সিলেটের মজাদার আখনি বিরিয়ানির রেসিপি, 10% beneficiary to @shy-fox
আসসালামুআলাইকুম
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি সিলেটের মজাদার আখনি বিরিয়ানির রেসিপি নিয়ে। এটি সিলেটের ঐতিহ্যবাহী একটি রেসিপি।খুবই মজাদার এই রেসিপি টি, ছোট বড় সকলেরই অনেক পছন্দের।এই রেসিপিটি আমি sheep এর মাংস দিয়ে তৈরি করেছি।যেকোন মাংস দিয়েই এই রেসিপিটা করা যায়, তবে আমার কাছে sheep অথবা গরুর মাংস দিয়ে রান্না করলেই বেশি মজা লাগে।তবে ইংল্যান্ডের মুসলিমরা cow থেকে বেশি sheep এর মাংস পছন্দ করে।আমার বাচ্চারা গরুর মাংস পছন্দ করে না তাই সবসময় বাসায় sheep এর মাংসই বেশি খাওয়া হয়। আর এখানে আমি বাসায় রেগুলার যে চাল খেয়ে থাকি সেই চাল ইউজ করেছি। আমি এখানে টিলডা বাসমতি চাল ব্যবহার করছি।আশা করি আমার রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে ।চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূলপর্বে।
চলুন দেখে নেয়া যাক রেসিপিটা তৈরি করতে আমাদের কি কি উপকরণ এবং কতটুকু পরিমান লাগবে।
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
চাল | দেড় কেজি |
মাংস | দুই কেজি |
পিঁয়াজ কুচি | ৩ কাপ |
কাঁচা মরিচ কাটা | ৪/৫ টি |
আস্ত কাঁচা মরিচ | ৫/৬ টি |
আখনির মসলা | দেড় টেবিল চামচ |
তরল দুধ | দেড় কাপ |
আলু বুখারা | ৬/৭ টা |
কারিপাউডার | ২ টেবিল চামচ |
জিরা গুঁড়া | ১ টেবিল চামচ |
ধনে গুঁড়া | ১ টেবিল চামচ |
আদা রসুন পেষ্ট | দেড় টেবিল চামচ |
লবন | পরিমান মত |
ঘি | দেড় টেবিল চামচ |
সয়াবিন তেল | তিন টেবিল চামচ |
দারচিনি | ৫/৬ টি |
এলাচ | ৫/৬ টি |
তেজপাতা | ৪/৫ পিচ |
গোল মরিচ | ৪/৫ টি |
কার্যপদ্ধতিঃ
আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে আমার এই রন্ধনপ্রণালী টি দুটি ভাগে ভাগ করেছি।
ধাপঃ ১
প্রথমে চালগুলো ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝরানোর জন্য রেখে দিয়েছি।
এরপর পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচ কেটে নিয়েছি এবং মাংসগুলো ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি।
এরপর একটি হাঁড়িতে তেল গরম করে তাতে আদা রসুন পেস্ট দিয়ে দিয়েছি। এরপর পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ ও লবণ দিয়ে নেড়ে মাংস গুলো দিয়ে দিয়েছি।
এরপর গরম মসলা গুলো দিয়ে ফুল আঁচে আট দশ মিনিট রেখে দিয়েছি। এরপর পেঁয়াজ সিদ্ধ হয়ে গেলে সব মশলা গুলো দিয়ে ভালভাবে নেড়ে তরল দুধ দিয়ে মিডিয়াম আঁচে ৭/৮ মিনিট রেখে দিয়েছি। মাংস রেডি হয়ে গেলো, প্রথম ধাপ শেষ।
শেষ ধাপঃ
প্রথমেই হাঁড়িতে তেল গরম করে তাতে ঘি দিয়ে আদা রসুন পেস্ট দিয়ে দিয়েছি।
এরপর তেজপাতা ও দারচিনি দিয়ে চালগুলো দিয়ে দিয়েছি, সাথে আলু বোখারাও দিয়ে দিয়েছি।
এরপর মাংশগুলো দিয়ে চালের সাথে ভালোভাবে মাখিয়ে নিয়েছি।
এরপর পরিমাণমতো গরম পানি অ্যাড করেছি। এরপর মিডিয়াম আঁচে ৫/৬মিনিটে রেখে দিয়ে চুলার আঁচ একেবারে কমিয়ে আরো ৪/৫ মিনিট রেখে দিয়েছি।
হয়ে গেল আমার মজাদার আখনি বিরিয়ানি।
