নাটকের রিভিউ :- " ফকির গ্রাম " ( পর্ব ৪৭ )
✋হ্যালো বন্ধুরা,✋
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফকির গ্রাম " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের প্রথম পর্ব শেয়ার করব। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।
নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
নাম | ফকির গ্রাম। |
---|---|
পরিচালনা | ঈগল টিম |
প্রযোজনা | কচি আহমেদ |
প্রযোজনা সহকারী | জাহাঙ্গীর আলম, বাবু আহম্মেদ, আলমগীর, ইনামুল, মারুফ, জনি। |
স্ক্রিপ্ট | সুলাইমান |
অভিনয়ে | আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি, আজমাইল মেহেরব এলহাম, মোসাদ্দেক সাহেব, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, স্পর্শিয়া মিম, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, আফরিভা খান মুমু, আকাশ ইসলাম, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, অদিতি জামান স্নেহা, জাহাঙ্গীর কবির , মিমো এবং জাকির সিন্টু। |
প্রধান সহকারী পরিচালক | কামরুজ্জামান রানা, আকরাম দেওয়ান, এস এল ডি সাগর, শাফায়েত, হানিফ খান |
সম্পাদনা | অনিক ইসলাম |
সহকারী সম্পাদনা | জুনায়েদ মোঃ বাঁধন |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
এই পর্বের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই, সুন্দরী খালার কাছে কাদের ফকির আসে। আর সুন্দরী খালা তখন তাকে বলে তার মেয়ের কথা। এরপর ওরা বেশ কিছুক্ষণ কথা বলে। তখনই সেখানে সায়েম ফকির আসে। তারপরে সায়েম ফকির পরবর্তীতে কাদের ফকিরের সাথে বুদ্ধি করে চান্দুর যেন শাস্তি হয় এজন্য তারাও আন্দোলন করবে। এরপর তারা স্লোগান দিতে দিতে এগোতে থাকে। তারপরে আমরা প্রিন্সকে দেখতে পাই পুকুর পাড়ে বসে রয়েছে। আর তার বাবার কথাটা তখনও পর্যন্ত ভাবতে থাকে। অন্যদিকে তার মা ঝুমাকে নিয়ে তাকে খুঁজতে বের হয়। একপর্যায়ে তাকে পেয়ে যায়। তাকে বাড়িয়ে নিতে চাইলে সে বলে এই বাড়ি আমার না, তাহলে আমি কেন যাবো। এরপর ঝুমা এবং তার মা তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে বাড়িতে নিয়ে যায় খাবার খাওয়ার জন্য।
অন্যদিকে সব ফকিরকে দেখা যায় চান্দু কে ছাড়িয়ে আনার জন্য আন্দোলন করছে। এরপর সুতা ফকির তাদেরকে কাদের ফকির এবং সায়েমের মিছিলের কথাটা বলে দেয়। তারা বলে তারা কোনো মারামারি করবে না। বরং ওরা যেভাবে মিছিল করছে, তারা ওই ভাবেই মিছিল করুক। এরপর সায়েমের দলকে দেখা যায় মিছিল করছে। কিন্তু তার বউ মিছিল করছে না বলে, সে তার বউকে বিভিন্ন রকম কথা বলে। এক পর্যায়ে তার গায়ে হাত তুলে। কারণ সে এরকম ভাবে চান্দুর বিরুদ্ধে মিথ্যা মিছিল করবে না। এরপর সে সেখান থেকে চলে যায়। তারপরে আমরা ফুলিকে দেখতে পাই ডাক্তার আপাকে দাঁড় করিয়ে রতনের কথা জিজ্ঞেস করছে। এরপর সে ডাক্তার আপাকে বারণ করে দেয় তার রতনের সাথে যেন বেশি কথা না বলে। এগুলো বলে সেখান থেকে চলে যায়। তারপরে আমরা চম্মনকে দেখতে পাই ঘরের বাহিরে বসে বসে কান্না করছে।
তখন সেখানে তার বড় বোন আসে। আর তাকে সবকিছু খুলে বলে। এরপর তাকে সান্তনা দিতে থাকে। এরপর দুই দলের মিছিলের লোকদেরকে দেখা যায় মিছিল করছে। এক পর্যায়ে তারা একে অপরের মুখোমুখি হয়। একপর্যায়ে তারা যখনই মারামারি করবে, তখন পুলিশের বাসির আওয়াজ শুনে। এরপর তারা একজন এক এক দিকে দৌড়ে চলে যায় পালিয়ে। সায়েম একটা গাছের পেছনে এসে লুকায়। তখনই রবি এসে তাকে ধরে। সে তো অনেক ভয় পেয়ে গিয়েছিল। মনে করেছিল পুলিশ। তারপর রবি তাকে তার বিয়ের কথা বলে। এরপর সায়েম তার বউকে আনার জন্য চলে যায়। তারপরে আমরা মানিক রতনকে দেখতে পাই, একটা জায়গায় এসে দাঁড়ায়। আর তখনই সেখানে আসমানি আসে। তারপর তারা আসমানীকে সব কিছু খুলে বলে।
