টিভি সিরিজ রিভিউ: ম্যানিফেস্ট - ক্লিয়ার্ড ফর এপ্রোচ ( ত্রয়োদশ পর্ব -সিজন ১)

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে টিভি সিরিজ ম্যানিফেস্ট এর ত্রয়োদশ পর্ব রিভিউ দেব। আজকের ত্রয়োদশ পর্বের নাম হলো "ক্লিয়ার্ড ফর এপ্রোচ"। আগের পর্বে লাস্টের দিকে দেখেছিলাম জ্যাককে একটা বন-জঙ্গল মতো জায়গায় ঠান্ডার মধ্যে খুঁজে পেয়েছিলো। আজকের পর্বটিতে দেখা যাক দেখি কি ঘটনা ঘটে।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


❂কিছু গুরুত্ত্বপূর্ণ তথ্য:❂

সিরিজটির নাম
ম্যানিফেস্ট
প্লাটফর্ম
নেটফ্লিক্স
সিজন
পর্ব
ক্লিয়ার্ড ফর এপ্রোচ
পরিচালকের নাম
জেফ রেক
অভিনয়
মেলিসা রক্সবার্গ, জোশ ডালাস, জে.আর. রামিরেজ, লুনা ব্লেইস, পারভীন কৌর ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
৩০ জুলাই ২০১৯ ( ইউনাইটেড কিংডম )
সময়
৪২ মিনিট ( ত্রয়োদশ পর্ব -সিজন ১ )
ভাষা
ইংরেজি
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইউনাইটেড স্টেট


❂মূল কাহিনী:❂


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

এখানে দেখা যায় প্রথমে জেক একটা ফুড এর দোকানে যায় আর এইটা দুর্ঘটনা ঘটার আগে মানে ২০১৭ সালে। আর দোকানে গিয়ে একটা ম্যাগাজিন এর কাগজ পায় যেটাতে ৮২৮ নম্বর প্লেন আর সব যাত্রীদের ছবিও উল্লেখ ছিল। সেখানে মেলিসার ছবি দেখে কেমন একটা যেন সে হতবাক হয়ে পড়ে। যাইহোক এই বিষয়গুলো জেক পুনরায় স্বরণ করার চেষ্টা করছিল। সেই পুরানো একটা বাড়িতে সবাই থেকে জ্যাক আর জেক দুইজনকেই তারা মোটামুটি ঠিকঠাক করে তোলে এবং জোশ তার ছেলেকে নিয়ে সেখান থেকে চলে যেতে চায় কিন্তু মেলিসা স্টিল সেখানে থেকে যেতে চায় আর জেক এর বিষয়ে পুরোপুরি ক্লিয়ার হতে চায়। এখানে জোশ এই বিষয়ে একটু আপত্তি করে কারণ অচেনা মানুষ আর অচেনা জায়গা ফলে এখানে একা থাকাটাও সেফ না। যাইহোক এরপর মেলিসা তাকে নানানরকম বুঝিয়ে পাঠিয়ে দেয় আর জেক এর বিষয়ে জানতে চায় মানে তার পরিবার, বন্ধু-বান্ধব এর বিষয়ে। তবে জেক বলে যে তার কোনো পরিবার বা বন্ধু নেই। এরপর কিছুক্ষন বাদে সেখান থেকে মেলিসা বেরিয়ে পড়ে। আর এইদিকে জোশ আর এথেনা জ্যাককে নিয়ে হসপিটালে পারভীন এর কাছে যায় আর জ্যাককে সুস্থ করে দেয় কিছুক্ষণের মধ্যে। তবে তারা জেক এর বিষয়টা পারভীন এর সামনে তোলে এবং বলে এই লোকটারও সেম অবস্থা। পারভীন তখন বলে ব্লাড টেস্ট করা উচিত, তবে তারা জেক এর হাতে লেগে থাকা ব্লাড নিয়েই আসে আর পারভীনের কাছে টেস্ট করাতে বলে।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

