সবাই মিলে কেএফসিতে সুন্দর সময়
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব ছেলেকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে সুন্দর সময় কাটানোর অনুভূতি । মাঝে মাঝে রেস্টুরেন্টে যেতে আমার কাছে যেমন ভালো লাগে তেমনি ছেলেরও খুব ভালো লাগে । ছেলে সবসময়ই বায়না ধরে রেস্টুরেন্টে যাওয়ার তবে সব সময় তো আর যাওয়া হয়ে ওঠে না । কিন্তু আমারও ইচ্ছা করে প্রতিদিনই রেস্টুরেন্ট খেতে পারলে হয়তো ভালো হতো তারপরও মাঝে মাঝে চেষ্টা করি ।
সেদিন গিয়েছিলাম ছেলেকে নিয়ে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে । ছেলের চোখের সমস্যা হওয়ার কারণে তিন মাস পর পর ফলোআপের জন্য যেতে হয় । সেখানে ছেলেটা কিছুতেই যেতে চাচ্ছিল না বারবারই বলছিল যে আমার ভয় লাগছে সেখানে গিয়ে ডাক্তার আবার কি বলবে । এতোটুকু বাচ্চা ডাক্তার কি বলবে সেই ভয়ে যেতে চাচ্ছিল না । তারপর ছেলেকে বাইরে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নিয়ে গেলাম । সেখানে গিয়ে ডাক্তার দেখালাম ডাক্তার দেখানোর পরে ডাক্তার বলল যে চোখের কোন উন্নতি হয়নি যেমন ছিল তেমনি আছে চশমা চেঞ্জ করতে হবে না । সেটা বলার পরে মোটামুটি যাই হোক চশমাটা এবার আর নিতে হলো না ।
সেখান থেকে অল্প সময় পরে চলে এলাম বাইরে এবং বাইরে টুকিটাকি কেনাকাটা ছিল সেই কেনাকাটা সেরে তারপর ছেলেকে যখন রেস্টুরেন্টে যাওয়ার কথা বললাম সে তো মহাখুশিতে ছিল । কারণ কদিন ধরে সে বারবার বলছিল চিকেন ফ্রাই খাবে । অন্য জায়গার চিকেন ফ্রাই খাওয়ালে কি হবে বিএফসি কেএফসি এসব জায়গার চিকেন ফ্রাই একটু বেশিই ভালো লাগে । সবসময় বিএফসিতে গিয়ে চিকেন ফ্রাই খাওয়া হয় আজকে ভাবলাম কেএফসিতে যাই ।যদিও ঐখানে যাওয়ার বায়না ছেলে দিয়েছিল । সেখানে চলে গেলাম সেখান থেকে খাবারের অর্ডার করলাম । নিচ তলায় খাবারের অর্ডার করে উপরে গিয়ে খেতে হয় । আমরা নিচতলা থেকে খাবার গুলো নিলাম এবং নিচেও দেখলাম যে কিছু চেয়ার টেবিলের ব্যবস্থা রয়েছে ভাবলাম সেখানে বসে খাবারটা খেয়ে নিব আবার উপরে কি করতে যাব । কিন্তু ছেলের বায়নার জন্য আবার উপরে গেলাম ।
সেখানে গিয়ে তো ছেলে মহা খুশি কারণ ওখানে দেখলাম শিশুদের খেলার একটা জোন রয়েছে । সেটা তো আমার জানাই ছিলনা । দেখলাম সেখানে অনেক বাচ্চারা খেলাধুলা করছে সে তো খাওয়া দাওয়া রেখে আগে চলে গেল খেলতে । সেখানে বেশ খানিকটা সময় খেলাধুলার পরে তাকে জোর করে খাবারের জন্য নিয়ে আসলাম । চিকেন ফ্রাই খাওয়ার জন্য এত লাফালাফি কিন্তু খেলার জায়গা পেয়ে খাওয়ার কথা একেবারে ভুলেই গেল । তারপরও খেলার ফাঁকে ফাঁকে একটু খাবার খেয়ে গেল এবং খেলতে থাকলো আর আমরা বসে খাওয়া দাওয়া শেষ করলাম । তারপর দেখলাম যে ওর ইস্কুলের একজন ফ্রেন্ড আসলো ওর সাথে আরো কিছু সময় সেখানে খেলাধুলা করল । এরপর বেশ খানিকটা সময় বসে ওর জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম তারপর তার খেলাধুলা শেষ হলে ওর খাবারটা পার্সেল নিয়ে বাসায় চলে আসলাম । যাইহোক মোটামুটি সময়টা কিন্তু অনেকদিন পরে ভালই কাটলো ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.