নাটক রিভিউ || হাড় কিপটে || ৫৬ তম পর্ব
আজ - মঙ্গলবার
হাই! বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি অনেক অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম হাড় কিপটি নাটকের ১০৫ পর্বের মধ্য থেকে ৫৬ তম পর্ব রিভিউ করে শেয়ার করার জন্য। আশা করি আমার এই রিভিউ পোস্ট আপনাদের অনেক অনেক ভালো লাগবে।
নাম | হাড় কিপটে |
---|---|
রচনা | বৃন্দাবন দাস |
পরিচালক | সালাউদ্দিন লাভলু |
অভিনয়ে | আমিরুল হক চৌধুরী, চঞ্চল চৌধুরী, বৃন্দাবন দাস, মোশাররফ করিম, আ খ ম হাসান, শামীম জামান, শাহনাজ খুশি সহ আরো অনেকে। |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | আঞ্চলিক বাংলা |
ধরণ | কমেডি,ড্রামা |
পর্বের সংখ্যা | ১০৫ |
রিভিউ | ৫৬ তম পর্ব |
দৈর্ঘ্য | ১৮ মিনিট |
প্ল্যাটফর্ম | ইউটিউব @cdchoicedrama চ্যানেল |
চরিত্রেঃ
- মোশাররফ করিম (গোল্লা)
- আমিরুল হক চৌধুরীর (নজর আলী)
- চঞ্চল চৌধুরী (বহর আলী)
- বৃন্দাবন দাস (ভূপেন) সহ আরো অনেকে
নজর আলী কৃপণ চেয়েছিল যে ছোট ছেলের প্রেমিকার বাবাকে সে অপমান করেছে। এরপর থেকে ছোট ছেলের প্রেম ভালবাসায় ফাটল ধরেছে। রেশমার বাবা জাব্বার আর তার মেয়েকে নজর আলীর ছেলের সাথে দেখা করতে দেয় না। এতে নজর আলী কৃপণ মনে করেন সে সাকসেস হয়েছে, ছোট ছেলের প্রেম নষ্ট করতে পেরে। এবার বড় ছেলের প্রেম কিভাবে নষ্ট করা যায় সেই চিন্তা নিয়ে মেজো ছেলের সাথে চিন্তা করায় ব্যস্ত। এরপর মেজো ছেলেকে সাথে নিয়ে চলছিল বড় ছেলের প্রেমিকা অর্থাৎ চুমকির বাবার বাড়ির দিকে। কিভাবে চুমকির বাবাকে অপমান করা যায়। চুমকির বাবাকে অপমান করলে হয়তো চুমকিও তার বড় ছেলের সাথে আর প্রেম করবে না। তখন তাহলে তার দুই কুলাঙ্গার ছেলের প্রেম ধ্বংস হবে এবং তার মনে শক্তি ফিরে আসবে। এমন চিন্তা নিয়ে যখন পথে বের হয় হঠাৎ চুমকির সাথে তার দেখা হল। কিন্তু দেখা গেল চুমকি উল্টা বুদ্ধি পাকিয়ে বসে রয়েছে। চুমকি বুদ্ধিটা ছিল নজর আলী রিপনের বড় ছেলের হাত ধরে সে পালিয়ে যাবে আর এদিকে পুলিশের কাছে একটা কেস দিয়ে যাবে নারী অপহরণের কেস। আর সেই কেসে ফাসবে নজর আলী কৃপণ। এতে তার ভীতি মাটি সব ধ্বংস হয়ে যাবে। এমন বিষয়টা যখন নজর আলী কৃপণের সামনে চুমকি হাসার ছলে বলছিল, তখন নজর আলী কৃপণ বেশ ভয় পেয়ে যায়। সে দেখল এত সাংঘাতিক মেয়ে। ছোটটা কি কোনো রকম অপমান করে দূর করা গেছে কিন্তু বড়টা তো অন্যরকম বুদ্ধি তৈরি করেছে। তাই সেই চিন্তায় আবারো মেজো ছেলের সাথে নতুন যুক্তি সলাপরামর্শ শুরু করেছে কি করা যায়।
