ওয়েব সিরিজ রিভিউ: মহাভারত মার্ডার্স-মহাপ্রস্থানিক পর্ব & স্বর্গরোহন পর্ব ( পর্ব ১১ & ১২ )

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আমি মহাভারত মার্ডার্স সিরিজটির নতুন দুই পর্ব রিভিউ দেবো। আজকের পর্ব দুটি এই সিরিজের শেষ পর্ব। আজকের পর্ব দুটির নাম হলো "মহাপ্রস্থানিক পর্ব & স্বর্গরোহন পর্ব"। আগের পর্বের শেষের দিকে দেখা গিয়েছিলো প্রিয়াঙ্কা কিছুটা রহস্য উদঘাটন করতে পেরেছিলো আর দুর্যোধন যে আবির না অন্য কেউ সেটাও ধরতে পেরেছিলো। আজকে শেষ পর্ব দুটিতে দেখা যাক কিভাবে মূল অপরাধীকে শনাক্ত করতে পারে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


☫কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:☫

সিরিজের নাম
মহাভারত মার্ডার্স
প্লাটফর্ম
hoichoi
সিজন
পর্ব
মহাপ্রস্থানিক পর্ব & স্বর্গরোহন পর্ব
পরিচালকের নাম
সৌমিক হালদার
অভিনয়
প্রিয়াঙ্কা সরকার, অর্জুন চক্রবর্তী, শাস্বত চ্যাটার্জি, ঋষভ বসু, কৌশিক সেন, রাজদীপ গুপ্ত , দেবাশীষ মন্ডল
মুক্তির তারিখ
১৩ মে ২০২২ ( ভারত )
সময়
৪৯ মিনিট ( অন্তর্ভুক্ত ১১ & ১২ পর্ব )
ভাষা
বাংলা
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ভারত


✔মূল কাহিনী:


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

এই পর্বে দেখা যায় যে প্রিয়াঙ্কা ব্যাগডোগরাতে যাওয়ার জন্য রেডি হয়েছিল যেখানে মন্ত্রী পবিত্র বাবু ছিল, ওটা সাধারণত তার গেস্ট হাউস যা ইলেকশনের সময় মিটিং এ গিয়ে থাকেন। যাইহোক প্রিয়াঙ্কা সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে সেখানে চলে গেলেন এবং পবিত্র বাবুর সাথে দেখা করলেন। আর সেখানে তাদের একজন চা দিতে আসে আর সেই লোকটি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাটছিলো যেটা প্রিয়াঙ্কা দেখে বুঝতেও পারে। ফলে কিছুক্ষনের জন্য সেখান থেকে উঠে লোকটির পিছন পিছন রুমের দিকে যায় আর দেখলো কোথায় যায়। এরপর আবার ফিরে আসলো আর কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাইলো কিন্তু মন্ত্রী বাবু মিটিং আছে বলে ওইদিন কাটিয়ে দিলো ফলে সকালে ব্রেকফাস্ট এর সময় করতে চাইলো কারণ প্রিয়াঙ্কা আবার চলে যাবে বললো। তো এখানে প্রিয়াঙ্কা সকালে এমন কিছু কথা বললো যে মন্ত্রীর একপ্রকার গলা শুকিয়ে গেলো কারণ সমস্ত মার্ডার্স এর বিষয়টা তার দিকেই আঙ্গুল তুলছে। এর কারণ হিসেবে প্রিয়াঙ্কা বললো যে আবির যদি দুর্যোধন বা খুনি হতো তাহলে আপনাদের জুট মিলে আমার এই ব্যাগটা পৌঁছালো কিভাবে কারণ আমার এই ব্যাগটা সিধ এর কাছেই রাখা ছিল যেটা তার মার্ডার্স এর পরে সেখানেই তার বাড়িতে পড়ে থাকার কথা কিন্তু সেটা ব্যারাকপুরে চলে গেলো কিভাবে।


