সুস্বাদু দেশি মুরগির মাংসের রেসিপি।।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
পরম করুণাময় অসীম দয়ালু মহান সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করতেছি-
হ্যালো বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করবো। আশা করি রেসিপিটি আপনাদের সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি দেশি মুরগির রেসিপি শেয়ার করতে যাচ্ছি। এই রেসিপিটি আমি করেছিলাম বেশ কয়েকদিন আগে। আপনারা জানেন যে বর্তমান সময়ে প্রচন্ড গরম চলতেছে। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে এখন মাংস জাতীয় কোন কিছু না খাওয়াটাই ভালো। সবজি জাতীয় খাবার বেশি বেশি খাওয়া প্রয়োজন। তারপরও আমি এই রেসিপিটা করেছি কারন এই মুরগির মাংসটা বেশ কয়েক মাস ফ্রিজে ছিল। আর বেশি দিন ফ্রিজে মাংস থাকলে আমি খেতে পারি না। একটা কেমন গন্ধ চলে আসে। তাছাড়া মাংস বেশিদিন ফ্রিজে থাকলে তার স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। আবার কখন তাপমাত্রা কমবে সেটা শিওর দিয়ে বলা যাচ্ছিলো না। আজকেও প্রচন্ড গরম,সেদিন প্রচণ্ড গরম নিয়ে রেসিপিটা করেছিলাম। আজকে আবার প্রচণ্ড গরম নিয়ে আপনাদের মাঝে পোস্টটি শেয়ার করতেছি। মুরগির মাংসের সাথে আমি তিন পিস আলু ও দুই পিস টমেটো দিয়েছিলাম। রেসিপিটা মোটামুটি অনেক স্বাদ
হয়েছিল।
- মুরগির মাংস হাফ কিলো
- আলু তিনটি
- টমেটো দুইটি
- কাচাঁ লঙ্কা ১০টি
- পেয়াঁজ কুচি পরিমান মত
- আঁদা বাটা পরিমান মত
- রসুন বাটা পরিমান মত
- মরিচের গুঁড়ো পরিমান মত
- হলুদের গুঁড়ো পরিমান মত
- জিরে গুঁড়ো পরিমান মত
- লবণ পরিমান মত
- তেল পরিমান মত
- তেঁজপাতা চারটি
- পানি পরিমান মত
রন্ধন পক্রিয়া
প্রথমে আমি চুলার মধ্যে আগুন জ্বালিয়ে তাতে একটি সিলভারের পাতিল বসিয়ে দিলাম। পাতিলটি কিছুটা গরম হলে তাতে পরিমান মত সয়াবিন তেল দিয়ে দিলাম। তেলটা যখন গরম হয়ে আসলো তখন আমি তাতে কিছু গরম মসলা ও পেঁয়াজকুচি গুলো ছেড়ে দিলাম।
পেঁয়াজ কুচি গুলো নেড়েচেড়ে কিছুটা হলুদ বর্ণ ধারণ করলে, আমি তাতে আদাবাটা, রসুন বাটা, জিরে বাটা সহ যাবতীয় মসলাগুলো দিয়ে দিলাম। তারপর কিছুটা নেড়েচেড়ে মসলাগুলো মিক্স করে নিলাম। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন মসলাগুলো মিক্স হয়ে নিচের তেলটা উপরের দিকে চলে এসেছে।
এখানে গুঁড়ো মশলা গুলো দেওয়ার জন্য আমি একটি পদ্ধতি অবলম্বন করেছি। মরিচের গুঁড়ো, হলুদের গুঁড়ো, জিরেগুঁড়ো আমি তিনটে একসাথে একটি বাটিতে নিয়ে কিছুটা পানি দিয়ে মিক্স করে তারপর পাতিলের মধ্যে দিয়ে দিয়েছি। এর দ্বারা মসলা গুলো তেলটা বেশি নিতে পারবে না। কারন মসলার সাথে পানি মিক্স করা আছে।
তারপরে সবগুলো মসলা একসাথে মিক্স করে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিলাম। তারপর আস্তে ধীরে কেটেকুটে তৈরি করে রাখা মুরগির মাংসগুলো পাতিল এর মধ্যে ছেড়ে দিলাম। এখানেও ভালোভাবে মসলার সাথে মাংসগুলো মিক্স করে একটি ঢাকনা দিয়ে ডেকে দিলাম। তারপর প্রায় 30 থেকে 35 মিনিট এভাবে রান্না করলাম। দেশি মুরগি যেহেতো সময় লাগতে পারে।