তারা চলে যাওয়ার পর আসমানি মনে মনে ভাবে, এখন আর অপেক্ষা করা যাবে না। তাকেই কিছু না কিছু করতে হবে। এরপর আমরা কাদের ফকির আর সুন্দরী খালাকে দেখতে পাই। তখন সুন্দরী খালা বলে আমাদের বিয়েটা এখনো হলো না। এরপর কাদের ফকির তাকে জানায় কালকের মধ্যেই নাকি সে সুন্দরী খালাকে বিয়ে করবে। এটা শুনে সুন্দরী খালা অনেক বেশি খুশি হয়ে যায়। আর একসাথে লাঞ্চ করার কথা বললে সুন্দরী খেলা জানায়, বিয়ের পর হানিমুনে গিয়ে লাঞ্চ করবে। এরপর সুন্দরী খালা সেখান থেকে চলে যায়। তারপরে আমরা মানিক এবং রতনকে দেখতে পাই চেয়ারম্যানের কাছে এসেছে সাহায্য চাওয়ার জন্য। কিন্তু ফুলি ঘর থেকে বের হয়ে বলে তাদেরকে কোনোরকম সাহায্য করা হবে না। আর চেয়ারম্যান চাচা বাড়িতে নেই।
আর তখনই সেখানে চেয়ারম্যান ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। মানিক রতন উনাকে সব কিছু বললে তিনি সাহায্য করবেন না বলে দেয়। কারণ তিনি মনে করেন এই ফকির গুলো মাদকদ্রব্য বিক্রি করে। আর উনার লোকেদের নামে মিথ্যা অপবাদ আসে। এরপর মানিক রতন সেখান থেকে চলে যায়। এরপর চেয়ারম্যান কোথাও একটা যাওয়ার জন্য চলে যায়। এরপর আমরা দেখতে পাই আসমানী পুলিশের সাথে কথা বলছে। পুলিশ কিছুই বুঝতে পারেনা। এক পর্যায়ে আসমানি বলে আপনারা এখনো পর্যন্ত আসল অপরাধীকে ধরতে পারেননি। যদি ধরতে পারতেন তাহলে আমি আর এই এলাকায় আসতাম না। এটা শুনে তো পুলিশ একেবারে অবাক। তখন এই পর্বটা শেষ হয়ে যায়।
ব্যক্তিগত মতামত
এই পর্বে আমরা দেখেছি কিছু ফকির চান্দুর কে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনার জন্য আন্দোলন করছে। আর কিছু ফকির চান্দুর শাস্তির জন্য আন্দোলন করছে। অন্যদিকে আবার চম্মন পড়েছে বড় একটা সমস্যায়। কারণ বিদেশি আকাশ থ্রেট দিয়ে গিয়েছে দুই দিনের মধ্যে তাকে বিয়ে না করলে নাকি সে চম্মনকে ভাইরাল করে দিবে। এইজন্য চম্মন অনেক ভেঙ্গে পড়েছে। এখন দেখা যাক তার সাথে কি হবে। অন্যদিকে আবার আমরা শেষ পর্যায়ে দেখি আসমানী পুলিশের সাথে কথা বলছে। আর এক পর্যায়ে বলেছে তার পুলিশ নাকি এখনো সত্যিকারের মাদকদ্রব্য দের ধরতে পারেনি। আর আসমানির এসব কথা শুনে পুলিশ অবাক হয়ে যায়। এরপর আবার আসমানি বলে আসল অপরাধীদের ধরতে পারলে তাকে এখানে আসতে হতো না। পুলিশ তার কথা শুনে একেবারে অবাক হয়ে যায়। আসমানি আসলে কে, এটা আশা করছি আমরা খুব তাড়াতাড়ি জেনে যাব। এখন সেই অপেক্ষায় থাকতে হবে। আশা করছি আপনারা সেই পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকবেন।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
নাটকের লিংক
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনার রিভিউ করা ফকির গ্রাম নাটকের এই পর্ব টা দেখে। আমি মনে করি আমাদের দেশের সিনেমার চেয়ে নাটকগুলো অনেক সুন্দর এবং দেখার মত হয়ে থাকে। যে নাটকগুলোর মধ্যে ভালোলাগার অনেক কিছু খুঁজে পাই আমরা। ঠিক তেমনি সুন্দর একটা নাটক ফকির গ্রাম। খুবই ভালো লাগলো দেখে এত সুন্দর নাটকের 47 তম পর্বের রিভিউ।
আমি তো অনেক পছন্দ করি নাটক দেখতে। এই পর্বটা আপনার কাছে ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম।
একটি নাটকের এতগুলো পর্ব, অথচ এটা আমার এখনো দেখা হয়নি। আপনার রিভিউ পড়ে ভালোই লেগেছে। রিভিউ পরে বুঝতে পারলাম খুবই ফানি একটি নাটক। অবশ্যই এক সময় এটা দেখার চেষ্টা করবো। সবাইকে ধন্যবাদ।