বৈশাখী মেলায় ঘোরাফেরা
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব বৈশাখী মেলায় ঘোরাফেরা করার মুহূর্ত । আসলে অনেকদিন হয়ে গেল কোন মেলায় যাওয়া হয়ে ওঠে না এবার সুযোগ হয়ে গেলে মেলায় ঘুরাফেরা করার সে মেলা যেমনই হোক না কেন । বাসা থেকে যখন ফরিদপুরে আসি তখন বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করার চেষ্টা করি । এবার ফরিদপুরে এসেছি ঈদের পরে আর পহেলা বৈশাখ সামনে ছিল যার কারণে এই সুযোগটা হয়ে গেল । বাসায় এসেই আমি একেবারে অসুস্থ হয়েছিলাম তারপরও পরের দিন ভেবেছিলাম যে বাইরে কোথাও ঘুরতে যাব । আর সে মতে চলে গেলাম আমার দেবরের বাসায় । যদিও ওরা বাসায় ছিল না ওরাও বেড়াতে গিয়েছিল ওর নানা বাড়িতে । ওরা আসার পরে আমরা সেখানে চলে গেলাম এবং ওখান থেকে গিয়ে আমরা বেরিয়ে পড়লাম ঘোরাফেরা করার উদ্দেশ্য । বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করলাম এবং আমার দেবর আগেই বলেছিল যে বৈশাখী মেলায় ঘুরতে যাব । ফরিদপুরে বৈশাখী মেলা তেমন একটা জমে উঠে না তারপরও অনেকদিন পরে মেলায় যাব সেই খুশিতেই আমার ভালো লাগছিল । এখানে কোট পারে একটা ছোটখাটো মেলা হয় এবং এবং সেখানে বিভিন্ন ধরনের গান বাজনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । সেই অনুষ্ঠানকে ঘিরেই লোকজন বসে থাকে এবং তার আশেপাশে দিয়েই মেলাটা বসে । ছোটখাটো বিভিন্ন ধরনের জিনিস থাকে এসব জিনিস দেখতেই আমার কাছে ভালো লাগে । এজন্য আমি রাজি হয়ে গেলাম এবং ঘোরাফেরা করে ফেরার পথে আমরা মেলায় এসে নেমে পড়লাম ।
মেলায় নামতেই দেখলাম যে একটা লোক এভাবে বড় একটা জিনিসের ভিতরে আম কাঁচ কলা তেতুল এবং সাথে আরো অনেক কিছু দিয়ে একটা ভর্তা বানাচ্ছে সেটা দেখে খেতে মন চাইলো এবং আমারা দুজনে মিলে সেটা খাওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে পরলাম । তারপর দুজনে মিলে বিশ টাকা করে দুটো নিলাম ।সেটা প্রথমে আমি খেতে চাইছিলাম না জানি না কেমন লাগবে খেতে তারপরও ওর বলাবলিতে সেটা নিলাম এবং খেতে কিন্তু অসম্ভব মজা হয়েছিল । টক জাতীয় যেকোনো জিনিস খেতে আমার কাছে ভালই লাগে এবং কাসন্দী দিয়ে খুব সুন্দর করে মাখিয়ে ছিল যার কারণে আরো বেশি টেস্টি লেগেছিল । এই ভর্তাটা আমি নতুন খেয়েছি ।
তারপর সামনে এগোতে দেখলাম যে এখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে এবং অনেক লোকের ভিড় জমেছে । সেখানে লোকজন চেয়ার নিয়ে বসে বসে সে অনুষ্ঠান দেখছে । আমরাও দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ অনুষ্ঠান দেখলাম এবং দূর থেকে কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম । দেখলাম যে ছোট ছোট বাচ্চারা খুব সুন্দর করে নিত্য পরিবেশন করছে এবং গান-বাজনা করছে সেটা দেখতে কিন্তু ভালই লাগে । আগে অনেক দেখেছি ইদানিং খুব একটা দেখার সুযোগ হয় না । এখানে এসে পুরানো সেই অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল আমার কাছে ভালোই লেগেছে । অনেকদিন পর এই পুরনো জায়গায় ঘুরে এবং পুরানো অনুষ্ঠানগুলো দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো ।নিচে দেখতে পাচ্ছেন বাচ্চাদের খেলনা ও চুরি বিক্রি করছে ।মেলায় এসব জিনিস থাকবে এটাই স্বাভাবিক । এসব জিনিস দেখতেই ভালো লাগে ।