হাসপাতাল থেকে জোশ, জ্যাক আর এথেনা বাড়ির দিকে যেতে লাগে এবং তারা একটা রাস্তার মোড়ে এসে দেখে যে একটা স্থানে ৮২৮ নম্বর প্লেনের ছবির পোস্টার লাগানো ছিল এবং সেখানে ক্রস চিহ্ন কেউ দিয়ে দিয়েছিলো। এরপর তারা এটা দেখে একটু আশ্চর্য হয় যে কি হলো বিষয়টা, তারা পরে আস্তে আস্তে বাড়ি চলে আসে এবং এথেনা জোশকে বলে যে জ্যাক যে শব্দ শুনতে পাচ্ছে সেটা তার দিদিকে না জানানোই ভালো এখন কিন্তু জ্যাক তার বোনকে বলে দেয় যে আমি অনেক শব্দই শুনতে পাই আর এইটা তার বাবা জোশকে গিয়ে বলে যে যারা প্লেনে ফিরে এসেছে তারা কি আমাদের থেকে আলাদা!? তখন জোশ এই কথা শুনে আর না লুকিয়ে সব খুলে বলে আর বলে আমাদের মধ্যে আর কোনো সিক্রেট থাকবে না, সব খোলামেলা আমরা আলোচনা করবো। এর মধ্যে রামিরেজ তাদের বাড়িতে আসে এবং কথা বলতে বলতে তখন কেউ একজন জানলায় ইট-পাটকেল মতো কিছু একটা ছুড়ে ভেঙে ফেলে আর বাইরে গিয়ে তারা ধরতে যায় কিন্তু তার আগেই গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায় আর রামিরেজও গাড়ি নিয়ে তার পিছন পিছন যায়। কিন্তু জোশ যখন তার দরজার দিকে তাকায় তখন দেখে সেমভাবে ক্রস দিয়ে দেয় যেটা আরও বিস্ময়কর ব্যাপার হয়ে যায়। পরে রামিরেজ আর তার অফিসের বস এসে বিষয়টা দেখে। এদিকে মেলিসা সেম খাবারের দোকানে যায় খাবার কিনতে এবং সেখানে জেক এর ছবি দিয়ে মিসিং লেখা আছে। আর এই বিষয়ে দোকানদারের কাছে শুনলে বলে যে তার বোন মারা গেছে ২০০৬ সালে।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

মেলিসা সেই কাগজটা আর কিছু খাবার নিয়ে আবার সেখানে জেক এর কাছে ফিরে আসে কিন্তু জেককে ঘরের মধ্যে না পেয়ে ঘাবড়িয়ে যায় কিছুটা এবং তখন ,মেলিসা বাইরে বেরিয়ে খুঁজতে খুঁজতে পেয়ে যায় আর তারা ওই হাফ বরফে ঢাকা জঙ্গল মতো জায়গা দিয়ে যেতে যেতে একটা গুফার মধ্যে ঢুকে যায় আর সেখানে যেতেই তাদের দুইজনেই একসাথে একটা শব্দ শুনতে পায় যে 'গো ব্যাক'। এদিকে জোশ জেক এর বিষয়ে জানার জন্য পারভীন এর কাছে যে ব্লাড টেস্ট করতে দিয়েছিলো সেই রিপোর্ট জানতে যায় এবং পারভীন বলে জেকও আমাদের মতো সেম ব্যক্তি, সাধারণত পারভীন এই বিষয়ে ভূমিকম্প রিলেটেড কিছু একটা বিষয় নিয়ে জোশ এর সাথে আলোচনা করে। আসলে অনেক সময় পৃথিবীতে অনেক কিছুর প্রাকৃতিক কারণের ফলেও অনেক কিছু হয়ে থাকে। যাইহোক এদিকে মেলিসা আর জেক গুফার মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসে আর মেলিসা জেককে জিজ্ঞাসা করে যে তার বোনের মৃত্যু কিভাবে হয়েছিল, তখন জেক বলে পারিবারিক এমন কিছু কারণে পরিস্থিতি এতটাই অনুকূলে চলে গেছিলো যে আমার নিজের হাতেই নিজের বোনকে হত্যা করেছি আর সম্পূর্ণ পরিবারটাকে ভেঙে তছনছ করে ফেলেছি। আর এই নিজের ভুলের মাশুল দিতে সে বাড়ির থেকে বেরিয়ে যায়, এইরকমটা বর্ণনা মেলিসার সামনে তুলে ধরে। এরপর জোশের বাড়িতে যে ইট-পাটকেল মেরে জানালার কাঁচ ভেঙে দিয়েছিলো তাকে রামিরেজ ধরে থানায় এনেছিল এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এইসব করার কারণ এবং সে ৮২৮ নম্বর সব প্লেনের যাত্রীদের টেরোরিস্ট বলে আর তাদের উপর অসম্ভব রেগে থাকে। আর এই কাজের পিছনে এই লোকটাই ইনভল্ব এমনটাই রামিরেজের দাবি।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