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

প্রিয়াঙ্কার কথা শোনার পরে মন্ত্রী কিছুটা হতভম্ব হয়ে যায় এবং তখন মন্ত্রী বাবু বিষয়টার মোড় অন্যদিকে ঘুরানোর জন্য ফ্যামিলির কথা শুরু করে মানে আবির কিভাবে তাদের বাড়িতে আসলো এবং কিভাবে তার জায়গা কেড়ে নিলো এইসব নানান কথা। আগের পর্বে কুসুম নামক একটি মহিলার কথা বলেছিলাম যেখানে একদিন রাতে তাকে খুন করা হয়েছিল আর এই খুনের সাথে আবির জড়িত ছিল। যখন পরবর্তীতে এই খুনের ইনভেস্টিগেশন এবং ডিএনএ রিপোর্ট করা হয় সেখানে আবিরের ডিএনএ পাওয়া যায় ফলে নিঃসন্দেহে আবির খুনি হিসেবে এখানে অপরাধী হয়। আর আবিরকে ফাঁসানোর জন্য মন্ত্রী বাবু একটা ফাঁদ আঁটেন সেটা হলো আবির যেখানে জুট মিলে যেত সেখানে সেই ব্যাগ আর পিস্তল রেখে দেয় যাতে সন্দেহটা তার দিকেই যায়। আর একদিন মিডিয়ার সামনে যে বলছিলো মার্ডার্স এর সাথে আবিরের লিঙ্ক আছে তখন শুনে আবিরের রাগ হয়ে যায় আর তখন তাকে মারার জন্য হোটেলে চলে যায় আর মন্ত্রী ভাবে কেস এখানেই শেষ হয়ে গেছে। কারণ মন্ত্রী আবিরকেই দুর্যোধন বানায় আর তাকেই বলেছিলো একদিন যে তুমি আন্ডারগ্রাউন্ড হয়ে যাও কিছুদিন আমি ব্যাপারটা সামলে নেবো পুলিশের সাথে।


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

মন্ত্রী পবিত্র তখন ছেলেবেলার সব সত্যি কথা প্রিয়াঙ্কার সামনে বলতে লাগে যে তার সাথে কি কি অন্যায় হয়েছে যার জন্য সেই সময় থেকেই আবিরের উপরে একটা ক্ষোভ জন্মে ছিল। কারণ ছোটবেলায় পবিত্রের বাবা আবিরকে বেশি ভালোবাসতো আমার থেকে কিন্তু সমাজের চোখে আমি ছিলাম তার একমাত্র সন্তান ফলে সমস্ত সম্পত্তি আমার হয়ে যায় আর আবিরও সেখান থেকে আমাকে নানাভাবে কাজের থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করতো। যে লোকটি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাটতো ওই লোকটা আবার প্রিয়াঙ্কার সাথে কথা বলে আর সমস্ত বিষয় জানায় যে আমার ছোটবেলা থেকেই একটি পায়ে সমস্যা আর সবসময় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটি। আর এই লোকটিকে কুসুম নামের যে মহিলা তাকে ভাইয়ের মতো ভালোবাসতো, আগের পর্বে বলেছিলাম যার কথা। তার একটা ছেলেও ছিল পাপ্পু নামে যার বাবা তার আর তার মায়ের উপর অত্যাচার করতো সবসময়। এরপর পাপ্পুর মা খুন হওয়ার পরে পাড়ার ছেলেরা তাকে খেপাতো আর প্রতিনিয়ত বিরক্ত করতো আর তখনি এই লোকটা তার মামা হয়ে ওঠে আর ওদের হাত থেকে রক্ষা করতো সব বিষয়ে। আর তাদের বিরুদ্ধে কিভাবে রুখে দাঁড়াতে হয় সেটাও তার পাতানো মামা শিখিয়ে দিতে লাগে।


