছে। কারণ এটি আমার নানুর বাড়ি। ঝিকরগাছা স্টেশনে দাঁড়িয়ে অনেকগুলো ছবি শেয়ার করলেন যা দেখে অনেক ভালো লাগলো। আমিও এই জায়গায় অনেকগুলো ছবি আর ভিডিও করেছি এই স্টেশনটি আমার খুব পছন্দের জায়গা। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে। আপনার ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে আমার নানুর বাড়ির কিছু অংশ দেখতে পেলাম।
এই জায়গায় আমি অনেকবার উপস্থিত হয়েছি, চাঁচড়ায় মাছ কিনতে যেতাম।
গাড়ির পিছনে বসেও সুন্দর ভিডীও করা যায় দেখে ভালো লাগলো । যদি একটা গিম্বল থাকতো তাহলে ভিডিওর কাপাকাপিটা থাকতোনা । যাই হোক আমিও এরকম কোথায় কোনো কাজে গেলে ভিডিও করার চেষ্টা করি।
হ্যাঁ ভাই একদম সম্পূর্ণ জায়গা ফ্রী পেয়েছিলাম
সবার মতই আপনার কাছেও রাজশাহী শহরটি অনেক বেশি প্রিয়।রাজশাহী শহর আমারও অনেক বেশি প্রিয়। তবে যশোর জেলায় কখনো যাওয়া হয়নি কিন্তু আপনার ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে খুবই সুন্দর কিছু চিত্র দেখতে পারলাম ভাইয়া। তবে সামনের সিটে বসে ভিডিওগ্রাফি করলে আরও বেশি ভালো হতো কিন্তু আপনার ভাইয়া যেহেতু নিষেধ করছিল সেখানে তো আর করার কিছু নেই। কিন্তু ড্রাইভার এর গায়ে হাত উঠানোর বিষয়টা খুবই খারাপ লাগলো আমার কাছেও। আপনার করা ভিডিও গ্রাফিটি অনেক বেশি ভালো লেগেছে ভাইয়া। ধন্যবাদ যশোর সম্বন্ধে কিছু বিষয়ে আমাদের দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
হ্যাঁ ভাই রাজশাহী আমার প্রিয় শহর। তবে এদিকে যশোর সাতক্ষীরা গিয়েছি যাইহোক একটা বিষয়ে আমি সেখানে ট্রাফিকজ্যাম দেখতে পারি নাই।
যশোর থেকে সাতক্ষীরায় যাওয়ার পথের চমৎকার ভিডিওগ্রাফিটি দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে। বিশেষ করে রাস্তার যানবাহনগুলো অত্যন্ত শৃঙ্খলার সাথে চলাচল করছে। আর এভাবে যানবাহন গুলো যদি চলাচল করে তাহলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে।
হ্যাঁ সেখানে কোন ট্রাফিক জ্যাম দেখিনি।