দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে এই ম্যাচটাতে জয়ের দেখা পেলো

আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ক একটি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল ব্যাঙ্গালুরু আর হায়দ্রাবাদ এর মধ্যে ম্যাচটি ছিল আর এই ম্যাচটা আসলে এখন বিষয়টা এক তরফা বিষয় হয়ে গিয়েছে, কারণ ব্যাঙ্গালুরুর ম্যাচ জেতা আর না জেতা এই দুটি ম্যাচের মধ্যে তেমন কোনো তফাত নেই, সেই যে প্রথম একটি ম্যাচ জিতেছিল তারপর থেকে তারা হারিয়ে গিয়েছে মনে হচ্ছে। আসলে সত্যি কথা বলতে কি, ব্যাঙ্গালুরুর টিমটা ভালো, ব্যাটসম্যান বা বোলারের দিক থেকে। তবে তাদের ব্যাটিং পজিশন যথেষ্ট ভালো আছে, কিন্তু তাদের এই বোলিং আর ফিল্ডিংয়ে বড়ো একটা গ্যাপ থেকে যাচ্ছে, যার জন্য প্রায় প্রতি ম্যাচে রান অনেক করেও হেরে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের রান চেজের ক্ষেত্রে যদি দেখেন, তাহলে কিন্তু ২০০+ রানের ক্ষেত্রেও ভালো চেজিং করছে।

সবসময় ভালো প্লেয়ার হলেও সঠিক পরিকল্পনা না থাকলে হয় না। যাইহোক, এই ম্যাচটিতে তারা টসে জিতেছিল এবং আগেই ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তারা শুরুটা কিন্তু বেশ ভালোই করেছিল, পার ওভারে ১৪ এর মতো রান রেটিং করে চলেছিল। কোহলি বিশেষ করে শুরুটা করেছিল ভালোই, তবে ডু প্লেসি কিন্তু এখানে একটু ধৌর্য ধরে খেলতে পারতো, কারণ একজন যখন মেরে খেলছে তখন অপরজনের উচিত ডিফেন্স নিয়ে তাকে সুযোগ করে দেওয়া। আসলে এইভাবে খেললে কিন্তু ভালো টার্গেট রাখা যায়। কিন্তু দুইজনেই যদি সামনে মেরে খেলতে থাকে, তাহলে আউটতো হতেই হবে একজনকে। এটা স্বাভাবিক বিষয়, তাদের পার্টনারশীপ বেশি একটা না হলেও পরবর্তীতে রজত এসে ধুম মার শুরু করে দিয়েছিলো, ১৯ বলেই হাফ সেঞ্চুরি। কোহলির আগেই সে কোটা পূরণ করে ফেলেছে।

সে মানে এসে শুধু ৬ টাই মেরেছে, মাত্র দুটি ৪ লক্ষ্য করতে পারবেন তার খাতায়। পরে ক্যাচ আউট হয়ে যায়। তবে সে যা খেলে গিয়েছে সেটা দুর্দান্ত লেভেলের। কোহলি প্রথমে শুরু করলেও পরে তেমন খেলতে পারলো না, কোনোমতে হাফসেঞ্চুরি করে আউট হয়ে গেলো। এরপরেই রানটা অনেক চেপে গিয়েছিলো, তবে গ্রীনও ভালো ব্যাটিং করে গিয়েছে এখানে। কার্তিক এই ম্যাচে তেমন সুবিধা করতে পারেনি যদিও, তাও তারা দলীয় রান ২০০ পার করেছিল। তবে এই ম্যাচটাতে হায়দ্রাবাদ লড়াই করেছে ভালোই, কারণ বলি, হায়দ্রাবাদ প্রথম দিকেই ঝুলে গিয়েছিলো, ১০ ওভারে রান তো ৬০ হয়নি, তার উপর ৬ উইকেট পড়ে গিয়েছিলো। অষ্টম উইকেটে শাহবাজ, কাম্মিনস এসে ঝড় তুলে দিয়েছিলো।

রান মোটামুটি ১০ করে তুলেছিল, কিন্তু ভালো ব্যাটসম্যান আর ছিল না শেষের দিকে। ভালোই খেলছিল সবাই আর ১৭১ রানের মতো সংগ্রহ করতে পারে। আমিতো প্রথমেই তাদের ব্যাটিং লাইন দেখে ভেবেছিলাম যে, ১৫০ রানের আগেই অলআউট হয়ে যেতে পারে। কিন্তু না , পরে ভালোই কষ্ট করে খেলেছে, হাল ছাড়েনি। তবে এই ম্যাচ হারলেও তাদের তেমন কোনো খারাপ ইফেক্ট পড়েনি। কিন্তু ব্যাঙ্গালুরুর জিতেও তেমন কোনো লাভ হয়নি, এই নিয়ে মাত্র দুটি ম্যাচ জিতেছে, এক কোথায় যদি বলি, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে একটি ম্যাচে জয়ের দেখা পেয়েছে তারা। ৯ টি ম্যাচ খেলে মাত্র ২ টি ম্যাচ জয় লাভ করেছে, খুব খারাপ অবস্থা তাদের এইবার।