ওয়েব সিরিজ রিভিউ: The Mystery of Moksha Island ( সিজন ১: পর্ব ৭ )

in আমার বাংলা ব্লগ14 days ago
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে "The Mystery of Moksha Island" ওয়েব সিরিজটির সপ্তম পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "সায়েন্স ম্যাটার্স"। গত পর্বে দেখেছিলাম যে, ভিকি এবং আরো কয়েকজন সেই বন মানুষটার সাথে লড়াই করে তাকে মেরে ফেলে ফিরে আসে, তবে ভিকি একা বেঁচে ফেরে। আজকের এই পর্বে দেখা যাক কি হয় বিষয়টা।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠

সিরিজটির নাম
The Mystery of Moksha Island
প্লাটফর্ম
hotstar
সিজন
পর্ব
সায়েন্স ম্যাটার্স
পরিচালকের নাম
অনীশ কুরুভিলা
অভিনয়
তেজস্বী মাদিভাদা, নান্দু বিজয় কৃষ্ণ, পাভানি রেড্ডি,কেশব দীপক, অক্ষরা গৌড়া, আশুতোষ রানা, প্রিয়া আনন্দ ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪( ইন্ডিয়া )
সময়
৩১ মিনিট ( সপ্তম পর্ব )
অরিজিনাল ভাষা
তেলেগু
ভাষা ডাবিং
হিন্দি
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইন্ডিয়া


❂মূল কাহিনী:❂


স্ক্রিনশর্ট: hotstar

মূলত ভিকি যখন ওই ছোট মেয়েটাকে নিয়ে ফিরে আসে এবং ওখানে যে উকিল ছিল অর্থাৎ ঝাঁসি নামের ওই মহিলাটি। প্রথমত ওকে অনেক আগেই ওখান থেকে অনেকের মতো ধরে নিয়ে গিয়েছিলো। তবে এই কাজটার পিছনে হাত ছিল সেই অন্ধ লোকটার। আসলে ও অন্ধ হলেও একদম একটা স্বাভাবিক মানুষের মতো সবকিছু বুঝতে পারে আর চলাফেরা করতে পারে। তো আসলে ওই ঝাঁসিকে দেখার পরে ভিকির মনে হয় সে তার দিদি, যে ছোট বেলায় হারিয়ে গিয়েছিলো। আসলে ছোট বেলায় তাদের মাকে একজন খুন করে পালায় এবং তারা দুই ভাই বোন বাইরে চলে আসে আর পালায়, কারণ তাদেরও মেরে ফেলতো খুঁজে পেলে। তো তাদের ঘরবাড়িও আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল সেই সময়। তখন তারা আলাদা হয়ে যায় ওখানে। এরপর এখানে আইল্যান্ড-এ যখন তাদের দেখতে পায়, তখন ভিকির মনে হয় সেই তার দিদি।


স্ক্রিনশর্ট: hotstar

তাই ওইদিন ওখানে তাকে দিদি বলে ডাকলেও তাকে বলে দেয় যে, সে তার দিদি না। এরপর ওখানে যারা সমুদ্রের পাড়ে ছিল তারা তো আর কোনো দিশাই খুঁজে পায় না কোনদিকে কিভাবে সেখান থেকে বেরোবে। এরপর সবাইকে মাইকিং করে ঘোষণা করে যে সবাই ডাইনিং টেবিলে এসে হাজির হতে, কারণ ওখানে তাদের সমস্ত বিষয়ের উত্তর দেওয়া হবে। তো ওদের মায়া নামের সেই মেয়েটি যে বিশ্ববক সেনের সেক্রেটারি হিসেবে ছিল, সে সবাইকে ডাকে। এরপর সেই ঝাঁসি নামের মহিলাটি সেখানে আসে। সে মূলত ওখানে এমনভাবে আসে যেটা একদম নরমাল ছিল না, ভিকি অন্তত এই বিষয়টা লক্ষ্য করে এবং বুঝতে পারে কিছু তো একটা ঘটতে চলেছে। আসলে ওখানে ওই নিজেকে বিশ্ববা বলে সবার সামনে দাবি করে। এখানে সবাই তো একদম হতবাক হয়ে পড়ে এই বিষয়টা জানার পরে।


স্ক্রিনশর্ট: hotstar

কারণ সে নিজেকে বলছে বিশ্ববা অথচ সে নিজে একজন মহিলা। তাহলে এটা কি করে সম্ভব। তারপর সমস্ত কিছু সে সবার সামনে উপস্থাপনা করে যে, আসলে তার এইসব জার্নি কিভাবে কি হলো অর্থাৎ তার রিসার্চ এর বিষয়ে। আসলে এখানে আইল্যান্ড-এর যতোকিছু আবিষ্কার সবকিছু তার করা, আর এইসব হিংস্র বন মানুষেরও আবিষ্কার তার নিজের করা। এরপর ও যে আসলে সবাইকে ধরে ধরে তার রিসার্চ সেন্টারে নিয়ে যেত আর তাদের সাথে কি কি করা হতো, সবকিছু তাদের সামনে বলে দেয় আর তার কাছে রেকর্ডও আছে। হলোগ্রাম এর মাধ্যমে সবার সামনে সেটা দেখিয়েও দেয়। এছাড়া তাদের নিজেদের মধ্যেও যে কে কাকে মেরেছে তার রেকর্ডও করে রাখে। এরপর তাদের মধ্যে আরেক লড়াই বেধে যায়।


