লাইফ স্টাইল :- লালন শাহের মাজারে কিছুক্ষণ। পর্ব :-৩
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। বর্তমান সময়ে যে আবহাওয়া চলছে তাতে মানুষের অসুখ হবে এটাই স্বাভাবিক। বিশেষ করে বাচ্চাদের আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো যাইহোক কথা না বাড়িয়ে তাহলে শুরু করা যাক আমার আজকের ব্লগ ...।
লালন শাহের মাজারে যাওয়ার পরে এখানে এক পাশে আমি মাজার দেখেছিলাম ঠিক তার অপর পাশেও দেখলাম যে কিছু কবর রয়েছে। কবরের উপরে লেখা ছিল পাঁচ ফকিরনি । সত্যি বলতে এই কথাটা শুনে আমার বেশি হাসি পেয়েছিল আমরা মাঝেমধ্যে মানুষকে বলি না যে ফকিন্নি ছেলে বা ফকিন্নি এমন একটা কথা। তো এটা দেখে পড়া ওইটা পড়ার পরে আমার এই কথাটাই মনে হয়েছিল আসলে এদের কেমন ধর্ম আমি বুঝি না যেটা নিজেকে ফকির হিসেবে আখ্যায়িত করে। যাইহোক কথা আছে যার যার ধর্ম তার তার কাছে। আমি এই ধরনের ফকিরদের সাথে তেমনভাবে মেশা হয়নি তবে মাঝেমধ্যে এদের সাথে আমার কথাবার্তা হয়েছে তবে এদের কথাবার্তা শুনে আমার একটা বিষয় মনে হয়েছে প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যে ভালো এবং খারাপ দুইটা দিক থাকে। আমি চেষ্টা করি সব জায়গা থেকে খারাপের দিকটা না দেখে ভালো দিকটা দেখতে। তাদের ভালো দিকটা আমি খুঁজে পেয়েছি তারা অত্যন্ত বিনয়ই এবং ভদ্র আর একটা বিষয় হলো তার অত্যন্ত দয়া মনের মানুষ। আমি কথাটা বললাম এই কারণে আপনি কখনো তাদের সামনে বিপদে পড়ে দেখবেন তারা যদি তাদের নজরে পড়ে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে আপনার পাশে এসে দাঁড়াতে। কারণ আমি এই বিষয়টা নিজ থেকে আমি অনেকবার দেখেছি এবং এটা উপলব্ধি করেছি। এই পরিবেশটা ছিল খুবই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন যার ধরুন দেখতে কিন্তু ভীষণ ভালো লাগছিল। এখানে যে লেখাটা ছিল তাতে বুঝতে পারছিলাম যে এখানে পাঁচজন ফকিরের কবর স্থান। যাইহোক মানুষের রূপ এবং আকার একই হলে তাদের ধর্ম কর্ম সবকিছু ভিন্নতা থাকে। তবে তাদের আদব কায়দা তাদের ব্যবহার ও ছাড়ানোর বেশ ভালো লেগেছে কারণ এখানে মুরুব্বি মানুষ হোক আর বয়স্ক কিংবা ছোট মানুষই হোক সবার সাথে তার এক আচরণ করে থাকে এটা বেশ ভালো একটা ব্যাপার।
ফটোগ্রাফি টা দেখে বুঝতে পেরেছেন হয়তোবা আপনারা এটা হল একাডেমি ভবন। আর একাডেমী ভবনে কার্যক্রম গুলো কি নিশ্চয় সবার জানা আছে। আমি যখন সেখানে যাই তখন অবশ্যই সেখানে মানুষজন ছিল না তাই একাডেমী ভবন তাদের কার্যক্রম গুলো বন্ধ ছিল। একাডেমি ভবনে কার্যক্রম গুলো কি সেগুলো জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে এই লালন শাহের জন্মদিন অথবা মৃত্যুবার্ষিকী যেতে হবে তাহলে আপনারা বুঝতে পারবেন। যদিও এ পর্যন্ত আমার সেখানে যা হয়নি কিন্তু যদি কখনো যায় তাহলে হয়তো বা নিজের স্বচক্ষে এটা দেখতে পারবো। অর্থাৎ আমি এটাই বুঝাতে চেয়েছি যখন তাদের কোন অনুষ্ঠান থাকে সেই সময় আমার যাওয়া হয়নি কখনো কিন্তু স্বাভাবিক ভাবে যেদিন আমি গিয়েছিলাম সেদিন কি সেখানে কোন কিছুই আমি দেখছিলাম না। সেখানে সবকিছু ছিল নিরব একেবারেই নীরব ছিল কোন মানুষ তেমন কোন মানুষের কোন আনাগোনা ছিল না। তাই স্বাভাবিক অর্থে কোন মানুষ স্বাভাবিক অবস্থায় গিয়ে এই একাডেমী ভবনে কার্যক্রম সম্পর্কে কোন কিছু অবগত হবে না। তবে একাডেমী ভবনটা বেশ বড় বুঝতেই পারছেন যে সারা দেশের এই ফোকের যেসব লোক গুলো থাকে তারা এখানে আসে। আমি শুনেছি যেদিন এদের এখানে অনুষ্ঠান থাকে সেখানে এত মানুষের সমাগম ঘটে যে না দেখলে মানুষ বিশ্বাস করতে পারবে না। আর এখানে বিভিন্ন শ্রেণীর বিভিন্ন পেশার মানুষজন এখানে এই অনুষ্ঠান উপভোগ করার জন্য আসে।
