মাইক্রোবায়োলজি

in আমার বাংলা ব্লগ7 hours ago
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

DALL·E 2024-12-24 00.08.27 - A highly detailed and visually captivating illustration of microbiology concepts. The image features a vibrant and colorful depiction of microorganism.webp

Image Created by OpenAI

আজকে আপনাদের সাথে জীববিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা নিয়ে আলোচনা করবো। এই শাখাটি আমাদের জীববিজ্ঞান এর সাথে অতোপ্রতো সম্পর্ক রয়েছে। আসলে এই গুরুত্বপূর্ণ শাখাটি হলো "মাইক্রোবায়োলজি"। এই মাইক্রোবায়োলজি কথাটি আসলেই বিষয়টা অদৃশ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। কারণ এই মাইক্রোবায়োলোজির মধ্যে ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, ভাইরাস এর মতো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জীবের বসবাস। আমাদের মানবজীবনে এদের প্রভাব এক কোথায় অপরিসীম। মাইক্রোবস বিষয়টা কিন্তু আমাদের খাদ্য, স্বাস্থ্য এবং শিল্পের দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যেমন- এই তিনটি ক্ষুদ্র জীবের বিষয়ে যদি বলি, তাহলে ব্যাকটেরিয়া কিন্তু আমাদের অন্ত্রে থাকা পুষ্টি শোষণ করে সহায়তা করে থাকে।

আবার অন্যদিকে ছত্রাক যেমন খাবারের পচন ঘটায়, তেমনি অনেক ক্ষেত্রে ঔষধ উৎপাদনেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আপনারা অনেকে পেনিসিলিন নামের ঔষধের কথা শুনে থাকবেন, আসলে এইটা থেকেই এই ঔষধটির উৎপত্তি হয়েছে। আর একদিকে ভাইরাস যেমন শরীরে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করে থাকে, তেমনি আবার আমাদের জিনের থেরাপিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে থাকে। ভাইরাস মূলত একধরণের রহস্যময় জীব, কারণ এই ভাইরাস যে আসলে কখন কি রূপ ধারণ করে সেটা বোঝা মুশকিল হয়ে যায়। সেটা কোভিড এর ক্ষেত্রে সবাই দেখেছিলেন যে, এই ভাইরাসটি এক একসময় এক একটা রূপে আবির্ভূত হয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠতো।

আর এটি ডিএনএ এবং rna উভয় নিয়েই গঠিত। ভাইরাস মূলত কিভাবে জীবিত কোষকে এটাক করে এবং নতুন ভাইরাস তৈরি করে, তা এই মাইক্রোবায়োলজির একটি আশ্চর্যজনক এবং চমকপ্রদ বিষয়। তারপর ব্যাকটেরিয়ার মতো জীব এর ভালো আর খারাপ উভয় দিক আছে। যেমন- কিছু ব্যাকটেরিয়া আছে, যা আমাদের অনেক উপকারী হিসেবে কাজে লাগে। ল্যাকটিক অ্যাসিড সাধারণ ভাবে বলা যায়, দই তৈরির ক্ষেত্রে কাজে লাগে। তারপর নাইট্রোজেন ফিক্সিং নামক ব্যাকটেরিয়া মাটির উর্বরতার বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। এইরকম ব্যাকটেরিয়াগুলো আমাদের অনেক উপকারে আসে। তাছাড়া যদি দেখা যায়, এর বিপরীত আবার ক্ষতিকারক হিসেবে কিছু ব্যাকটেরিয়া আছে।

যেমন- সালমোনেলা নাম শুনেছেন অনেকেই নিশ্চই, এটা খাদ্য বিষক্রিয়া করে থাকে। আবার আমাদের যে যক্ষ্মা হয়ে থাকে, এটাও এই মাইকোব্যাকটেরিয়াম নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়ে থাকে। এইসব তো গেলো, তবে ছত্রাকের ভূমিকাও কম নয়। কারণ কিছু ছত্রাক আছে যা ঔষধ ব্যবহারে কাজে লাগে। তারপর আমরা যে রুটি আর কেক খেয়ে থাকি, তাই এই ইস্ট ছত্রাক ব্যবহার করে তৈরি করা হয়ে থাকে। এই যেমন উপকারী দিক আছে, তেমনি আবার ক্ষতিকারক দিকও আছে, যেমন- এর ক্ষতিকারক দিক হলো এটি এথলেটস নামক রোগের সৃষ্টি করে থাকে। মূলত সবকিছুরই উপকারী এবং ক্ষতিকারক উভয় দিক আছে।

আমাদের মানব স্বাস্থ্যের দিক থেকেও মাইক্রোবস এর অনেক ভূমিকা রয়েছে, তবে এর উপকারী দিক হলো আমাদের অন্ত্রে বসবাসকারী যে ব্যাকটেরিয়া আছে, সেটি হজমের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। আবার ক্ষতির দিকটা হলো, ম্যালেরিয়া এবিং ডেঙ্গুর মতো ভাইরাস আক্রমণও করে থাকে। একদিকে উপকার হলে আরেকদিক থেকে ক্ষতিকারক বিষয়গুলো অর্থাৎ এইসব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জীব-অণুজীব এটাক করার সম্ভাবনা থেকে যায়। আসলে জীববিজ্ঞান আর আমাদের মানব জীবনের রহস্যের কোনো সীমা-পরিসীমা নেই।


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png



Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.