পরিবেশনের জন্য এনেছি।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। সিলেটে যখন থাকতাম তখন মাঝে মধ্যে মজাদার আখনি বিরিয়ানি খাওয়া হতো বেশি। সেই সময় গুলো ভিশন মিস্ করি। এমনিতেই বিরিয়ানি আমার ভিশন পছন্দের একটা খাবার। বিরিয়ানি দেখলে জিহ্বা দিয়ে পানি চলে আসে এমনিতেই।আখনি বিরিয়ানির রেসিপি প্রসেস সমূহ প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খুবই সহজভাবে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। দোয়া এবং শুভকামনা রইলো আপু আপনার জন্য।
সিলেটের মজাদার আখনি বিরিয়ানির রেসিপি আপনি অনেক সুন্দর ভাবে তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। সত্যি বলতে আপনার রেসিপি তৈরি দেখে আমার জিভে জল চলে এসেছে আপু। এমনিতে বিরানি খেতে আমি অনেক পছন্দ করি। ঠিক বলেছেন আপু আপনি ছোট বড় সকলেই খেতে অনেক পছন্দ করে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমি অনেকের কাছ থেকে শুনেছি সিলেটের আঞ্চলিক এই খাবারটি খুব সুস্বাদু । কিন্তু কখনো খাওয়া হয়নি, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য। আমি এখন আখনি বিরিয়ানির বাসায় তৈরি করতে পারব আপনার পোস্ট দেখে।
আপু আপনার বিরিয়ানির রেসিপি দেখে জিভে জল চলে আসলো। ইচ্ছে করছে এক্ষুনি গিয়ে খেয়ে ফেলি। সিলেটের আখনি বিরিয়ানি প্রথম দেদেখলা।মআগে কখনো দেখিনি। মনে হয় অনেক মজা এই বিরিয়ানি গুলো খেতে দেখেই বুঝা যাচ্ছে। আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার বিরিয়ানি। বিরিয়ানি যতই খাই ততই ভালো লাগে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
সিলেটের মজাদার আখনি বিরিয়ানির রেসিপি দেখে অনেক মজাদার মনে হচ্ছে। এই বিরিয়ানি রেসিপি আমি কখনো খাইনি। তবে আজকে আপনার রেসিপি পরিবেশন দেখে শিখতে পারলাম। আপনি খুবই সুন্দরভাবে ধাপে ধাপে পরিবেশন করেছেন। তাই খুব সহজেই শিখে নিলাম। পরবর্তীতে তৈরি করবে ইনশাল্লাহ।
এ যেনো সত্যি মজাদার এক বিরিয়ানি। তবে এই নাম আজ প্রথম শুনলাম। ভেড়ার মাংস এখনো খাওয়া হয়নি তাই এর স্বাদ ও জানিনা। তবে রেসিপিটি শিখে রাখলাম। একদিন আমি চেস্টা করবই করবো।
নতুন ধরনের এক বিরিয়ানির নাম শুনলাম। এর পূর্বে কখনো এভাবে প্রস্তুত করা হয়নি খাওয়াও হয়নি।। তবে আপনার প্রস্তুত প্রণালী খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করলাম।। বাসায় একবার ট্রাই করে দেখতে হবে।। তবে আপনার প্রস্তুত প্রণালী পড়ে এতটুকুনি বুঝতে পারলাম যে খেতে খুবই খুবই সুস্বাদু হবে।। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।।
ওয়াও আপু এটা কি দেখালেন একেবারে তো সহ্য করতে পারছি না মনে হচ্ছে এক্ষুনি না খেতে পারলে ভালোই লাগবে না। সিলেটের এই বিখ্যাত বিরিয়ানি আপনি এত চমৎকারভাবে রান্না করেছেন যে উপকরণের আইটেম দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে এত ধরনের মসলার ব্যবহার করেছেন যে খাওয়ার আগ্রহ বেড়ে গেছে। কিন্তু খেতে তো পারবো না তাই শিখে নিলাম।
সিলেটের মজাদার আখনি বিরিয়ানির রেসিপি এই প্রথমবারের মতো দেখলাম। দেখে তো লোভ সামলানো মুশকিল খেতে ইচ্ছা করছে। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো