ঈদের দিনে ঘোরাঘুরি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে গেলে ঈদের দিন কোথাও খুব একটা যাওয়া হয় না। বাড়িতেই সময় কাটানো হয়। ঈদের পরদিন ননদের শ্বশুরবাড়ি যাওয়া হয়। অনেক আগে থেকেই এরকমই চলে আসছে। ঈদের পরের দিন ওদের বাড়িতে যেতেই হয়। আমিও যাওয়ার জন্য রাজি থাকি। কারণ ঈদের সময় ঘোরাঘুরি না করলে খুব একটা ভালো লাগে না। এবার ঈদের পরের দিন আমার মামাতো ননদের বিয়ে থাকার কারণে যাওয়া হবে না জন্য ঈদের দিনই ননদের শ্বশুরবাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিলাম। যদিও ওরা দুপুরবেলা যেতে বলেছিল। কিন্তু আমার শাশুড়ি আবার দুপুরবেলা খাওয়া দাওয়া না করে যেতে দিচ্ছিলো না। তাই আমরা দুপুরের পরপরই রওনা দিয়েছিলাম।
এবার ওয়েদারটা বেশ ভালোই ছিল। বিশেষ করে রাতের বেলায় খুব ঠান্ডা। দিনের বেলা খুব একটা গরম ছিল না। এজন্য ঘুরাঘুরি করে খুব আরাম পেয়েছিলাম। তাছাড়া আমাদের শশুর বাড়ি থেকে ননদের শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথের রাস্তাটা খুব ভালো লাগে আমার কাছে। দুই পাশ দিয়ে সুন্দর গাছ এবং সবুজ ধান ক্ষেত দেখতে কার না ভালো লাগে। যেদিকেই তাকানো যায় সেদিকে সবুজ আর সবুজ। তাছাড়া এখন সব জমিতে কচি ধান রয়েছে। এজন্য আরো ভালো লাগে দেখতে। আগে বেশিরভাগ সময় মোটরসাইকেলে করে যাওয়া হত। তখন মোটরসাইকেলে করে এরকম রাস্তা দিয়ে যেতে যে কি ভালো লাগেতো বলে বোঝাতে পারবো না।
সুন্দর প্রকৃতি দেখতে দেখতে আমরা বিকেলের দিকেই পৌঁছে গেলাম ননদের বাসায়। ননদের বাসার পাশেই আমার হাজবেন্ডের এক কলিগের বাসা ছিলো। যাওয়ার আগে তাদের সঙ্গে দেখা করে গেলাম। তারপর ননদের বাসায় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ননদ আমাদেরকে চটপটি খেতে দিলো। বেশ মজাই হয়েছিল খেতে। এমনিতে ঈদের দিন টুকটাক খাওয়া-দাওয়া করতে করতে পেট ভর্তি হয়ে যায়। আমরা নাস্তা খেয়ে চলে আসতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ননদ রাতের খাবার না খেয়ে আসতে দিল না। খাবারের ছবি তুলতে অবশ্য ভুলে গিয়েছিলাম। কোথাও গিয়ে গল্প করতে গেলে ছবি তোলার কথাই ভুলে যাই ইদানিং। যাইহোক রাতের বেলায় ননদ রোস্ট, ডিম, মাংস, পোলাও আরো অনেক কিছু খেতে দিলো। সেগুলো খাওয়া-দাওয়া করে আমরা আবার রওনা দিলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে।
আমরা যখন ওদের বাড়ি থেকে রওনা দিলাম তখন অনেকে রাত হয়ে গিয়েছিলো।রাস্তাঘাট মোটামুটি ফাঁকাই ছিলো। রাতের বেলা এই রাস্তাটি কেমন ভুতুড়ে লাগছিলো। কিন্তু আবার দেখতে ভালোই লাগছিলো।
যাই হোক এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
ঈদের সময় আত্মীয়দের বাড়িতে যাওয়ার আনন্দটাই সব থেকে আলাদা হয়। কোথাও যদি না যাওয়া হয় তাহলে তো একেবারে ভালোই লাগে না। ঈদের পরের দিন বিয়ের অনুষ্ঠান থাকায়, ঈদের দিন ননদের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে ভালোই করেছেন। বুঝতেই পারছি ননদের শ্বশুরবাড়ি গিয়ে ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলেন। ঈদের পরের দিনও নিশ্চয়ই ভালো সময় কাটিয়ে ছিলেন মামাতো ননদের বিয়েতে। আপনার ননদ কিন্তু বেশ ভালোই খাবারের আয়োজন করেছিল আপনাদের জন্য। আমার নিজের সাথেও কিন্তু এরকম হয়। কোথাও গেলে আড্ডা দিলে আর ফটোগ্রাফি করার জন্য মনে থাকে না।
ঠিক বলেছেন আপু ঈদের দিন ঘরে বসে থাকতে কেমন যেন লাগে। তাই তো ঘুরতে গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
এবার আবহাওয়া এত সুন্দর ছিল ঈদের মুহূর্তে যে ধীরেসুসতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়িয়েছে সেই ঈদের আনন্দ উপভোগ করেছে। ভালো লাগলো আপনার এই ঘুরাঘুরি মুহূর্ত এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের সুন্দর ফটোগুলো। একদম ফসলের মাঠ সহ বিভিন্ন ফটো শেয়ার করেছেন। খুবই ভালো লাগলো আপনার এই মুহূর্ত জানতে পেরে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এবার ঈদে আবহাওয়া খুবই সুন্দর ছিল। কোরবানি ঈদে যে কি হবে তাই চিন্তা করছি। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
ঈদের দিন দেখছি ননদের শ্বশুর বাড়ি গিয়ে ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলেন আপনি। দুপুরবেলায় খেয়ে গিয়েছিলেন তারপর ওনার শশুর বাড়িতে গিয়ে নাস্তা করে অনেক ভালোই আড্ডা দিয়েছেন। গ্রামের এরকম প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। প্রত্যেক বছরে আপনারা ওনাদের বাড়িতে গিয়ে থাকেন শুনে খুব ভালো লাগলো। আপনার ননদের বাসায় যাওয়ার সময় আবার ভাইয়ার কলেজদের বাড়িতেও গিয়েছেন জেনে ভালো লেগেছে। ঈদের আনন্দটা আরো ভালোভাবে উপভোগ করেছিলেন বেড়াতে গিয়ে।
দুপুরবেলা না খেয়ে আমার শাশুড়ি যেতে দিচ্ছিলেন না। এজন্য দুপুরবেলা খেয়ে ওই বাসায় গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ মন্তব্যর জন্য।
খুব সুন্দর একটি ব্লগ আপনি আমাদের উপাধি উপহার দিয়েছেন। সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি ছিল। ঈদ উপলক্ষে আমরা কমবেশি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গেছি। তবে প্রাকৃতিক পরিবেশের মাঝে ঘোরাঘুরির মজা আলাদা। আমি আত্মীয় স্বজনের বাসার চেয়ে বেশি পছন্দ করেছি সুন্দর জায়গায় উপস্থিত হতে। যাই হোক ভালো লাগলো আপনার এই ব্লগ দেখে।
ঠিক বলেছেন আপু প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘুরতে বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু ঈদের মধ্যে ঘোরাঘুরি না করলে একদমই ভালো লাগে না। আমিও এবার গ্রামে গিয়ে ঈদ করেছি। অনেক ভালো সময় কাটিয়েছি সবার সঙ্গে। আপনার ঘোরাঘুরির মুহূর্ত পড়ে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু ঘোরাঘুরির সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
গ্রামে তো মানুষের বাসায় যাওয়া ছাড়া অন্য কোথাও তেমন একটা ঘুরা হয় না। এজন্যই গিয়েছিলাম ওখানে। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আসলে এবারকার ঈদে ওয়েদার টা ভালই ছিল । রোজার ভেতরে ওয়েদারটা মোটামুটি অতটা গরম ছিল না এখন যে পরিমাণে গরম পড়েছে এরকম হলে তো রোজা থাকা কষ্টকর হয়ে যেত । আর ঈদের দিন সবাই মিলে ঘোরাফেরা করতে ভালোই লাগে । গ্রামের পরিবেশে ঘুরতে তো আরো বেশি ভালো লাগে । ঠিকই বলেছে আপনার শাশুড়ি নিজের বাড়িতে দুপুরবেলা খেয়ে তারপর অন্যের বাড়িতে খাবেন এটাই ভালো । ঈদের দিন চটপটি খেতে কিন্তু ভালো লাগে । চটপটির কথা শুনে আমাদের বাসার কথা মনে পড়ে গেল ।
ঠিক বলেছেন আপু এবার ঈদে গরম ছিল না জন্য ঘুরে খুব বেশি গরম পেয়েছি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
ঈদের দিন বেশ ভালই তো ঘোরাঘুরি করেছেন।আসলে ঈদে না ঘুরলে আমার কাছেও ভালো লাগে না।তবে আপনার ননদের শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার রাস্তা টা কিন্তু সত্যিই সুন্দর।এরকম রাস্তা দিয়ে যেতে ভালো লাগারই কথা। ভালো লাগলো।ধন্যবাদ।
ছোটবেলার মতো ঈদে এখন আর তেমন একটা আনন্দ লাগে না। তাই বেশিরভাগ ঈদেই বাইরে বের হওয়া হয় না। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
ননদের বাসায় যাওয়ার সাথে সাথেই চটপটি খেতে দিল আপু...? তবে আপু, রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে যদি আশেপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো অনেক বেশি সুন্দর হয়, তাহলে জার্নিটা খুব ভালো লাগে। তাছাড়া আপনি আপনার ননদের বাসায় গিয়ে দেখছি অনেক ধরনের খাবার খেয়েছেন! যাইহোক, এটা ঠিক কথা যে, ঈদ বা অন্যান্য যে কোন অনুষ্ঠানে একটু ঘুরাঘুরি না করলে ভালো লাগে না। ভালো লাগলো আপু, আপনার এই পোস্ট টি পড়ে।
বিকেলবেলায় গিয়েছিলাম জন্যই চটপটি খেতে দিয়েছিল। পরে অবশ্য রাতের খাওয়া দাওয়া করে এসেছিলাম। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।