তৌহিদা আপুর সাথে রেস্টুরেন্টে খাওয়াদাওয়া
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে রেস্টুরেন্টের সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করবো। কিছুদিন আগে তৌহিদা আপুর বাসায় গিয়েছিলাম। দুইদিন ছিলাম ওদের বাসায়। কখনো গিয়ে থাকা হয়না। সকালে গিয়ে রাতে চলে আসা হয়। এখন যেহেতু বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ তাই ভাবলাম একদিন গিয়ে থেকে আসি। এবার অবশ্য বাবার বাসায় যাওয়া হয়নি। কারণ আম্মার আসার কথা ছিল। আম্মা আর আসলো না। মাঝখান দিয়ে আমাদের যাওয়াটা মিস হয়ে গেল। এখন আর যাওয়ার সময় নেই। বাচ্চাদের স্কুল খুলে গিয়েছে। তাদেরকে স্কুলে দিলে এই এক সমস্যা। তাদের স্কুলের নিয়মমাফিক চলতে হয়। কখন স্কুল ছুটি হবে তখনই এদিক সেদিক যাওয়া যায়। যেহেতু তৌহিদা আপুর বাসায় থাকা হয় না তাই একসঙ্গে কখনো রেস্টুরেন্টে যাওয়া হয় না। সেদিন ছিলাম তাই ভাবলাম যে একদিন রেস্টুরেন্টে গিয়ে সবাই মিলে বেশ মজা করে খাওয়া দাওয়া করে আসি। বাচ্চারা তো রেস্টুরেন্টের কথা শুনলেই খুশিতে লাফালাফি শুরু করে দেয়।
বেইলিরোড তো রেস্টুরেন্টের সমারোহ। এখানে এমন কোন রেস্টুরেন্ট বা দোকান আছে যে তা নেই। কোন রেস্টুরেন্টে যাবো প্রথমে তাই ঠিক করছিলাম। প্রথম ভেবেছিলাম যে দূরের কোন রেস্টুরেন্টে যাবো। পরে ভাবলাম যে রাতের বেলায় বাচ্চাদের নিয়ে কাছাকাছি যাই। শীতের রাত তাই বেইলি রোডের ফুডকোর্টে চলে গিয়েছিলাম। এখানে বিশাল বড় ফুডকোর্ট রয়েছে। অনেক ধরনের দোকান। যেখানে পছন্দ সেখান থেকে খাবার কিনে খেতে পারবেন। শুরুতে গিয়ে আমরা বসে বিভিন্ন দোকানে মেন্যু দেখছিলাম যে কি অর্ডার করবো।
আমরা জানালার পাশে একটি টেবিলে বসে ছিলাম। কাচের বিশাল বড় জানালা হওয়ার কারণে নিচের রাস্তা সব দেখা যাচ্ছিল। খুব ভালো লাগছিল দেখতে। তারপর আমরা অনেক চিন্তাভাবনা করে বাচ্চাদের এবং আমাদের পছন্দের খাবার অর্ডার দিলাম। এই ফাকে আমি রেস্টুরেন্টের কয়েকটি ছবি তুললাম। মেইন খাবার আসতে কিছুটা সময় লাগবে। তাই আমরা শুরুতেই সালাদ নিয়ে নিলাম। এখানে বিভিন্ন ধরনের সালাদ পাওয়া যায়। ওজন করে বিক্রি করে। আপনার পছন্দমত খাবার নিয়ে ওজন করে নিলেই হয়। এতে খাবার নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। যে যেটুকু খাবে সেটুকুই নিতে পারবে। এই সিস্টেমটা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।
খেতে খেতে আমাদের মেইন খাবার চলে আসলো। মেইন খাবারে আমরা সেট মেন্যু অর্ডার করেছিলাম। সেখানে একটিতে ছিল ফ্রাইড রাইস, চিকেন ফ্রাই, ভেজিটেবল এবং মেয়োনিজ। অন্যটিতে ছিল ফ্রাইড রাইস, ভেজিটেবল এন্ড তান্দুরি চিকেন। বাচ্চাদের জন্য চিকেন ফ্রাই দিয়েছিলাম। কারণ বাচ্চারা চিকেন ফ্রাই খেতে বেশি পছন্দ করে। আমরা মোট পাঁচ প্লেট অর্ডার দিয়েছিলাম। পরে দেখলাম যে খাবারের পরিমাণ বেশি হয়ে গিয়েছে। এত খাবার খেতে পারছি না।
