টমেটো দিয়ে বেলে মাছের ঝোল রেসিপি ।।
হ্যালো আমার প্রাণপ্রিয় বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। কারণ প্রায় দুই তিন দিন যাবৎ বৃষ্টি হচ্ছে আর বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা অনেকটাই নিচে নেমে এসেছে। যার ফলে মানুষের মনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। আজকে সকালেও রহমতের বৃষ্টি পড়েছে। যার ফলে বর্তমানে সবাই অনেক খুশি। আর এই খুশি মনে চলুন একটি রেসিপি দেখা যাক।
আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি রেসিপি শেয়ার করবো। এই রেসিপিটি আমি টমেটোর সাথে বেলে মাছ দিয়ে তৈরি করেছি। গত মাসে আমার আম্মু ঢাকা আমার বাসায় বেড়াতে এসেছিল। আসার সময় মা গ্রাম থেকে আমার জন্য এই বেলে মাছগুলো নিয়ে এসেছিল। এই মাছগুলো ফ্রিজের মধ্যে রেখে দিয়েছিলাম। মা আসার সময় আরো অনেক প্রকারের মাছই এনেছিল। যার ফলে সেই মাছ গুলো খাওয়ার কারনে এই মাছ গুলো রয়ে গেছে, এখনো খাওয়া হয়নি। গতকাল চিন্তা করলাম এই মাছগুলো খাওয়া দরকার কারণ প্রায় এক মাসের উপরে হয়ে গেছে। আর বাসার মধ্যেও টাটকা অনেকগুলো টমেটো রয়েছে। টমেটোর সমন্বয়ে বেলে মাছের চচ্চড়ি অনেক স্বাদ লাগে। তো চলুন রেসিপির স্টেপ গুলো একে একে দেখা যাক।
রেসিপির প্রয়োজনীয় উপকরণ-
- বেলে মাছ তিনশো গ্রাম
- টমেটো দুইটি
- কাঁচালঙ্কা বারোটি
- হলুদের গুঁড়ো
- মরিচের গুঁড়ো
- পেয়াজ কুচি পরিমান মত
- রসুন পরিমান মত
- সয়াবিন তেল পরিমান মত
- পানি পরিমান মত
বেলে মাছের চচ্চড়ি রন্ধন প্রক্রিয়া
প্রথমে চুলার মধ্যে আগুন জ্বেলে নিলাম। প্রাকৃতিক গ্যাস আগুনের কোন টেনশন নেই। তারপর চুলার উপর পাতিল বসিয়ে দিলাম। পাতিল গরম হলে,তাতে সয়াবিন তেল দিয়ে দিলাম। তারপর তেল গরম হলে তাতে পেঁয়াজ কুচি গুলো ছেড়ে দিলাম। যেহেতো মাছ আগে ভাজি করি নাই,তাই তেলটা একটু বেশি দিলাম।
তারপর পেঁয়াজ গুলো ভাজা ভাজা হয়ে গেলে কাঁচালঙ্কা, রসুন, হলুদের গুঁড়ো, মরিচের গুঁড়ো, আর কেটে রাখা টমেটো গুলো দিয়ে দিলাম।
মসলাগুলো ভালোভাবে নেড়েচেড়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখা বেলে মাছগুলো পাতিল এর মধ্যে দিয়ে দিলাম। তারপর ভালোভাবে মাছগুলো মসলার সাথে মিশিয়ে নিলাম। এই পর্যায়ে আগুনের আঁচটা একটু বাড়িয়ে দিলাম।
তারপর পাঁচ থেকে সাত মিনিট ভালোভাবে মাছগুলো কষিয়ে তাতে পরিমাণ মতো ঝোল দিয়ে দিলাম। ঝোল দেওয়ার পরে প্রায় ২০ মিনিট কুক করলাম। তারপর লবণ টেস্ট করে রান্না শেষ করে দিলাম। এই রেসিপিটা খুবই সিম্পল তেমন কোন ঝামেলা নেই। সময় লাগে কম, স্বাদ লাগে বেশি। আপনারা ইচ্ছা করলে রেসিপিটি করতে পারেন।
পরিবেশন-
বন্ধুরা এই হল আমার টমেটো দিয়ে বেলে মাছের চচ্চড়ি রেসিপি। রেসিপিটি খাওয়ার পরে এত স্বাদ হয়েছিল যা লিখে বোঝানো সম্ভব না। আপনারা ইচ্ছে করলে এই রেসিপিটি যেকোনো সময় করে খেতে পারেন। তাতে সময় খুবই কম লাগে। আবার আগামীকাল নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
রাসেল টমেটো দিয়ে বেলে মাছের চচ্চড়ি।। | |
স্থান | নিজ বাসা,নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা। । |
তারিখ | ০৯/০৫/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপ করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো যে আপনার মা আসার সময় গ্রাম থেকে আপনার জন্য বেলে মাছ সহ আরো অন্যান্য মাছ নিয়ে এসেছিল। সত্যি বলতে বেলে মাছ আমার অনেক বেশি পছন্দের আর আপনার মত করে এরকম ভাবে যদি টমেটো দিয়ে রান্না করা হয় তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। যদিও টমেটো দিয়ে খুব একটা বেশি খাওয়া হয়নি, ধন্যবাদ আপনাকে মজাদার একটা রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
