ওয়েব সিরিজ রিভিউ: The Mystery of Moksha Island ( সিজন ১: পর্ব ৪ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'The Mystery of Moksha Island' ওয়েব সিরিজটির চতুর্থ পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "গ্রান্ডমা টেলস"। গত পর্বে দেখেছিলাম যে একটি ফ্যামিলি সমস্যার কারণে বাবা এবং ছেলের মধ্যে একটা ভয়ানক খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয় আর বাবা ছেলেকে মেরে ফেলার জন্য উতলা হয়ে ওঠে। এই পর্বে দেখা যাক কি হয়।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
❄মূল কাহিনী:❄
তো ওখানে আসলে ওই মুহূর্তে আর দেখা যায়নি যে, আসলে কে মরেছিল। কারণ এটাই ভাবা গিয়েছিলো যে, কোনো জংলী মানুষের শিকার হয়েছে, কারণ তাদের পিছনে পিছনে একটা জংলী মানুষ এসেছিলো। তবে পরে ঘটনা যেটা ঘটলো সেটা হলো, ছেলেই বাবাকে মেরে ফেলে। আর এরপর তার বাবার দেহটা জঙ্গলের এক জায়গায় পাতা দিয়ে ঢেকে দেয়। তবে এই ঘটনাটা আসলে মায়া নামের ওই মেয়েটা জানতো, কারণ ওখানে সেও উপস্থিত ছিল, তবে তারা কেউ জানতো না। এখন পরে যখন তাদের মধ্যে নিকি নামের একটি মেয়ে হারিয়ে গিয়েছিলো অর্থাৎ ওই মেয়েটা কিন্তু এখনো ওই মাটির নিচে তৈরি করা একটা গুপ্ত জায়গায় আছে। তবে যদিও ওটার মেইন প্রবেশ পথ অন্য জায়গায় আছে, এটা একটা ইমার্জেন্সি গুপ্ত মার্গ ছিল, যেটা দিয়ে ভুল করে ঢুকে পড়ে দেখতে গিয়ে। তো ওখানে আসলে ওই মেয়েটা চলতে চলতে ভিতরে একটা রিসার্চ সেন্টার মতো করা জায়গায় প্রবেশ করে যায়।
আর ওখানে সব সিকিউরিটি গার্ডও ছিল। তবে ওদের রাডারে সম্ভবত সিগন্যাল দিয়ে দেয় যে বাইরের কেউ ওখানে প্রবেশ করেছে, তাই পরে এলার্ট করে দেয়। কিন্তু মেয়েটা আরো ফেঁসে গিয়েছে এখন, ওখান থেকে বেরোনোর পথ এইবার আরো কঠিন হয়ে গিয়েছে। এদিকে বাইরে তার বাবা, মা সহ যারা সবাই খুঁজছিলো, তারা খুঁজতে খুঁজতে ওই মৃত দেহটা দেখতে পায়। পরে ভালো করে পরীক্ষা করে দেখে, তাদেরই একজন অর্থাৎ ওই ছেলের বাবা। এখন পরে দেহটাকে নিয়ে ফ্রিজার করে রাখে। আসলে ওখানে লাশ পড়াতেও দিচ্ছে না কেউ। কারণ আসলে খুনগুলো কিভাবে হচ্ছে, সেটা জানার জন্য পুলিশ আর ফরেনসিক টিম আসা পর্যন্ত সব লাশ ওখানে ফ্রিজার করে রেখে দিচ্ছে।
এখন এখানে ভিকি আর যে উকিল ছিল, সে তাকে নিয়ে ওই সিক্রেট জায়গাটায় যায়, যেখানে পাওয়ার সাপ্লাই এর ব্যবস্থা করা। তবে ওখানে আসলে সবকিছুই বেকার। তবে ওই অন্ধ লোকটা নাকি আবার প্রতিদিন ওখানে গিয়ে চেক করে পাওয়ার সাপ্লাই সব ঠিক আছে কিনা। এখন ওখানে একজন স্টাফ ওই উকিলের কাছে এসে সাহায্য চায়, তাকে যেন ওখান থেকে বের করার ব্যবস্থা করে দেয়। কারণ ওর কাছেও এখানে বিষয়টা অনেক রহস্যময় আর ভয়ানক মনে হয়েছে। আর ও ছাড়া বাকি যারা কর্মচারী বা স্টাফ আছে সবাই একটা রোবটের মতো কাজ করে যায় কোনো রকম কথা না বলে। এরপর আসলে ওখানে যে বৃদ্ধ মহিলাটি ছিল অর্থাৎ কারো দাদি মা, কারো মা আর কি। তো ওই সব ঘটনা দেখে নিজেকে আর কন্ট্রোল করতে না পেরে সিঁড়ি থেকে নিচে পড়ে গিয়ে মারা যায়।
❄ব্যক্তিগত মতামত:❄
আসলে এই বিশ্ববা নামের লোকটা আসলে ডাক্তার হলেও একটা মানসিক সমস্যা ছিল তার মধ্যে। ও বিভিন্ন মানুষের লাশ এনে এনে বিভিন্ন রিসার্চ মূলক একটা গুপ্ত স্থানে। আর একদিন তার ওয়াইফ এই বিষয়টা দেখে ফেলে। আর পরে গিয়ে এই বিষয়টা নিয়ে পুলিশের কাছে রিপোর্ট করলে এসে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। আসলে এই যে বৃদ্ধ মহিলাটির মৃত্যু হলো, সেই ছিল এই বিশ্ববার ওয়াইফ। এখন আসলে পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, সবাই এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে একজন আরেকজনকে মেরে ফেলার প্ল্যান তৈরি করছে। এরপর কি হয় সেটাই দেখার বিষয়।
❄ব্যক্তিগত রেটিং:❄
৭.৮/১০
❄ট্রেইলার লিঙ্ক:❄
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দাদা আজ আপনি এই ওয়েব সিরিজের চতুর্থ পর্ব আমাদের মাঝে এত সুন্দর করে শেয়ার করলেন দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। বিশ্ববা নামের লোকটা আসলেই একজন মানসিক রোগী। তার মধ্যে মানসিক রোগ না থাকলে সে এরকম কাজ কিভাবে করে। লাশ এনে বিভিন্ন রিসার্চ করার বিষয়টা আসলেই অন্যরকম। যাইহোক এখন দেখা যাক এই ওয়েব সিরিজের পরবর্তী পর্বে কি হবে। আশা করছি অনেক তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্বের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।
আমার কাছে ওয়েব সিরিজের রিভিউ পড়তে অনেক ভালো লাগে। আপনি প্রতিনিয়ত অনেক সুন্দর করে ওয়েব সিরিজের রিভিউ শেয়ার করে থাকেন। আজকের পর্বের কাহিনী অনেক সুন্দর ছিল। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি আজকে চতুর্থ পর্বের রিভিউ শেয়ার করেছেন।বিশ্ববা ডাঃ হলেও তার মধ্যে মানসিক সমস্যা ছিল এটা বোঝা যাচ্ছে। এখন তো একে অপরকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে তারা। এখন কি হবে এটা দেখতে হবে। সেই পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকলাম দাদা।
বিশ্ববা নামের লোকটা তো দেখছি খুবই ডেঞ্জারাস। ভালোই হয়েছে তার স্ত্রী পুলিশের কাছে রিপোর্ট করেছে বলে। নয়তো এই লোকটা সমানে আরও অনেক ভয়ংকর কাজ করতো। এই লোকটাকে পুলিশ যাতে আর না ছাড়ে। যাইহোক এই ওয়েব সিরিজটা বেশ জমে উঠেছে দাদা। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।