মজাদার কচুর বড়ার রেসিপি
আজ বৃহস্পতিবার
২৪ আগষ্ট ২০২৩
আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় স্টীম বাসী সবাই কেমন আছেন?আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। স্টীম ফর ট্রাডিশনে আপনাদের কে স্বাগতম। আপনাদের জন্য রইলো অন্তরের অন্তস্তল থেকে ভালোবাসা ও শুভ কামনা। আপনারা অনেক ধরনের বড়া খেয়েছেন। তবে কখনো কি কচু দিয়ে বড়া বানিয়ে খেয়েছেন? আজকে আমি কচুর বড়া বানিয়ে দেখানোর চেষ্টা করবো। আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে। তো চলেন শুরু করা যাক।
উপাদান | পরিমাণ |
---|---|
কচু | হাফ কেজি |
চালের গুঁড়া | ১ কাপ |
মরিচ গুঁড়া | ১ চা চামচ |
হলুদ গুঁড়া | ১ চা চামচ |
জিরা গুঁড়া | হাফ চা চামচ |
লবণ | স্বাদমতো |
তেল | পরিমাণ মতো |
আমি এই সামান্য উপকরণগুলো নিয়েছি, বড়া তৈরি করার জন্য। এবার বড়া তৈরি করতে চলে যাই।
- প্রথমে আমাকে কচু নিতে হবে, সাইজ মতো কাটার জন্য। তাই আমি কচু কাটার জন্য প্রস্তুত। আমি শুধু কচুর নিচের অংশটুকু নিবো।
- এবার আমাকে অবশ্যই কচু গোলাকার আকৃতির করে কেটে নিতে হবে। আপনারা চাইলে অন্যভাবেও কেটে নিতে পারেন।
- এবার কচুতে পানি যোগ করে নিতে হবে এবং লবণ যোগ করে নিতে হবে ও হলুদ গুঁড়ো দিয়ে সিদ্ধ করার জন্য চুলায় বসিয়ে দিতে হবে।
- এবার আমি চালের গুঁড়া নিয়ে নিবো। আতব চালের গুঁড়া হলে বেশি সুস্বাদু লাগে। আপনারা চাইলে সাধারণ চালের গুঁড়াও নিতে পারেন।
- এবার আমি চালের গুঁড়ার সাথে অন্যান্য উপকরণ গুলো দিয়ে দিবো, যেমন, মরিচ গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, জিরা গুঁড়া এবং হালকা লবণ।
- এবার আমি সমস্ত উপকরণ একটি চামচের সাহায্যে ভালোভাবে মিশিয়ে নিবো।
- এবার আমি মিশিয়ে রাখা উপকরণ এর সাথে পানি যোগ করে নিবো, পেস্ট তৈরি করার জন্য।
- এবার আমার পেস্ট তৈরি করা হয়ে গেছে।
- এবার সিদ্ধ বসিয়ে দেওয়া কচু নামিয়ে নিবো, এবং পানি ছেঁকে নিবো।
- এবার আমাকে কড়াইয়ে তেল গরম করার জন্য বসিয়ে দিতে হবে।
- এবার আমাকে সিদ্ধ করে রাখা কচু গুলো, পেস্ট এর মধ্যে চুবিয়ে নিতে হবে।
- এবার আমাকে গরম তেলের মধ্যে ছেড়ে দিতে হবে।
- এবার একপাশ হয়ে যাওয়ার পর উল্টিয়ে দিতে হবে।
- এবার ১০ মিনিট পর নামিয়ে নিবো, এবং তেল ঝরে যাওয়ার জন্য রেখে দিবো।
- আলহামদুলিল্লাহ আমার কচুর বড়া হয়ে গেছে, এবার আমি একটি টেস্ট করে নিলাম। অনেক সুস্বাদু হয়েছে।
- এবার আমি পরিবেশন করে নিলাম।
আপনারা চাইলে বাসায় এভাবে বানিয়ে খেতে পারেন। খেতে অনেক সুস্বাদু এই কচুর বড়া। আমার বাসায় মাঝে মধ্যে কচুর বড়া বানানো হয়। আমি একদম সহজভাবে আপনাদেরকে দেখানোর চেষ্টা করলাম। কেমন লাগলো আমার রেসিপিটা সেটা কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আজ এই পর্যন্তই। আবারো লিখবো অন্য কোনো বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে।
মোবাইল | TECNO CAMON 16 PRO |
---|---|
ধরণ | ডালিয়া ফুলের ফটোগ্রাফি |
ক্যামেরা | ৬৪ মেগাপিক্সেল |
ফটোগ্রাফার | @aslamarfin |
অবস্থান | সৈয়দপুর, নীলফামারী। |
বাহ!!রেসিপিটি তো দারুন। এমন কচুর চপ আমি কখনো খাইনি। তবে মজার ব্যাপার হলো আপনি এতে বেসন ব্যবহার করেননি, শুধুমাত্র চালের গুড়া ব্যবহার করেছেন। তাছাড়া এটি আগে সিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যার কারণে এটি মুখেও ধরবে না। আমার কিন্তু রেসিপিটি খুবই ভালো লেগেছে। বাসায় একদিন তৈরি করার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু
টুইটার লিংক -
https://twitter.com/Aslamarfin64366/status/1694648359452287344?t=fgf9reVn-FCGkEG-IVgEaQ&s=19