ভাইয়া মা তো মা ই। আমার মা সব সময় আসার সময় নদীর ছোট বড় অনেক মাছি নিয়ে আসেন। তাছাড়া এই রেসিপিটি অনেক মজা হয়েছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপু বৃষ্টির দিনে এমন এমনিতেই অনেক খুশি থাকে। আপনি দিলে মাছের চচ্চড়ি রেসিপি তৈরি করেছেন দেখতে চমৎকার লাগছে। নদীর বেলে মাছ খাইতে অনেক সুন্দর হয়। অনেক সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
জ্বী ভাইয়া নদীর বেলে মাছ খেতে অনেক ভালো লাগে। আর বৃষ্টির দিনে এরকম তরকারি হলে তার কথাই নেই। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন টমেটো দিয়ে বেলে মাছের চচ্চড়ি রেসিপি তৈরি করে। আসলে সবজি দিয়ে যেকোন টাকি মাছ রান্না করলে খেতে বেশ ভালো লাগে। অন্য টাকি মাছের তুলনায় বেলে মাছ খেতে আমিও বেশ পছন্দ করি। এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরির প্রত্যেকটি স্টেপ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
সব মাছ ছবজির সাথে মানায়। কিন্তু বেলে মাছের এরকম ভাবে চচ্চড়ি করলে বেশি ভালো লাগে। সবজি দিয়ে রান্না করলপ তেমন মানায় না । ধন্যবাদ ভাইয়া।
বেলে মাছের খুব সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। দেখতে খুবই সুন্দর ও মজাদার মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ আপনার কাছে সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মধ্যে শেয়ার করার জন্য।
আপু বেলে মাছের চচ্চটি দেখতে যেমন সুন্দর লাগছে খেতে আরো বেশি সুস্বাদু হয়ে ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
বেলে মাছ আমার পছন্দের একটি মাছ। বেলে মাছ চচ্চড়ি করলে গরম ভাতের সাথে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। বেলে মাছের মধ্যে টমেটো ব্যবহার করায় আশা করি খেতে আরো সুস্বাদু হয়েছিল। লোভনীয় একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
খুবই ভালো লাগলো যে আপনিও বেলে মাছ খুব পছন্দ করেন। আর বেলে মাছের সাথে টমেটো দেওয়ায় রেসিপিটা আরো মজাদার হয়েছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
বৃষ্টি হয়ে আসলেই পরিবেশটা বেশ ঠান্ডা হয়েছে। কয়দিন এরকম ঠান্ডা থাকবে তাই চিন্তা করছে। যাইহোক অনেকদিন হলো বেলে মাছ খাওয়া হয় না। টমেটো দিয়ে যেকোনো মাছ রান্না করলেই খেতে খুব ভালো লাগে। আপনার বেলে মাছের রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছিল। কালার ও খুবই লোভনীয় লাগছে।
জি আপু আমাদের ও এই চিন্তা শীতলতা কতদিন থাকবে। যদিও আবার গরম চলে আসতেছে। হ্যাঁ আপু বেলে মাছের এই তরকারিটা অনেক ভালোই হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাদের ঐদিকে বৃষ্টি হচ্ছে জেনে ভালো লাগলো আপু। বৃষ্টি হলে আবহাওয়াটা বেশ শীতল থাকে। তবে আমাদের এদিকে বৃষ্টি নেই। এখন আগের মতই রোদ দেখা যায়। টমেটো দিয়ে বেলে মাছের দারুন একটি রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। মনে হচ্ছে খেতে খুবই মজার হয়েছিল। এছাড়া এই মাছগুলো খেতে অনেক সুস্বাদু হয়।
আপু আমাদের এদিকে আবহাওয়া টা এখন কিছুটা ঠান্ডা। বেলে মাছের এই রেসিপিটা অনেক মজা হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু।
টমেটো দিয়ে বেলে মাছের চচ্চড়ি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। বেলে মাছ আমার পছন্দ মাছ।তাই ধাপে ধাপে রেসিপিটি দেখে অনেক মজাদার মনে হচ্ছে।
এই মাছ গুলো কে আমাদের এলাকায় অন্য নামে পরিচিত। আপনি আজকে খুবই সুন্দর করে বেলে মাছের চচ্চড়ি রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি রেসিপি টি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।আপনি একদম সহজ পদ্ধতিতে মাছের রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন।বেলে মাছ গুলো খেতে আমার কাছে বেশ ভালোই লাগে। আপনার তৈরি রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছে।