রাসেল পার্কে ঘোরাঘুরি করার অনুভূতি।।
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটা ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে রাসেল পার্কে ঘোরাঘুরি করার অনুভূতি শেয়ার করতে যাচ্ছি।
আমি গত কয়েকটি পোস্টে বলেছিলাম যে আমি আমার হাজবেন্ডের সাথে গত পহেলা মে একটি পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলাম। বেশিদিন হয়নি এ পার্টি নির্মাণ করা হয়েছে। খুব সম্ভবত দুই তিন বছর হবে। পার্কের কার্যক্রম সবকিছু নতুন ছিল। আমরা আসরের নামাজের পরে বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। তারপরে হাইওয়েতে গিয়ে একটি রিকশা নিয়ে সোজা পার্কে চলে গেছিলাম। এ পার্টিতে প্রবেশ করতে কোন এন্টিফি দিতে হয় না। জনসাধারণ হর হামেশা পার্কে প্রবেশ করতেছে আবার বাহির হয়তেছে। পার্কটি অনেক সুন্দর করে সাজিয়েছে। পার্কের ভিতর বিশাল বড় একটি খেলার মাঠ, বিশাল বড় একটি লেক, বিভিন্ন অনুষ্ঠান করার মঞ্চ ও অনেকগুলো রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এ পার্কটি সরকারি হলেও প্রাইভেট পার্কের মত সাজানো-গোছানো ছিল। যে কোন মানুষের কাছে জায়গাটি পছন্দ হয়ে যাবে।
আমরা যেদিন গিয়েছিলাম, সেদিন সরকারি ছুটির দিন ছিল। যার ফলে পার্কে অনেক মানুষের সমাগম হয়েছে। পার্কের ভিতরে কয়েকটি পানির ফোয়ারাও দেখেছি। বাচ্চাদের খেলার অনেকগুলো জায়গা রয়েছে। পার্কের ভিতর বিভিন্ন ধরনের গাছপালা ছিল। অনেক ধরনের ফুল গাছ, ও ফুলের বাগান ছিল। পার্কের ভিতর ছোট্ট একটি পুকুরে পদ্মফুল দেখেছিলাম। সব মিলিয়ে পরিবেশের দিক দিয়ে পার্ক টি অনেক সুন্দর ছিল।
আমরা পার্কের মধ্যে ভিতরে প্রবেশ করে বাচ্চাদের অনেকগুলো খেলার আইটেম দেখলাম। সেখানে ছোট বড় সবাই খেলতেছে। এগুলো মূলত ব্যায়াম করার জিনিস। তবে এখানে ছেলেমেয়েরা দাঁড়িয়ে বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে দেখলাম। আবার ছোট একটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে অনেক উপরে। উপরে ওঠার জন্য দুই পাশে অনেক সুন্দর সিঁড়ি রয়েছে। সিড়িতে বসেও দর্শনার্থীরা ফটোগ্রাফি করতে ছিল। আমাদের সাথে বাবু থাকার কারণে আমরা উপরে উঠি নাই। আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলাম। তবে এখানে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান করার জন্য জায়গা ও রয়েছে। এখানে একটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। একটি ট্রেনিং সেন্টার করা হয়েছে।
বন্ধুরা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন লেকের পারে অনেক সুন্দর একটি বসার জায়গা করা হয়েছে। লেকের চারপাশে এমন অনেকগুলো বসার জায়গা দেখলাম। মানুষ এখানে বসে লেকের সৌন্দর্য উপভোগ করছে। সেই সাথে লেকের পানি থেকে ঠান্ডা বাতাস আসতেছে। লেকের উপরে সুন্দর একটি ব্রিজও রয়েছে। এখানে একটি বিষয় লক্ষ্য করলাম যে বাহিরের কোন খাবারের দোকান পার্কের ভিতর বসতে পারে নাই। পার্ক কর্তৃপক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে লক্ষ্য করে এই উদ্যোগটি নিয়েছে। এর জন্য পার্ক কর্তৃপক্ষকে আমরা সাধুবাদ জানাই। পার্কের ভিতরে যেহেতু রেস্টুরেন্ট রয়েছে সেহেতু বাহিরের কোন দোকান ভিতরে আসতে না দেওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ হয়েছে। আমরা পার্কের ভিতর কৃত্রিম একটি খেজুর গাছ দেখতে পেলাম। সন্ধ্যার পরে এই কৃত্রিম খেজুর গাছটি ঠিকভাবে দেখা যাবে। কারণ এই গাছটির চারপাশে বিভিন্ন ধরনের লাইটিং করা আছে।
