দূর্গা পুজো ২০২৪ ( পর্ব ১১ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
আজকে আপনাদের সাথে দুর্গা পুজোর কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করে নেবো। এই পর্বে আপনাদের সাথে বালিগঞ্জ এর দিকের একটি পুজো দেখাবো। গত পর্বে যে ছোট ছোট কিছু প্যান্ডেলের আলোকচিত্রগুলি শেয়ার করেছিলাম, তারপরে এই বালিগঞ্জ এর এইটা ছিল অনেকটা দূরে। আর পুজোর সময়ে আসলে যতই দূরে হোক না কেন, হেঁটেই যাওয়া লাগে। আর পুজোর সময়ে রাস্তার লাইট দেখতে দেখতে এবং সবার মাঝে হেঁটে যেতেও একটা আলাদা ফিলিংস হয় অর্থাৎ বেশ ভালো লাগে। আর আমি যেদিন গিয়েছিলাম, সেদিন তো আসলে পুজো শুরু হয়নি, তার দুইদিন আগে গিয়েছিলাম, ফলে সব জায়গায় একটু কম-বেশি ভিড় ছিল। এই বালিগঞ্জ এর পুজোটাতেও ভিড় অনেকটা কম ছিল, কারণ এমনিতেই চতুর্থীর দিন আর তারপর অনেক রাত, প্রায় দেড়টার দিকে গিয়েছিলাম।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
বালিগঞ্জ এর এই পুজো প্যান্ডেলের অর্থাৎ ক্লাবটির নাম ছিল "ম্যাডক্স স্কোয়ার"। এই ক্লাবের পুজোটা অতটাও জাকজমকপূর্ণ না দেখলেও প্যান্ডেল মোটামুটি বেশ বড়ো এবং সাজিয়ে গুছিয়ে করে। আমি যদিও এর আগে এই ক্লাবের পুজো কখনো দেখতে আসেনি, তবে এইবার যেহেতু এই লাইনটাতে হাঁটতে হাঁটতে চলে এসেছিলাম, তাই ভাবলাম যাই আর এমনিতেও এইটা লিস্ট করে রেখেছিলাম। এদের আসলে থিমটা কি ছিল জানা নেই, প্যান্ডেলটি দারুন করেছিল। বাইরের থেকে দেখলে বুঝতে পারবেন যে, ডিজাইনটা মূলত কিছু একটা মন্দিরের মতো করেছে। আর হয়তো থিমটা কোনো মন্দিরের নামে হবে, তবে সঠিক কি সেটা ওখানে লেখা ছিল না। আর এমনিতেও আসলে ওই মুহূর্তে অনেক কিছুই রেডি করে পারেনি।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
তবে ডিজাইনটা আমার কাছে অনেক সুন্দর লেগেছে। এছাড়া ভিতরের দিকে ঝাড় বাতিগুলো দেখতে দারুন লাগছিলো। লাইন ধরে কম বেশি অনেকগুলো ঝাড় বাতি ছিল। বড়ো বড়ো ঝাড় বাতিগুলো দেখতে আরো বেশি ভালো লাগে। ঝাড় বাতিগুলোর ডিজাইনের কাছে মূলত প্যান্ডেলের অভ্যন্তরীণ আরো বেশি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। আর এই প্যান্ডেলের সম্পূর্ণ জায়গায় ঝাড় বাতি দেওয়া ছিল। এছাড়া ভিতরে আরো বিভিন্ন ধরণের আর্ট এর ডিজাইন করা ছিল, দেখতে আরো বেশি ভালো লাগছিলো। আসলে প্যান্ডেলের ভিতরে ডিজাইনগুলো যদি ভালোমতো সাজানো হয়, তাহলে সৌন্দর্যটা আরো বেশি বেড়ে যায়। মায়ের মূর্তিটাও অনেক সুন্দর করেছিল।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