মাংসগুলো যখন ৬০% সিদ্ধ হয়ে আসলে তখন আমি কেটে রাখা আলুর পিস গুলো মাংসের সাথে দিয়ে দিলাম। তারপর সবগুলো নেড়েচেড়ে মিক্স করে আরো কিছুক্ষন ঢাকনা দিয়ে ডেকে রান্না করলাম।
তারপর শেষের দিকে আমি কাঁচা মরিচ ও টমেটো গুলো দিয়ে একটু পানি দিয়ে আবার ঢেকে দিলাম। এ পর্যায়ে 10 থেকে 15 মিনিট রান্না করার পরে আলুগুলো সিদ্ধ হয়ে গেলে, লবন টেষ্ট করে আমার রেসিপি চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম। এখন পরিবেশন করার পালা।
পরিবেশন-
বন্ধুরা এই হলো আমার সুস্বাদু দেশি মুরগির রেসিপি। প্রচন্ড গরমের মধ্যেও যথা সম্ভব সবকিছু দিয়ে রেসিপির স্বাদ ঠিক রাখার চেষ্টা করেছি। আশা করি রেসিপিটি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। বন্ধুরা আজকে আমি এখান থেকেই বিদায় নিতে চাই। আবার আগামীকাল আপনাদের সাথে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো, ইনশাআল্লাহ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, প্রচণ্ড গরমে বেশি বেশি পানি খাবেন। সম্ভব হলে লেবুর শরবত খাবেন। আল্লাহ হাফেজ।।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
টাইটেল | সুস্বাদু দেশি মুরগির মাংসের রেসিপি। |
স্থান | নিজ বাসা,নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা। । |
তারিখ | ০২/০৫/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপ করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
বাপরে বাপ সুস্বাদু দেশি মুরগি রান্না করে একা একা খেলেন। আমাদের কথা এতটুকু ভাবলেন না। দেখেই তো মনে হচ্ছে খাবারটি বেশ সুস্বাদু হয়েছিল। খেতে পারলে আর একটু টেস্ট বোঝা যেত। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু আপনার কাছ থেকে শিখেছ। আপনি ওতো মজার মজার রেসিপি রান্না করে একা একাই খান। হাহা, ধন্যবাদ আপু সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
সুস্বাদু দেশি মুরগির মাংস রেসিপি দেখতে পেয়ে। অনেক মজাদার মনে হচ্ছে। অনেকদিন পর দেশি মুরগির মাংস রেসিপি দেখতে পেলাম। আসলে দেশী মুরগী রেসিপি খেতেও খুবই মজা লাগে। আপনার রেসিপি পরিবেশনটা আমার ভালো লেগেছে।
জি ভাইয়া অনন্যা মুরগির তুলনায়, দেশি মুরগির রেসিপি খেতে অনেক ভালো লাগে। রেসিপির পরিবেশনটা আপনার কাছে ভালো লেগেছে।তা যেনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
এটা সত্যি কথা বলেছেন বর্তমানে যে, গরম পড়ছে তাই শাকসবজি জাতীয় খাবারটা আমাদের সবার বেশি খাওয়া উচিত। দেশি মুরগির মাংস মানেই আলাদা ধরনের স্বাদ। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে দেশি মুরগির মাংসের রেসিপি প্রস্তুত করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো আপু। অনেক সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জ্বি ভাইয়া প্রচন্ড গরমে মাছ মাংস না খেয়ে প্রচুর সবজি খাওয়া সবচেয়ে ভালো। আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
