চরম গরমে আপনার পরম বন্ধু হোক বিশুদ্ধ জল
|| আজ ২৫ এপ্রিল,২০২৪ || রোজ: বৃহস্পতিবার ||
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। এমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি আপনারা সকলে এমন গরমের মাঝেও ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে পরিবারসহ বেশ ভালোই আছি। ঈদের পর বেশ কিছুদিনের ছুটিতে ছিলাম বিভিন্ন কারণে। আজ আবারো আপনাদের সামনে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করবো আজকের থেকে আবারো নতুন উদ্যোমে প্রিয় কমিউনিটিতে নিজের কাজের মাধ্যমে নিজের অবস্থান বজায় রাখবো। যাই হোক আর কথা না বাড়িয়ে মূল লেখায় চলে যাই।
এবছর বৈশাখের শুরুতেই বেশ কয়েকদিন বৃষ্টি হলেও তারপর থেকেই প্রচন্ড গরমে আবালবৃদ্ধবনিতা সকলেরই রীতিমতো কাহিল দশা। গতকাল বুধবার থেকে সারাদেশে ৩য় দফায় তিন দিনের হিট এলার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সাথে এটাও বলেছে চলতি মাসে অন্তত রাজধানী ঢাকায় এই তাপমাত্রা কমার মতো কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। রাজধানীতে ৩৮-৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা যেন অস্থির করে তুলছে সাধারণ জনজীবনকে। বিভিন্ন স্কুল -কলেজে চলছে বিশেষ ছুটি। পাশাপাশি অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েও অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা নিয়েছে যেন বাহিরে যথাসম্ভব কম বের হতে হয়। তবে এরপরেও বিশাল জনসংখ্যাকে এমন পরিস্থিতিতেও বাসার বাহিরে বের হতে হচ্ছে বিভিন্ন প্রয়োজনে।
Source: Pixabay.com
আসলেই যে সকলের পক্ষে এমন গরমের কারণে বাসার ভেতর বসে থাকা সম্ভব নয়, সেটা আমরা সকলেই জানি। তবে এই তীব্র গরমের হাত থেকে নিজেকে যথাসম্ভব বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আর তার প্রথম ধাপ ই হচ্ছে নিজের শরীরকে যথেষ্ট পরিমাণ হাইড্রেটেড রাখা। অর্থাৎ সারাদিনে যথেষ্ট পরিমাণ বিশুদ্ধ জল পান করা। এই গরমে আপনার পরম বন্ধু হোক বিশুদ্ধ জল। এর কোন বিকল্প নেই। এমন গরমে শরীর থেকে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি ঘাম হয়। সাথে শরীর থেকে অনেক লবণ ও বের হয়ে যায়। এই ঘাটতি পূরণ করতে আমাদেরও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বিশুদ্ধ জল শরীরে ইনটেক করতে হবে। অর্থাৎ আগে যদি আপনি ৮-১০ গ্লাস জল পান করতেন, তবে এখন সেখানে ১০-১২ গ্লাস পানি নূন্যতম পান করতে হবে।
আমাদের পরিবারে এমন অনেকেই আছেন, সারাদিনে যারা শুধুমাত্র খাওয়ার আগে-পরেই জল পান করে থাকেন। এমন সদস্যদের প্রতি বিশেষ নজর দিন। এবং যাদের পরিবারে ছোট সদস্য রয়েছে, তাদের প্রতিও বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। যেন তারা সারাদিনে বারে বারে যথেষ্ট পরিমাণ জল পান করে। এক্ষেত্রে গরমে বাচ্চাদের কিন্তু আইসক্রিম খাওয়ার প্রতি ঝোঁক বেড়ে যায়। পাশাপাশি বড়দের মাঝেও ক্ষতিকর কিছু অভ্যেসের প্রতি ঝোক বেড়ে যায়। যেমন- বাইরের গরম থেকে এসেই ফ্রিজের ঠান্ডা পানি খাওয়া, কিংবা বাহিরে থাকাকালীন ঠান্ডা সফট ড্রিংস অথবা বাহিরের অস্বাস্থ্যকর শরবত/জুস খাওয়ার প্রবণতা অনেকাংশে বেড়ে যায়। এগুলো আসলে আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর এবং ভালোর চেয়ে খারাপ ই ডেকে আনে বেশি। তাই বিশুদ্ধ জলকেই এই গরমে পরম বন্ধু হিসেবে মেনে নিতে হবে।হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে চাইলে এর বিকল্প নেই। নিতান্তই যদি বাহিরে কিছু খেতেই হয়, ডাবের জল খাওয়ার চেষ্টা করুন। গরমে পানিবাহিত রোগের সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়, এটি মাথায় রেখে বাহিরের অস্বাস্থ্যকর শরবত এবং জুস আইটেম এড়িয়ে চলতে হবে। প্রয়োজনে বাহিরে যে সকল সদস্য বের হতেই হচ্ছে, তাদের সাথে ঘরে তৈরি ফলের জুস করে দিন। ব্যাগে ছাতা এবং বিশুদ্ধ জলের বোতল যেন থাকে এটা সকলেরই নিশ্চিত করাটা ভীষণ জরুরি।
Source:Pixabay.com
পরিবারে অনেক সদস্য থাকেন যাদের বাকিদের চেয়ে অনেক বেশি গরম লাগে। তাই বাকিদের চেয়ে তাদের ঘামও হয় বেশি। তাদের ক্ষেত্রে বেশি সহায়ক হবে খাবার স্যালাইন অথবা লবণ,লেবু, পুদিনা পাতার সাথে কম চিনি দিয়ে বানানো ঘরোয়া শরবত। এছাড়াও জল সমৃদ্ধ ফল যেমন - তরমুজ, বাঙ্গী, শশা, টমেটো, স্ট্রবেরি এসব ও খাদ্যতালিকায় রাখা বুদ্ধিমানের কাজ। আসলে কথাগুলো কম-বেশি আমরা সকলেই হয়তোবা জানি। তবে এসকল বিষয়ে যেন গুরুত্ব দিয়ে মানি, এটাই কাম্য। এই গরমে সকলে নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করবেন। সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের পোষ্ট এপর্যন্তই শেষ করছি। পরিশেষে, এই কমিউনিটিও যেহেতু আমাদের আরেকটা পরিবারই, তাই সবাই সবার জন্য প্রার্থনা করবেন।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
গরমের যে তীব্রতা দেখছি তারপর আর কিছু বলার নেই। জানি না এভাবে ঠিক কতদিন চলবে। আপনার পরামর্শ গুলো বেশ ভালো ছিল আপু। এই গরমে বেশি পানি পান করার কোন বিকল্প নেই। পাশাপাশি আমাদের বিভিন্ন সফট ড্রিংকস এবং একেবারে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি এড়িয়ে চলা উচিত। আপনার পোস্ট টা ভালো ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। এমন গরম আসলে চলতেই থাকবে বেশ কয়েকদিন আরোও যা বুঝতিসি। তাই যতটুকু পারা যায়, সচেতন থাকাটাই ভালো।
তীব্র এই গরমের মুহূর্তে আমাদের বেশি বেশি পানি পান করা প্রয়োজন। আর সেটা হতে হবে অবশ্যই বিশুদ্ধ পানি। যত বেশি পানি পান করবে তত আমাদের শরীরের জন্য ভালো হবে। জনসচেতন মূলক একটি পোস্ট কিন্তু আপনি শেয়ার করেছেন। আপনার এই পোস্ট আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
কথাগুলো কম-বেশি অনেকেই জানেন। তবে ভাই যে গরম পড়েছে, কথা গুলো বেশি বেশি ছড়ানো প্রয়োজন। সেকারণেই আমার দিক থেকে সচেতন করার জন্যই লেখাটা শেয়ার করা।