লাইফ স্টাইল :- ভাগ্নেকে নিয়ে একটু খাওয়া দাওয়া।
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। কিবরিয়া আমার ভাগ্নে এটা সবাই জানে। যখন ইচ্ছে হয় তার সাথে যে কোন জায়গায় চলে যাই। অবশ্য যেখানেই যাই খাওয়ার জন্যই যাই। ঠিক তেমনি আজকে গাংনী গিয়েছিলাম। সেখানে কিছু খাওয়া-দাওয়া করেছি। যাইহোক কথা না বাড়িয়ে তাহলে শুরু করা যাক আমার আজকের ব্লগ ...।
যদি কেউ বলে শীতকালে সবচেয়ে আরাম প্রিয় কাজ কি? তাহলে আমি বলব খাবার খাওয়া। আসলে শীতকালে মজা হল খাবার খাওয়া। সময় খুব কম সময় থাকে না তারপরও এর মধ্য দিয়ে যতটুকু পারা যায় সময় বের করার চেষ্টা করে থাকি। আজকে বিকেল বেলায় আমিও জানি না কিবরিয়া আমাদের গ্রামে এসেছে। হঠাৎ করেই দেখি আমার ফোনে কল দিয়েছে। ফোন ধরার পরে সে বলল মামা আপনি কোথায় আমি বললাম বাসায় আছি এরপর বাসায় আছে তারপরে তার সাথে কথা হয়। এসেছিল অবশ্য পাশের গ্রামে ফুটবল খেলা হবে সেই খেলা দেখার জন্য কিন্তু আসলে আমার এগুলো ভালো লাগে না তেমন আর। জামনা বলে সে বলো মামা তাহলে চলেন একটু খাওয়া দাওয়া করে আসি। খাওয়ার কথা বললে আর কোন কথা বলার দরকার আছে কি তাই কোন কথা না বাড়িয়ে সেজেগুজে চলে গেলাম খাওয়ার জন্য গাংনীতে। মাঝেমধ্যে যদি গ্রিল খাওয়ার জন্য প্রয়োজন হয় তাহলে আমরা সেখানেই যাই ঠিক তেমন আজকেও সেখানেই গিয়েছিলাম। দিন যত যাচ্ছে তত আধুনিক হয়ে যাচ্ছে একটা সময় এই গ্রিল খাওয়ার জন্য ঢাকায় যেতে হতো। আসলে ঢাকার কথা বললাম এই কারণে সেখানকার জিনিসগুলো খুব ভালো ছেলে এবং খেতে বেশ সুস্বাদু লাগলো। কিন্তু আজকে সেই গ্রিল বাড়ির পাশেই পাওয়া যাচ্ছে।
আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় সাত কিলো দূর এই ছোট্ট শহর। শহরটি যত ছোট হোক না কেন এর আম জামগুলো ব্যাপক। মানুষের বিশাল আনাগোনা এবং সবকিছু মেলে খুবই জমজমাট অবস্থা। যদিও আসতেছিল শুক্রবার তাই মানুষের আনাগোনা ছিল বেশ কম। কারণ শুক্রবারে মার্কেট সবই বন্ধ থাকে। শুক্রবারে মার্কেট বন্ধ থাকলেও খাওয়ার দোকানগুলো কিন্তু ঠিকই খোলা থাকে কারণ সবাই জানে সব তো একদিন ছুটি আর এই দিনের সবাই খাওয়ার জন্য বের হবে। যাহোক কথা না বাড়ি আমরা খাবারের জন্য হোটেলের মধ্যে প্রবেশ করলাম এবং অর্ডার দিলাম। গ্রিলের মজা হল ছস যদি ভালো না হয় তাহলে গ্রিল স্বাদ লাগেনা না। জিনিসের দাম বাড়ার কারণে মুরগিগুলো যেন ছোট হয়ে গেছে। আর আমি সব সময় লেগ পিসটা পছন্দ করি তাই তাকে বললাম ভাই একটা লেগ পিস দিবেন। এখানে যে ভাইকে দেখতে পারছেন উনি হল এখানকার খাবার পরিবেষক। উনি আমাদেরকে খাবার পরিবেশন করে গেলেন এরপরে আমরা সেগুলো খেতে থাকলাম। খাবারগুলো খেতে বেশ এবং বেশ লবণীয় দেখাচ্ছিল। এখানে একটা সুবিধা দেখলাম অর্ডার করার কিছুক্ষণের মধ্যে খাবারগুলো তারা পরিবেশন করে। তারপরও একটা কথা রয়েছে আমরা সন্ধ্যার একটু আগেই গিয়েছিলাম যখন চাপটা একটু কম থাকে। কারণ সবাই মাগরিবের পরেই আসে আর আমরা একটু আগেই গিয়েছিলাম তাই চাপা চাপি টা অনেক কম ছিল।
খাবারগুলো খাওয়ার সময় একটা বিষয় লক্ষ্য করে দেখছিলাম তারা যথেষ্ট পরিমাণ খাবারের প্রতি যত্নবান। অর্থাৎ তারা বেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার সাথে খাবারগুলো পরিবেশন করে থাকে। আর যখন খাবার খাচ্ছিলাম তখন সেগুলো কিন্তু বেশ সুস্বাদু লাগছিল। খাবার খাওয়ার সময় একটা বিষয় লক্ষ্য করে দেখলাম কিবরিয়া খাওয়ার শেষের দিকে বলতেছে মামা আমি আর খেতে পারছি না। এটা শোনার পরে আমার বেশ হাসি পাচ্ছিল কারণ তার তো এখন খাওয়ার বয়স আমাদের বয়স হয়েছে এখন তো খাওয়ার এরকম আর বয়স নাই যাকে বলে। তবে একটা সময় আমার মিষ্টি খুব বেশি পছন্দ ছিল কিন্তু বর্তমান সময়ে কেন জানি ঝাল জিনিসের প্রতি আকর্ষণটা আমার একটু বেশি। এখান থেকে খাওয়া-দাওয়া করলাম এরপরে খাবার শেষে আমার ভাগ্নে বেশ ভালো ডোনার হয়ে গেছে সে শেষ পর্যন্ত খাবারে দামটা সেই দিল। দুইজনারেই বাড়িতে বেশ কাজ ছিল তাই বেশি দেরি না করে আমরা চলে আসলাম। আসলে খাওয়া-দাওয়া সবাই কমবেশি পছন্দ করে আর সুস্বাদু খাবারগুলো সবার একটু বেশি পছন্দনীয় হয়ে থাকে।
ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার দুইটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
জাহিদ আজকে নামাজ পড়ে আসার সময় বলেছিল খেলা দেখতে যাওয়ার বিষয়টা। আর আমি তো দেখলাম পুকুরে যাওয়ার সময় আপনারা মামা ভাগ্নে খেলা দেখতে গেলেন। যাই হোক এরই মধ্যে হালকা খাওয়া দাওয়ার অনুভূতিটা বেশি দারুন ছিল। সব মিলে অনেক ভালো লাগলো আমার আপনাদের এত সুন্দর মুহূর্ত জানতে পেরে।
মাঝে মাঝে এমন হালকা খাওয়া-দাওয়া সত্যিই ভালো লাগে ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
https://x.com/ABashar45/status/1870124148493824183?t=MEDwh3IPDf_KDHxGOew8DA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://coinmarketcap.com/community/share/post/347888050
আপনারা মামা ভাগ্নে তো বেশ মজার খাওয়া দাওয়া করলেন দেখছি। শীতকালে এমন ঝাল ঝাল গ্রিল খেতে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে সব জায়গায় এখন আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেই থাকছে ভাইয়া। হোটেলে বলেন খাবার দাবারে বলেন সব জায়গায়। সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
এটা আপনি ঠিক বলেছেন আমরা এমন একটা জায়গায় পৌঁছেছি যেখানে শুধু আধুনিকতার ছোঁয়া। আপনার মূল্যবান মন্তব্যর জন্য অনেক ধন্যবাদ।
https://x.com/ABashar45/status/1870124669048893565?t=YA76GpkDuMxvhfQnvxMOUQ&s=19
মামা ভাগ্নে দুজনে মিলে দেখছি বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন। আপনাদের দুজনের একসাথে খাওয়া দাওয়ার মুহূর্তটা দেখে অনেক ভালো লেগেছে। মাঝেমধ্যে এভাবে বাহিরে খাওয়া-দাওয়া করতে ভালো লাগে। অনেক সুন্দর করে আমাদের সবার মাঝে খাওয়া দাওয়া করার মুহূর্তটা শেয়ার করে নিলেন।
মামা গতকাল সন্ধ্যাবেলায় গিরিল খাওয়ার মুহূর্তটা সত্যি বেশ দারুন ছিল। শীতের সময় এমন ঝাল ঝাল খাবার খেতে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। ছবিগুলো দিয়ে যে আপনি এত সুন্দর ভাবে পোস্ট লিখবেন আমি তো কল্পনাই করতে পারিনি। এত সুন্দর ভাবে পোস্ট লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
কিবরিয়া ভাইয়াকে সাথে নিয়ে খাওয়া দাওয়া করেছেন এটা শুনে খুব ভালো লেগেছে। মামা ভাগ্নে তাহলে মজা করেই খেয়েছিলেন খাবারগুলো। খাবার দেখেই বুঝতে পারছি অনেক বেশি লোভনীয় ছিল। আপনাদের খাওয়া দাওয়া করার মুহূর্তটা তো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ভালোভাবে উপভোগ করলাম।
চেষ্টা করি সব সময় যেখানে যায় ভাগ্নের সাথে নিয়ে যায়, বিশেষ করে খাবার খাওয়া জন্য।