মুরগির মাংস আমার কাছে বরাবরই ভীষণ ভালো লাগে। তাছাড়া যে কোনো রেসিপিতে টমেটো দিলে খেতে আরো বেশি মজা লাগে। আপনার তৈরি রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছিলো। নিশ্চয় সবাই মিলে বেশ মজা করে খেয়েছিলেন। ধন্যবাদ এতো মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া এটা একদম ঠিক, যে কোন রেসিপিতে টমেটো ইউজ করলে সেই রেসিপিটা অনেক মজাদার হয়ে থাকে। আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেশি মুরগির মাংস রান্নার রেসিপি। আসলে দেশি মুরগির মাংস খেতে আমার কাছে বেশ টেস্ট লাগে। আপনি রেসিপি তৈরির মধ্যে আলু দিয়েছেন এই কারণে খেতে আরও বেশি ভালো লাগবে। দেশি মুরগির রান দুটি দেখে সত্যিই লোভ সামলাতে পারছি না আর। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরির পদ্ধতি শেয়ার করার জন্য।
জ্বী ভাইয়া এই মুরগিটি ছিল একটি দেশি মুরগি। তাই রানগুলো অনেক লম্বা লম্বা। যার জন্য কেউই লোভ সামলাতে পারবেনা। হাহাহা। ধন্যবাদ ভাইয়া।
দেশি মুরগির মাংস আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার রেসিপি দেখে তো বুঝা যাচ্ছে রান্না টি বেশ দারুণ হয়েছে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে রেসিপির ধাপ গুলো উপস্থাপন করছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
জি ভাইয়া রেসিপিটি খেতে অনেক ভালো লেগেছে। যেহেতু প্রচন্ড গরম তারপর ও মজা করে খেয়েছি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফ্রিজে বেশিদিন কিছু থাকলে তার স্বাদ যেমন নষ্ট হয় গুনগত মানও নষ্ট হয়ে যায়।আপনি প্রচন্ড গরমে ধৈর্য সহকারে সাজিয়ে গুছিয়ে চমৎকার ভাবে রেসিপি টি করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ভীষণ লোভনী লাগছে রেসিপিটি। ধাপে ধাপে চমৎকার ভাবে রন্ধন প্রনালী আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ও সুস্বাদু রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আপু এটা একদম ঠিক, যে কোন জিনিস ফ্রিজে রাখলে যেমন স্বাদ নষ্ট হয় তেমন গুণগত মান ও নষ্ট হয়ে যায়। রেসিপিটি সুস্বাদু হয়েছিল ঠিকই। তারপরও মনে হচ্ছে যেন এই রেসিপিটি আরো আগে কেন রান্না করলাম না। তাহলে হয়তো আরো মজা হত। ধন্যবাদ আপু
দেশি মুরগির মাংস খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আজকে আপনি আলু দিয়ে দেশি মুরগির মাংস রেসিপি করেছেন। তবে এটি ঠিক বেশিদিন ফ্রিজে মাংস থাকলে খেতে ভালো লাগে না। সত্যি আপনার রেসিপিটি দেখে আমার খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। খুব সুন্দর করে লোভনীয় রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জ্বি আপু বেশিদিন ফ্রিজে রাখলে যে কোন জিনিস ভালো লাগে না। তাই আর মাংসটা ফ্রিজে রাখতে ইচ্ছে করেনি। গরম হলেও তা রান্না করে ফেলেছি। ধন্যবাদ আপু।
আজকে আপনি খুব মজার রেসিপি করেছেন। তবে দেশি মুরগি খেতে আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগে। আর দেশি মুরগির মাংস এর স্বাদও আলাদা। আপনি খুব সুন্দর করে আলু এবং টমেটো দিয়ে দেশি মুরগির মজাদার রেসিপি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। এ ধরনের রেসিপি দিয়ে গরম ভাত এবং গরম রুটি খেতে বেশ মজা লাগে। ধন্যবাদ রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।