জীবাশ্ম ও বিবর্তন

in আমার বাংলা ব্লগ18 days ago
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

DALL·E 2024-11-16 00.10.04 - A captivating and detailed illustration of fossils and evolution showing ancient sea creatures, dinosaurs, mammals, and early humans arranged in a roc.webp

Image Created by OpenAI

আজকে আপনাদের সাথে প্রাণীদের বিবর্তন সম্পর্কে একটি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। তবে এই বিবর্তন এর বিষয়ে বলতে গেলে আগে আমাদের পৃথিবীর প্রাচীন কালের দিকে চলে যেতে হবে অর্থাৎ জীবাশ্মের বিষয়টা এখানে চলে আসছে। কারণ পৃথিবীর প্রাচীন কালের দিকে যেসব প্রাণী ছিল বর্তমানে তাদের অবশিষ্ট অংশ এখন শিলায় সংরক্ষিত বা কোনো মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে। এর থেকে আমরা বর্তমানে এই সময়ে দাঁড়িয়ে কোটি কোটি বছর আগে প্রাণীগুলো কেমন ছিল বা তাদের গঠন কেমন ছিল সেই সম্পর্কে জানতে পারি। পৃথিবীতে প্রাণীর উৎপত্তি থেকেই এখন পর্যন্ত সমস্ত প্রাণীর ধরণ এবং গঠনের নানা পরিবর্তন ঘটেছে। আমরা কোনো মিউজিয়ামে বা অন্য কোথাও কোনো প্রাণীর জীবাশ্ম হিসেবে কঙ্কাল, দাঁতের গঠন ইত্যাদি যেসব আমরা দেখে থাকি।

তবে এই বিষয়বস্তু ছাড়াও আরো অন্যান্য বিষয়ে থাকতে পারে, যেমন-তখনকার সময়ে প্রাণীর গঠন অনুযায়ী পায়ের ছাপ ছিল বিশাল বড়ো বড়ো আর সেই হিসেবে সেইসব প্রাণীর পায়ের ছাপও সংরক্ষণ করে রাখা থাকে। এইরকম কিছু কিছু বিষয় বর্তমানে সংরক্ষিত থাকলেও বহু জীবাশ্ম আছে, যেমন- মাথার খুলি ইত্যাদি মাটির নিচে চাপা পড়ে ধীরে ধীরে সেগুলো সময়ের ফেরে শিলায় রূপান্তরিত হয়েছে। এই সবকিছুই একটা প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া, যা সময়ের সাথে সাথে ঘটে চলেছে। আপনারা ডারউইন এর একটি বক্তব্য সম্পর্কে জানবেন যে, তার "On the Origin of Species" নামক গ্রন্থে জীবাশ্মের এবং বিবর্তনের এই বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করেছিলেন।

মূলত পরিবেশের সাথে খাপখাইয়ে যেসব প্রাণীরা অভিযোজন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বেঁচে থাকে বা টিকে থাকে তারাই তাদের বৈশিষ্টগুলো প্রজননের মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মে প্রেরণ করে আর এইভাবেই একের পর এক নতুন প্রজাতির জন্ম হয়। এখান থেকে কোটি কোটি বছর আগে যদি পাখিদের এবং সরীসৃপের বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়, তাহলে তাদের বৈশিষ্ট্য প্রায় একরকম, যেমন-পাখিদের পাখনা ছিল কিন্তু তাদের দাঁত আর লেজের গঠন সরীসৃপের মতো ছিল। ফলে এই পাখিও বর্তমানে সরীসৃপ থেকে বিবর্তিত হয়ে এসেছে। এইগুলোর আসলে বিশাল ব্যাখ্যা রয়েছে, বলতে লাগলে আর শেষ হতে চাইবে না।

এছাড়া আপনারা ডাইনোসর এর বিষয়ে জানেন যে তারা কিভাবে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়েছিল, একদম পুরোপুরি পৃথিবী থেকে তাদের নাম মুছে গিয়েছিলো। বিলুপ্ত প্রাণীগুলোর মধ্যে এই ডাইনোসর এর বিলুপ্ত বিখ্যাত, কারণ এটি গণহারে বিলুপ্ত হয়েছিল। এছাড়াও এই বড়ো বিলুপ্তের পিছনে অনেক প্রাণী আছে। পৃথিবীতে সাধারণত প্রাণীর বিবর্তনগুলো এক একটা নির্দিষ্ট যুগের মাধ্যেম পরিবর্তিত হয়ে এসেছে। এখানে যেমন প্রথম সামুদ্রিক প্রাণীদের কথা বলি, এইসব প্রাণী ছিল এককোষী এবং এরা প্রটেরোজোয়িক নামক যুগের ছিল।

এরপরে পরবর্তী প্যালিওজোয়িক যুগে মোলাস্কা এবং আর্থ্রোপোডা প্রাণীর উদ্ভব ঘটেছিলো, তবে এই একই যুগের শেষ ভাগের দিকে স্থলজ উদ্ভিদ এবং মেরুদন্ডী প্রাণীরও উদ্ভব হয়েছিল। এরপরে মেসোজোয়িক যুগটা ডাইনোসর, পাখি এবং স্তন্যপায়ী প্রাণীর যুগ ছিল এবং এই যুগেই আবার এই ডাইনোসর এর সম্পূর্ণ বিলুপ্তি ঘটেছিলো। এরপরের যে যুগটা ছিল এই যুগে আমাদের মানব জাতিরও উদ্ভব হয়েছিল। এছাড়া এই যুগে আরো অনেক স্তন্যপায়ী প্রাণীর উদ্ভব ঘটেছিলো। এইভাবে কালের ফেরে লক্ষ্য-কোটি বছর ধরে ধরে বিভিন্ন কিছুর উৎপত্তি এবং বিলুপ্ত হতে হতে এই পর্যন্ত এসে পৌঁছিয়েছে।


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png



Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 17 days ago 

আমরা কোনো মিউজিয়ামে বা অন্য কোথাও কোনো প্রাণীর জীবাশ্ম হিসেবে কঙ্কাল, দাঁতের গঠন ইত্যাদি যেসব আমরা দেখে থাকি।

আসলেই দাদা মিউজিয়ামে গেলে প্রাণীর জীবাশ্ম হিসেবে অনেক কিছুই দেখতে পাই। মিউজিয়ামে থাকা জীবাশ্ম দেখতে সত্যিই খুব ভালো লাগে। যাইহোক প্রাণীদের বিবর্তন সম্পর্কে দারুণ লিখেছেন দাদা। পোস্টটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 16 days ago 

সময়ের সাথে অনেক কিছুর পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। আর সবচাইতে বেশি যেটার পরিবর্তন হয়েছে প্রাণীর গঠন বা আকৃতির। প্রাকৃতিক বিভিন্ন সংকট এগুলোর উপর বেশ ভালো প্রভাব বিস্তার করেছে। চমৎকার লাগল আপনার পোস্ট টা দাদা। তথ‍্যবহুল এবং নতুনত্ব ছিল পোস্টে।