রামিরেজ লোকটিকে তুলে আনলেও উপযুক্ত প্রমান না থাকার কারণে তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। কিন্তু পরবর্তীতে লোকটি জোশ এর বাড়িতে মেসেজ দিয়ে হুমকি দিলে এথেনা সেই কথাটা জোশকে বলে আর জোশ সেই লোকটার আস্তানায় গিয়ে রেগেমেগে লোকটাকে মারতে যায় আর তার ছেলের ছবি নিয়েও সেখানে কিছু উল্টাপাল্টা কথা বলে যেটা শুনে আরো রেগে যায়। সেখানে পুলিশ গেলে জোশ সেখানে সব পেসেঞ্জারদের ছবি দেখিয়ে বলে দেখুন কি করছে এইসব নিয়ে, কিন্তু যেহেতু পুলিশ সেখানে জোশকে দেখেছে তাদের গায়ে হাত দিতে তাই জোশকে তুলে নিয়ে যায় আর রামিরেজ বলে এইগুলো ওখানে গিয়ে করার কি দরকার ছিল যেখানে আমরা বা আমি বিষয়টা ব্যক্তিগতভাবে দেখছি। এইরকম ভাবে নিজে সবকিছু হাতে তুলে নিলে না আমি কোনো হেল্প করতে পারবো আর না মেলিসা কিছু করতে পারবে এখানে। যদিও জোশ জানে যে সে ভুল করেছে এক্ষেত্রে কিন্তু সে তার পরিবারকে রক্ষা করার জন্য প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছে। যাইহোক এরপর সেখান থেকে জোশ বাড়ির দিকে চলে আসে আর তার বাইরের দিকে দরোজায় যে ক্রস চিহ্নগুলো দিয়েছিলো সেটা জল দিয়ে ধুয়ে ধুয়ে তোলার চেষ্টা করে। একইরকম ভাবে পারভীন এর অফিস রুমের দরোজার গায়ে ক্রস চিহ্ন দেওয়া বড়ো করে আর পারভীন দরোজায় তালা দিতে গিয়ে দেখে কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।


❂ব্যক্তিগত মতামত:❂

এখানে আজকের পর্বে দেখা গেলো যে একটা লোক ঠিক যেভাবে ৮২৮ নম্বর প্লেনের পোস্টারে ক্রস চিহ্ন দিয়ে রেখেছিলো ঠিক সেইভাবে ওই প্লেনের প্রত্যেকটা যাত্রীর ছবি কালেক্ট করে রেখেছে আর খুঁজে খুঁজে সেইসব যাত্রীদের বাড়ি বা তাদের কর্মস্থলে গিয়ে দরোজায় বড়ো করে ক্রস চিহ্ন দিয়ে রাখছে। আর এই লোকটা তাদের সবাইকে টেরোরিস্ট হিসেবে মেনে নিয়েছে বিশেষ করে জোশ এর পরিবারকে বেশি করে টার্গেটে রেখেছে। আর এখন যেহেতু জোশ লোকটার উপর ক্ষেপে গিয়ে মারতে গিয়েছিলো ফলে জোশের উপর লোকটারও ক্ষোভ জমে গেছে। আর জ্যাককে তো সবাই স্পেশাল ভেবে টাগেট করে রেখেছে। আসলে জ্যাককে অনেকে রিসার্চ এর আওতায় আনতে চাচ্ছে কারণ সবার মধ্যে ও একটু আলাদা আছে। আর আসলে প্লেনের সব যাত্রীদের মধ্যেই একটা নরমাল মানুষের থেকে আলাদা কিছু শক্তি কাজ করছে আবার এমনও হচ্ছে কিছু কিছু মানুষ মারাও যাচ্ছে। মেলিসা আর জেক এর মধ্যে একটা যোগসূত্র আছে কারণ তারা যে একটা শব্দ শুনতে পাচ্ছিলো 'গো ব্যাক'। এইটা আসলে মেলিসা শুনছে জেক এর মুখে আর জেক শুনছে মেলিসার মুখে আর সেই মুহূর্তে তারা যে স্থানে দাঁড়িয়ে থাকছে সেখানে চারিদিকে স্টার আর ষ্টার। এই কাহিনীগুলো এক একটা পর্বে এক একরকম রহস্যময়, শেষ পর্যন্ত না আসলে এর সব রহস্য বোঝা মুশকিল।


