আজ - বৃহস্পতিবার
২৬ বৈশাখ,১৪৩০ বঙ্গাব্দ
০৯ মে,২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আপনাকে স্বাগতম |
হ্যালো বন্ধুরা,
আমি জানি অজ্ঞ অজ্ঞ বিশেষজ্ঞরা আমার টাইটেলের ভুল ধরার জন্য প্রস্তুত। চা কেউ খায় না, পান করে। আরে ভাই কোন কিছু খেলেও যেখানে যায়, পান করলেও সেখানে যায়। কথাটা কি এবার বুঝে আসে নাই? ভুল ত্রুটি হলে আগেই মাফ চায়। আছি বড় দুশ্চিন্তায়, বউ যেহেতু বাড়িতে নাই। তাই নিজেই যখন চা তৈরি করতে হয়, পড়তে হয় বেশ ঝামেলায়। প্রচন্ড সর্দি কাশির ঝামেলায় যখন কাশে গলা আটকে যায়, যদিও থাকি অলসতাই তবুও চা তৈরি করতে হয়। কারণ এই মুহূর্তে বউ কাছে নাই। তাহলে চলুন আর দেরি না করে এখনি ঝটপট চা বানাই।
রেসিপি বানানোর উপাদান সমূহ: |
ক্রমিক নম্বর | উপাদান | পরিমান |
১. | Tea | ১ পিস |
২. | আখের গুড় | এক চামচ |
৩. | গরম পানি | এক কাপের তিন ভাগের দুই ভাগ |
সকাল সকাল চা গরম
ওয়াটার পট ছিল ময়লায় পরিপূর্ণ। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে হয়ে গেলাম ধন্য। অবশ্য পরিষ্কার করেছি চা বানানোর জন্য। টিউবয়েল থেকে আনলাম ঠান্ডা জল, ওয়াটার পটের মধ্যে রেখে কারেন্টে দিয়ে বললাম এবার গরম হতে চল। কিছু সময়ের মধ্যে পেয়ে গেলাম ফুটন্ত গরম জল।
এরপর বিশুদ্ধ পানি দিয়ে একটি গ্লাস ও একটি চামচ ধুয়ে আনলাম। এরপর সেগুলো রাখলাম আমার রুমের টেবিলের উপর।
এরপর দেশ বিখ্যাত তাহেরি কাকার কথা মনে করলাম "ঢেলে দেয়" তবে এটা তো চা নয়, এটা ছিল গরম জল। আর এভাবেই গরম জল কাপের মধ্যে ঢালতে থাকলাম। মনে মনে অনুসরণ করলাম কতই না ঝামেলার একটা কাজ। বউ আমার খুব সহজেই রেডি করে এনে দেয় গো!
এরপর কাপের গরম জলের মধ্যে দেশ বিখ্যাত এক নাম করা কোম্পানির রেডিমেট টি চুবড়াতে থাকলাম। আর এদিকে গরম পানি কালার হতে থাকলো,পুরাই ম্যাজিক।
পরামর্শ দিল ডাক্তার ভাই, চিনি দিয়ে যেন চা তৈরি না করে খায়। তাই চেয়ে দেখলাম রাস্তার, কবে কখন গুড় বিক্রেতা যায়। সুযোগ করে কিনে নিয়েছি ভাই। তাই দেশি আখের গুড় দিয়ে এখন চা বানায়।
এরপর চামচের সহযোগিতায় গ্লাসের মধ্যে গুড় গুলিয়ে নিলাম। বারবার চামচ নাড়তে থাকলাম। একটি পর্যায়ে আখের গুড় গলে গেল।
বেশ কিছুক্ষণ চামচ দিয়ে নাড়ার পর চায়ের খুব সুন্দর কালার আসলো এবং দারুন সেন্ট। একটু অপেক্ষা করলাম পান করার জন্য।
এরপর এই পোস্ট সাজাতে সাজাতে চা পান করতে থাকলাম। একটি মুহূর্তে চা শেষ হয়ে গেল, আমার পোস্ট সাজানো হয়ে গেল। |
আশা করি,আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনি অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে বুঝতে ও শিখতে পেরেছেন। পোস্টটি উপস্থাপনা কেমন ছিল এবং এ বিষয়ে আপনার অনুভূতি কেমন আমাকে জানাতে ভুলবেন না। আশা করি কেউ পোস্ট নিয়ে ভুল বুঝবেন না। একটু ভিন্ন ধরনের সাজানোর চেষ্টা। সকলকে আনন্দ দেওয়ার জন্য। আশা করব আপনারা ছন্দে ছন্দে সুন্দর করে কমেন্ট করবেন। |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোষ্টে,ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমাদের ভাবি বাসায় না থাকায় আপনি আখের গুড় দিয়ে চা রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি চা রেসিপি টি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আপনি খুবই সুন্দর করে চা রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন।তবে, এখন পর্যন্ত আখের গুড় দিয়ে চা খাওয়া হয়নি। আপনার তৈরি করা আখের গুড় দিয়ে চা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল।
আমার চা তৈরি আপনার ভালো লেগেছে যেন খুশি হলাম
জলকেও পান করা বলতে হয় কিন্তুু আমরা সচারাচর জল খাবো বলে থাকি।আসলে প্রচলিত ভাষার উপরে আর কিছু হবে পারে না।যাইহোক আপনার চা তৈরি পদ্ধতি কিন্তুু ভীষণ সুন্দর হয়েছে ভাইয়া।ভাবির অভাবটা বুঝতে পেরেছেন তাহলে চা বানানোর সময় হাহা।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর চা তৈরি পদ্ধতি আমাদের সাথে ভাগ করার জন্য। চা পান করতে করতে পোস্ট সাজিয়ে নিয়েছেন এবং চা শেষ পোস্ট তৈরি শেষ জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
হ্যাঁ সেটাই তো জানি তবুও বলাবলির সৌন্দর্য বজায় রাখলাম ভুল জেনেও
ঘরে যেহেতো ইলেক্ট্রনিক জগ আছে। চা বানাতে অলসতা করে লাভ কি। আসলে মাঝে মাঝে চা খেলে মনটা ফ্রেশ হয়ে যায়। অনেক্ষন কাজ করার পরে এক কাপ চা খেলে মনের ভিতরে আলাদা একটা এনার্জি আসে। গুড়ের চা খেয়েছেন,এই জন্য ধন্যবাদ জানাই। ধন্যবাদ।
একদম ঠিক বলেছেন আপনি
কাজের ফাঁকে এক কাপ চা হলে অনেক ভালো লাগে। বাড়িতে যদিও ভাবি নেই,কিন্তুু আপনি নিজেই চা তৈরী করে নিলেন। গুড়ের চা স্বাস্থের জন্য অনেক ভালো। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাই ডাক্তারের এই পরামর্শ দিয়েছেন।