কচুর বড়ার এই রেসিপি আজকে আমি প্রথম দেখলাম।তবে এরকম ভাবে বাজারে তো বেগুনের চপ আলুর চপ বানানো হয়।বাজার থেকে এবার কচু এনে অবশ্যই ট্রাই করতে হবে এই রেসিপিটি ।যাইহোক দারুন সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন আপনি আপনার উপস্থাপনা অনেক ভালো লেগেছে ভাই।আশা করি আমাদেরকেও একজন দাওয়াত দিয়ে খাওয়াবেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
কচু দিয়ে বড়া বানানো যায় তা আজ প্রথম দেখলাম।এ রেসিপির নাম আগে কখনো শুনিনি।আপনার ফটোগ্রাফি দেখে খাবারটি অনেক মজাদার মনে হচ্ছে।বাসায় অবশ্যই বানিয়ে খাবো।আমার মতো যারা আজ প্রথম এ রেসিপিটি দেখেছে তাদেরও অনেক উপকার হলো।কচু একটি পুষ্টিকর খাবার,এটি শরিরের জন্য ও চোখের জন্য অনেক উপকারী।ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু
সত্যি অদ্ভুত এক রেসিপি। আজকে সর্বপ্রথম দেখলাম এই কচুর বড়ার রেসিপি। লাইফে অনেক বড়া খেয়েছি কিন্তু এরকম বড়া তো কোনদিন খাওয়ায় হয়নি তবে রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে খেতে। এবং প্রত্যেকটি স্টেপ আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন যা আমাদের বুঝতে অনেক সাহায্য করেছে। তবে বাসায় কোন একদিন ট্রাই করবে এই রেসিপি তৈরি করা। ধন্যবাদ ভাইয়া অনেক সুন্দর হয়েছে।
ধন্যবাদ ভাই
একেবারেই অদ্ভুত ধরনের একটি রেসিপি ভাইয়া। এরকম রেসিপি আগে কখনো দেখিনি এবং ভাবতেও পারিনি কচু দিয়ে কখনো বড়া তৈরি করা যাবে। আপনার আইডিয়ার কোন তুলনা হয় না ভাইয়া। অদ্ভুত একটি রেসিপি আপনার কাছ থেকে জেনে খুবই ভালো লাগলো। কচুর বরাগুলো দেখে মনে হইতেছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনাকে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নেই ভাইয়া। শুধু বলবো খুবই ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ ভাই
কচুর বড়া কোনদিন খাই নাই। আজকে প্রথম আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম কচুর বড়া কেমন।আমাদের এইদিকে কচু দিয়ে বিভিন্ন ধরনের তরকারি রান্না করে।তবে কচুর বড়া গুলো দেখেই মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু।আপনি দারুণ ভাবে কচুর বড়ার রেসিপির ধাপ গুলো উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ ভাই
অদ্ভুত এক রেসিপি। এর আগে এই রেসিপি নাম আমি কখনোই শুনিনি। আমার কাছে ইউনিক একটা রেসিপি লাগতেছে এটা। দেখতে তো অসাধারণ লাগতেছে রেসিপিটি। এর আগে আমি এভাবে বেগুন , আলু চপ করে খেতাম। এই নাস্তা গুলো বিকেলবেলা খেতে বেশ ভালো লাগে। তাছাড়া যখন টিভি দেখতে বসি টিভি দেখতে দেখতে এগুলো খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। সুন্দর ও অসাধারণ একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই
বাহ !আজকে আপনার এই রেসিপি পোষ্টের মধ্যে দিয়ে একটা নতুন রেসিপি শিখতে পারলাম। কচু দিয়ে এভাবে বড়া বানিয়ে খাওয়া যায় আমি কখনো শুনিনি। তবে রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে বড়া টি বেশ মজাদার হয়েছে। আমি অবশ্যই একদিন বাসায় এ রেসিপিটি বানানোর ট্রাই করবো। আর আপনার রেসিপির ডেকোরেশন গুলো চমৎকার হয়। আচ্ছা, কচু গলায় ধরেনি??
অসাধারণ একটা রেসিপি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাইয়া ।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আগে সিদ্ধ করে নিলে কখনোই গলায় ধরে না, ধন্যবাদ আপু
ভিন্ন ধর্মী একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাই। কচুর বড়া আমি কোনদিন দেখিনি, নামও শুনিনি, খাইনি। কচুর ও বড়া তৈরি করা যায় আমি আপনার এই পোস্টের মাধ্যমে প্রথম জানতে পারলাম। কচুর বড়া সম্পর্কে ধাপে ধাপে খুব সুন্দর আলোচনা করেছেন ভাই,, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম ভিন্ন ধর্মী একটি রেসিপি আমাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই।