আমানীপুর পার্ক ভ্রমন - দ্বিতীয় পর্ব।।
আসসালামু আলাইকুম,
হ্যালো, আমার প্রিয় কমিউনিটির সদস্য বন্ধুরা। কেমন আছেন সবাই। আশা করি সৃষ্টিকর্তার অপার মহিমায়, আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ কৃপায় অনেক ভালো আছি। আমি আজকে আপনাদের সামনে আমানী পুর পার্কের দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি। আমরা সকলে প্রতিনিয়ত ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। তাইতো আমাদের দেশে আনাচে-কানাচে ছোট বড় অনেক পার্ক রয়েছে। যেগুলোতে ঘুরতে গেলে আমাদের সকলেরই মন ফ্রেশ হয়। অনেক অনেক পার্ক গুলোতে বিভিন্ন প্রকারের রাইডার থাকে। আর চারদিকে বিভিন্ন ফুলে সজ্জিত থাকে। বিভিন্ন আর্ট দ্বারা সাজানো থাকে। তেমনি আমি একটি পার্কে গিয়েছিলাম যার ভেতরে খুব সুন্দর দৃশ্য অবলোকন করতে পেরেছি। আর সেই দৃশ্যগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। চলুন তাহলে বিস্তারিত আলোচনা শুরু করি।
আমানী পুর পার্কে বিভিন্ন জিনিসের প্রতিমূর্তি রয়েছে। এখানে গিয়ে দেখতে পেলাম আমাদের বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবনের ছোট প্রজেক্ট সিমেন্ট দিয়ে তৈরি করে রেখেছে। এ পার্কে গিয়ে ছোট ছোট বাচ্চারা অনেক কিছু শিখতে পারবে। তাই আমি মনে করি ছোট ছোট বাচ্চাদের বিভিন্ন পার্কে নিয়ে ঘুরিয়ে আনার দরকার যাতে তারা ভ্রমণের পাশাপাশি বিভিন্ন কিছু শিখতে পারে। আর পার্ক গুলোতে যাতে এমন এমন জিনিস রাখা হয় যেগুলো আমাদের শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ত। তাহলে শিশুরা অনেক কিছু শিখতে পারবে এবং ঘুরতেও আনন্দ পাবে।
এখানে দেখতে পারছি নাকি ফটোগ্রাফি। এই ফটোগ্রাফিটি দেখে আপনাদের কি মনে হচ্ছে। নিশ্চয়ই সাপের বাসা মনে হচ্ছে। আসলে এটা সাপের বাসা না এটা তাদের তৈরি একটি কৃত্রিম পাহাড়। পাহাড়ের গায়ে এমন কালারের রঙ দিয়েছে দেখা যাচ্ছে যে এটা একটি সাপের কুঠির। আমি প্রথমে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম এইটার কাছে যাচ্ছিলাম না। তখন সবাই বলছে এটা পাহাড়। তারপর কাছে গিয়ে একটি ফটোগ্রাফি করে নিলাম।
আমানী পুর পার্কে অনেক সুন্দর সুন্দর স্থান রয়েছে যেখান বসে সেলফি নেওয়া যায়। আর মুলত এইগুলো সেলফি তুলার জন্যই তৈরি করা হয়েছে। প্রথম ফটোগ্রাফিটি আমার ভাইয়ের যিনি বসে আছেন ছায়ার মধ্যে। আর দ্বিতীয় ফটোগ্রাফিটি দেখে তো বুঝতেই পারছেন আপনাদের ভাইয়া। রেল গাড়ি চালানোর রাইডার ছিল সেই রাইডারের লাইনে আপনাদের ভাইয়া হাটতেছিল, আমিও হেটেছিলাম। ছোট রেলগাড়ির রাস্তায় হাঁটতে খুবই ভালো লেগেছিল। এটা একটি ছোট রেলগাড়ির ব্রিজ।
এখানে আরেকটি ছেলে এই ব্রিজের উপরে হাটতেছিল। সবাই সেলফি তোলার জন্যই এই পার্কে আসে। ছোট একটি জায়গায় অনেক সুন্দর করে বিভিন্ন জিনিস সাজানো গোছানো রয়েছে।
এখানে দেখতে পারছেন রেলগাড়ির মধ্যে অনেকেই বসে আছে। আমার ভাই আর ভাবী রৌদ্রের মধ্যে বসে রয়েছে। আমরা তো দুপুর টাইমে যাওয়ার কারণে ওই পার্কে সৌন্দর্যটা ভালো করে উপলব্ধি করতে পারিনি। তারপরও অনেক ভালো লেগেছিল কিন্তু প্রচন্ড গরমে বেশিক্ষণ সেখানে থাকতে পারিনি। এখানে একটি ঘর দেখতে পারবেন সেখানে আপনার তুর্কি মোরগ পালন করা হয়। কিন্তু একটি ও তোর্কি মুরগি দেখতে পেলাম না।
বন্ধুরা আজ এই পর্যন্তই,আবার দেখা হবে আগামী তৃতীয় পর্ব নিয়ে। ততক্ষণ পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। এই কামনা করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ। ধন্যবাদ সকলকে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
চমৎকার একটি পার্ক ভ্রমণ করেছেন আপনি। উক্ত পার্ক ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্বটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। একই সাথে উক্ত পার্কের পরিবেশটা দেখতে বেশ চমৎকার লাগছে। আসলে এরকম সুন্দর পার্কে ভ্রমণ করার মজাই আলাদা। যাহোক উক্ত পার্ক ভ্রমণের পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
পরবর্তী পর্ব অতি শীঘ্রই শেয়ার করব ইনশাআল্লাহ । এতক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
অসাধারণ একটি পার্কে ভ্রমণ করেছেন এবং এখানে আপনি খুব সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন৷ তা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ এখানে আপনি ফটোগ্রাফির মাধ্যমে অনেক কিছু ফুটিয়ে তুলেছেন৷ যা অনেক আগে দেখা হয়েছিল৷ যা আবার আজকে আপনার কাছ থেকে দেখতে পেলাম৷ ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