❂ব্যক্তিগত মতামত:❂

আসলে বিশ্ববা যে মরে গিয়েছিলো, এই কথাটা একদম ভুল ছিল। কারণ সে বেঁচে ছিল ঠিকই, তবে অনেক বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছিলো। আসলে ছোট বেলা থেকে তার একটাই উদ্দেশ্য ছিল যে সে অমরত্ব লাভ করবে এবং মৃত্যুকে হারিয়ে দেবে। আসলে তার জন্যই কিন্তু সে তার নিজের ছেলেকেও বাদ দেইনি। সবাইকেই এই কারণে রিসার্চ করতো। এইভাবে সে একদিন রিসার্চ করতে করতে এই আইল্যান্ডও আবিষ্কার করে ফেলে। আর এখানে পরে তার সম্পত্তির লোভ দেখিয়ে সবাইকে ডেকে নিয়ে আসে। আসলে ডেকে নিয়ে আসে এই একটাই উদ্দেশ্যে। আসলে এখানে সম্পত্তির কোনো কিছু না। এখন সবাইকেই রিসার্চ করতো তার রিসার্চ সেন্টারে নিয়ে গিয়ে যে তার ডিএনএ এর সাথে ১০০ ভাগ ম্যাচিং আছে কার। আর তার জন্য এইসব করতো, যাতে নিজেকে ট্রান্সফর্ম করতে পারে আরেকজনের শরীরে। তাই সবার মধ্যে এই ভিকির বোন ঝাঁসিই ছিল যার ডিএনএ ম্যাচিং করে ১০০ ভাগ। এরপর তার শরীরের থেকে ট্রান্সফর্ম করে নিজেকে তার রূপে নিয়ে আসে অর্থাৎ ঝাঁসির রূপে। এরপরে শেষ কাহিনীটা কি হয় সেটা দেখার বিষয়।


❂ব্যক্তিগত রেটিং:❂
৮.৯/১০


❂ট্রেইলার লিঙ্ক:❂



শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png



Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!

 13 days ago 

এই পর্বে তো দেখছি একটা বিষয় আমরা ভালোভাবেই জানতে পারলাম। বিশ্ববা দেখছি মরেনি। বরং সে সবার উপর রিসার্চ করছে। এমনকি নিজের ছেলের উপরেও রিসার্চ করেছে সে। ভিকির বোন ঝাঁসির সাথে দেখছি তার ডিএনএ ১০০ ভাগ মিলে গিয়েছে। এখন শেষের কাহিনীটা আসলে কি হতে চলেছে এগুলোই দেখার বিষয়। আর এই বিষয়গুলো জানার জন্য আমার তো আগ্রহ অনেক বেশি বেড়ে গিয়েছে দাদা। আশা করছি আপনি এই ওয়েব সিরিজের পরবর্তী পর্বগুলোর রিভিউ আমাদের মাঝে অতি তাড়াতাড়ি শেয়ার করবেন।

 13 days ago 

দাদা, আপনি আজকে এই ওয়েব সিরিজের প্রথম সিজনের সপ্তম পর্ব এত সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। এই ওয়েব সিরিজের বেশিরভাগ পর্বের রিভিউ আমার পড়া হয়েছে। আস্তে আস্তে দেখছি অনেক কাহিনী আমাদের সামনে আসছে এখন। যেমনটা এই পর্বেও এসেছে। এখন তো বিশ্ববার সম্পর্কে ভালোভাবেই জেনে নিলাম। সে তো দেখছি সবার উপর শুধু রিচার্জ করছে। আর নিজের ডিএনএর সাথে ১০০ ভাগ মিল আছে এরকম একজনকে খুঁজছে। এখনতো দেখছি একজনকে পেয়ে গিয়েছে। এখন দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হবে। এগুলো জানার অপেক্ষায় আছি দাদা।

 13 days ago 

কারণ সে নিজেকে বলছে বিশ্ববা অথচ সে নিজে একজন মহিলা। তাহলে এটা কি করে সম্ভব।

ঝাঁসি নামের মহিলাটি তো তাহলে ঠিকই বলেছে। ঝাঁসির সাথে ডিএনএ ১০০ ভাগ মিলেছে বলেই বিশ্ববা সফল হয়েছে। বিশ্ববা তো দেখছি খুবই ডেঞ্জারাস। শুধুমাত্র অমরত্ব লাভ করার জন্য সে পরিবারের সবার উপর রিসার্চ করেছে। তাছাড়া ভিকির ধারণাও তো ঠিক তাহলে,ঝাঁসি তো ঠিকই তার বোন। এই পর্বটা বেশ ইন্টারেস্টিং লেগেছে দাদা। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।