❂ব্যক্তিগত রেটিং:❂
৮.৫/১০


❂ট্রেইলার লিঙ্ক:❂


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 2 years ago 

এই কাহিনীগুলো এক একটা পর্বে এক একরকম রহস্যময়, শেষ পর্যন্ত না আসলে এর সব রহস্য বোঝা মুশকিল।

দাদা আপনার শেয়ার করা টিভি সিরিজ রিভিউ এর অনেকগুলো পর্ব পড়লাম। দেখতে দেখতে বেশ কিছু পর্ব পেরিয়ে গেলো। জানিনা আর কয়টি পর্ব আছে। এবারের পর্বটি আমার কাছে ভালই লেগেছে। তবে নতুন রহস্যের গন্ধ পাচ্ছি। মনে হচ্ছে আরো অনেক রহস্য মিশে আছে। মেলিনা এবং জেকের মধ্যে যোগসূত্র আছে এটা বোঝাই যাচ্ছে। তবে যে লোকটি সবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ক্রস চিহ্ন একে দিয়েছে সেই লোকটি বেশ রহস্যময়। জানিনা পরবর্তী পর্বগুলোতে আরো কি অপেক্ষা করছে। নতুন পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।

 2 years ago 

ভাইয়া আপনার এই রহস্যময় গেরা সিরিজটি যত পড়ি ততই যেন অবাক হয়ে যাচ্ছি এবং নতুন নতুন রহস্য বেরিয়ে আসছে আজকের পর্বটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আজকের পর্বটি অনেক রহস্যময় ছিল। আসলে আজকের পর্বটি পড়ে বেশি ভাল লেগেছে যে মেলিসা আর জেক তাদের মধ্যে একটা যোগসূত্র রয়েছে। তারা একই শব্দ শুনতে পেয়েছে। শব্দটি হল গো ব্যাক। আর অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে। এই পর্বটি অনেক রহস্যময় ছিল। এখন রহস্য বের করতে আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

 2 years ago 

এখানে জেক এর রক্ত পরীক্ষা করে আবার কি বের করতে যাচ্ছে? জোস ও তার পরিবার ভালো বুদ্ধি করেছে যে নিজেদের মধ্যে আর কোন কিছু গোপন রাখবে না। তাছাড়া জ্যাক এর বাড়ির জানালার কাঁচ আবার কারা ভেঙে পালিয়ে গেল। তাছাড়া ৮২৮ নম্বর প্লেনে যে ক্রস চিহ্ন দেয়া ছিল সেই ক্রস চিহ্ন তাদের বাড়িতেও পাওয়া গেল।
এদিকে জেক নিজের বোনকে মেরে ফেলে পুরো পরিবারকে তছনছ করে ফেলেছে। তাছাড়া জ্যাকদের কেই আবার ওই লোকটা টেরোরিস্ট ভাবছে। ওই প্লেনের সব যাত্রীদের বাড়িতে ক্রস চিহ্ন দিয়ে রাখছে। এদেরকে কি মেরে ফেলতে চাচ্ছে নাকি? যতই সিরিজটি আগাচ্ছে ততই রহস্য আরো ঘনীভূত হচ্ছে। কবে যে এই রহস্যের শেষ হবে কে জানে।

 2 years ago 

এই রহস্যময় সিরিজে মিলিসা ও জ্যাকের চরিত্রটি খুবই অনবদ্য আপনার রিভিউ পড়ে বেশ কৌতুহল জন্মায় সিরিজটির প্রতি। বেশ ভালো একটা টিভি সিরিজ।

 2 years ago 

ক্লিয়ার্ড ফর এপ্রোচ পর্বটা বেশ রহস্যে ঘেরা। সত্যি বলতে এর কাহিনীটা বোঝা বেশ কঠিন।
এখানে বলছিলেন একজন লোক তাদের সবাইকে টেরোরিস্ট মনে করে তাদের বাড়িতে ক্রস চিহ্ন একে দিচ্ছে আর সবাইকে বেশ নজরে রেখেছে। ওদের ভেতরে বেশ কিছু দৈবিক ক্ষমতা রয়েছে আর গো ব্যাক শব্দ শুনতে পাচ্ছিল। সবমিলিয়ে বেশ গোলমেলে লাগছে আমার কাছে। দেখি শেষ পর্যন্ত কি হয়।