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

পাপ্পুর পাতানো মামা লাল্টু প্রিয়াঙ্কার সাথে সব বিষয় খুলে বলে কি কি হয়েছিল আর লাল্টু ছোটবেলা থেকেই পবিত্রের বাড়িতে থাকতো। কিন্তু আবির যখন তার উপর অত্যাচার করে তখন পবিত্র দেখা সত্বেও আবিরের নামে মুখ খুলিনি ভয়ে। যাইহোক এরপর লাল্টুকে বাড়ির থেকে বের করে দেওয়ার পরে পবিত্রের উপরেও তার একটা ক্ষোভ থেকে যায় যে কিভাবে কোনোদিন সুযোগ পেলে দেখে নেবে। লাল্টু তো তখন পাপ্পুর মায়ের সাথে একটা মিলে কাজ করতো আর যে রাতে খুন হয়েছিল সেই রাতে লাল্টুও ছিল লুকিয়ে আর সে নিজের চোখে সবকিছু দেখেছিলো খুন হতে। ফলে সে জানতো আবির খুন করেছে। যাইহোক এরপর প্রিয়াঙ্কার সাথে প্ল্যান করে একটা ছোট মাইক্রোফোন ব্রেকফাস্ট এর মধ্যে দিয়ে যায় লাল্টু যেটা পবিত্র কথাগুলো রেকর্ড হচ্ছিলো। এরপর প্রিয়াঙ্কা সেখান থেকে বেরিয়ে গিয়ে রেকর্ডটা মিডিয়ার কাছে দিয়ে দেয় আর এদিকে লাল্টু তার সামনে এসে দেখা দিয়ে যায় যে মনে পড়ে আমাকে! এরপর মিডিয়া চলে আসে আর পবিত্রের তো অবস্থা করুন হয়ে যায়।


✔ব্যক্তিগত মতামত:

এই শেষ দুটি কাহিনীতে এসে দেখা যায় শেষমেশ খুনি বের হলো মন্ত্রী পবিত্র বাবু যে এই সিরিজে যুধিষ্ঠির হিসেবে ছিল শেষমেশ। তারপর এখানে আরো একটা ইন্টারেষ্টিং ট্যুইস্ট বেরিয়ে আসলো সেটা হলো একপ্রকার চমকে যাওয়ার মতো ব্যাপার কারণ এমন একজন ব্যক্তি সমস্ত মার্ডার্সগুলো করেছে, আপনারাও চমকে যাবেন। এখানে আসলে প্রথম থেকে সমস্ত মার্ডার্স সিরিয়াল কিলার হিসেবে সিধ অর্থাৎ প্রিয়াঙ্কার বন্ধু সিদ্ধার্থই ছিল। আর এই সিদ্ধার্থই ছিল সেই ছোট্ট পাপ্পু যে লাল্টুকে মামা হিসেবে ডাকতো। সিদ্ধার্থই দুর্যোধন ছিল যেটা আসলেই রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো একটা ঘটনা ছিল শেষে। আসলেই সমস্ত ঘটনা লাল্টু খুলে বলে তার ব্যাপারে, কারণ ছোটবেলা থেকে নিজের বাবা আর পাড়ার সমস্ত ছেলেরা তাকে যেভাবে অত্যাচার করতো একা পেলে সেটা ধৌর্যের বাইরে ছিল একপ্রকার। আর শেষে সিদ্ধার্থ মন্ত্রী পবিত্র বাবুকে ব্ল্যাকমেইল করবে বলে সিদ্ধার্থকেই মেরে দেয়। কিন্তু প্রিয়াঙ্কা এখানে ইনভেস্টিগেশন করার সময় বলে যে আমি তাও কোনো অপরাধ করিনি যদি কুরুক্ষেত্রের বিষয় হিসেবে দেখা যায়। আর এখানে পবিত্র সিদ্ধার্থের ঘরের থেকেই প্রিয়াঙ্কার ব্যাগ নিয়ে চলে গেছিলো কিন্তু খেয়াল করিনি যে ওখানে নাম লেখা ছিল। আর এই সমস্ত ঘটনা প্রিয়াঙ্কা বুঝতে পারে একটা ভিডিও ক্লিপ পাঠানো দেখে কারণ এইটা পাঠিয়েছিল খুন করার পরে পবিত্র বাবু যেটা ফরেনসিক গবেষণায় বোঝা যায়। তো এই ছিল মহাভারত মার্ডার্স সিরিজের অন্তিম পর্যায় আর কাহিনীতে ট্যুইস্ট একটা দিয়ে গেলো চমকানোর মতো এবং সব রহস্য উদ্ঘাটন হলো।


✔ব্যক্তিগত রেটিং:
১০/১০


ট্রেইলার লিঙ্ক:


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 3 years ago 
মাইন্ড নিয়ে খেলা একটি সিরিজ যেখানে পুরো সিরিজ না দেখে কেউ বলতে পারবে না খুনি কে। আসলে এক এক পর্বে এক এক জনকে সন্দেহ করছি। তবে সব রহস্যের জট খুললো আজকে। তবে মন্ত্রী আবিরকে নানা ভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে খুনি প্রমাণ করার জন্য। তবে দেখা যায় এখনে মেইনখুনি হচ্ছে সিদ্ধার্থ আর এই সিদ্ধার্থ হলো সেই ছোট্ট পাপ্পু। আর এই তথ্যগুলো খুঁজে বের করে প্রিয়াঙ্কা। তবে আমার কাছে ব্যক্তিগত ভাবে এই পুরো সিরিজটি জাস্ট অসাধারণ লেগেছে। দাদা আপনাকে অনুরোধ করবো সামনে আরো এমন ইন্টারেস্টিং সিরিজ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য৷ আপনার সিরিজ রিভিউ খুবই ভালো লাগছে। আপনি একদম পারফেক্ট ভাবে সব সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেন পড়তে অনেক ভালো লাগে। শুভকামনা রইলো দাদা আপনার জন্য। ভালোবাসা নিয়েন।
 3 years ago 

এই শেষ দুটি কাহিনীতে এসে দেখা যায় শেষমেশ খুনি বের হলো মন্ত্রী পবিত্র বাবু যে এই সিরিজে যুধিষ্ঠির হিসেবে ছিল শেষমেশ।

ওয়েব সিরিজের এই পর্ব পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ওয়েব সিরিজ রিভিউ পড়ে পুরো বিষয়টি অনেকটা বুঝতে পারলাম। এতদিন আমরা খুনি নিয়ে যে ধোঁয়াশার মধ্যে ছিলাম প্রিয়াঙ্কা ধীরে ধীরে রহস্যের জট খুলেছে এবং আসল সত্য বেরিয়ে পড়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে প্রিয়াঙ্কার প্রখরবুদ্ধির জন্য। মন্ত্রী পবিত্র বাবু নিজেকে মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে রেখেছিলেন। এই ওয়েব সিরিজটি আমি দেখিনি। তবে আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেকটাই বুঝতে পেরেছি। আশা করছি সময় করে পুরো ওয়েব সিরিজটি দেখে নেব। দাদা আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।♥️♥️♥️♥️

 3 years ago (edited)
সমাজ পরিস্থিতি আমাদের অনেক সময় অনেকভাবে পালটে দিতে পারে যা কখনো কখনো খুব ভয়ানক অবস্থার জন্ম দিতে সক্ষম।

গল্পের শেষ দুই পর্ব আমাদের সেরকমই কিছুটা ইঙ্গিত দেয়।

সমাজের উঁচু স্তরের মানুষ জন অনেক সময় অনেক অপরাধ খুব ঠান্ডা মাথায় সেরে নেয় সমাজের নিচুস্তরে থাকা মানুষের দ্বারা। মানুষের ক্ষোভ যে কি ভয়ানক রুপ নিতে পারে তার স্পষ্ট দৃশ্য "মহাভারত মার্ডার্স" এ ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে।
খুব সুক্ষ্মভাবে সৌমিক হালদার ক্রাইম থ্রিল টা উপস্থাপন করে গেছেন এ সিরিজের প্রতিটা পর্বে, যা যে কাউকে শিহরিত করতে বাধ্য করবে। এটাই আসলে থ্রিল ধাচের কনটেন্ট এর মজা যে আমরা প্রাথমিকভাবে যা ভাবি শেষের চিত্রটা একদম আলাদা হয়ে যায়। কিভাবে অপরাধের তীর তার দিক পরিবর্তন করছিলো তা দেখে সত্যি হতবাক না হয়ে উপায় নেই।

ধন্যবাদ দাদা এতো সুন্দর একটা থ্রিলার সিরিজ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
 3 years ago 

