রং নাম্বার থেকে বিয়ে শেষ পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে গত পর্বে যে গল্পটা শেয়ার করেছিলাম তার শেষ পর্ব লিখছি। মানুষের জীবনের গল্প গুলো সত্যিই ভালো লাগে পড়তে এবং লিখতে ।মানুষের জীবনের সব সময় সুন্দর সুন্দর ঘটনা ঘটে থাকে আবার দুঃখের ঘটনা ঘটে থাকে । দুঃখের ঘটনা থেকে যদি সুখের ঘটনা গল্প আকারে সুন্দরভাবে সবার মাঝে তুলে ধরা যায় তাহলে সেই গল্পগুলো পড়তেও ভালো লাগে । আমি তো মাঝে মাঝে ফেসবুকে অনেক ছোট ছোট সুন্দর গল্পগুলো পড়ি । সেখান থেকে গল্প লেখার প্রতি আগ্রহ বেড়েছে এজন্য চেষ্টা করি মানুষের জীবনের ছোট্ট ঘটনা কে তুলে ধরার । গত তিন পর্বে শেয়ার করেছিলাম টিনা ও তারেকের জীবনের সুন্দর একটি কাহিনী । টিনাকে তারেকের সাথে বিয়ে দেওয়ার জন্য টিনার খালামণি অনেক বেশি আগ্রহ দেখিয়েছে । সেটা নিয়ে টিনার খালু আর খালার ভেতরে ঝামেলা শুরু হয় তারপর থেকে লিখা শুরু করছি ।
তারেকের বাড়ির অবস্থা খুব একটা ভালো না বাড়িতে যতটুকু সম্পত্তি রয়েছে তার বড় দুই ভাই তার নিজস্ব বলতে কিছুই নেই । ও ভালো একটা বিজনেস করে এটাই ওর একমাত্র পরিচয় ।টিনা সে কথাগুলো আর তারেকে বলে না এর ভিতর তারেক তার একটিনাকে জানাই যে তার ভাইরা আরো দুই একজন মুরুব্বী নিয়ে টিনাকে দেখতে আসবে এবং সাথে আংটি পড়াতে আসবে । এটা শুনে আরো বেশি ঘাবড়ে যায় । এদিকে টিনার খালামনি সেই ছেলের সাথে বিয়ে দিতে বেশি আগ্রহী । সেই খালামনির হাজব্যান্ড বাড়িঘর দেখে এসে সে খালার সাথে অনেক ঝামেলা করে এবং খালাকে খুব বকাবকি করে । বলে তুমি কেন এই বিয়েতে এত রাজি হচ্ছে বুঝলাম না । খালামণি তখন রাগ হয়ে যায় যে এবং বলে যে তোমরা যদি ওকে এখানে বিয়ে দিতে রাজি না হয় তাহলে আমি কিন্তু ওকে নিয়ে গিয়ে ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দিব । কারণ আমার কাছে মনে হচ্ছে ছেলেটা আসলেই খুব ভালো ।
এরপর টিনা তার বাসায় জানায় যে ওরা কয়েকজন লোকজন নিয়ে বাসায় আসতে চাচ্ছে আংটি পড়ানোর কথা বাসায় বলে না । তখন ওর বাবা বলে যে বাসায় আসতে চায় আসুক কিন্তু আমি এখানে তোমাকে বিয়ে দেব না । তারপরও ওরা কয়েকজন লোকজন মুরুব্বী নিয়ে আসে এবং তারা সবাই টিনাকে দেখে । ওদের অনেক পছন্দ হয় এবং তারা আংটি পড়ানোর কথা বলে । এদিকে টিনা তো টেনশনে একেবারে অস্থির হয়ে যাচ্ছে যে তার বাবা-মা না জানি কেমন রিয়াক্ট করে। তখন টিনার বাবা হঠাৎ করে কেন জানিনা বিয়েতে মত দিয়ে দেয় এবং বলে যে আংটি পরিয়ে যান । তারপর তারা আংটি পরিয়ে যায় এবং তাদেরকে বাড়িতে দাওয়াত দিয়ে যায় । তারপর টিনার বাবারা যখন তারেকদের গ্রামে গিয়ে ওদের বাড়ি ঘর সবকিছু দেখে এবং দেখেশুনে তাদের সবকিছুই ভালো লাগে । তখন তারাও বুঝতে পারে যে গ্রামের লোকজন মিথ্যে বলেছে ।
এরপর সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যায় এবং মহা ধুমধাম করে টিনা ও তারিকের বিয়ে হয়ে যায় । বিয়ের পরপরই টিনা আর তারেক ঢাকায় চলে আসে এবং তারা ঢাকায় বড় একটা বাসা নিয়ে থাকে । ওরা খুব সুন্দর আছে তারা অনেক ভালো আছে । তাদের সংসারে এখন তিন তিনটে ছেলে-মেয়ে । তারেকের বিজনেস আস্তে আস্তে অনেক বড় হয়েছে সে অনেক ভালো অবস্থায় রয়েছে । যেহেতু টিনা তার বাবা-মায়ের একটিমাত্র মেয়ে যদিও তার একটি ভাই রয়েছে তবে মেয়ে তো টিনা মাত্র একজনই। এজন্য সে তার বাবা-মা বাসায় আশেপাশের বাসা নিয়ে সবসময় বাবা-মার চোখের সামনেই থাকে । তারা এখন তিন তিনটি ছেলেমেয়ে নিয়ে সুখে রয়েছে ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমি তো সবসময় এটাই মনে করি অন্যদের কথা শুনে কখনোই যে কোন রকম সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত না। গ্রামের লোকেরা দেখছি একেবারে মিথ্যা বলেছিল তারেক এবং তার পরিবারের সম্পর্কে। টিনার বাবা-মা হঠাৎ করেই বিয়েতে মত দিয়েছিল এটা দেখে খুব ভালো লেগেছে। আর ওনারা ওদের বাড়িতে গিয়ে দেখছে সব কিছু ভালোই দেখেছিল। এমনকি উনাদের সবকিছুই পছন্দ হয়েছে। যাইহোক শেষ পর্যন্ত টিনা এবং তারেকের ধুমধাম ভাবে বিয়ে হয়েছে, আর এখন তাদের তিন তিনটা ছেলে মেয়ে রয়েছে শুনে অনেক ভালো লাগলো। এরকম সম্পর্ক গুলো সত্যি অনেক ভালো লাগে।
অন্যদের কথা শুনে কখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক নয় । তবে গ্রামের মানুষজন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই কাজগুলো করার চেষ্টা করে বিয়েটা ভেঙে দেয়ার চেষ্টা করে ।
আসলে গ্রামের লোকজন দেখা যায় এমনই হয়। কারো ভালো সহ্য করতে পারে না। এজন্যই তো তারেকের নামে ভালো কিছু বলেনি। টিনার বাবা ভালো কাজ করেছে সে নিজে তাদেরকে বাড়িতে গিয়ে দেখেশুনে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে। যেখানে দুজন দুজনকে পছন্দ করে সেখানে তাদের পছন্দমত বিয়ে দেওয়াই ভালো হয়েছে। খুব ভালো লাগলো আপনার গল্পটি পড়ে।
গ্রামে কেন এখনকার মানুষের মনে হয় কেউ কারো ভালো সহ্য হয় না মানুষের ক্ষতি করার চেষ্টা করে সবসময় ।
আপনার লেখা এই গল্পটা সবগুলো পর্বই আমার পড়া হয়েছে। আমার কাছে তো অনেক বেশি ভালো লেগেছে এই গল্পের পর্বগুলোও পড়তে। আজকেও ঠিক তেমনি ভাবে শেষ পর্বটা পড়তে ভালো লেগেছে। তবে গত পর্ব পড়ে শুধু এটা ভাবছিলাম টিনার বাবা-মা তারেককে মেনে নিবে কিনা। কারণ গত পর্বে তো দেখেছিলাম তার বাবা মা বারণ করে দিয়েছে। তার সাথে নিজের মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার জন্য রাজি হয়নি। কিন্তু এই পর্বে তারা আসার পর দেখছি মেনে নিয়েছে। আর দুজনের বিয়ে হয়েছে শুনে তো ভালো লাগলো। এমনকি আগের সব কিছু মিথ্যা দাঁড়িয়েছে, আর তাদের এখন সন্তান রয়েছে এবং সুখে আছে এগুলো অনেক ভালো লেগেছে।
ধৈর্য নিয়ে আমার গল্পের সবগুলো পর্ব আপনি পড়েছেন জেনে সত্যি অনেক খুশি হলাম ভাইয়া ।
আপু, যেহেতু এই গল্পের প্রথম তিন পর্ব আমার পড়া হয়নি তাই শেষ পর্ব টি পড়ে গল্পটা বুঝতে একটু অসুবিধা হচ্ছিল আমার। তবে এই গল্পের হ্যাপি এন্ডিং টা দেখে বেশ ভালোই লাগলো। টিনা ও তারিকের যে শেষ পর্যন্ত বিয়ে হলো, এটা জেনে খুবই খুশি হলাম। তাছাড়া তারা যে বিয়ের পরবর্তী সময়ে তিনটি ছেলে মেয়ে নিয়ে অনেক সুখে আছে, এটা খুবই ভালো বিষয়।
প্রথম পর্বগুলো পরেননি শেষ পর্ব টা দেখে মন্তব্য করেছেন দেখে ভালো লাগলো ।