এদিকে মিলন গোল্লার সাথে খারাপ ব্যবহার করে বেশ একটা ফন্দির মধ্যে পড়ে গেছে। যখন তখন গোল্লা তার মুখ থেকে দুলাভাই ডাক শুনতে চাই। মিলন এক দিকে গুল্লার হাতে মাইর খাওয়ার ভয়ে দুলাভাই ডাক ডাকে আর একদিকে শিবানী যখন তখন মিলনকে এই বিষয় নিয়ে বকাঝকা করতে থাকে। তাই মিলন পড়ে যায় বেশ বিভ্রান্তির মধ্যে। হঠাৎ করে গোল্লা যখন শিবানীদের বাড়িতে এসে মিলনকে দুলাভাই ডাকতে বলতে থাকে। তখন শিবানি বেশি রেগে যায়। গোল্লার বিভিন্ন রকম আবোল-তাবোল কথা শিবানী আর সহ্য করতে না পেরে একপর্যায়ে ঝাঁটা দিয়ে গোল্লাকে তাড়াতে থাকে। আর শিবানীর হাতে মার খাওয়ার ভয়ে গোল্লাও পালিয়ে যায়। এখানে মিলন কিছুটা স্বস্তি পায়। শিবানী মিলনের উপর ভরসা করেছিল পরে দেখা গেল শিবানী নিজেই গোল্লার সাথে অ্যাকশন নিচ্ছে।
অনেকদিন নহরের সাথে রেশমার দেখা হয় না। তাই রেশমা খাওয়া-দাওয়া অনেকটা কমিয়ে দিয়েছে মন ভালো থাকে না ঘরের মধ্যে বসে কান্না করে। তার এমন অবস্থা দেখে বাবা বুঝতে পারে মেয়ের মনের দুঃখ। তাই জব্বার আলী তার মেয়েকে বলে আমি কি অন্যায় করেছি ছেলেটাকে অপমান করে। কিন্তু দেখা যায় রেশমাতার বাবার কোন ভুল ধরে না। সে বলে তার বাবা যা করেছে ভালো করেছে। কিন্তু দেখা যায় মন প্রাণ দিয়ে সে নহরকে ভালোবাসে। একদিকে বাবার কথা ফেলতে পারে না আরেকদিকে প্রেমিক কেউ ফেলতে পারেনা। তাই এই মুহূর্তে তার বাবা কি করবে বুঝে উঠতে পারছে না তাই মেয়েকে প্রশ্ন করে। কিন্তু তার মেয়ে একটা কথাই বলে এই বিষয় নিয়ে আর যেন তার কাছে কথা না বলে।
মেজো ছেলে বহরের সাথে বুদ্ধি তৈরি করে যখন কোন কাজ হলো না তখন নজর আলী কৃপণ তার স্ত্রী কমলা বানুরের কাছে আসলো এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করতে। কারণ বহর বারবার শুধু তার ভুল ধরছে। মায়ের কথা শুনে কৃপণের বুদ্ধি হ্রাস পেয়েছে। এমনটাই মেজো ছেলে বাবাকে দোষারোপ করতে থাকে। কিন্তু কমলাবান এর কাছে যখন নজর আলী কৃপণ যে সবকিছু খুলে বলে। তখন এক কথায় কমলাবানো তাকে নিশ্চিত করে দেয় বলে যে তার ছেলের পক্ষে কখনোই সম্ভব না লোকের মেয়েকে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করবে। সে যেন এই বিষয়ে নিশ্চিত থাকে এবং নাকে তেল দিয়ে ঘুমায়। এমন পরামর্শটা শোনার পর নজর আলী কিছুটা স্বস্তি পায়। কিন্তু তার এই বিষয়টা মেজো ছেলে ভুল করেও বিশ্বাস করতে পারছে। কারণ সে মনে করছে তার মায়ের ষড়যন্ত্র রয়েছে বাবাকে মিথ্যে বলে নিশ্চিন্তে থাকতে দিয়ে মাও ছেলেকে বিয়ে করিয়ে আনবে।