আর এখানে রয়েছে মেলার সবচেয়ে কমন আইটেম বিভিন্ন ধরনের কটকটি জাতীয় খাবার । এই খাবারগুলো খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে । মেলায় যাব আর এসব জিনিস খাব না তা কি হয় নাকি । এসব জিনিস দেখে আমি সেখানে দাঁড়িয়ে পড়েছি এবং প্রত্যেকটা আইটেম একটু একটু করে কিনে নিয়েছি । সাথে কিছু ঝাল আইটেম কিনেছি সেগুলো বসে বসে সবাই মিলে খেতে আমার কাছে কিন্তু অনেক ভালো লাগে । আমি মেলায় গেলে এসব জিনিস কেনার চেষ্টা করি ।আগে অনেক খেয়েছি এজন্য সামনে পেয়ে এগুলো ঝটপট কিনে নিলাম এবং সবাই মিলে খুব মজা করে খেয়েছি ।খাবারগুলো আমার কাছে সত্যিই খুব ভালো লাগে। এগুলোর সাথে ছোটবেলায় অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে এজন্য এগুলো দেখতে এবং খেতে দুটোই আমার কাছে ভালো লাগে ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
আপু আপনার মত আমিও ফরিদপুরের এই বৈশাখী মেলায় গিয়েছিলাম ।কিন্তু ওই মাখানোটি আমার খাওয়া হয়ে ওঠেনি। ওটা কোথায় ছিল আমি দেখিনি। এই খাবারটি সত্যি ভীষণ মজার হয়ে থাকে। বিভিন্ন টক জাতীয় জিনিস দিয়ে খাবারটি তৈরি করে যা খেতে খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে। পরে আমি কখনো যেয়ে নিশ্চয়ই খেয়ে দেখব। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
ওটাতো মেলায় ঢুকেই আমরা দেখতে পেলাম খেতে কিন্তু খুবই টেস্টি ছিল ।
বৈশাখী মেলার বেশ সুন্দর অনুভূতি আজকে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। যেখানে বিভিন্ন খাবারের আইটেম লক্ষ্য করলাম। আর আমিও কিন্তু প্রথম দেখলাম এমন খাবার তৈরি করতে। যাইহোক আপনার এই সুন্দর ঘোরা ফেরার অনুভূতিটা আমার ভালো লেগেছে। এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।
মেলায় গেলে এ ধরনের খাবারগুলো কিনতে ও খেতে কিন্তু ভালই লাগে ।
আপনারা বৈশাখী মেলাতে ঘুরাঘুরি করেছেন এবং খাওয়া দাওয়া করেছেন এটা দেখে খুবই ভালো লাগলো আপু। বর্তমান সময়ে মেলাতে ঘোরাটা অনেক কষ্টের হয়ে গিয়েছে কারণ প্রচুর পরিমাণে গরম পড়ছে।
আমার মেলায় ঘোরাঘুরি দেখে আপনি মন্তব্য করেছেন দেখে ভালো লাগলো ।
হ্যাঁ সেদিনই আপনার পোস্ট দেখে জানতে পারলাম আপনি ফরিদপুর এসেছেন। পহেলা বৈশাখের মেলায় গিয়ে অনেক সুন্দর সময় পার করেছেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখার পাশাপাশি সব ধরনের খাবারের টেস্ট নিয়েছেন। আপনার সুন্দর সময়টুকু শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
অনেকদিন পরে মেলায় গেলাম ঘুরতে ভালোই লেগেছিল ।
ঠিক বলেছেন আপু এই খুরমাগুলোর সাথে ছোটবেলার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। আপনি তো ফরিদপুর গিয়ে ভালোই ঘুরাফেরা করছেন। আমি যেতে পারলাম না। বৈশাখের বিভিন্ন জায়গায় এরকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেগুলো দেখতে বেশ ভালোই লাগে। খুব মিস করলাম আপনাদের এই ঘোরাঘুরি।
