জানা অজানা মহাবিশ্ব
আমরা অনেকেই মনে করি আমাদের পৃথিবী হয়তো সবকিছু। পৃথিবীর বাইরে হতে কিছু নেই। আবার অনেকেই ধারণা করি পৃথিবীর বাহিরে রয়েছে বিশাল বড় এক জগত কিন্তু সেই জগত সম্পর্কে আমরা কতটুকু ধারণা রাখি..! কিংবা সেই জগৎটাই বা কত বড়..! সেই বিষয়ে বিজ্ঞানীরা কি ধরনের চিন্তাভাবনা করে? সেই বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করার চেষ্টা করব।
আমরা প্রায় সকলেই জানি আমাদের পৃথিবীর চেয়েও সূর্য ১৩ লক্ষ গুণ বড়। তাহলে একবার কল্পনা করে দেখুন সূর্য কত বড়। এছাড়াও আমাদের সৌরজগতের সর্বশেষ যেসব সীমানা রয়েছে সেসব সম্পর্কেও আমরা অনেক কম ধারনা রাখি এবং বিজ্ঞানীরা অনেক কম জানে। কারণ সেখানে সূর্যের আলো ঠিক ভাবে পৌঁছাতে পারে না এবং আমাদের এডভান্স টেলিস্কোপের মাধ্যমেও সেসব বিষয়ে বস্তু জানতে পাওয়া যায় না। যেমন অনেকেই চিন্তা করেন আমাদের পরে এমন একটি গ্রহ রয়েছে, ঝাল যার ভর এতটাই বেশি আর যার কারণে বিভিন্ন ধরনের গ্রহের তাদের কক্ষপথ মাঝে মাঝে পরিবর্তন হয়ে যায়। যাকে আমরা এক্স প্লানেট বলে থাকি। এই বিষয়ে অনেক আলোচনা আছে। সেটা অন্য একদিন আপনাদের সাথে আলোচনা করে নেব।
আমাদের মহাবিশ্ব কতটাই বৈচিত্র্যময় একটু কল্পনা করে দেখুন। আমাদের এই সৌরজগতের মোট ভরের প্রায় 98% সূর্য দখল করে রেখেছে কিন্তু একটি গ্যালাক্সির কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা সুপার মেসেজ ব্ল্যাক হোল শুধুমাত্র সম্পূর্ণ গ্যালাক্সির ১ পার্সেন্টেরও কম ভর নিয়ে গঠিত। কিন্তু তারপরও সে সম্পূর্ণ একটি গ্যালাক্সি যা বদ্ধ করে রাখে। এটা কিভাবে সম্ভব?? আমরা সকলে জানি যদি কোন বেশি ভর যুক্ত বস্তু থাকে সেক্ষেত্রে তার একটি গ্রাভিটির প্রভাব দেখা যাবে। কিন্তু বিষয়টা এর ক্ষেত্রে ভিন্ন হয়ে যায়। এর কারণ কি? এর কারণ সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা অনেক মতামত দিয়েছে। তবে সবথেকে বেশি যেটা প্রচলিত রয়েছে সেটা হচ্ছে ডার্ক ম্যাটার এবং ডার্ক এনার্জি।
ডার্ক মেটার এবং ডার্ক এনার্জি সাধারণত আমরা দেখতে পাই না কিংবা এক কথায় আবিষ্কার করতে পারিনি। তবে কোন একটি বস্তু রয়েছে এবং তার প্রভাবটা রয়েছে সেটা আমরা ভালোভাবেই বুঝতে পারছি এই এক্সাম্পল এর মাধ্যমে। আমাদের এই মহাবিশ্ব রহস্যের খেলা এবং এই রহস্য উমোচন আমি পোস্টের মাধ্যমে আস্তে আস্তে করবো এবং বিভিন্ন ধরনের তথ্য নিয়ে আসার চেষ্টা করব। আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আপনারা ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।