প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমি সত্যি বলতে খুব বেশি ভালো নেই। তীব্র মাইগ্রেনের ব্যাথায় গত তিন দিন থেকে খুব ভুগলাম। আজ সকাল থেকে কিছুটা ফ্রেশ লাগছে। তাই এখন আবারো আপনাদের সামনে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আসলে বিগত তিনটা দিন তেমন কোন কাজ ই করতে পারি নি। আর এখন অনেকটা এমন হয়ে গিয়েছে যে প্রিয় এই কমিউনিটি তে কাজ না করতে পারলে যেন কিছুটা অশান্তিই লাগে। তো আর কথা না বাড়াই। আশা করবো আজকের পোষ্ট টি আপনাদের ভালো লাগবে।

সুস্থতা আসলেই যে কত বড় নিয়ামত, সেটা খুব ভালো ভাবে টের পাওয়া যায় অসুস্থ হলে। তার উপর আবার বাসায় যদি অন্য কেউ না থাকে, তবে অসুস্থ অবস্থায় সময় যেন আরোও ভয়াবহ হয়ে যায়। এই তো কিছুদিন আগেই আমার বাসায় যেন প্রিয় মানুষ দের মেলা বসেছিলো কয়েকদিনের জন্য। কিন্তু তারা চলে যাওয়ার পর আবারো এখন দুজনের সংসার। তবে যখন সকলে ছিলো, তখন আমরা সকলে মিলেই ভীষণ মজা করেছি। মূলত রংপুর থেকে আমার পিসি শ্বাশুড়ি এবং তার দুই মেয়ে মানে আমার দুই ননদ এসেছিলো আমাদের বাসায়। সাথে ঢাকায় আমার আরেক কাকাতো ননদ থাকে, এই সুযোগে ওকেও ডেকেছিলাম। আমার নিজের কোন ননদ নেই। তবে এই কাকাতো আর পিসতুতো ননদ এর সাথে অনেকটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আমার। একদম বিয়ের দিন থেকেই ওরা আমায় ভীষণ আপন করে নিয়েছে। ননদ সম্পর্কে যেমন ধারণা থাকে মানুষের, আমার ক্ষেত্রে ওরা সেই ধারণা বদলে দিয়েছে। ওদের সাথে যখন ই দেখা হয়, ভীষণ মজা হয়।

এর মাঝে আমার এক ননদের জন্মদিন ছিলো ১৬ তারিখে। ওর নাম খেয়া। বাংলাদেশ কৃষি ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স করছে। ভীষণ সুইট আর আদুরে একটা মেয়ে। সাথে ভীষণ সেন্সিবল ও। যেহেতু আমরা সকলে একসাথে ছিলাম, আমরা বাসাতেই ছোটখাটো একটু এরেঞ্জমেন্ট করেছিলাম। আমাদের পক্ষ থেকে কেক, মিষ্টির আয়োজন ছিলো। পিসি পায়েস বানিয়েছিলেন। আর রাতে সুলতান'স ডাইন থেকে খাবার অর্ডার করে নেয়া হয়েছিলো বাসাতেই। সেটাও অবশ্য পিসির পক্ষ থেকে ট্রীট ছিলো।

আসলে প্রিয় মানুষেরা একসাথে থাকলে যে কোন মুহূর্তই যেন সুন্দর হয়ে উঠে। প্রাণখুলে হাসি মজায় কাটানো ঘরোয়া মুহূর্তগুলোও অনেক স্পেশাল ছিলো। আমি বরাবরই প্রেফার করি লোক দেখানো আলোর ঝলকানি না থাকলেও, মুহূর্তের আনন্দ গুলো যেন পিওর হয়। সেভাবেই কেটেছে দিনটি। আপনারা সকলে খেয়ার জন্য প্রার্থনা / দোয়া করবেন। ওর ইচ্ছে আছে এরপর হায়ার স্টাডিস এর জন্য দেশের বাহিরে যাওয়ার। IELTS স্কোরও বেশ ভালো। আমি খুব করে চাই যেন ওর এই ইচ্ছে পূরণ হোক। আপনারাও প্রে/ দোয়া করবেন।