কিছু এলোমেলো ফুলের ফটোগ্রাফি।।

হ্যালো বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আশা করি ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে।

কিছুদিন আগে আমি রাসেল পার্ক ভ্রমন নিয়ে আপনার সাথে একটি ব্লগ শেয়ার করেছিলাম। সেখানে আমি ঐদিন প্রথম গিয়েছিলাম। যার ফলে জায়গাটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল। তা ছাড়া পার্কটিও অনেক সুন্দর। সব কিছু প্লান প্রোগ্রাম করেই সাজিয়েছে। সেখানে উচুঁ টিলার নিচে রেস্টুরেন্ট আছে। পদ্ম ফুলে ভরা পুকুর আছে। আর আছে বিভিন্ন ধরনের ফুল গাছ। সেই ফুল গাছে বিভিন্ন ধরনের ফুল ফুটে আছে। যে কোন পর্যটকের মনকে ছঁয়ে যাবে সেই পার্কের ফুল গুলো।

আপনারা সবাই অবগত আছেন,যে কিছুদিন আগে আমাদের দেশে কি পরিমান গরম ছিল। পানির অভাবে মানুষ সহ পশুপাখি খাঁ খাঁ করেছে। অনেক গাছ পানির অভাবে মারা গেছে। তবে সেই পার্কে মাঝে মাঝে ফুল গাছে পানি দেওয়ার কারনে ফুল গাছ গুলো টিকে ছিল। আমরা সন্ধার একটু আগে গিয়ে বেশ কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি করেছি। এর মধ্যে আজকে কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করছি। অন্য একদিন আবার কিছু শেয়ার করবো।

উপরে কয়কটি ফুলের ছবি দেখছেন। এগুলো আমরা পার্কে প্রবেশ করার সাথে সাথই নিয়েছিলাম। পার্কে প্রবেশ করে হাতের ডান পাশে ফুল গুলো দেখে আমার ভালো লেগে যায়। যদিও এগুলো সবার পরিচিত রঙ্গন ফুলের একটি জাত। তবে এটা দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। আপনারা জানেন যে, এই ফুলের তেমন যত্ন করতে হয় না। গাছ লাগিয়ে পানি দিলেই বড় হয়ে ফুল ফুটে যায়। দেখতে দারুন লাগছে।

এই ফুল গুলোর নাম আমার এখন জানা নেই। তবে দেখতে কিন্তুু দারুন লাগছে। সাদা কালারের পাঁচ পাপড়ির ফূল ‍গুলো দেখতে ভীষন সুন্দর লাগছে। মাঝখানে আবার দুই তিনটা কলিও আছে। এই ফুলের গাছ গুলো আবার কিছুট বড় বড় হয়। বানিজ্যিক ভাবে তেমন চাষ হয় না। বাগানের সুন্দর্য বর্ধনের কাজে লাগে। সন্ধার সময়েও ভীষন সুন্দর লাগছে। মনে হচ্ছে সূর্যটা আমার দিকে হাঁসি দিয়ে রয়েছে।

এই ফুল গুলোকে সবাই চিনেন। এলকান্দা ফুল এগুলোর নাম। দেখতে যেন বড় বড় মাইকের মত লাগে। একটি ফুলের ডগাতে কমপক্ষে তিন থেকে চারটি করে ফুল ধরে। এগুলোর কোন ঘ্রান নেই। সারা পার্কের মধ্যেই এই ফুল গুলো দেখা যায়। আমি বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছি। এগুলো ঝোপঝাড়ের মধ্যে হয়ে আছে। তেমন যত্নের প্রয়োজন হয় না।তা ছাড়া এগুলো বাজারে বিক্রয়ও করা যায় না। তারপরেও সব বাগানেই এগুলো জায়গা পায়।

মানুষ রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। এই ফুলটা দেখে ভালো লেগে যায়। কখন মানুষ রাস্তা ক্লিয়ার করবে,সেটা জেনে লাভ নেই। তাই মোবাইল নিয়ে সাথে সাথে ফটোগ্রাফি করে নিলাম। অন্যান্য জবা ফুল থেকে এই ফুলটি বেশি সুন্দর লাগছে। আর কালারটাও অনেক সুন্দর পিংক কালার। ফুলটি এখনো পুরোপুরি ভাবে ফুটে নাই।

নাম না জানা আরেকটি ফুল দেখতে পেলম, আর সাথে সাথেই সর্ট নিয়ে নিলাম। এই গাছটি সম্ভবত ঔষুধি গাছ। আমি ঐদিন এই ফুলটি প্রথম দেখেছিলাম। গাছের ফুল আর পাতা দেখে অদ্ভোত লাগলো। আপনারা লক্ষ করলে দেখতে পারবেন,এক সাথে কয়েকটা ফুল দেখা যায়। কালারটিও অনেক সুন্দর। এই গাছ গুলা পার্কের মাঝখানে লাগেনো হয়েছে। ছোট ছোট গাছে ফুল দেখে ভালোই লাগছে।

সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।

ফটোগ্রাফির বিবরণ:

ডিভাইস	মোবাইল
মডেল	রেডমি নোট-৮
রাসেল কিছু এলোমেলো ফটেগ্রাফি।।
স্থান	সদর, নারায়ণগঞ্জ। ।
তারিখ	০১/০৫/২০২৪
কমিউনিটি	আমার বাংলা ব্লগ
ফটোগ্রাফার	@titash

_{Posted using SteemPro Mobile}