ওয়েব সিরিজ রিভিউ: নিকষ ছায়া ( সিজন ১: পর্ব ৪ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'নিকষ ছায়া' নামের ওয়েব সিরিজ এর চতুর্থ পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "Adot Kotha". গত পর্বে দেখেছিলাম যে, পুলিশ অফিসারের মেয়ে বন্যাকে যে ছেলেটা ধরে নিয়ে গিয়েছিলো, তাকে আটক করে। আর এদিকে চিরঞ্জিত এর বাড়িতে এক অদ্ভুত শক্তি কড়া নাড়তে থাকে। এই পর্বে ঘটনাটা কি হয় সেটা দেখা যাক।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
❄মূল কাহিনী:❄
এই পর্বে দেখা যায় ওই ছেলেটার কাছে যখন বিস্তারিত শোনে যে, কেন বন্যা নামের ওই মেয়েকে ধরে নিয়ে যায়। তখন ওই ঘটনা বলে আর যার কাছে তুলে দিয়েছিলো তাকেও আটক করে। এদিকে চিরঞ্জিতের বাড়িতে যে অদ্ভুত শক্তি বারবার কড়া নাড়ছিলো, মূলত এটা ওই তান্ত্রিক ভানুর কাজ। ভানু তার তান্ত্রিক শক্তির দ্বারা তার দরজায় নক করে এবং দরজার যে বার বা হ্যান্ডেল আছে, ওটা চিরঞ্জিত এর কাছে আগুনে তাপ দিলে লোহা যেমন দেখায়, সেইরকমই মনে হতে থাকে এবং সে হাত দিয়েও দেখে। কিন্তু তার বাড়ির যে কাজের লোকটা ছিল, সে হাত দিলেও কিন্তু তার কাছে সেটা গরম মনে হয়নি, নরমাল ছিল সবকিছু। এটার কারণ হলো, ভানু একমাত্র চিরঞ্জিতকেই এটা তার তান্ত্রিক শক্তির দ্বারা অনুভব করাচ্ছিল। এছাড়া তাকে এটাও বলছিলো যে, আমাকে অর্থাৎ ভানুকে খোঁজার চেষ্টা করছেন!
আসলে চিরঞ্জিত তাকে অনেক ভাবে খোঁজার চেষ্টা করছে এবং দেখারও চেষ্টা করছে কিন্তু কোনোভাবেই তা দেখতে পাচ্ছে না। অথচ ভানু তার তান্ত্রিক শক্তির দ্বারা তার বিষয়ে সবকিছু জানতে পারছে, দেখতে পারছে। এখন তো বিভিন্ন ভাবে অর্থাৎ কাকের সাহায্যে তার বাড়ির উপর নজর রাখছে। এখানে বিষয়টা একদিন চিরঞ্জিত তাদের সবাইকে ডেকে নিয়ে এসে বিস্তারিত বলে, আসলে বন্যাকে কেন ধরে নিয়ে গেছে বা ভানুর প্ল্যান কি। আসলে কিছু কিছু বিশেষ অবিবাহিত মেয়ে মানুষ আছে, যাদের রক্তের মূল্য একজন তান্ত্রিকের কাছে অনেক। আর এই মেয়েটিকেও তার কাছে নিয়ে রেখেছে একটা বিশেষ উদ্দেশ্যে। কারণ এই ভানু তার শব সাধনার দ্বারা এই গেনুর সাথে তার মিলন ঘটিয়ে এক অশরীরী মানবের জন্ম দিতে চায়। এই ভানুর মতো তান্ত্রিক আসলে এরা শব সাধনাগুলো মৃত মানুষের শরীরের উপর বসেই করে থাকে আর এতে তার শক্তি জাগ্রতও হয়ে থাকে।
এদিকে সঞ্জয়কে তার যে মামী ছোট বেলায় তাকে বাঁচিয়েছিলো, হঠাৎ করে এখন তাকে আবার দেখতে পায়। সে কিন্তু মারাই গিয়েছে, কিন্তু তাকে দেখতে পায় এবং সঞ্জয় ভয় পেয়ে ছাদে চলে যায়। এরপর সঞ্জয় পা পিছলে ছাদের উপর থেকে নিচে পড়ে যায়। যদিও পড়ে তার মাথা ফেটে যায়, তাকে পরে হসপিটালে নিয়েও আসে, কিন্তু বিপদ এখনো কাটেনি। চিরঞ্জিত এই বিষয়ে সাবধান করার জন্য তাকে ফোনও করেছিল যে, এইরকম কিছু হতে পারে, কিন্তু সে ফোন তুলিনি। এদিকে যে পুলিশ অফিসারটি ওই লোকগুলোকে ধরেছিলো, তাদের ডেরায় যায় এবং সেখানে গিয়ে দেখে অসংখ্য মানুষের হাড়গোড়, মাথার খুলি এইসব পড়ে রয়েছে। আর ওখানে একজন কেউ ছিল, যাকে পুলিশ অফিসারটি ধাওয়া করতে গিয়ে জঙ্গলের ভিতরে চলে যায় আর ওখানে আবার সে বেহুশ হয়ে যায়। চিরঞ্জিত তার তান্ত্রিক সাধনার বলে ধ্যান অবস্থায় সেটা দেখতেও পায়।