অনেকদিন পরে খুরমা গুলো দেখে ভালো লেগেছে এবং খেতেও ভালো ছিল । সময় গুলো আসলেই অনেক ভালো কেটেছে
মেলায় ঘুরাঘুরি করতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। আর আপনি বৈশাখী মেলায় খুব ভালো ঘোরাঘুরি করেছেন দেখছি। কাঁচা আম দিয়ে তৈরি করা ভর্তাটা দেখে তো আমার খুব লোভ লেগেছে। এরকম ভর্তা খেতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। ভর্তায় যদি কাসুন্দি ব্যবহার করা হয়, তাহলে একটু বেশি সুস্বাদু হয়ে থাকে। মেলায় এরকম সংস্কৃতি অনুষ্ঠান হলে অনেক মানুষ দেখে থাকে। আর যেহেতু এটা বৈশাখী মেলা ছিল, তাহলে তো অনুষ্ঠান হবেই। আর অনেক মানুষের ভিড় তো এমনিতেই থাকবে। আপনাদের মেলায় ঘুরাঘুরি করার মুহূর্তটা ভালোই উপভোগ করলাম পড়ে।
আমি আগে কখনো এরকম ভর্তা খাইনি আজই প্রথম খেলাম তবে ভালোই লেগেছিল ।
আপু আপনি বেশ বৈশাখী মেলায় ঘোরাফেরা এবং আনন্দ উপভোগ করেছেন। আসলে ছোটবেলায় যতটা আনন্দ ছিল আমাদের মধ্যে সবই এখন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। ছোট ছিলাম তখন আব্বার সাথে বিশ টাকা নিয়ে মেলাতে গিয়ে আনন্দ কত না ছিল। কিন্তু এখন মেলায় হয় না তেমন একটা। আপনি অনেক কিছু কেনাকাটা করেছেন খেয়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো শুভকামনা রইল আপনার জন্য আপু।আপনার বাকি দিনগুলো যেন এভাবেই আনন্দের সাথে কেটে যায় ধন্যবাদ।
তা ঠিকই বলেছেন ছোট বেলায় মেলায় ঘুরতে গেলে অন্যরকম একটা আনন্দ ছিল সেই আনন্দ গুলো এখন আর পাওয়া যায় না ।
এবার ঈদের পরেই পহেলা বৈশাখ পড়ে যাওয়াও সবাই বেশ ঘোরাফেরা করেছে। এই ভর্তাগুলো বেশ মজা হয়ে থাকে। আমি কুষ্টিয়া গেলেই খেয়ে থাকি। এমনিতে টক আমার অনেক পছন্দ। বৈশাখি মেলায় গিয়ে সময় টা বেশ দারুণ কাটিয়েছেন হ অন্য খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ দারুণ ছিল এককথায় চমৎকার। ধন্যবাদ আমাদের সাথে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
আমার আগে কখনো খাওয়া হয়নি এবারই প্রথম খেলাম খাবারটা আসলেই অনেক ভালো লেগেছে ।
ঘুরাঘুরি করতে পছন্দ করে না এরকম মানুষ খুবই কম রয়েছে। প্রত্যেকটা মানুষ ঘুরতে খুব পছন্দ করে। বিশেষ করে মেলায় ঘুরতে সবাই একটু বেশি পছন্দ করে। নববর্ষ উপলক্ষে কিন্তু অনেক জায়গায় মেলা বসেছে। কিন্তু আমাদের এদিকে বৈশাখী মেলা বসে নি। যার কারণে মেলায় ঘুরতে যেতে পারিনি। মেলা থেকে আপনারা আম ভর্তা খেয়েছিলেন জেনে অনেক ভালো লেগেছে। ভর্তাটা মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু। আমার তো দেখে ইচ্ছে করছে আপনার হাত থেকেই নিয়ে খেয়ে ফেলি। মেলায় এ ধরনের খাবার দেখলে আমি খেয়ে থাকি।
অন্য জায়গায় বসে কিনা জানিনা তবে আমরা সেই ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি আমাদের এই যে জায়গাটায় বৈশাখী মেলা হয় ।