শিল্পীর হাতের ছোঁয়ায় মা যেন নতুন সাজে সেজে উঠেছে। ছোট মূর্তির মধ্যে দেখতে আরো বেশি ভালো লাগছিলো। এরপর দেখা শেষ হয়ে এলে বাইরের দিকে চলে আসলাম এবং দেখছিলাম বাঁশের তৈরি বিভিন্ন ডালা, এক তারা ইত্যাদি আরো নানা ধরণের জিনিস উঠেছিল। আর এইগুলো আসলে অনেকদিন টেকসইও বটে। তবে এই জিনিসগুলোর দামও অনেক চায় এইসব পুজোর সময়ে, আর এইগুলো এরা বাড়ির থেকে নিজে হাতে তৈরি করে আনে। যাইহোক, এটাই ছিল এই পর্বের আলোকচিত্র।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
ক্যামেরা | স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G |
---|---|
লোকেশন | কলকাতা |
তারিখ | ৭ অক্টোবর ২০২৪ |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাপ রে বাপ, পূজা প্যান্ডেলের গেটের কারুকাজ ও ভিতরের ডেকোরেশন দেখে একদম চোখ ছানাবড়া। একদম রাজপ্রাসাদের মতো লাগছে গেটটা। দারুণ উপভোগ করলাম ছবিগুলো দাদা।
দুর্গাপুজোর 11 তম পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এই পুজো প্যান্ডেলের আলোকচিত্র দেখে আমি জাস্ট মুগ্ধ হলাম। কারণ প্রতিটা কারু কাজ ছিল অনেক দারুণ। অনেক সুন্দর করে আরেকটা প্যান্ডেলের আলোকচিত্র নিয়ে আজকে হাজির হয়েছেন আমাদের সবার মাঝে। আশা করছি এরকম ভাবে অনেক সুন্দর করে পরবর্তী পর্বগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।
দাদা আপনি অনেক বেশি সুন্দর করে আমাদের মাঝে দুর্গা পূজার আরেকটা পর্ব শেয়ার করে নিলেন। আর এই পর্বটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। প্রত্যেকটা পর্ব আপনি অনেক সুন্দর করে বিভিন্ন রকম পূজা প্যান্ডেলের আলোচিত শেয়ার করছেন। প্যান্ডেলটা অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়েছে, যা দেখে আমি তো মুগ্ধ হলাম। আমার কাছে এই পুজো প্যান্ডেলের আলোচিত হলো জাস্ট চমৎকার লেগেছে। অনেক বেশি সুন্দর ছিল সবগুলো ফটোগ্রাফি।
কলকাতার পুজোতে লাস্ট কবে দেখেছিলাম মনেই পড়ে না সে প্রায় ধরুন ১৭-১৮ বছর আগে। পুজোর সময় ফেসবুক থেকে বা ইনস্টাগ্রাম থেকে নানান পূজোর ছবি দেখি। এবছর আপনাদের পোস্ট থেকে দেখছি। প্রতিযোগিতার কারণে অনেক ছবি দেখেছি। এই ছবিগুলো বেশ ভালো লাগলো।
এই পূজা প্যান্ডেলটি তো দেখছি বেশ বড় এবং সত্যিই খুব সুন্দর। ঝাড়বাতি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। ফটোগ্রাফি গুলো দারুণভাবে ক্যাপচার করেছেন দাদা। আসলে লাইটিং করা থাকলে রাতের বেলা হাঁটাহাঁটি করতে কিন্তু আসলেই খুব ভালো লাগে। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম দাদা। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ম্যাডক্স স্কয়ার পূজা মন্ডপ। বাঙালির একেবারে প্রাণের জায়গা। এ বছরেও গেছিলাম। ম্যাডক্স স্কয়ার মানেই বিভিন্ন রকম নস্টালজিয়া মনের মধ্যে আসে। দক্ষিণ কলকাতার আড্ডার একটি কেন্দ্রস্থল হলো এই ম্যাডক্স স্কয়ার। আপনি দারুণ সুন্দর করে ম্যাডক্স স্কয়ারের পূজা মন্ডপের ছবি তুলে আনলেন ব্লগে।