❄ব্যক্তিগত মতামত:❄
এই ভানু নামের তান্ত্রিক তার কার্য সিদ্ধের জন্য যেকোনো কাজ করতে পারে। কারণ সে তার নিজের ছেলে মেয়েকেও ছাড় দেয়নি এই বিষয়ে। আর এই সঞ্জয়ের বিষয়ে তো আগের পর্বে বলেছিলাম। এরও ১১ বছর হলেই বলি দিয়ে দিতো। আসলে শব সাধনা এবং বলি বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে, যেটা চিরঞ্জিত সবাইকে বলেছিলো। আর এই ভানু এখন তার বাড়ির দিকে নজর রাখার পাশাপাশি বশে আনারও চেষ্টা করছে। যেমন তার বাড়ির কাজের লোকটাকে বশে এনে ফেলেছিলো অর্থাৎ সে আপন মনে গান গাইছে এবং অন্য্ দিকে তাকিয়ে সবজি কেটে যাচ্ছে। পরে চিরঞ্জিত এসে তার তান্ত্রিক বলের দ্বারা তাকে বশ থেকে মুক্তি দেয়। এইরকম করার চেষ্টা অনেকের সাথেই করছে আর সেটা সবাইকে সাবধান করার জন্যই ফোন করে চিরঞ্জিত, কিন্তু তার আগেই ঘটনা একটা ঘটে যায় সঞ্জয়ের সাথে।
❄ব্যক্তিগত রেটিং:❄
৮.৯/১০
❄ট্রেইলার লিঙ্ক:❄
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দাদা আপনি অনেক সুন্দর করে নিকষ ছায়া ওয়েব সিরিজের চতুর্থ পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এর আগের পর্বগুলোর রিভিউ আমার পড়া হয়েছে। আর আজকে এই পর্বের রিভিউটা পড়ে দারুন লাগলো। ভান তান্ত্রিক দেখছি খুবই খারাপ। নিজের ছেলে মেয়েকে পর্যন্ত ছাড় দেয়নি। তাহলে কতটা খারাপ হতে পারে। আবার বাড়ির লোককে বশে আনার চেষ্টা করছে। কাজের লোককে তো এনেই ফেলেছিল। চিরঞ্জিত বশ থেকে মুক্তি দিয়েছে দেখে ভালো লাগলো। যাই হোক দাদা অপেক্ষায় থাকলাম এই ওয়েব সিরিজের পরবর্তী পর্বের রিভিউ পড়ার জন্য।
কি অদ্ভুত কাহিনী রে বাবা! ভানু তান্ত্রিক তো দেখছি অনেক ডেঞ্জারাস। চিরঞ্জিত কি আসলেই ভানু তান্ত্রিকের শক্তির সাথে লড়াই করে পেরে উঠবে। যাইহোক এই ওয়েব সিরিজের রিভিউ পড়ে বেশ মজা পাচ্ছি দাদা। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
এই পর্বটা মোটামুটি ঠিকই ছিল। তবে সঞ্জয়ের মামি কিন্তু সঞ্জয়কে কোনভাবেই ভয় দেখায়নি আসল গল্পে। এবং খুবই সাহায্য করে গেছেন। মৃত্যুর পরেও। যা সিনেমাতে নেই৷ তাও মোটামুটি কন্টিনিউটি ছিল গল্পে। তবে শেষটা গল্পের মতো হলে আরই ভালো হত।
নীরেন ভাদুড়ি তান্ত্রিক হলেও সে ক্ষতিকারক না। এবং তাঁর সাধনা যে উচ্চমার্গের আত্মসমর্পণের তা এই পর্বে অনেকখানি পরিষ্কার বোঝা গেছে।
দাদা অনেক সুন্দর করে আজকের পর্বটাও আপনি শেয়ার করে নিলেন। প্রতিটা পর্বের মতো এই পর্ব টাও খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে পড়তে। বাড়ির কাজের লোককে বশে আমার বিষয়টা একেবারে অদ্ভুত ছিল। আনমনে সবজি কেটে যাচ্ছে সে এটা ভাবতেই তো অন্যরকম লাগছে। একেবারে ডেঞ্জারাস বলতে গেলে ভানু তান্ত্রিক। ছেলে মেয়েকেও ছাড় দেয়নি সে। চিরঞ্জিত তার সাথে পারবে কিনা এটাই দেখা যাক।
দাদা আপনি আজ খুব সুন্দর করে ওয়েব সিরিজের এই পর্বটির রিভিউ পোস্ট শেয়ার করেছেন। এ ধরনের ওয়েব সিরিজ গুলো একটি পর্ব থেকে অন্য পর্বটি যেনো আরো বেশি আকর্ষনীয়।এ পর্বটি পড়ে নিয়ে পরের পর্বটি পড়ার আগ্রহ জন্ম নিয়েছে।আশাকরি পরবর্তী পর্ব খুব শীঘ্রই পড়তে পারব।অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা চমৎকার এই সিরিজটি আমাদের মাঝে এতো চমৎকার ভাবে তুলে ধরার জন্য।