চারটি প্লেটের খাবার আমরা খেয়েছিলাম। বাকি একটি খেতে না পেরে পার্সেল করে নিয়ে এসেছিলাম। তারপর আমরা কোল্ড্রিংস খেয়ে চলে এসেছি। এই ছিল আমার খাওয়া-দাওয়ার সুন্দর মুহূর্ত। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | I Phone 15 Pro Max |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সত্যিই আপু বাচ্চাদের স্কুল খুলে গেলে তেমন আর বের হওয়া হয় না।আপনি এবার বাবার বাসায় যেতে পারলেন না মা আসবে বলে।যাক বোনের বাসায় বেড়িয়ে ভালো ই করেছেন।বাচ্চাদের নিয়ে রেস্টুরেন্টে খেয়েছেন আর সুন্দর মূহুর্ত কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ জানাচ্ছি সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
বাচ্চাদের স্কুল খোলা মানে মায়েদের আর কোথাও যাওয়া হয় না। তাদের পেছনেই পুরো সময়টা ব্যয় হয়ে যায়। সেই সাথে তৌহিদা আপুর সাথে রেস্টুরেন্টে কাঠানো অনুভূতির সুন্দর কিছু কথা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আসলে শত ব্যস্ততার মাঝেও এরকম কিছু মুহূর্ত কাটানো দরকার। তবেই মনে প্রশান্তি জাগে। তৌহিদা আপুর সাথে কাটানো আপনার অনুভূতিমূলক পোস্টটি ভালই উপভোগ করলাম। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
এক ব্লগারের সাথে আরেক ব্লগার এ দেখা হলে খুবই ভালো লাগে এবং আনন্দঘন মুহূর্ত হয়। কিছুদিন আগে রকি ভাইয়া আমাদের এখানে এসেছিল আর আমরা আশেপাশে যারা ছিলাম সবাই একত্রিত হতে পেরেছিলাম। এর মধ্যে অন্যরকম প্রশান্তি আর আনন্দ ছিল। ঠিক তেমনি তৌহিদা আপুর সাথে একত্রিত হতে পেরেছেন এবং খাওয়া দাওয়া করেছেন সব দিকে খুবই ভালো লাগলো।
স্কুল খুলে যাওয়া মানে মায়েদেরই নাকে নিশ্বাসে অবস্থা হয়ে যায়। আপনাদের রেস্টুরেন্টে সময় কাটানোর কথা শুনে বেশ ভালো লাগলো তবে সব থেকে বেশি অভিনব বলে গেছে ওজন করে স্যালাদ নেওয়াটা। এই সিস্টেমটা কিন্তু খুবই ভালো। এর ফলে খাবার দাবার নষ্ট হওয়ার কোন সম্ভাবনাই থাকে না। পরবর্তী মেন কোর্সের খাবারগুলো কিন্তু বেশ লোভণীয়।
আপনাকে আজকে আপনাদের খাওয়া-দাওয়া করার অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত শেয়ার করেছেন। অনেক মজার মজার খাবার খাওয়া হয়েছিল দেখছি। প্রতিটা খাবার দেখেই বুঝতে পারছি অনেক বেশি মজাদার ছিল। এভাবে সবাই মিলে খেতে খুব ভালো লাগে। যে এক প্লেট খাওয়া হয়নি, তা পার্সেল করে নিয়ে এসে ভালো করেছেন।
তৌহিদা আপুর সাথে রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়ার অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত সবার মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করলেন। প্রতিটা খাবার দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে। প্রতিটা খাবার মজা করে খেয়েছেন। মাঝে মধ্যে এভাবে বাহিরে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করলে অনেক ভালো লাগে।