এদিকে ফরহাদ তার দোকান নিয়ে কৃপণতা আর মানুষের সাথে খারাপ আচরণের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। তাই ছোট ভাই মজনুর বন্ধুরা মিলে একটা যুক্তি তৈরি করেছে কিভাবে মিথ্যা মামলা দেওয়ার নাম করে তার কাছ থেকে টাকা বের করতে। মিলনকে কাছে পেয়ে মিলনের সাথে সুন্দর একটা ফোন দিয়ে সৃষ্টি করেছে মজনু আর মজনুর বন্ধুরা। হঠাৎ দোকান চালানোর মুহূর্তে মিলন ম্যাজিস্ট্রেট সেজে ফরহাদের দোকানে আসে। চিনির মধ্যে লব। আরো বিভিন্ন দ্রব্যের মধ্যে ভেজাল এই সমস্ত কথা বলে তাকে জেলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেখায়। পরবর্তীতে এক হাজার টাকা জরিমানা করে দোকান কাছ থেকে বিদায় হওয়ার মুহূর্তে হঠাৎ গোল্লায় এসে উপস্থিত হয়। গোল্লা এসে বলা শুরু করে মিলন কি করছে। আসলে ফরহাদ মিলনকে চিনতো না। এরপর যখন গোল্লার মুখ থেকে বিস্তারিত জানতে পারলেও একটা চিটার ঠকবাজ। তখন ফরহাদ ক্ষেপে গেল। ফরহাদের কাছে মিলনে সে এক হাজার টাকা ম্যাজিস্ট্রেট সেজে নিয়ে যাবে এটাকে মগের মুল্লুক। আর ঠিক এমনই মুহূর্তে এই পর্বের সমাপ্তি আসে।
আমরা হাড় কিপটে নাটকের অনেক পর্ব ইতোমধ্যে দেখেছি। প্রত্যেকটা পর্বে আমরা কমবেশি আনন্দ উপলব্ধি করেছি। এখানে খুব নিখুঁতভাবে অভিনয় করে থাকে গোল্লা গোল্লার মামাতো ছোট ভাই মেজ ভাই এবং মামা। ঠিক এ পর্বে আমার প্রথম দিকে লক্ষ্য করে দেখেছি, নজর আলী কৃপণ এবং তার হাতিয়ার ছেলে বহরের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়, একপর্যায়ে আমরা লক্ষ্য করে থাকি নজর আলী তার জমি জমা রক্ষার্থে নিজের বউয়ের কাছে অনেক কাকুতি মিনতি করে। কারণ রেশমার মতো চুমকি কেউ কাঁদানোর চেষ্টা করতে গিয়ে সে ব্যর্থ হয়। উল্টা চুমকি তাকে হুমকি দিয়েছে এবং সর্বস্বান্ত করে দেওয়ার জাল পাকিয়েছে সে বিষয়টা তুলে ধরে। এখানে নজর আলী বুঝে গেছে তার বড় কুলাঙ্গার ছেলে নিজের কথা কখনোই শুনবে না, পরে মেয়ের কথা শুনবে। তাই এখন একমাত্র সম্বল তার স্ত্রী। এদিকে দেখা যায় গোল্লা সুযোগ বুঝে মিলনকে দিয়ে দুলাভাই ডাক শুনে নেয়। এতে শিবানী খুব রেগে যায়। এছাড়াও মজনু তার বড় ভাইয়ের দোকান থেকে টাকা বের করার জন্য মিলনকে ব্যবহার করে ম্যাজিস্ট্রেট সাজায় এবং ১ হাজার টাকা দোকান থেকে হাতিয়ে নেয়। হয়তো আগামীতে আমরা এর বিশেষ কোনো প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করব। দুইটা বিষয় আমাদের সামনে অবশ্যই আসবে যা ফরহাদের অ্যাকশন এবং চুমকির বিষয়টা। তবে এই অভিনয়ের মধ্যে আমরা সবচেয়ে আনন্দ পেয়েছি কৃপণের দুর্বলতা দেখে। যে মানুষ কোনদিন দুর্বল হতে চায় না আজ সে তার বউয়ের কাছে দুর্বল হয়েছে জমি জায়গা হারানোর ভয়ে। তাই বলতে পারি হারকিপটে নাটকের প্রত্যেকটা পর্বে রয়েছে হাসি আনন্দ এবং ভালোলাগার অভিনয়। আর প্রত্যেক অভিনেতায় খুব সুন্দর ভাবে তাদের অভিনয় গুলো তুলে ধরেন কথার ছলে। কথাগুলো যেমন আনন্দদায়ক তাদের অঙ্গভঙ্গি গুলাও যেন সামঞ্জস্যপূর্ণ আনন্দদায়ক।
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন নাটক রিভিউতে, ততক্ষণ ভালো থাকুন। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
হাড় কিপটে নাটকের ৫৬তম পর্বের রিভিউ টা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে পড়তে। একে একে আপনি এই নাটকের প্রত্যেকটা পর্বের রিভিউ আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর করে শেয়ার করেছেন। এই নাটকের কাহিনী অনেক সুন্দর। আশা করছি আপনি এই নাটকের ৫৭তম পর্বের রিভিউটা আমাদের মাঝে তাড়াতাড়ি শেয়ার করে নিবেন।
হ্যাঁ নাটকের কাহিনী কথাবার্তা অঙ্গভঙ্গি অসাধারণ।
এই নাটকটার রিভিউ সম্পূর্ণ পড়ে খুব ভালো লাগলো আমার কাছে। সময়ের কারণে যদিও নাটক খুব একটা দেখা হয় না, তবে রিভিউর মাধ্যমে নাটকের রিভিউ পোস্ট পড়ার জন্য চেষ্টা করি। এই নাটকের কাহিনীটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। তাই আমি ভাবছি সময় পেলেই নাটকটা আমি দেখবো। আশা করছি আপনি প্রতিনিয়ত এরকম সুন্দর সুন্দর নাটকগুলো রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করে যাবেন। অনেক ধন্যবাদ এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাই সময় সুযোগ করে দিবেন
হাড় কিপটে নাটকের রিভিউটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। এই নাটকটি আমি দেখেছি খুব মজার এবং অনেক হাসির।আগের পর্বগুলো পড়া হয়নি।হাড় কিপটে নাটকটি আনন্দের জন্য বেশ কয়েকবার দেখা হয়েছে।এ ধরনের নাটকগুলো অনেক সুন্দর এবং পরিবার নিয়ে দেখার মত। পরবর্তী পর্বের আশায় রইলাম। অনেক ধন্যবাদ নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
মন ভালো রাখার অন্যতম নাটক এইটা
আপনি খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ পোস্ট শেয়ার করেছেন।নাটকের কাহিনী পড়ে দেখার আগ্রহ বেড়ে গেল।সময় করে নাটকটি দেখে নিব।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু দেখবেন আনন্দ পাবেন
নাটকটি তো বেশ মজার। যদিও এর আগের পর্বগুলো আমার পড়া হয়নি। এই পর্বটি পড়ে বেশ মজা পেলাম। নাটক রিভিউ গুলো পড়তে বেশ ভালো লাগে কম সময়ে সম্পূর্ণ নাটকের কাহিনী জেনে নেওয়া যায়। বেশ দারুণভাবে উপস্থাপনা করে নাটক রিভিউটি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আশা করব নাটকটা দেখবেন।