স্কুল থেকে ঘুরাঘুরি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। বেশ কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। সকালবেলায় স্কুলে যাওয়ার সময় মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হয়। আবার দেখা যায় সকালবেলা বৃষ্টি নেই, কিন্তু রেডি হয়ে বের হব এমন সময় বৃষ্টি শুরু হয়। এ অবস্থায় খুবই ঝামেলা হয়। আগে থেকে বৃষ্টি হলে তাও স্কুলে যাওয়া বাদ দিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু রেডি হওয়ার পর বৃষ্টি শুরু হলে তখন আর স্কুল বাদ দেওয়া যায় না। কারণ বাচ্চারা রাজি হয় না। তারা স্কুলে যেতে খুবই পছন্দ করে। শুধু ঘুম থেকে ওঠার সময় মাঝেমধ্যে ঝামেলা করে। কিন্তু একটানা স্কুল হলে তখন আবার অভ্যাস হয়ে যায়। স্কুল অনেকদিন বন্ধ থাকলেই ঝামেলা করে। ওদের কথা কি আর বলবো আমার নিজেরই সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছা করে না। অনেক কষ্টে উঠে তারপরে যাই। এরকমই এক দিনের ঘোরাঘুরি মুহূর্ত আপনাদের সঙ্গে আজকে শেয়ার করবো।
স্কুলে যাওয়ার পর যদি এরকম মেঘলা ওয়েদার থাকে তাহলে কি আর বসে থাকতে ইচ্ছা করে। স্কুলের ক্যান্টিনে তেমন ভালো চা পাওয়া যায় না। আর যা চা পাওয়া যায় অনেক বেশি চিনি দেয়া থাকে। এজন্য মাঝেমধ্যে আশেপাশের দোকানগুলোতে চা খেতে যাই। আশেপাশে খুব একটা ভালো চা পাওয়া যায় না। কিন্তু এত সময় বসে থাকতে ভালো লাগে না। এজন্য মাঝে মধ্যে একটু হাটাহাটি করতে দূরে যাই। এদিকে রাস্তাগুলো এত সুন্দর যে হাঁটতেও খুবই ভালো লাগে। গাড়ি তেমন একটা থাকে না তার জন্য আরো বেশি ভালো লাগে। যদিও সব রাস্তা এখনো পুরোপুরি কমপ্লিট হয়নি। কিছু কিছু রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। কিন্তু এদিকে সব রাস্তা গুলো হয়ে গেলে আবার আবাসিক হিসেবে খুবই ভালো এলাকা হবে।
যদিও আমার হাঁটাহাঁটি করতে তেমন একটা ভালো লাগে না। খুবই আলসেমি লাগে। কিন্তু বাকিরা যায় তার জন্য বাধ্য হয়ে আমাকেও যেতে হয়। সেদিন জোর করে আমাকে নিয়ে গিয়েছিল অন্যান্য ভাবীরা। কিন্তু কিছুদূর হেঁটে যাওয়ার পর দেখলাম যে রাস্তার সাইডে এরকম ফুল গাছ লাগিয়ে রেখেছে। ছোট ছোট গাছগুলোতে বিভিন্ন কালারের রঙ্গল ফুল ফুটে আছে। এর জন্য রাস্তার সৌন্দর্য মনে হয় আরো কয়েকগুন বেড়ে গিয়েছে।
এদিকে বেশ কিছু লেক রয়েছে। চারপাশে যেদিকেই হাটি সেদিকে লেক দেখা যায়। এগুলো লেক না নদী তা ঠিক জানা নেই। কিছুদূর যাওয়ার পর ব্রিজ থেকে দূরে দেখতে এত ভালো লাগছিল যে তখন এই ছবিগুলো তুলেছিলাম। আকাশের মেঘ দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে কিরকম মেঘলা ওয়েদার ছিল। অনেকদূর হেঁটে দোকানে যাওয়ার পরে গিয়ে দেখলাম যে শুধু রং চা পাওয়া যায়। দুধ চা নেই। আমার তো খুবই রাগ লেগে গিয়েছে দেখে। কারণ আমি রং চা খাই না। দরকার হলে চা খাব না তাও রং চা খেতে পারব না। রং চা খাওয়া আর গরম পানি খাওয়া আমার কাছে একই রকম মনে হয়। কি আর করার অন্যান্য ভাবীরা খেলো আর আমি পাশে বসে ছিলাম। কষ্ট করে শুধু যাওয়াই হয়েছে আমার।
কিন্তু এরকম মেঘলা ওয়েদারে হাঁটতে বেশ ভালোই লাগছিল। যাই হোক এই ছিল আমার ঘোরাঘুরির কিছু মুহূর্ত। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে। ধন্যবাদ সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সত্যি আপু বৃষ্টির দিনে বাইরে গিয়ে ঘুরা ঘুরি করতে অনেক ভালো লাগে।
সেদিন আসলেই বেশ ভালোই ঘোরাফেরা করেছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন দেখছি। স্কুল থেকে মাঝেমধ্যে এভাবেই ঘুরাঘুরি করে ভালোই করেন। না হলে তো এরকম ভাবে বসে থাকতে ভালোই লাগে না। এই জায়গাটা অনেক বেশি সুন্দর। দেখেই তো মনটা একেবারে ভালো হয়ে গেলো। কষ্ট করে শুধু গিয়েছেন। কিন্তু খেতে পারেন নি শুনে খারাপ লাগলো।
সময় কাটানোর জন্য মাঝেমধ্যে এরকম ঘোরাফেরা করি। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
আপনি তো দেখছি এখন মাঝেমধ্যেই ঘুরাঘুরি করেন স্কুল থেকে। এরকম পরিবেশে গেলে অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটানো যায়। আর মনটাও খুব ভালো হয়ে যায় এরকম জায়গাগুলোতে গেলে। এত সময় ধরে স্কুলে বসে না থেকে একটু বাহিরে আসলেই ভালো। অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত আপনি শেয়ার করেছেন এটা দেখে ভালো লেগেছে।
জি ভাইয়া কি আর করব এত সময় বসে থাকতে ভালো লাগে না। তাই বাইরে ঘোরাঘুরি করি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
এখন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফুল বাগানের চিত্র দেখা যায়। সবাই চাই তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটা যেন সুন্দর দেখা যায়। সেজন্য ফুলের পাশাপাশি বিভিন্ন ফলের গাছও লাগিয়ে থাকে। আপনার ফটোগ্রাফির পাশাপাশি বর্ণনা দারুন ছিল।