উদ্ভিদের জীবনচক্র
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Image Created by OpenAI
আজকে আপনাদের সাথে উদ্ভিদের জীবনচক্র নিয়ে আলোচনা করবো। আমাদের প্রকৃতির সবথেকে বড়ো ভারসাম্য রক্ষাকারী হচ্ছে এই উদ্ভিদ, যার অবদান অনস্বীকার্য। প্রত্যেক উদ্ভিদের একটা নির্দিষ্ট সময় আছে, যেখানে জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যুর শেষ পর্যন্ত এক একটা ধাপে ক্রমান্বয়ে চলতে থাকে। মূলত এই প্রক্রিয়াকে সহজে জীবন চক্র বলা হয়। এই যে উদ্ভিদের জীবনচক্র চলতে থাকে, সেটা কিন্তু আমরা সাধারণভাবে জানি যে কিভাবে কি হয়। অর্থাৎ এখানে বীজ থেকেই শুরু হয় উদ্ভিদের প্রক্রিয়াগুলো। যখন কোনো উদ্ভিদের বীজ লাগানো হয়, তখন কিছুদিন ধরে জল, পর্যাপ্ত সূর্যালোকের সংস্পর্শে এসে সেটা থেকে অঙ্কুরোদ্গম বের হয় এবং ধীরে ধীরে মাটির থেকে জল আর পুষ্টি সংগ্রহ করে সেখান থেকে শিকড় জন্মায় এবং পরে কুঁড়ি বের হয়।
এরপর পর্যায়ক্রমে চারাগাছে পরিণত হয়। যা ধীরে ধীরে বড়ো উদ্ভিদ বা একটি পূর্ণাঙ্গ উদ্ভিদে রূপান্তরিত হয়ে থাকে। এই ক্ষেত্রে উদ্ভিদ তার নিজের খাদ্য, পুষ্টি সংগ্রহের জন্য সূর্যালোক এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড ব্যবহার করতে শুরু করে দেয়। এরপর এই উদ্ভিদ পূর্ণাঙ্গ হওয়ার পরে তাতে ফুল বা ফল তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দেয় এবং ধীরে ধীরে পর্যায়ক্রমে সেই ফুল বা ফল থেকে আবার বীজের উৎপত্তি হয়। এছাড়া উদ্ভিদের বংশবিস্তার হলো আরো এমন একটি প্রক্রিয়া যা, উদ্ভিদ তার নিজস্ব কোনো জাত বা তার প্রজাতিকে ধরে রাখতে পারে পরবর্তী সময়ের জন্য। আর এই বংশবিস্তার সাধারণত যৌন আর অযৌন প্রক্রিয়ায় হয়ে থাকে। এই যৌন জনন প্রক্রিয়ার কাজ কি!
এটার মাধ্যমে আসলে উদ্ভিদ ফুলের দ্বারা পরাগায়ন ঘটিয়ে থাকে। আর এর থেকে পরে নতুন বীজের সঞ্চারণ হয়, যা পরবর্তীতে নতুন উদ্ভিদের উৎপত্তি ঘটানো হয়ে থাকে। এটা যেকোনো উদ্ভিদের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। আর অযৌন প্রক্রিয়ায় নতুন উদ্ভিদের উৎপত্তির জন্য এইসবের কোনো কিছুর প্রয়োজন হয় না। কারণ আপনারা অনেকে দেখবেন যে, বাড়িতে কোনো ফলের গাছ বা যেকোনো উদ্ভিদের কাটিং করা হয়, মূলত ওটার মাধ্যমেই কিন্তু একটি উদ্ভিদের গায়ের থেকে নতুন উদ্ভিদের প্রাণ সঞ্চার ঘটে। আর এটি সব থেকে দ্রুত আর কার্যকর হয়ে থাকে। মূলত এই প্রক্রিয়াটিকে অযৌন জনন বলে থাকে।
উদ্ভিদের এই বংশবিস্তার প্রক্রিয়ায় পরিবেশের অনেক গুরুত্ব রয়েছে, কারণ উদ্ভিদের এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা প্রাণিকুল টিকে আছি। আর এর মাধ্যমে উদ্ভিদের বেঁচে থাকা ও তার বৃদ্ধি নিশ্চিত করে। আর এই বংশবিস্তার যদি না হতো তাহলে প্রকৃতির ভারসাম্য যেমন থাকতো না, তেমনি কোনো প্রজাতির অস্তিত্বও থাকতো না। উদ্ভিদ যেমন তার বংশবিস্তারের মাধ্যমে তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখে চলেছে, তেমনি এই উদ্ভিদের কারণে আমরাও প্রাণিকুল অক্সিজেন গ্রহণ এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড ত্যাগ করতে পারি। তাই এক কোথায় বলা যায় যে, উদ্ভিদের এই জীবনচক্র এবং বংশবিস্তার প্রকৃতির অসাধারণ উপহার।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
উদ্ভিদের জীবনচক্র নিয়ে খুব তথ্য বহুল একটি পোস্ট আজ শেয়ার করেছেন দাদা।জানা হলো অনেক কিছু।উদ্ভিদ আছে বলেই তো প্রাণীকূল শ্বাস -প্রশ্বাস নিয়ে বেঁচে আছে।ধন্যবাদ দাদা তথ্যবহুল এই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
একেবারে যথার্থ বলেছেন দাদা। এককথায় বলতে গেলে উদ্ভিদ না থাকলে পৃথিবীতে আমাদের অস্তিত্ব থাকতো না। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে আমরা কারণ অকারণে দিনদিন উদ্ভিদের উপর হামলা চালাচ্ছি। যাইহোক উদ্ভিদের জীবনচক্র নিয়ে চমৎকার আলোচনা করেছেন দাদা। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
উদ্ভিদ পরিবেশের জন্য মানুষের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা ভূমিকা সর্বদা পালন করে থাকে। কিন্তু উদ্ভিদের জীবনচক্র কে এভাবে কখনোই ভেবে দেখিনি। চমৎকার লিখেছেন দাদা আপনি। আপনার পোস্ট টা পড়ে বেশ ভালো লাগল। ধন্যবাদ আমাদের সাথে পোস্ট টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
উদ্ভিদ আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উদ্ভিদ না থাকলে আমাদের কোন অস্তিত্বই থাকতো না।উদ্ভিদের কারণেই আমরা বুক ভরে শ্বাস নিতে পারছি। উদ্ভিদের জীবন চক্র নিয়ে এত সুন্দর ভাবে লিখেছেন পড়ে খুব ভালো লাগলো দাদা। অনেক ধন্যবাদ দারুন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ছোটবেলা থেকে বিভিন্ন বিজ্ঞান বইয়ে উদ্ভিদের জীবনচক্র নিয়ে গাঁদা গাঁদা তথ্য পড়ে এসেছি কিন্তু তখন কোনো কিছুই মাথায় ঢোকেনি তেমনভাবে।দাদা আপনার পোস্ট টি পড়ে উদ্ভিদের জীবনচক্র সম্পর্কে পূর্নাঙ্গ একটি ধারণা পেলাম।উদ্ভিদ যে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কি পরিমাণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তা খুব ভালোভাবেই উপলব্ধি করলাম।অসম্ভব সন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই দাদা।