 2 years ago (edited)
আমার কাছে এমন রহস্যময় সিরিজ দেখতে খুবই ভালো লাগে। আপনার প্রতিটা সিরিজই কিছু না কিছু রহস্যে ঘেরা থাকে। তারজন্য আপনার সিরিজ গুলো পড়তে খুব ভালো লাগে। আপনি আজ আবারও রহস্যেঘেরা ম্যানিফেস্ট - ক্লিয়ার্ড ফর এপ্রোচ এর সিরিজ নিয়ে চলে এসেছেন দেখে খুবই ভালো লাগছে।প্লেনের প্রতিটা যাত্রীদের বাড়ির দরজায় ক্রস চিহ্ন দিয়ে রাখা সত্যি অবাক হওয়ার মতো। আবার দেখা যাচ্ছে মেলিসা আর জেক এর মধ্যে একটা যোগসূত্র পাওয়া যাচ্ছে। এরা দুজনেই একটা শব্দ শুনতে পাচ্ছে 'গো ব্যাক'। আপনার বাকি সিরিজ গুলোর অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ দাদা এমন রহস্যময় সিরিজ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
 2 years ago 

টিভি সিরিজ রিভিউ: ম্যানিফেস্ট - ক্লিয়ার্ড ফর এপ্রোচ ( ত্রয়োদশ পর্ব -সিজন ১) সম্পর্কে আজ আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম দাদা। এই ওয়েব সিরিজটি কবে শেষ হবে বুঝতে পারছি না প্রতিনিয়ত রহস্য বেড়েই চলছে। এখানে দেখতে পাচ্ছি জোশ লোকটিকে মারার জন্য গিয়েছিল তাই লোকটি তার ওপর ক্ষেপে গিয়েছে। আর জ্যাক যেহেতু সবার থেকে একটু আলাদা তাই তাতে রিচার্জের আওতায় আনা হচ্ছে।তারা যেই শব্দটি শুনতে পাচ্ছে গো ব্যাক আসলে এটি কোত্থেকে শুনতে পাচ্ছে সেটা বুঝতে পারছি না। ঘটনা যেন রহস্য ভেদ করে উঠতেই পারছে না।

 2 years ago (edited)

মেলিসার ছবি দেখে কেমন একটা যেন সে হতবাক হয়ে পড়ে।

দাদা,জেক কি মেলিসাকে তার ২০০৬ সালে হারিয়ে যাওয়া বোন মনে করে হতবাক হয়েছিল? গল্পের প্রত্যেক পর্বে রহস্য ভরা, প্রত্যেকটি পর্বেই বেশ জমজমাট লাগছে পড়তে।আমার তো বেশ লাগছে আবার মনে গাদা গাদা প্রশ্ন আসছে। আর কেই বা জানলায় ইট-পাটকেল কিছু একটা ছুড়ে ভেঙে ফেলে ? দরোজার গায়ে ক্রস চিহ্ন দেওয়ার ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছি।তাছাড়া শার্লি মেয়েটার সম্পর্কে এই পর্বে কিছুই পেলাম না।যাইহোক পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।সুন্দর রিভিউ করেছেন, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।ভালো থাকবেন দাদা,শুভকামনা রইলো।

 2 years ago 

প্রিয় দাদা, টিভি সিরিজ ম্যানিফেস্ট -ক্লিয়ার্ড ফর এপ্রোচ এর রিভিউ টি পড়ে খুবই ভালো লেগেছে আমার। পোস্টটি পড়ে বুঝতে পেরেছি খুবই রহস্যময় একটি টিভি সিরিজ। জ্যাক এর কার্যক্রমগুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে। প্রিয় দাদা, পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

 2 years ago 

ম্যানিফেস্ট-ক্লিয়ার্ড ফর এপ্রোচ এর ত্রয়োদশ পর্বের রিভিউটি পড়ে আমার খুব ভালো লেগেছে। সিরিজে মিলিসা ও জ্যাকের চরিত্রটি আপনার রিভিউ পড়ে এতটাই অনবদ্য লেগেছে যা সিরিজটি পড়ার জন্য আগ্রহী করে তোলে।যতই সিরিজটি সামনের দিকে যাচ্ছে ততই যেন রহস্য ঘনীভুত হচ্ছে। সামনে পর্বের অপেক্ষায় রহিলাম, দাদা।