এখানকার অডিটোরিয়াম দেখে আমি কিন্তু আশ্চর্য হয়েছিলাম এটাও কিন্তু ভীষণ বড়। এই অডিটরিয়াম দেখে একটা বিষয় উপলব্ধি করতে পেরেছিলাম যে হয়তোবা ওই অনুষ্ঠানে দিন এখানে গান বাজনা হয়। তাদের এই অনুষ্ঠানে যতসব কার্যক্রম গুলো হয়তোবা এই অডিটরিয়ামে হয়। এখানকার জায়গাটা কিন্তু বিশাল বড় এবং অনেকটা প্রশস্ত কারণ এটা না হলে তো এত মানুষের সঙ্গম ঘটে এই মানুষগুলোর কিছু অংশ মানুষ এখানে থাকে যারা নিতান্তই উল্টো মুখী ফকির। এখানে তারা বিশ্রাম নেয় এখানে তারা খাবার খায় এবং এখানে তারা গান-বাজনা করে থাকে এছাড়াও তাদের যেসব কার্যক্রম গুলো তারা এখানেই করে থাকে । কখনো যদি সময় সুযোগ পায় আমার বেশি ইচ্ছা তাদের অনুষ্ঠানে দেখতে আসার কারণ তাদের অনুষ্ঠান বেশ ব্যতিক্রম । তারা যে বিশ্বাসে বিশ্বাসিত এই বিশ্বাসের কার্যক্রম তাদের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কিন্তু মানুষের মধ্যে জাগান দেয়। তবে সব থেকে বড় কথা এখানকা পরিবেশটা বেশ সুন্দর যদি আপনি স্বাভাবিকভাবে এখানে বেড়াতে আসেন তাহলে আপনার ভালো লাগবে আশা করি। অন্য যেকোনো দিন আসলে মনে হবে নীরব নিস্তব্ধ একটা সুন্দর জায়গা যেখানে মানুষের কোন কোলাহল নেই। আর যদি আপনি অনুষ্ঠানে দিন আসেন তাহলে আপনি দেখতে পারবেন লালন শাহের জাঁকজমক। আর এখানকার কি ঘটে এবং পীর ধরনের দৃশ্য এলাকার তৈরি করে সেটা আপনারা নিজের চোখে দেখতে পারবেন। যদি কখনো কারোর কৌতূহল থাকে তাহলে আপনারা এসে দেখতে পারেন এই দেশ বর অন্য জায়গা লালন শাহের মাজার।
| ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
|---|
আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
| ডিভাইস | poco M2 |
|---|---|
| লোকেশন | https://w3w.co/undivided.disbelief.objectively |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার দুইটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness

OR







https://x.com/ABashar45/status/1898308015625039964?t=AkGwxHg7McVrHJV9RAelzA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
খুব সুন্দর একটি পর্ব শেয়ার করলেন আপনি। আপনার ব্লগের মাধ্যমে লালন শাহের মাজার দেখতে পেলাম। অনেক সুন্দর একটি জায়গা। যদিও কখনো যাওয়া সম্ভব হবে না এত দূরে। কিন্তু আপনার ব্লগের মাধ্যমে দেখার সুযোগ হয়ে গেল অনেক ধন্যবাদ।
চেষ্টা করব আপু আরো কয়েকটা পর্ব আপনাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য। যেখান থেকে আপনারা কিছুটা হলে ধারণা পেতে পারেন।
লালন শাহের মাজারে কাটানো আরো একটা সুন্দর মুহূর্ত দেখে খুব ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর করে আপনি এই পর্বটাও সবার মাঝে শেয়ার করেছেন। এটার মাধ্যমেও আরো কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করলেন দেখে ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর ছিল পুরো মুহূর্তটা। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
চেষ্টা করেছি নিজের জায়গা থেকে সুন্দর ভাবে মাজারে সবকিছু তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
এবছর লালন মেলায় ঘুরতে যাওয়ার অনেক ইচ্ছা আছে। আপনি দেখছি লালনের মাজারের মধ্যে ঘুরতে গিয়েছিলেন। আপনার মাধ্যমে লালন মেলার অনেক কিছু বিষয় জানতে পারলাম। বেশ দারুন একটি সময় উপভোগ করেছেন লালন মাজারের মধ্যে।