এ ধরনের কাহিনীগুলো আমার বুঝতে একটু কঠিন লাগে তারপরও এই গল্পটা পড়ে যা বুঝলাম প্রথম থেকে আমার মনে হচ্ছিল খুনটা ঐ পবিত্র বাবুই করেছে সে খুন করে অন্যের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে ।ব্যাগটা সরিয়ে সে আরো প্রমাণ করে দিলে যে খুনটা সেই করেছে। আর প্রিয়াঙ্কার চতুর বুদ্ধির কারণেই খুনিকে প্রমাণ করা আরও সহজ হয়েছে। যেটা আপনার লেখার মাধ্যমে আমি বুঝতে পেরেছি। আপনি এতটা সুন্দর করে লেখাটা তুলে ধরেছেন যে খুব সহজেই বুঝা গেল। যদিও আমি আগের পর্বগুলো পড়িনি আমার বুঝতে একটু কঠিন হলেও কিছুটা হলেও বুঝেছি। এ ধরনের গল্পগুলো বুঝতে কঠিন হলেও কিন্তু পড়তে ভালোই লাগে।

 3 years ago 

আগের পর্বে দেখেছিলাম প্রিয়ঙ্কা কিছুটা রহস্য উদঘাটন করতে পেরেছিল এবং পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। আজকে পর্ব পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আসলে আপনি পর্ব গুলো এত সুন্দর ভাবে রিভিউ করেন পড়তে খুবই ভালো লাগে, আর এই কাহিনী গুলো সত্যিই অসাধারণ ভাবে করেছে। আসলে আমি প্রথম থেকে ভেবেছিলাম যে খুনি নিজেদের মধ্যে কেউ হবে। অবশেষে মন্ত্রী পবিত্র বাবু সেই খুনি, আসল রহস্যটা বের হলো, কারণে প্রিয়ঙ্কা অনেক চালাক ও বুদ্ধিমান হওয়ার কারণে খুনিকে বের করতে পেরেছে। আসলে এ ধরনের কাহিনী গুলো অনেক রহস্যময় কাহিনী হয়। আপনার রিভিউ পড়ে আমার দেখতে খুব ইচ্ছা করছে, তাই আমি দেখবো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা আজকে আমাদের সাথে এই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য। আসলে আপনার প্রোফাইলে আমি অনেকবার এসেছিলাম আপনার পোস্ট পড়ার জন্য, কিন্তু আপনি ব্যস্ততার কারণে ঠিকমতো পোস্ট করতে পারছিলেন না, সেটা বুঝতে পেরেছি। আপনি ব্যস্ততা কাটিয়ে ওঠেন, এই দোয়া করছি।

 3 years ago 

এই শেষ দুটি কাহিনীতে এসে দেখা যায় শেষমেশ খুনি বের হলো মন্ত্রী পবিত্র বাবু যে এই সিরিজে যুধিষ্ঠির হিসেবে ছিল শেষমেশ

আজকে টান টান উত্তেজনা । সর্বশেষে মূল হোতা বের হলো। সির্ধাথই ছিল ছোট্ট পাপ্পু। সত্যি দাদা এটা বোঝা টা কঠিন ব্যাপার ছিল। পুরো সিরিজ না পড়লে কিংবা না দেখলে কিচ্ছু বোঝার উপায় নেই। দারুন এই ওয়েব সিরিজ টি। মূল অপরাধী ধরা পরলো। আমি কিভাবে যে হৈ চৈ প্যাকেজ টি কিনবো বুঝতে পারছি না। আপনার কাছ থেকে জেনে নিতে হবে। ভাল থাকবেন দাদা। শুভেচ্ছা ও ভালবাসা নেবেন।

 3 years ago 

দাদা এই মুভিগুলো আমি খুব কম বুঝি। কিন্তু আপনার পোষ্টটি পড়ে বুঝতে পারলাম এখানে অনেক কাহিনী রয়েছে। আসল খুনি খুব চালাকি করে খুনগুলো করে দোষ চাপাচ্ছেন অন্যজনের । বেশ ভালো লাগলো মুভিটিতে অনেক আকর্ষণীয় জিনিস রয়েছে। আসলে চমকে যাওয়ার মত এই মুভিটি। প্রথমে কিছু বুঝতে না পারলেও পরে বেশ মজা পাচ্ছিলাম। আমি অবশ্যই মুভিটি দেখে নেবো। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মুভি রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। আপনি সব সময় এমন সুন্দর সুন্দর মুভি রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করে যান, তাই আপনার পরবর্তী মুভি রিভিউ এর অপেক্ষায় রইলাম।