আমারা চারপাশে ঘুরতে লাগলাম। আর পার্কের সৌন্দর্য উপভোগ করতে লাগলাম। আপনারা ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছেন যে পার্কের ভিতর অনেক মানুষ রয়েছে। সামনের দিকে এগিয়ে গিয়ে বিশাল বড় একটি ফুটবল খেলার মাঠ দেখলাম। সে মাঠের মধ্যে ছেলেরা খেলাধুলা করতেছে। সম্পূর্ণ পার্কটি বাউন্ডারি দেওয়া। খেলার মাঠের ভিতরে ও বাহিরের মানুষ প্রবেশ করতে পারে না। চতুরপাশে লোহার বেড়া দেওয়া আছে। আমাদের সাথে আমাদের পাশের বাসার এক ভাবি ও তার ছেলেকে নিয়ে গিয়েছিল। তারা আমাদের থেকে কিছুক্ষণ আগে চলে এসেছিল। সামনের দিকে একটি পাহাড় রয়েছে। সেই পাহাড়ের মধ্যে ভাবি ও তার ছেলে বসে আমাদের জন্য অপেক্ষা করতে ছিল। আমরা চারপাশের গাছ, ফুল, ফল এগুলোর ফটোগ্রাফি করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলাম।
বন্ধুরা সামনের দিকে অনেক সুন্দর ফুলের বাগান আছে, আমি অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছি। অনেক সুন্দর রেস্টুরেন্ট রয়েছে। লেকের মধ্যে ভাসমান রেস্টুরেন্ট রয়েছে। অনেক সুন্দর সুন্দর ফোয়ারা রয়েছে, সেগুলো আপনারা পরের পর্বে দেখতে পাবেন। আজকে আমি এখান থেকে বিদায় নিলাম। আবার আগামীকাল নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো, ইনশাআল্লাহ।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
রাসেল পার্কে ঘোরাঘুরি করার অনুভূতি।। | |
স্থান | সদর, নারায়ণগঞ্জ। । |
তারিখ | ০১/০৫/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপ করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
পার্কে ঘোরাঘুরি করার সুন্দর মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। এই সুন্দর মুহূর্তটা দেখে অজানা অচেনা ইসলাম সম্পর্কে বেশ ধারণা পেয়ে গেলাম। রাসেল পার্ক সম্পর্কে মোটামুটি জানার সুযোগ হল আপনার মাধ্যমে।
এই পার্কের আগেও বেশ বর্ণনা শুনেছি তবে দেখার সুযোগ হয়নি কখনো। কিন্তু আপনার আজকের ব্লগটি পড়ে অনেক বেশি আনন্দ পেলাম। অনেক বড় আকারের একটি পার্ক বেশ সুন্দর সুন্দর জিনিস দেখতে পেয়েছি। আপনি বেশ ঘোরাঘুরি করলেন আর বর্ণনা ও সুন্দর দিলেন ফটোগ্রাফির সাথে। বেশ ভালো উপভোগ করতে পেরেছি আপু আপনার ব্লগের মাধ্যমে আজকে।
জি আপু, আরেকটি ছিল বিশাল বড়। আর এই পার্কের সৌন্দর্যটা ও মনোমুগ্ধকর দেখতে। ধন্যবাদ আপু।
রাসেল পার্কের কথা অনেক পোষ্টের মধ্যে শুনেছিলাম অনেকের। তবে আপনি আপনার হাসবেন্ডের সাথে রাসেল পার্কে ঘুরতে গেলেন। আসলে আপু রাসেল পার্ক নতুন হলেও পরিবেশ খুব চমৎকার দেখে বোঝা যাচ্ছে। আর যে পার্কের পরিবেশ অসাধারণ ওই পার্কের জনগণ বেশি দেখা যায়। তবে অনেক বড় একটি খেলার মাঠ আছে এখানে। আর এরকম পার্ক গুলোর মধ্যে গেলে নিজের মন ও সতেজ হয়ে যায়। খুব সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আপু রাসেল পার্কের নতুন হলেও এর মধ্যে জনসমাগম অনেক বেশি। কারণ পার্কটু দেখতে অনেক সুন্দর। ধন্যবাদ আপু।
পার্কে ঘোরাঘুরি করার মজাই আলাদা৷ আজকে আপনি এই রাসেল পার্কে ভ্রমণ করে খুবই সুন্দর কিছু মুহূর্ত উপভোগ করে তা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন৷ খুব সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সবকিছু আমাদের মাঝে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম একটি পোস্ট আমাদের মাঝে ফুটিয়ে তোলার জন্য৷ খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে৷
জুরাইয়া পার্কে ঘোরাঘুরি করতে অনেক ভালো লাগে। আর এরকম পার্কে ঘুরতে আরো বেশি ভালো লাগে ধন্যবাদ ভাইয়া।