খেলা সবে মাত্র শুরু হয়েছে মাত্র দুই মিনিট অতিবাহিত হতে যাচ্ছে ঠিক এমনই সময় কর্ণাল থেকে একটি গোল করে দেয় ন্যাশভেলির এর একজন প্লেয়ার। খেলার শুরুতেই যদি গোল হয়ে যায় তাহলে বিপক্ষ দলের জন্য একটু বিপদজনক অর্থাৎ হতাশা ঢেকে আসে। তারা কর্ণার পায় এবং কর্ণাল থেকে খুবই চমৎকার একটি গোল হয়। আর এই গোলে তারা এক শূন্য গোলে এগিয়ে যায় শুরুতেই।

ন্যাসভিলার প্লেয়ার গুলো খুবই ভালো খেলছিল। প্রথম গোল ২ মিনিটের মধ্যে হওয়ার পরে কিছুক্ষণের মধ্যে আবারও তারা আক্রমণ করে। আর এই আক্রমণে গোল হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। বলতেই হয় তাদের ভাগ্য ছিল না যার জন্য বল গিয়ে বার পোস্টে লাগে। এবং পরবর্তীতে গোলকিপার গিয়ে বলটি ধরে ফেলে। তা না হলে তারা এই কম সময়ের মধ্যে ২-০ গোলে এগিয়ে যেতে পারত। তবে এটা বেশ ভালো একটা দিক খেলা শুরুতে জমজমাট খেলার শুরু হয়েছে। প্রথম শুরুতে খেলাটি দেখে বেশ মজা পেয়েছি।

এর কিছুক্ষণ পরে আক্রমণে যাই ইন্টান মায়ামির প্লেয়ার গুলো। তারা এক দুই করে পাশ করতে মেসির কাছে বল যায়। মেসি বলটি গোলপোস্টের দিকে মারে বল পুনরায় ফিরে আসে। এরপরে আরেকটি প্লেয়ার বল মারে এবার পুনরায় মেসির কাছে যাওয়াতে মেসির শর্ট করে গোল করে এক এক গোলে সমতা নিয়ে আসে।

খেলাটি যারা দেখেছেন তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন খেলাটি কতটা জাকজমকপূর্ণ হয়েছে। যে দল বল পেয়েছে সেই গোলে আক্রমণ করেছে। খেলা আর কিছুক্ষণ না গরাতেই আবারো আক্রমণে যায় ন্যাশভ্যালি। বল প্রায় গোল হয়ে যেত যদি না ইন্টার মায়ামির একজন প্লেয়ার শেষ পর্যন্ত বলটি মেরে করে বের করে না দিত। এই গোল দিতে পারলে তারা দুই এক গোলে এগিয়ে যেতে পারত।

যখন খেলায় দুই দলে এক এক গোলে সমতয়ে রয়েছে ঠিক তখনই কর্নার পায় এন্টারমায়ামির প্লেয়ার। যেহেতু দলে মেসি রয়েছে সেহেতু কর্নার মেসি করেছিল। আমরা যারা খেলা দেখি তারা সবাই জানি কর্নার মানেই অর্ধেক গোল হয়ে যাওয়া। ঠিক সেই কাজটি অর্ধেক না হয়ে পরিপূর্ণভাবে গোল করে দেয় স্যারজিও বুস্টকেস্ট। এই গোলের বিনিময়ে তারা 2-1 গোলে এগিয়ে যায়।

এরপরে শেষ পর্যন্ত কোন দল গোল দিতে না পারলে খেলার একেবারে শেষের দিক অর্থাৎ ৮৮ মিনিটে শেষের দিকে ইন্টারমায়ামির পুনরায় প্লান্টি পায় ডি বক্সের ভিতরে ন্যাশভেলীর একজন প্লেয়ার ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার কারণে রেফারির প্লানটি দেয়। আর এই প্লানটিতে গোল করে মেসি। আর এই গোল করার জন্য সে এই ম্যাচে দুই দুটি গোল করে থাকেন। এর ফলে তার দল জয় পায় ৩-১ গোলে। খেলাটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খুবই দারুণ লেগেছে। খেলাটি খুব দারুণভাবে উপভোগ করেছি। ফুটবল খেলা হলো আক্রমণ এবং পাল্টা আক্রমণ আর সেই খেলাটি আজকে দেখলাম।

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।